ফ্রিল্যান্সার ও চাকরিজীবীর জন্য সহজ সেভিংস প্ল্যান

ভূমিকা

সুপ্রিয় পাঠক আজকাল অনেকেই অনলাইনে ফ্রিল্যান্সার ও চাকরিজীবীর জন্য সহজ সেভিংস প্ল্যান নিয়ে জানতে চান। আপনিও হয়তো অনেক খোঁজাখুঁজির পর নিশ্চয়ই ফ্রিল্যান্সার ও চাকরিজীবীর জন্য সহজ সেভিংস প্ল্যান কি তা জানার জন্যই আমাদের এই সাইটটিতে এসেছেন।
ফ্রিল্যান্সার ও চাকরিজীবীর জন্য সহজ সেভিংস প্ল্যান
হ্যাঁ আজকে আমি সঠিকভাবে ফ্রিল্যান্সার ও চাকরিজীবীর জন্য সহজ সেভিংস প্ল্যান তা নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করব। চলুন এই লেখার মূল বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানতে নিচের লেখা গুলো পুরোপুরি পড়ে নিন।

ফ্রিল্যান্সার ও চাকরিজীবীর জন্য সহজ সেভিংস প্ল্যান

আজকের দিনে সেভিংস করা শুধু বিলাসিতা নয়, বরং জীবনের জন্য একান্ত প্রয়োজন। এখন আর দেরি না করে আমরা ফ্রিল্যান্সার ও চাকরিজীবীর জন্য সহজ সেভিংস প্ল্যান বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি। আর জমজম আইটির ফ্রিল্যান্সার ও চাকরিজীবীর জন্য সহজ সেভিংস প্ল্যান নিয়ে বিস্তারিত জানার জন্য নিচের লেখা গুলো পুরোপুরি পড়ে নিন। হাতে সময় থাকলে আরো পড়ুন লিংকে চাপ দিয়ে জ্ঞান অর্জন করুন। আপনার জন্য আরো অতিরিক্ত বোনাস হিসেবে ফ্রিল্যান্সার ও চাকরিজীবীর জন্য সহজ সেভিংস প্ল্যান নিয়ে আলোচনা এখানে ক্লিক করে বিস্তারিত জানুন।
কিন্তু ফ্রিল্যান্সারদের ইনকাম অনিয়মিত আর চাকরিজীবীদের ইনকাম সীমিত – তখন সেভিং করা অনেকের কাছেই কঠিন মনে হয়।
আজ শিখব সহজ ও বাস্তব কিছু সেভিংস প্ল্যান, যা আপনি সহজেই শুরু করতে পারবেন।
 ১. “পে ইওরসেলফ ফার্স্ট” রুল
  • ইনকাম হাতে এলেই প্রথমেই নির্দিষ্ট অংশ আলাদা করে রাখুন (যেমন: ২০%)।
  • চাকরিজীবী হলে বেতন পেলেই, আর ফ্রিল্যান্সার হলে মাসের প্রথম বড় প্রজেক্টের পেমেন্ট পেলে।
  • বাকি টাকা দিয়ে মাস চালানোর চেষ্টা করুন।
২. ফ্রিল্যান্সারের জন্য আলাদা “ইনকাম সেফ” একাউন্ট
  • ফ্রিল্যান্সারদের ইনকাম ওঠানামা করে, তাই ইনকাম আসা মাত্রই একটা অংশ সরিয়ে রাখার জন্য আলাদা একাউন্ট খুলুন।
  • মাসে অন্তত ৫,০০০–১০,০০০ টাকা জমানোর টার্গেট নিন।
৩. চাকরিজীবীর জন্য মাসিক বাজেট
  • বেতন থেকে ৫০% প্রয়োজনীয় খরচ (বাড়িভাড়া, খাবার), ৩০% ব্যক্তিগত বা আনন্দের জন্য, ২০% সেভিংস।
  • “৫০/৩০/২০ রুল” নামে এই পদ্ধতি বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়।
৪. জরুরি ফান্ড (Emergency Fund)
  • অনিয়মিত ইনকাম বা চাকরি হারানোর সময় যাতে সমস্যায় না পড়েন।
  • অন্তত ৩–৬ মাসের মাসিক খরচের সমান টাকা জমিয়ে রাখুন।
 ৫. অটোমেটিক সেভিংস সিস্টেম
  • চাকরিজীবী হলে ব্যাংক থেকে মাসিক DPS বা ফিক্সড ডিপোজিট করুন।
  • ফ্রিল্যান্সার হলে বিকাশ/নগদ বা ব্যাংকে standing instruction দিয়ে অটোমেটিক সেভিংস করুন।
 ৬. ছোট ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান
  • ছোট DPS, গিফট চেক, গরু মোটাতাজাকরণ, অনলাইন ব্যবসায় ইনভেস্ট করতে পারেন।
  • ইনকাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেভিংসও বাড়বে।
৭. মাস শেষে টাকা বাঁচলে সেটা খরচ নয় – সেভ!
  • মাস শেষে ২–৩ হাজার টাকা হাতে থাকলে সেটা ব্যয় না করে সরাসরি সেভিংস একাউন্টে রাখুন।
  • এভাবে বছর শেষে ভালো অঙ্কের টাকা জমে যাবে।
  • সেভিং কোনো কঠিন কাজ নয় – অভ্যাসের ব্যাপার।
  • ছোট পরিমাণ হলেও নিয়মিত সেভ করুন, দেখবেন সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আপনারই জীবন হবে আরামদায়ক ও নিরাপদ।

মাসিক আয় থেকে কিভাবে নিয়মিত সেভ করবেন

এখন আর দেরি না করে আমরা মাসিক আয় থেকে কিভাবে নিয়মিত সেভ করবেন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি। আর জমজম আইটির মাসিক আয় থেকে কিভাবে নিয়মিত সেভ করবেন নিয়ে বিস্তারিত জানার জন্য নিচের লেখা গুলো পুরোপুরি পড়ে নিন। হাতে সময় থাকলে আরো পড়ুন লিংকে চাপ দিয়ে জ্ঞান অর্জন করুন। আপনার জন্য আরো অতিরিক্ত বোনাস হিসেবে মাসিক আয় থেকে কিভাবে নিয়মিত সেভ করবেন নিয়ে আলোচনা এখানে ক্লিক করে বিস্তারিত জানুন
নিচে “মাসিক আয় থেকে কিভাবে নিয়মিত সেভ করবেন?” এই টপিকটা সহজ ভাষায়, ধাপে ধাপে এবং বাংলা ব্লগ পোস্ট বা ভিডিও স্ক্রিপ্টের মতো সুন্দরভাবে সাজিয়ে দিচ্ছি:
মাসিক আয় থেকে কিভাবে নিয়মিত সেভ করবেন?
আজকের দিনে শুধু টাকা আয় করাই যথেষ্ট নয় – সেই টাকাকে সঠিকভাবে সেভ করা আরও গুরুত্বপূর্ণ।
বেতন বা ইনকাম যত ছোটই হোক, সঠিক পদ্ধতিতে মাসে কিছু টাকা সেভ করলে বছরের শেষে বড় অঙ্ক জমবে।
চলুন দেখি – সহজভাবে কীভাবে মাসিক ইনকাম থেকে নিয়মিত সেভ করবেন:
  • আয় আসার সঙ্গে সঙ্গেই সেভ করুন
  • টাকা হাতে আসার পরে খরচ করার আগে একটি নির্দিষ্ট অংশ সরিয়ে রাখুন।
  • উদাহরণ: ইনকাম ২০,০০০ টাকা হলে ২,০০০–৪,০০০ টাকা সেভিংস একাউন্টে রাখুন।
  • এই পদ্ধতিকে বলে “Pay Yourself First” – বিশ্বের সেরা ফাইনান্স টিপসগুলোর একটি।
বাজেট তৈরি করুন
মাসের শুরুতে লিখে ফেলুন কোন খাতে কত টাকা খরচ হবে।
যেমন:
  • বাড়িভাড়া
  • বাজার/খাবার
  • যাতায়াত
  • ফ্লেক্সিলোড বা ডাটা
  • বিনোদন
  • এতে অপ্রয়োজনীয় খরচ ধরা পড়ে এবং সেভিংয়ের সুযোগ বাড়ে।
অটোমেটিক সেভিংস প্ল্যান
  • ব্যাংকের DPS বা বিকাশ/নগদ-এর অটোমেটিক সেভিংস ফিচার ব্যবহার করুন।
  • মাসের এক তারিখেই নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা কেটে যাবে – ফলে আলাদা করে ভাবতে হবে না।
 ছোট ছোট খরচে কাঁটছাঁট করুন
  • প্রতিদিনের ফাস্ট ফুড, রাইড শেয়ার, অপ্রয়োজনীয় সাবস্ক্রিপশন – মাস শেষে বড় অঙ্ক হয়ে যায়।
  • এভাবে ১–২ হাজার টাকা সেভ করা সহজ।
 একাধিক সেভিংস অ্যাকাউন্ট বা খাতা রাখুন
  • একটিতে রাখুন জরুরি ফান্ড
  • একটিতে রাখুন স্বপ্ন পূরণের টাকা (মোবাইল, ট্যুর, ফার্নিচার ইত্যাদির জন্য)
  • আরেকটিতে রাখুন ভবিষ্যতের বড় ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড
 ইনকাম বাড়ার সঙ্গে সেভিংস বাড়ান
  • প্রমোশন, বোনাস বা বাড়তি ইনকাম এলে পুরোটা খরচ না করে অন্তত ৫০% সেভ করুন।
 সেভিংসকে বাধ্যতামূলক অভ্যাস বানান
  • মনে রাখবেন: আগে সেভ, পরে খরচ।
  • সেভ না করলে পরে খরচ কমানো কঠিন হয়।
  • মাসিক আয় কম হলেও – অভ্যাস ও প্ল্যানিং থাকলে সেভ করা যায়।
ছোট ছোট পদক্ষেপেই গড়ে ওঠে বড় সেভিংস, যা আপনার জীবনকে নিরাপদ ও স্বপ্নপূরণে সাহায্য করবে।

মাসে ১০,০০০ টাকা সেভ করার ৭টি সহজ উপায়

আজকের ব্যস্ত জীবনে সেভিং করা অনেকের কাছেই কঠিন মনে হয়। বিশেষ করে, যারা ফ্রেশার বা নতুন চাকরিজীবী, তাদের আয় কম, খরচ বেশি – এই দুশ্চিন্তা থেকেই যায়। এখন আর দেরি না করে আমরা মাসে ১০,০০০ টাকা সেভ করার ৭টি সহজ উপায় বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি। আর জমজম আইটির মাসে ১০,০০০ টাকা সেভ করার ৭টি সহজ উপায় নিয়ে বিস্তারিত জানার জন্য নিচের লেখা গুলো পুরোপুরি পড়ে নিন। হাতে সময় থাকলে আরো পড়ুন লিংকে চাপ দিয়ে জ্ঞান অর্জন করুন। আপনার জন্য আরো অতিরিক্ত বোনাস হিসেবে মাসে ১০,০০০ টাকা সেভ করার ৭টি সহজ উপায় নিয়ে আলোচনা এখানে ক্লিক করে বিস্তারিত জানুন।
তবে কিছু স্মার্ট অভ্যাস এবং প্ল্যান মেনে চললে মাসে কমপক্ষে ১০,০০০ টাকা সহজেই সেভ করা সম্ভব। আসুন দেখি কীভাবে!
১. মাসিক বাজেট তৈরি করুন
  • প্রথমেই কাগজে বা মোবাইল অ্যাপে লিখে ফেলুন আপনার আয়ের উৎস ও মাসিক খরচ।
  • খরচগুলো দুই ভাগে ভাগ করুন: প্রয়োজনীয় (rent, খাবার, যাতায়াত) এবং অপ্রয়োজনীয় (বাহিরে খাওয়া, বিনোদন ইত্যাদি)।
  • এতে বোঝা যাবে কোথায় বেশি খরচ হচ্ছে।
 ২. প্রতিদিনের ছোট খরচ নিয়ন্ত্রণ করুন
  • প্রতিদিনের চা, ফাস্ট ফুড, রাইড শেয়ার ইত্যাদির ছোট ছোট খরচ গুনলে মাসে বড় অঙ্ক দাঁড়ায়।
  • বিকল্পভাবে বাস/রিকশা ব্যবহার, বাড়িতে রান্না করে খাবার নেওয়া – এগুলো বেশ সেভ করে।
৩. “পে ইওরসেলফ ফার্স্ট” পদ্ধতি
  • বেতন বা ইনকাম হাতে আসার সঙ্গে সঙ্গেই ১০,০০০ টাকা আলাদা করে সেভিংস অ্যাকাউন্টে বা মোবাইল ওয়ালেটে রাখুন।
  • এরপর বাকি টাকা দিয়ে মাস চালানোর চেষ্টা করুন।
 ৪. ডিসকাউন্ট, কুপন ও অফার ব্যবহার করুন
  • শপিং, মোবাইল রিচার্জ বা অনলাইন ফুড অর্ডারে প্রোমো কোড ব্যবহার করুন।
  • মাসে অন্তত ১–২ হাজার টাকা পর্যন্ত সেভ করা সম্ভব।
 ৫. অপ্রয়োজনীয় সাবস্ক্রিপশন কেটে দিন
  • Netflix, Spotify, Gym বা অন্য সাবস্ক্রিপশন যা প্রয়োজন নেই – বন্ধ করুন।
  • এভাবে মাসে ৫০০–২০০০ টাকা বাঁচতে পারে।
 ৬. এক্সট্রা ইনকাম সোর্স তৈরি করুন
  • ফ্রিল্যান্সিং, অনলাইন টিউশন, ব্লগিং বা ছোট অনলাইন বিজনেস করুন।
  • বাড়তি ইনকাম সরাসরি সেভিংসে রাখুন।
 ৭. সেভিংসের জন্য স্পেশাল অ্যাকাউন্ট
  • যেখানে থেকে সহজে টাকা তোলা যাবে না, যেমন DPS, RD বা ফিক্সড ডিপোজিট।
  • এতে অটোমেটিক সেভিংস হবে এবং খরচও কম হবে।
  • টাকা সেভ করার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো নিয়মিত সেভ করার অভ্যাস গড়ে তোলা।
ছোট ছোট পদক্ষেপই মাসে ১০,০০০ বা তার বেশি সেভ করতে সাহায্য করবে।

টাকা খাটানোর উপায়

এখন আর দেরি না করে আমরা মাসিক আয় থেকে সেভ, সেভিংস টিপস, টাকা জমানোর উপায়, মাসিক সেভিংস প্ল্যান বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি। আর জমজম আইটির টাকা খাটানোর উপায় নিয়ে বিস্তারিত জানার জন্য নিচের লেখা গুলো পুরোপুরি পড়ে নিন। হাতে সময় থাকলে আরো পড়ুন লিংকে চাপ দিয়ে জ্ঞান অর্জন করুন। আপনার জন্য আরো অতিরিক্ত বোনাস হিসেবে টাকা খাটানোর উপায়. নিয়ে আলোচনা এখানে ক্লিক করে বিস্তারিত জানুন।
টাকা খাটানো মানে হচ্ছে– আপনার জমানো বা সেভ করা টাকা এমনভাবে ব্যবহার করা, যাতে সেটা বসে না থাকে; বরং আপনাকে নতুন ইনকাম (মুনাফা, সুদ বা লাভ) এনে দেয়।
নিচে সহজ ভাষায় ও বাংলাদেশ উপযোগী করে কিছু বাস্তবিক “টাকা খাটানোর উপায়” লিখছি:
 ১. সেভিংস একাউন্ট বা ফিক্সড ডিপোজিট (FD)
  • ব্যাংকে বা ইসলামী ব্যাংকের Mudaraba ডিপোজিটে টাকা রাখলে মাসিক/বার্ষিক সুদ বা লাভ পাওয়া যায়।
  • রিস্ক কম, কিন্তু রিটার্নও তুলনামূলকভাবে কম।
  • যারা নিরাপদে টাকা খাটাতে চান, তাদের জন্য ভালো।
২. DPS বা RD (Depository Pension Scheme)
  • মাসে অল্প অল্প করে টাকা জমিয়ে, নির্দিষ্ট সময় পরে বড় অঙ্কের টাকা ফেরত পান।
  • অনেক ব্যাংক মাসিক ভিত্তিতে মুনাফা দেয়।
৩. ছোট ব্যবসা বা পার্ট টাইম বিজনেসে ইনভেস্ট
  • অনলাইন শপ, ফুড ডেলিভারি, প্রিন্টিং বিজনেস, টিফিন সার্ভিস।
  • লাভের হার বেশি, তবে রিস্কও থাকে।
  • ভালোভাবে মার্কেট রিসার্চ করে শুরু করা জরুরি।
 ৪. ই-কমার্স বা রিসেলিং
  • পণ্য কিনে অনলাইনে বেশি দামে বিক্রি।
  • ড্রপশিপিং বা প্রি-অর্ডার মডেলও করতে পারেন, এতে প্রাথমিক ইনভেস্ট কম লাগে।
 ৫. শেয়ার বাজার (Stock Market)
  • ভালো কোম্পানির শেয়ার কিনে ডিভিডেন্ড ও দাম বাড়লে বিক্রি করে লাভ।
  • রিস্ক বেশি, তাই আগে শিখে বা এক্সপার্ট কাউন্সিল নিয়ে শুরু করতে হবে।
 ৬. রিয়েল এস্টেট বা প্লট/ফ্ল্যাটে ইনভেস্ট
  • দীর্ঘমেয়াদি ইনভেস্টমেন্ট।
  • ভবিষ্যতে দাম বাড়লে বিক্রি বা ভাড়া দিয়ে ইনকাম করা যায়।
৭. কৃষি বা এগ্রো-ভিত্তিক ইনভেস্টমেন্ট
  • যেমন: গরু মোটাতাজাকরণ, হাঁস-মুরগি খামার।
  • লাভজনক, তবে নিয়মিত মনিটরিং দরকার।
৮. নিজের স্কিল ডেভেলপমেন্টে টাকা খরচ
  • কোনো কোর্স, স্কিল বা সার্টিফিকেট প্রোগ্রামে ইনভেস্ট করুন।
  • এতে ভবিষ্যতে ইনকাম বাড়বে — এটাও এক ধরনের “টাকা খাটানো”।
 ৯. ব্লগ, ইউটিউব বা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
  • কম খরচে শুরু করা যায়।
  • কনটেন্ট তৈরি করে এডসেন্স, স্পন্সরশিপ ও অ্যাফিলিয়েট লিংক থেকে আয়।
 টাকা খাটানোর আগে কিছু কথা:
  • রিস্ক–রিটার্ন বুঝে ইনভেস্ট করুন।
  • এক জায়গায় সব টাকা রাখবেন না (ডাইভার্সিফাই করুন)।
  • আগে নিজে শিখে বা এক্সপার্টের সঙ্গে পরামর্শ নিন।

মাসিক আয় থেকে কিভাবে নিয়মিত সেভ করবেন

মাসিক আয় যতই হোক, সঠিক পরিকল্পনা না থাকলে মাসের শেষেই পকেট খালি হয়ে যায়।এখন আর দেরি না করে আমরা মাসিক আয় থেকে সেভ, সেভিংস টিপস, টাকা জমানোর উপায়, মাসিক সেভিংস প্ল্যান বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি। আর জমজম আইটির মাসিক আয় থেকে সেভ, সেভিংস টিপস, টাকা জমানোর উপায়, মাসিক সেভিংস প্ল্যান নিয়ে বিস্তারিত জানার জন্য নিচের লেখা গুলো পুরোপুরি পড়ে নিন। হাতে সময় থাকলে আরো পড়ুন লিংকে চাপ দিয়ে জ্ঞান অর্জন করুন। আপনার জন্য আরো অতিরিক্ত বোনাস হিসেবে মাসিক আয় থেকে সেভ, সেভিংস টিপস, টাকা জমানোর উপায়, মাসিক সেভিংস প্ল্যান নিয়ে আলোচনা এখানে ক্লিক করে বিস্তারিত জানুন।
তবে কিছু সহজ টেকনিক আর অভ্যাস গড়ে তুললে মাসিক ইনকাম থেকে নিয়মিত সেভ করা সম্ভব।
আজকে শিখব ফ্রিল্যান্সার বা চাকরিজীবী – সবার জন্য মানানসই, ৭টি সহজ সেভিংস টিপস, যা আপনাকে সেভিংসের অভ্যাস গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।
১. “Pay Yourself First” পদ্ধতি – আগে সেভ, পরে খরচ
  • বেতন বা ইনকাম হাতে পেলেই প্রথমেই নির্দিষ্ট একটি অংশ (যেমন: ২০%) সেভিংস একাউন্টে পাঠান।
  • এই টাকাকে মাসের খরচের বাইরে রাখুন। এতে খরচের চাপ না বাড়িয়েও সহজে টাকা জমবে।
 ২. মাসিক বাজেট তৈরি করুন
প্রতিটি মাসের শুরুতেই লিখে ফেলুন কোন খাতে কত খরচ হবে:
  • বাসা ভাড়া
  • খাবার ও বাজার
  • যাতায়াত
  • ইন্টারনেট
  • বিনোদন বা ছোট কেনাকাটা
  • এভাবে খরচগুলো স্পষ্ট থাকবে এবং অপ্রয়োজনীয় খরচ কমানো সহজ হবে।
 ৩. অটোমেটিক সেভিংস অ্যাপ বা সিস্টেম ব্যবহার করুন
  • বর্তমানে অনেক ব্যাংক ও মোবাইল ওয়ালেট (বিকাশ, নগদ) আছে যেখানে অটোমেটিক সেভিংস ফিচার আছে।
  • মাসের এক নির্দিষ্ট তারিখে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা অটোমেটিক সেভিংসে চলে যাবে।
৪. অপ্রয়োজনীয় খরচে লাগাম টানুন
  • ছোট ছোট খরচ যেমন রাইড শেয়ার, ফাস্ট ফুড, সাবস্ক্রিপশন – মাস শেষে অনেক বড় হয়ে যায়।
  • প্রতিদিন একটু সচেতন থাকলে সহজেই মাসে ১–২ হাজার টাকা সেভ করা সম্ভব।
 ৫. আলাদা সেভিংস অ্যাকাউন্ট বা খাতা খুলুন
  • একটি অ্যাকাউন্টে শুধু জরুরি ফান্ড রাখুন, আরেকটিতে স্বপ্ন পূরণের টাকা (মোবাইল, ট্রাভেল ইত্যাদি)।
  • এভাবে টাকা নির্দিষ্ট লক্ষ্য অনুযায়ী জমবে, খরচ হওয়ার আশঙ্কাও কমবে।
৬. ইনকাম বাড়লে সেভিংস বাড়ান
  • ইনকাম বা বোনাস বাড়লে শুধু খরচ না বাড়িয়ে সেভিংসের অংশটাও বাড়ান।
  • যেমন: আগে ২০% রাখতেন, ইনকাম বাড়লে ২৫% রাখুন।
৭. সেভিংসকে অভ্যাসে পরিণত করুন
  • সেভিং শুরু করার সেরা সময় এখনই।
  • টাকা কম হোক বা বেশি – নিয়মিত সেভ করা অভ্যাস তৈরি হলে ভবিষ্যতে আপনি আর্থিকভাবে নিরাপদ থাকবেন।
  • মাসিক আয় থেকে সেভ করার জন্য দরকার সঠিক পরিকল্পনা আর একটু ডিসিপ্লিন।
  • আজ থেকেই চেষ্টা করুন – “আগে সেভ, পরে খরচ” এই সহজ নিয়মটি মানতে।
ছোট ছোট সেভিং-ই একসময় বড় স্বপ্ন পূরণে সাহায্য করবে।

উপসংহার

আজ ফ্রিল্যান্সার ও চাকরিজীবীর জন্য সহজ সেভিংস প্ল্যান নিয়ে আলোচনা করলাম। আগামীতে  ভালো কোনো বিষয় নিয়ে হাজির হবো। আশা করছি উপরের ফ্রিল্যান্সার ও চাকরিজীবীর জন্য সহজ সেভিংস প্ল্যান বিষয়ে আলোচনা আপনার ভালো লেগেছে। যদি এ বিষয়ে কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানান । আমাদের ফলো করে সাথেই থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

জমজম আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url