শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার উপায়
ভূমিকা
  প্রিয় পাঠক আপনি অনেক খোঁজাখুজির পর নিশ্চয়ই কিভাবে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ
  থাকার উপায় কি তা জানার জন্যই আমাদের এই সাইটটিতে এসেছেন। 
  হ্যাঁ আজকে আমি সঠিকভাবে কিভাবে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার উপায় বা
  শরীর সুস্থ রাখা যায় বা শরীর ফিট রাখার কৌশল নিয়ে আলোচনা করব। এই লেখার মূল
  বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানতে পুরো আর্টিকেলটি পড়ে ফেলুন।
শরীর ফিট রাখার কৌশল - কিভাবে শরীর সুস্থ রাখা যায়
  আমাদের শরীরকে ফিট রাখার জন্য আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ব্যায়াম করে
  থাকি। কথায় আছে “ স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল " সে স্বাস্থ্যই যদি হয়
  অসুস্থ, ভালো না থাকে তাহলে মন ভাল থাকে না। তাহলে সুখের চাইতে দুঃখের শেষ
  থাকে না। সুতরাং শরীরকে সুস্থ রাখতে হলে বা কার্যক্রম করে রাখতে হলে
  শরীর ফিট রাখতে হলে কিছু নিয়মকানুন মেনে চলতে হবে।শরীর ফিট রাখতে কিছু কৌশল
  অবলম্বন করতে হয়, এই সকল কৌশল অবলম্বন করলে আমাদের শরীর ফিট রাখার পাশাপাশি শরীর
  সুস্থ রাখতে পারি।
  আমরা যদি আমাদের শরীর ভালো রাখার বিষয়ে বিশেষ সচেতন হই তাহলে আমরা আমাদের শরীরকে
  ভালো রাখতে পারব। আপনি যদি এই লেখা বিস্তারিত এবং সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে
  পড়েন, তাহলে আপনার শরীর ঠিক রাখার পাশাপাশি সুস্থ রাখার কৌশল সম্পর্কে জানতে
  পারবেন।কারণ আজকে আমি শরীর ফিট রাখার কৌশল বা সুস্থ থাকার উপায় সম্পর্কে
  বিস্তারিত আলোচনা করব।
  সুস্থ শরীর সকল সুখের মূল, স্বাস্থ্য মানুষের অমূল্য সম্পদ। আমাদের নিজেদের শরীর
  ঠিক রাখার জন্য বা শরীর সুস্থ রাখার জন্য কিছু নিয়ম নীতি মেনে চলা প্রয়োজন।
  স্বাস্থ্য ফিট রাখা বা সম্পূর্ণ নির্ভর করে নিজের উপর। শরীর সুস্থ রাখার
  জন্য আপনি হচ্ছেন সবচেয়ে বড় ডাক্তার। মেনে বিভিন্ন খাবার গ্রহণ করেন সময়
  মনে রেখে যদি সম্ভবত ব্যায়াম করেন তাহলে আপনি আপনার শরীরকে সুস্থ রাখতে
  পারবেন। 
  কথায় আছে সুস্থ দেহ সুস্থ মন ভালো থাকবেন সারাক্ষণ। আসলেই তাই আপনি যদি
  সুস্থ থাকেন তাহলে পৃথিবীর সবকিছুই আপনার কাছে ভালো লাগবে। আর কোন কারণে যদি
  অসুস্থ হয়ে পড়েন তাহলে পৃথিবীর কোন কিছুই আপনার কাছে ভাল লাগবে না। সুতরাং
  নিজে ভাল থাকুন এবং অপরকে ভালো রাখতে সহযোগিতা করুন।
শরীর স্বাস্থ্য মোটা হওয়ার উপায়
  শরীর স্বাস্থ্য মোটা হওয়ার উপায়: আজকে আমি সঠিকভাবে কিভাবে শারীরিক
  ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার উপায় বা শরীর সুস্থ রাখা যায় বা শরীর ফিট রাখার কৌশল
  এবং শরীর স্বাস্থ্য মোটা হওয়ার উপায় নিয়ে আলোচনা করব। 
  খাদ্যাভ্যাস: শরীর স্বাস্থ্য মোটা হওয়ার উপায়
ক্যালোরি গ্রহণ বৃদ্ধি: 
- ওজন বাড়ানোর জন্য আপনাকে আপনার শরীরের প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ক্যালোরি গ্রহণ করতে হবে।
পুষ্টিকর খাবার:
- কেবল ক্যালোরি বৃদ্ধি করাই যথেষ্ট নয়, পুষ্টিকর খাবার খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
প্রোটিন: 
- পেশী বৃদ্ধির জন্য প্রোটিন অপরিহার্য। প্রতিদিন আপনার শরীরের ওজনের প্রতি কেজি 1.2-1.7 গ্রাম প্রোটিন খাওয়ার চেষ্টা করুন।
কার্বোহাইড্রেট: 
- কার্বোহাইড্রেট শরীরের প্রধান শক্তির উৎস। ওজন বাড়ানোর জন্য, আপনার ডায়েটে প্রচুর পরিমাণে পূর্ণ শস্য, শাকসবজি এবং ফল অন্তর্ভুক্ত করুন।
  চর্বি: স্বাস্থ্যকর চর্বি, যেমন অ্যাভোকাডো, বাদাম এবং জলপাই তেল, আপনার ডায়েটে
  অন্তর্ভুক্ত করুন।
  খাবারের সময়: দিনে তিনবার বড় খাবার খাওয়ার চেয়ে, ছোট খাবার এবং স্ন্যাক্স 5-6
  বার খাওয়ার চেষ্টা করুন।
  ব্যায়াম:শরীর স্বাস্থ্য মোটা হওয়ার উপায়
শক্তি প্রশিক্ষণ: 
- পেশী বৃদ্ধির জন্য শক্তি প্রশিক্ষণ গুরুত্বপূর্ণ। সপ্তাহে 2-3 বার ওজন তোলার ব্যায়াম করুন।
  কার্ডিও: শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার উপায়
- কার্ডিও আপনার হৃৎপিণ্ড এবং ফুসফুসকে শক্তিশালী করে। সপ্তাহে 3-5 বার 30 মিনিট কার্ডিও করার চেষ্টা করুন।
  অন্যান্য শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার উপায়:
পর্যাপ্ত ঘুম: 
- ঘুমের সময় আপনার শরীর পেশী তৈরি করে। রাতে 7-8 ঘণ্টা ঘুমের চেষ্টা করুন।
স্ট্রেস কমাতে: 
- স্ট্রেস কর্টিসলের মাত্রা বৃদ্ধি করতে পারে, যা ওজন কমানোর কারণ হতে পারে।
ধৈর্য ধরুন: 
- ওজন বাড়াতে সময় লাগে। হতাশ হবেন না এবং স্বাস্থ্যকর অভ্যাসগুলি অনুসরণ করতে থাকুন।
  কিছু সুপারিশকৃত খাবার:শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার উপায়
- মাংস: মুরগির মাংস, গরুর মাংস, মাছ, ডিম
- দুগ্ধজাত খাবার: দুধ, দই, পনির
- শস্য: ওটমিল, বাদামী ভাত, রুটি
- শাকসবজি: আলু, মিষ্টি আলু, অ্যাভোকাডো
- ফল: কলা, আম, খেজুর
- বাদাম এবং বীজ: চিনাবাদাম, কাজুবাদাম, সূর্যমুখী বীজ
  সতর্কতা: শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার উপায়
  অস্বাস্থ্যকর খাবার এড়িয়ে চলুন: ফাস্ট ফুড, প্রক্রিয়াজাত খাবার, এবং অতিরিক্ত
  চিনিযুক্ত পানীয়।
  খুব বেশি খাওয়া এড়িয়ে চলুন: এটি অস্বস্তি এবং হজম সমস্যার কারণ হতে পারে।
নিয়মিত ব্যায়াম করা
- শরীর সুস্থ রাখার জন্য নিয়মিত ব্যায়ামের কোন বিকল্প নেই। তবে এই ব্যায়াম অবশ্যই নিয়মমাফিক হতে হবে। নিয়ম মেনে যদি আপনি আপনার শরীরকে ঠিক রাখতে চান তাহলে অবশ্যই আর্টিকেলটিভ পুরো পড়ে ফেলুন।
- শরীর ঠিক রাখার জন্য যে সকল সকল কৌশল অবলম্বন করা দরকার তার মধ্যে নিয়মিত ব্যায়াম করা অন্যতম।নিয়মিত ব্যায়াম করার মাধ্যমে শরীর ঠিক রাখার পাশাপাশি শরীর সুস্থ থাকে। আমরা যদি প্রতিদিন নিয়ম করে সকালে ব্যায়াম করি তাহলে শরীর ঠিক রাখতে পারি,আমরা বাসায় ব্যায়াম করার পাশাপাশি জিমে গিয়েও ব্যায়াম করতে পারি।
- ব্যায়াম শরীরের অভ্যন্তরীণ চর্বি ক্ষয় করে ঘামের মাধ্যমে বের করে দেয়। এতে স্বাস্থ্যবানরা মোটা হওয়ার সুযোগ থাকে না। আমরা যদি নিয়মিত জিমে গিয়ে ব্যায়াম করতে নাও পারি,তাহলে যেন সকালে এবং বিকালে দুই ঘন্টা জোরে হাটাহাটি করি।হাঁটার মাধ্যমে যেন আমাদের শরীর থেকে ঘাম বের হয়ে যায়,আর এভাবেই ব্যায়াম করে আমরা আমাদের শরীর ফিট রাখার পাশাপাশি শরীর সুস্থ রাখতে পারি।
সুষম খাবার খাওয়া
- আমরা যদি আমাদের শরীরকে ঠিক রাখতে চাই এবং শরীর সুস্থ রাখতে চাই তাহলে নিয়মিত ব্যায়াম করা পাশাপাশি সুষম খাবার খেতে হবে। যদিও আমরা প্রতিদিন বিভিন্ন প্রকার খাবার খেয়ে থাকি সুষম খাবার আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
- আপনার প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় বিভিন্ন খাবার যেমন: ফল,শাকসবজি,গোটা শস্য, চর্বিবিহীন মাংস, প্রোটিন ইত্যাদি যোগ করুন। বিভিন্ন প্রকার চিনিযুক্ত খাবার চর্বি মিশ্রণ খাবার তালিকা থেকে বাদ দিন, তবেই শরীর ফিট থাকার পাশাপাশি সুস্থ থাকবে।
পর্যাপ্ত ঘুম
  আমরা জানি পর্যাপ্ত ঘুম আপনার শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য খুব উপকার করে। যদি
  আপনি পর্যাপ্ত ঘুমাতে পারেন তাহলে আপনার শরীর সুস্থ থাকবে। সুতরাং শরীরকে
  সুস্থ রাখার জন্য আপনার ঘুম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
  ঘুম মানুষের শরীরের জন্য একটি অতি প্রয়োজনীয় জিনিস। ঘুম মানুষকে চিন্তামুক্ত
  রাখে, সারাদিন পরিশ্রমের পরে যদি মানুষ প্রয়োজন মতো ঘুম না হয় তাহলে শরীর
  এমনিতেই অসুস্থ হয়ে পড়ে।তাই ঘুম মানুষের শরীর ফিট রাখার জন্য এবং শরীর সুস্থ
  রাখার জন্য পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন। একজন সুস্থ মানুষের প্রতিদিন ৯ ঘন্টা ঘুমানোর
  প্রয়োজন।
  যাদের ঘুম হয় না তাদের শরীর সাধারণ শারীরিক সুস্থতা থাকে না, অনেক সময় অসুস্থ
  হয়ে পড়ে। এমনিও দেখা যায় ঘুম কম হওয়ার কারণে মানুষ পাগল হয়ে যায়, তাই ঘুম
  মানুষের জীবনে একটি অতি প্রয়োজনীয় জিনিস। আর তাই শরীর ফিট রাখার জন্য বা সুস্থ
  রাখার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমের প্রয়োজন।
পর্যাপ্ত পানি পান করা
  আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন খাবার বহন করে থাকি কিন্তু পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান
  করি না। শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য আপনার শরীরের প্রতিটি কোষকে সতেজ রাখার
  জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে পানির দরকার। তাই পরিমাণ মতো পানি পান করাও একান্ত
  জরুরী।গরম আবহওয়ার কারণে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। পানি শূন্যতার পরিমাণ
  নির্ভর করে প্রধানত একজন মানুষ কি পরিমান পরিশ্রম করেন। 
  তবে এখন প্রশ্ন হচ্ছে একজন সুস্থ মানুষ কি পরিমান পানি পান করা উচিত? গরমে শরীরের
  সবচেয়ে বেশি পানি শূন্যতা দেখা দেয় তাই একজন সুস্থ মানুষের পানি শূন্যতা পূরণের
  জন্য প্রয়োজনীয় মাত্রায় পানি পান করতে হবে, তবে পানি একসঙ্গে অনেক পানি পান না
  করে দুই ঘন্টা পর পর পানি পান করা প্রয়োজন, একজন সুস্থ মানুষকে দৈনিক পাঁচ থেকে
  ছয় লিটার পানি পান করা দরকার।তাই আমাদের শরীর ফিট রাখার জন্য এবং সুস্থ রাখার
  জন্য প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা দরকার।
ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখা
  শরীর ফিট টাকার জন্য শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ
  রাখা একান্ত জরুরী। নিয়মিত খাবার খাওয়া নিয়মিত ব্যায়াম করা এবং
  নিয়মিত শরীর চর্চার মাধ্যমে আপনার শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে
  পারেন। শরীরের অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি পেলে আপনার শরীরে ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন
  ধরনের রোগ বাসা বাঁধতে পারে।
  আমাদের শরীর সুস্থ রাখার জন্য বা শরীর ফিট রাখার জন্য নিজের ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে
  হবে। আমরা অনেক সময় খাবারের সময় কোন মানবিজ করি না সামনে যা পায় তাই খেয়ে
  নেই, আর এ কারণে আমাদের শরীরের ওজন বেড়ে যায় বা মোটা হয়ে যায়।শরীর মোটা হয়ে
  যাওয়ার কারণে বিভিন্ন প্রকার অসুখ বাসা বাধে যেমন হাই প্রেসার,ডায়াবেটিস,
  হার্টের সমস্যা ইত্যাদি।
  এ সকল সমস্যা যখন শরীরে বাসা বাঁধে তখন শরীর বিভিন্নভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাই
  প্রতিদিন আমরা যাই খাই না কেন খাবারের তালিকায় সুষম খাবার থাকতে হবে। আমরা যদি
  সঠিক এবং পরিমাণ মতো খাবার খেতে পারি তবে আমরা শরীর ফিট রাখার
  পাশাপাশি আমাদের শরীরকে ফিট এবং সুস্থ রাখতে পারব সুস্থ রাখতে পারব।
মানসিক টেনশন না করা
  মানুষের স্বভাব ছোটখাটো বিষয় নিয়ে টেনশন করা। আসলে টেনশন করতে ছোট বড় কোন
  বিষয়ে লাগে না। যদি আপনি একটু সচেতন হন তাহলে হয়তো ছোটখাটো টেনশন থেকে
  দূরে থাকতে পারেন। আপনার শরীরকে ফিট রাখার বা সুস্থ রাখার জন্য অবশ্যই
  মানসিক টেনশন আপনাকে পরিহার করতে হবে।
  মানুষের শরীর যে সকল কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ে তার মধ্যে মানসিক টেনশন অন্যতম
  প্রধান কারণ। যে সকল মানুষের ভেতরে মানুসুক টেনশন থাকে তারা যতই সুষম খাবার খায়,
  প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুক না কেন, তার শরীর কোনদিন ঠিক থাকবে না।শরীর ফিট বা
  সুস্থ রাখার জন্য মানুষের টেনশন থেকে দূরে থাকতে হবে।
বাইরে খাবার পরিহার করা
- সুমাইয়া কি ট্র্যাডিশন হয়ে দাঁড়িয়েছে বাহিরে ফাস্টফুড খাওয়া। রাস্তার পাশের খাবারগুলো খেয়ে আমরা খুব মজা পাই এবং তৃপ্তির ঢেকুর তুলে থাকে। কিন্তু আমরা জানি না যে এই রাস্তার পাশের খাবারগুলো আমাদের কি ধরনের ক্ষতি করে থাকে। আপনি যদি আপনার শরীরকে ফিট এবং সুস্থ রাখতে চান তাহলে অবশ্যই রাস্তার পাশের এই খাবারগুলি পরিহার করে ফেলুন।
- মানুষ সাধারনত খাবার খেতে খুব ভালোবাসে, আর বাইরে খাবার হলে তো কোন কথাই নেই আজকাল আমরা সকলেই খুব ব্যস্ত হয়ে পড়েছি। তাই বাসায় খাবার রান্না করে খাবার সময় পায় না বাইরের খাবার খেয়ে থাকি। আর বাহিরের খাবার মানে তো হলো তৈলাক্ত, চর্বিযুক্ত ইত্যাদি খাবার। যা শরীর সুস্থ রাখার জন্য মোটেই ভালো না, তাই আমাদের চেষ্টা করতে হবে সহজে সিম্পল খাবার বাসায় রান্না করে খেতে।
- এতে করে সময় টাকা দুটোই বাজবে এবং শরীরের জন্য উপকারী হবে। প্রয়োজনের সময় করে বসে সাপ্তাহিক খাবার মেনু তৈরি করতে হবে তাতে আপনার সুবিধা হবে এবং সেই মেনুতে অবশ্যই অতিরিক্ত ফ্যাট যুক্ত খাবার বাদ রাখতে হবে। আর এভাবেই বাইরে সবার পরিহার করে আমাদের শরীর ফিট রাখতে পারি পাশাপাশি সুস্থ থাকতে পারি।
নিয়মিত ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন
- আপনার মত খাবার নিয়মিত ব্যায়াম পর্যাপ্ত ঘুম এই সবকিছুর পরও যদি আপনার কোন ধরনের কোন সমস্যা হয় তাহলে অবশ্যই নিয়মিত ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। নিজে সচেতন হই এবং অন্যকে সচেতন করি।
- আমরা যদি নিজেকে সুস্থ মনে করে থাকি তারপরও সময় করে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে গিয়ে শরীর পরীক্ষা করতে হবে। নিয়মিত শরীর পরীক্ষা করার মাধ্যমে যে কোন রোগের প্রাথমিক শনাক্তকরণ এবং প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে পাশাপাশি ডাক্তারের সাথে সম্পর্কে গড়ে ওঠে।
- আপনার স্বাস্থ্যের ঝুঁকি কম করে, আপনার শরীরকে নিয়ন্ত্রণ করে, যা আপনার শরীর ভালো ঘুমাতে সাহায্য করে।আপনার শরীর ক্যানসারসহ অন্য কোন রোগের ঝুঁকি আছে কি না তা খুঁজে বের করে। তাই আমাদের শরীরকে ফিট রাখার জন্য সুস্থ রাখার জন্য নিয়মিত ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে হবে।
ধূমপান বা মদ্যপান ত্যাগ করা
- ধূমপানে বিষপান। আপনি যদি ধূমপান করে থাকেন তাহলে আপনি আপনার স্বাস্থ্য কে নষ্ট করে ফেলছেন। সুতরাং এই অভ্যাসটি ত্যাগ করে ফেলুন। কথায় আছে ধূমপান "স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর" শুধু ধূমপান নয় সাথে মদ্যপানেও শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
- তাই আমাদের শরীর ফিট রাখার জন্য বা শরীর সুস্থ রাখার জন্য ধূমপান বা মদ্যপান অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।মানুষের ক্ষুধা কমে যাওয়ার পাশাপাশি শরীরের বিভিন্ন অসুস্থতা বাসা বাদে আর অসুস্থ শরীর কোনদিন ফিট থাকতে পারে না।
- অনেকের হয়তো ধূমপানের পাশাপাশি মদ্যপানের বদ অভ্যাসও আছে। যদি আপনার এই অভ্যাসটি থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার শরীরকে ফিট রাখতে পারবেন না। ধুমপাই বা মদ্যপান ব্যক্তিরা নিয়মিত বা সময় মত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকে, এবং তাদের নিজের শরীরের প্রতি কোন যত্ন থাকে না।
- আর এজন্য ব্যক্তি যখন নিজের শরীরের প্রতি যত্নশীল না হয় তাহলে তার দ্বারা ফিট থাকা সম্ভব হয় না। এবং সে প্রতিনিয়ত অসুস্থতায় ভোগে তাই আমাদের ধূমপান বা মদ্যপান অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।
সুস্থ থাকার উপায়
  এখন আসুন আমরা জেনে নেই সুস্থ থাকার উপায় গুলো। যদি পরিমাণ মতো
  খাবার নিয়মিত ঘুম এবং নিয়মিত ব্যায়াম করতে পারি তাহলে আমরা সুস্থ থাকতে
  পারি।
  আমরা যদি আমাদের জীবন চলার পথে কিছু নিয়মকানুন মেনে চলি তাহলে আমরা সুস্থ থাকতে
  পারি। শরীর সুস্থ রাখার জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে, সুষম খাবার খেতে হবে,
  নিয়মিত ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে হবে, ধূমপান ত্যাগ করা ইত্যাদি হচ্ছে সুস্থ
  থাকার উপায়।আমাদের নিজের সুস্থ থাকার পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদের ভালো রাখার
  ব্যবস্থা করতে হবে। 
  মনে রাখতে হবে শরীর সুস্থ না থাকলে কোন কাজকর্মের মন বসে না,তাই উপরোক্ত
  বিষয়গুলো অনুসরণের মাধ্যমে আমরা নিজেকে সুস্থ রাখতে পারি। সুস্থ থাকার জন্য
  উপরের যে বিষয়গুলো আমরা আলোচনা করলাম সেই বিষয়গুলো যদি আমরা মেনে চলার চেষ্টা
  করি তাহলেই এবং শরীরকে সুস্থ রাখতে পারব।
উপসংহার
  প্রিয় পাঠক আজ কিভাবে শরীর সুস্থ রাখা যায় - শরীর ফিট রাখার কৌশল নিয়ে আলোচনা
  করলাম। আগামীতে অন্য কোন টপিক নিয়ে হাজির হবো। এরকম ধরনের আরো ভালো, ভালো
  কনটেন্ট পেতে আমাদের এই সাইটটি  ফলো করুন।
 


জমজম আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url