সুপ্রিয় পাঠক আজকাল অনেকেই অনলাইনে আতা ফল - আতা ফলের উপকারিতা বিস্তারিত জেনে নিন নিয়ে জানতে চান। আপনিও হয়তো অনেক খোঁজাখুঁজির পর নিশ্চয়ই আতা ফল - আতা ফলের উপকারিতা বিস্তারিত জেনে নিন কি তা জানার জন্যই আমাদের এই সাইটটিতে এসেছেন।
হ্যাঁ আজকে আমি সঠিকভাবে আতা ফল - আতা ফলের উপকারিতা বিস্তারিত জেনে নিন তা নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করব। চলুন এই লেখার মূল বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানতে নিচের লেখা গুলো পুরোপুরি পড়ে নিন।
আতা ফল ইংরেজি কি - Custard Apple
আতা ফল ইংরেজিতে বলা হয় Custard Apple আর দেরি না করে আসুন এখন আমরা আতা ফল ইংরেজি কি - Custard Apple নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি। আর জমজম আইটির আতা ফল ইংরেজি কি - Custard Apple নিয়ে বিস্তারিত জানার জন্য নিচের লেখা গুলো পুরোপুরি পড়ে নিন। বসে বসে সময় নষ্ট না করে দেখুন আর আয় করুন। আপনার জন্য আরো অতিরিক্ত বোনাস হিসেবে আতা ফল ইংরেজি কি - Custard Apple নিয়ে আলোচনা এখানে চাপ দিয়ে বিস্তারিত জেনে নিন।
এছাড়াও অঞ্চলভেদে এর আরও কিছু নাম আছে:
Sugar Apple
Sweetsop
Annona (বৈজ্ঞানিক নাম Annona squamosa)
বাংলাদেশ ও ভারতে আমরা যেটাকে "আতা" বলি, সেটিই মূলত Custard Apple বা Sugar Apple।
আরো পড়ুনঃ
আতা ফলের উপকারিতা
আর দেরি না করে আসুন এখন আমরা আতা ফলের উপকারিতা বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি। আর জমজম আইটির আতা ফলের উপকারিতা নিয়ে বিস্তারিত জানার জন্য নিচের লেখা গুলো পুরোপুরি পড়ে নিন। বসে বসে সময় নষ্ট না করে দেখুন আর আয় করুন। আপনার জন্য আরো অতিরিক্ত বোনাস হিসেবে আতা ফলের উপকারিতা নিয়ে আলোচনা এখানে চাপ দিয়ে বিস্তারিত জেনে নিন।আতা ফল (Custard Apple / Sugar Apple) শুধু সুস্বাদুই নয়, এটি ভিটামিন, মিনারেল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। নিচে আতা ফলের প্রধান উপকারিতা দেওয়া হলো:
আতা ফলের উপকারিতা
শক্তি বাড়ায় – এতে প্রাকৃতিক শর্করা (গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ, সুক্রোজ) থাকায় শরীরে তাৎক্ষণিক এনার্জি দেয়।
হজমে সহায়তা করে – ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় কোষ্ঠকাঠিন্য কমায় ও হজম ভালো করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় – এতে থাকা ভিটামিন C শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে।
হৃদপিণ্ডের জন্য উপকারী – পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে, হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
চোখের জন্য ভালো – এতে থাকা ভিটামিন A চোখের দৃষ্টি ভালো রাখে।
ত্বক ও চুলের সৌন্দর্যে সহায়ক – অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন B6 ত্বক ও চুলকে স্বাস্থ্যবান রাখে।
হাড় ও দাঁত মজবুত করে – ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ফসফরাস হাড়ের জন্য উপকারী।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে – প্রাকৃতিক ফাইবার ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে পারে।
ক্যানসার প্রতিরোধে ভূমিকা রাখতে পারে – এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্রি-রেডিক্যাল দূর করে ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়তা করে।
গর্ভবতী মায়েদের জন্য ভালো – ফলিক এসিড ও আয়রন থাকার কারণে শিশুর মস্তিষ্ক ও স্নায়ুর বিকাশে সহায়তা করে।
তবে আতা ফল বেশি খেলে কিছু মানুষের ক্ষেত্রে গ্যাস বা হজমের সমস্যা হতে পারে, তাই পরিমাণমতো খাওয়াই ভালো।
আরো পড়ুনঃ
শরিফা ও আতা ফলের পার্থক্য
অনেকে আতা আর শরিফা ফলকে একই মনে করেন, কিন্তু আসলে এরা দুইটা আলাদা ফল। যদিও দুটোই একই পরিবারভুক্ত (Annona family)। আর দেরি না করে আসুন এখন আমরা শরিফা ও আতা ফলের পার্থক্য বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি। আর জমজম আইটির শরিফা ও আতা ফলের পার্থক্য নিয়ে বিস্তারিত জানার জন্য নিচের লেখা গুলো পুরোপুরি পড়ে নিন। বসে বসে সময় নষ্ট না করে দেখুন আর আয় করুন। আপনার জন্য আরো অতিরিক্ত বোনাস হিসেবে শরিফা ও আতা ফলের পার্থক্য নিয়ে আলোচনা এখানে চাপ দিয়ে বিস্তারিত জেনে নিন।
আতা (Custard Apple / Sugar Apple – Annona squamosa)
বাইরের খোসা আঁশের মতো আলাদা আলাদা খণ্ডে বিভক্ত।
প্রতিটি খণ্ড সহজেই আলাদা করা যায়।
ভেতরের শাঁস তুলনামূলক শুকনো ধরনের এবং টুকরো টুকরো।
স্বাদ মিষ্টি, কিন্তু শরিফার মতো অতটা ক্রিমি নয়।
বীজ সংখ্যা বেশি।
শরিফা (Soursop – Annona reticulata বা কখনো Annona muricata)
বাইরের খোসা আতার মতো খণ্ডিত নয়, বরং মসৃণ বা সামান্য জালের মতো আঁকাবাঁকা।
ভেতরের শাঁস আঠালো ও মসৃণ ক্রিমের মতো।
খেতে খুবই মিষ্টি ও নরম।
বীজ সংখ্যা আতার তুলনায় কম।
অনেক সময় শরিফাকে “Bullock’s Heart” নামেও ডাকা হয়।
সংক্ষেপে পার্থক্য
বিষয়
আতা (Custard Apple)
শরিফা (Bullock’s Heart)
খোসা
খণ্ড খণ্ড আঁশযুক্ত
মসৃণ বা জালের মতো
শাঁস
শুকনো ও আলাদা আলাদা
আঠালো ও ক্রিমি
বীজ
বেশি
কম
স্বাদ
মিষ্টি কিন্তু টুকরো টুকরো
আরও মিষ্টি ও নরম
তাই, দুই ফল দেখতে কাছাকাছি হলেও স্বাদ, গঠন আর টেক্সচারে আলাদা।
ছবিসহ তুলনামূলক ভিজ্যুয়াল চার্ট
গর্ভাবস্থায় আতা ফল খাওয়ার উপকারিতা
আর দেরি না করে আসুন এখন আমরা গর্ভাবস্থায় আতা ফল খাওয়ার উপকারিতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি। আর জমজম আইটির গর্ভাবস্থায় আতা ফল খাওয়ার উপকারিতা নিয়ে বিস্তারিত জানার জন্য নিচের লেখা গুলো পুরোপুরি পড়ে নিন। বসে বসে সময় নষ্ট না করে দেখুন আর আয় করুন। আপনার জন্য আরো অতিরিক্ত বোনাস হিসেবে গর্ভাবস্থায় আতা ফল খাওয়ার উপকারিতা নিয়ে আলোচনা এখানে চাপ দিয়ে বিস্তারিত জেনে নিন।গর্ভাবস্থায় আতা ফল (Custard Apple / Sugar Apple) খাওয়া মা ও শিশুর জন্য বেশ উপকারী। 🍏
গর্ভাবস্থায় আতা ফল খাওয়ার উপকারিতা
ফলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ – শিশুর মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশে সহায়তা করে এবং নিউরাল টিউব ডিফেক্ট প্রতিরোধ করে।
আয়রন সরবরাহ করে – রক্তশূন্যতা প্রতিরোধ করে, মায়ের শরীরে রক্তের পরিমাণ বাড়ায় এবং শিশুর সঠিক বৃদ্ধি নিশ্চিত করে।
ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসে ভরপুর – শিশুর হাড় ও দাঁত গঠনে সহায়তা করে এবং মায়ের হাড়কেও শক্ত রাখে।
শক্তি যোগায় – এতে থাকা প্রাকৃতিক শর্করা (গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ) মা ও শিশুর জন্য তাৎক্ষণিক এনার্জি সরবরাহ করে।
ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে – ভিটামিন C রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, সংক্রমণ ও সর্দি-কাশির ঝুঁকি কমায়।
হজমে সহায়তা করে – ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়, যা গর্ভাবস্থায় সাধারণ সমস্যা।
স্ট্রেস ও বমিভাব কমাতে পারে – ভিটামিন B6 হরমোন ব্যালান্স করতে সহায়তা করে, ফলে মর্নিং সিকনেস হ্রাসে উপকারী হতে পারে।
ত্বক ও চুলের জন্য উপকারী – অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন A-B কমপ্লেক্স মায়ের ত্বক উজ্জ্বল রাখে এবং চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে।
তবে গর্ভাবস্থায় যেকোনো ফলই পরিমাণমতো খাওয়া উচিত। অতিরিক্ত খেলে আতা ফলে থাকা প্রাকৃতিক চিনি ডায়াবেটিস বা ওজন বৃদ্ধির ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
বেল ইংরেজি কি
বেল ফল ইংরেজিতে বলা হয় 👉 Wood Apple 🍈আর দেরি না করে আসুন এখন আমরা বেল ইংরেজি কি বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি। আর জমজম আইটির বেল ইংরেজি কি নিয়ে বিস্তারিত জানার জন্য নিচের লেখা গুলো পুরোপুরি পড়ে নিন। বসে বসে সময় নষ্ট না করে দেখুন আর আয় করুন। আপনার জন্য আরো অতিরিক্ত বোনাস হিসেবে বেল ইংরেজি কি নিয়ে আলোচনা এখানে চাপ দিয়ে বিস্তারিত জেনে নিন।
এছাড়া অঞ্চলভেদে এর আরও কিছু নাম আছে:
Bael Fruit
Bengal Quince
Stone Apple
বৈজ্ঞানিক নাম: Aegle marmelos
বাংলাদেশ ও ভারতে আমরা যেটাকে বেল বলি, সেটিই মূলত Wood Apple বা Bael Fruit।
আরো পড়ুনঃ
ডালিম এর ইংরেজি কি
আর দেরি না করে আসুন এখন আমরা ডালিম এর ইংরেজি কি বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি। আর জমজম আইটির ডালিম এর ইংরেজি কি নিয়ে বিস্তারিত জানার জন্য নিচের লেখা গুলো পুরোপুরি পড়ে নিন। বসে বসে সময় নষ্ট না করে দেখুন আর আয় করুন। আপনার জন্য আরো অতিরিক্ত বোনাস হিসেবে ডালিম এর ইংরেজি কি নিয়ে আলোচনা এখানে চাপ দিয়ে বিস্তারিত জেনে নিন।ডালিম ইংরেজিতে বলা হয় 👉 Pomegranate 🍎
বৈজ্ঞানিক নাম: Punica granatum
ইংরেজি উচ্চারণ: ˈpɒm.ɪ.ɡræn.ɪt
ডালিমকে অনেক সময় “Fruit of Paradise” নামেও ডাকা হয় এর ঔষধি গুণাগুণের কারণে।
ফলের ইংরেজি নাম (Fruits' Names)
এখানে কিছু প্রচলিত ফলের ইংরেজি নাম (Fruits' Names in English) দেওয়া হলো ✅🍎🍌🍇
সাধারণ ফলের নাম
আম = Mango
কলা = Banana
লিচু = Lychee
পেয়ারা = Guava
আনারস = Pineapple
আপেল = Apple
ডালিম = Pomegranate
আঙুর = Grapes
কমলা = Orange
জাম = Black Plum / Java Plum
বিশেষ ফল
আতা = Custard Apple / Sugar Apple
শরিফা = Bullock’s Heart
বেল = Wood Apple / Bael Fruit
কাঁঠাল = Jackfruit
নারকেল = Coconut
তেঁতুল = Tamarind
কুল/বরই = Jujube / Indian Plum
তাল = Palmyra Palm
খেজুর = Date
বরই = Boroi / Jujube
বিদেশি ফল
স্ট্রবেরি = Strawberry
ব্লুবেরি = Blueberry
কিউই = Kiwi
অ্যাভোকাডো = Avocado
পেয়ারা (থাই) = Thai Guava
ড্রাগন ফল = Dragon Fruit
মালটা = Sweet Orange / Mandarin
1. ডাব – Green Coconut (গ্রীন কোকোনাট)
2. কাঁঠাল – Jackfruit (জ্যাকফ্রুট)
3. জাম – Blackberry (ব্ল্যাকবেরি)
4. লিচু – Lychee (লাইচি)
5. তরমুজ – Watermelon (ওয়াটারমেলন)
6. পেঁপে – Papaya (পাপায়া)
7. আনারস – Pineapple (পাইনঅ্যাপেল)
8. কলা – Banana (ব্যানানা)
9. মালটা – Orange (অরেঞ্জ)
10. আমড়া – Hog Plum (হগ প্লাম)
11. নারিকেল – Coconut (কোকোনাট)
12. পেয়ারা – Guava (গুয়াভা)
13. বেল – Wood Apple (উড অ্যাপেল)
14. সফেদা – Sapodilla (স্যাপোডিলা)
15. কুল – Jujube (জুজুব)
16. তেতুল – Tamarind (ট্যামারিন্ড)
17. ডালিম – Pomegranate (পোমেগ্রানেট)
18. আঙুর – Grapes (গ্রেপস)
19. লেবু – Lemon (লেমন)
20. বাঙ্গি – Musk Melon (মাস্ক মেলন)
21. কাজু – Cashew (ক্যাশিউ)
22. চেরি – Cherry (চেরি)
23. স্ট্রবেরি – Strawberry (স্ট্রবেরি)
24. ব্লুবেরি – Blueberry (ব্লুবেরি)
25. আপেল – Apple (অ্যাপেল)
26. খেজুর – Date (ডেট)
27. কিশমিশ – Raisin (রেইজিন)
28. আম – Mango (ম্যাংগো) ডাব
29. অড়বড়ই – Indian Plum (ইন্ডিয়ান প্লাম)
30. লটকন – Burmese Grape (বার্মিজ গ্রেপ)
31. কামরাঙা – Starfruit (স্টারফ্রুট)
32. আতা – Custard Apple (কাস্টার্ড অ্যাপেল)
33. চালতা – Elephant Apple (এলিফ্যান্ট অ্যাপেল)
34. তাল – Palm Fruit (পাম ফ্রুট)
35. শরিফা – Sugar Apple (সুগার অ্যাপেল)
36. ফ্লোরিডা কমলা – Clementine (ক্লেমেন্টাইন)
37. রামবুটান – Rambutan (রামবুটান)
38. ডুরিয়ান – Durian (ডুরিয়ান)
39. ড্রাগন ফল – Dragon Fruit (ড্রাগন ফ্রুট)
40. তিসা ফল – Persimmon (পার্সিমন)
আরো পড়ুনঃ
শরিফা ফলের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ কী কী?
শরিফা ফল (ইংরেজি নাম: Custard Apple, বৈজ্ঞানিক নাম: Annona squamosa) একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর ফল। এতে প্রচুর ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। আর দেরি না করে আসুন এখন আমরা শরিফা ফলের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ কী কী? বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি। আর জমজম আইটির শরিফা ফলের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ কী কী? নিয়ে বিস্তারিত জানার জন্য নিচের লেখা গুলো পুরোপুরি পড়ে নিন। বসে বসে সময় নষ্ট না করে দেখুন আর আয় করুন। আপনার জন্য আরো অতিরিক্ত বোনাস হিসেবে শরিফা ফলের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ কী কী? নিয়ে আলোচনা এখানে চাপ দিয়ে বিস্তারিত জেনে নিন।
শরিফার পুষ্টিগুণ
১০০ গ্রাম শরিফায় আনুমানিক থাকে—
ক্যালরি: প্রায় ৯৫–১০০
কার্বোহাইড্রেট: ২৩–২৫ গ্রাম
ফাইবার: ৩–৪ গ্রাম
প্রোটিন: ১–২ গ্রাম
ফ্যাট: ০.৫ গ্রাম
ভিটামিন C, ভিটামিন A, ভিটামিন B6
ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন
শরিফার উপকারিতা
শক্তি বৃদ্ধি করে – এতে প্রচুর প্রাকৃতিক চিনি (গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ) থাকায় শরীরকে দ্রুত শক্তি যোগায়।
হজমে সহায়ক – উচ্চ ফাইবারের কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে ও হজমশক্তি বাড়ায়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় – ভিটামিন C অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় – পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
ত্বক ও চুলের যত্নে উপকারী – ভিটামিন A ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বক উজ্জ্বল রাখে ও চুলের স্বাস্থ্য ভালো করে।
হাড় ও দাঁত মজবুত করে – ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম হাড়কে শক্ত রাখে।
চোখের জন্য ভালো – এতে থাকা ভিটামিন A দৃষ্টিশক্তি রক্ষায় সহায়ক।
তবে ডায়াবেটিস রোগীদের শরিফা খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা উচিত, কারণ এতে প্রাকৃতিক চিনি বেশি থাকে।
আতা ফলের চাষ পদ্ধতি বিস্তারিত জেনে নিন
আতা ফল (Custard Apple বা Sugar Apple) একটি জনপ্রিয় গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ফল। বাংলাদেশে এটি প্রধানত শীতকালীন মৌসুমে পাওয়া যায়। আতা ফল মিষ্টি, পুষ্টিকর এবং বাজারে ভালো দাম পাওয়া যায়। নিচে আতা ফলের চাষ পদ্ধতি ধাপে ধাপে দেওয়া হলো: আর দেরি না করে আসুন এখন আমরা আতা ফলের চাষ পদ্ধতি বিস্তারিত জেনে নিন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি। আর জমজম আইটির আতা ফলের চাষ পদ্ধতি বিস্তারিত জেনে নিন নিয়ে বিস্তারিত জানার জন্য নিচের লেখা গুলো পুরোপুরি পড়ে নিন। বসে বসে সময় নষ্ট না করে দেখুন আর আয় করুন। আপনার জন্য আরো অতিরিক্ত বোনাস হিসেবে আতা ফলের চাষ পদ্ধতি বিস্তারিত জেনে নিন নিয়ে আলোচনা এখানে চাপ দিয়ে বিস্তারিত জেনে নিন।
ভূমি ও আবহাওয়া
বেলে দোআঁশ বা দোআঁশ মাটি আতা চাষের জন্য উপযোগী।
পানি নিষ্কাশন ভালো থাকতে হবে।
আতা গরম ও শুষ্ক জলবায়ুতে ভালো জন্মে।
জমি প্রস্তুতি
জমি চাষ দিয়ে আগাছা পরিষ্কার করতে হবে।
প্রতি গর্তে (২.৫ ফুট × ২.৫ ফুট × ২.৫ ফুট) মাটি খুঁড়ে রাখতে হবে।
প্রতিটি গর্তে ১০-১৫ কেজি পচা গোবর, কিছু ছাই এবং টিএসপি/মিউরেট অব পটাশ মিশিয়ে রাখতে হবে।
রোপণ
আতা সাধারণত বীজ থেকে চারা তৈরি করে রোপণ করা হয়।
বর্ষা মৌসুমে (জুন-আগস্ট) চারা রোপণ সবচেয়ে ভালো।
গর্তে চারা রোপণ করার পর মাটি চেপে দিতে হবে এবং পর্যাপ্ত পানি দিতে হবে।
পরিচর্যা
নিয়মিত আগাছা পরিষ্কার করতে হবে।
ফুল আসার সময় হালকা সেচ দিতে হবে।
শুষ্ক মৌসুমে ১৫-২০ দিন পরপর পানি দেওয়া প্রয়োজন।
প্রতি বছর গাছের গোড়ায় গোবর সার এবং সামান্য ইউরিয়া, টিএসপি, এমওপি সার প্রয়োগ করতে হবে।
ছাঁটাই
গাছের ভেতরের শুকনা ও দুর্বল ডালপালা কেটে দিতে হবে।
এতে আলো-বাতাস প্রবাহিত হয়ে ফলন ভালো হয়।
রোগবালাই দমন
আতা গাছে সাধারণত পোকামাকড়ের আক্রমণ কম হয়।
তবে ফল ছিদ্রকারী পোকা আক্রমণ করলে কীটনাশক ব্যবহার করা যেতে পারে।
নিয়মিত গাছ পর্যবেক্ষণ জরুরি।
ফল সংগ্রহ
ফুল ফোটার ৩-৪ মাস পর ফল সংগ্রহ করা যায়।
কাঁচা ফল সবুজ, আর পাকা ফল হালকা হলদেটে হয়ে ফেটে যেতে শুরু করে।
সাধারণত সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বর মাসে আতা ফল বাজারজাত হয়।
সঠিকভাবে পরিচর্যা করলে একবার আতা গাছ রোপণ করে ১৫-২০ বছর পর্যন্ত ফল পাওয়া যায়।
আরো পড়ুনঃ
আতা ফলের গুনাগুন নিয়ে ৫০টি প্রশ্ন উত্তর
আর দেরি না করে আসুন এখন আমরা .আতা ফলের গুনাগুন নিয়ে ৫০টি প্রশ্ন উত্তর নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি। আর জমজম আইটির আতা ফলের গুনাগুন নিয়ে ৫০টি প্রশ্ন উত্তর নিয়ে বিস্তারিত জানার জন্য নিচের লেখা গুলো পুরোপুরি পড়ে নিন। বসে বসে সময় নষ্ট না করে দেখুন আর আয় করুন। আপনার জন্য আরো অতিরিক্ত বোনাস হিসেবে আতা ফলের গুনাগুন নিয়ে ৫০টি প্রশ্ন উত্তর নিয়ে আলোচনা এখানে চাপ দিয়ে বিস্তারিত জেনে নিন।
সাধারণ তথ্য
১. আতা ফলের ইংরেজি নাম কী?
Sugar Apple বা Sweet Sop।
২. আতা ফলের বৈজ্ঞানিক নাম কী?
Annona squamosa।
৩. আতা ফল কোথায় বেশি জন্মে?
বাংলাদেশ, ভারত, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড ও আফ্রিকার কিছু দেশে।
৪. আতা ফল কোন মৌসুমে পাওয়া যায়?
মূলত সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত।
৫. আতা ফল দেখতে কেমন?
গোল/ডিম্বাকৃতি, খাঁজকাটা সবুজ খোসা ও সাদা শাঁসযুক্ত।
পুষ্টিগুণ
৬. আতা ফলে কোন ভিটামিন সবচেয়ে বেশি থাকে?
ভিটামিন C।
৭. আতা ফলে কি ভিটামিন A আছে?
হ্যাঁ, চোখের জন্য উপকারী।
৮. আতা ফলে ক্যালসিয়াম আছে কি?
হ্যাঁ, হাড় ও দাঁতের জন্য উপকারী।
৯. আতা ফলে লৌহ (Iron) আছে কি?
আছে, যা রক্তশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে।
১০. আতা ফলের ক্যালোরি কেমন?
মাঝারি ক্যালোরি; প্রতি ১০০ গ্রামে প্রায় ৯০–১০০ ক্যালোরি।
স্বাস্থ্য উপকারিতা
১১. আতা ফল কি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়?
হ্যাঁ, ভিটামিন C থাকার কারণে।
১২. আতা কি হজমের জন্য উপকারী?
হ্যাঁ, ফাইবার থাকার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
১৩. আতা খেলে কি ওজন বাড়ে?
হ্যাঁ, এটি উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত ফল, ওজন বৃদ্ধিতে সহায়ক।
১৪. আতা কি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভালো?
সীমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত, কারণ এতে চিনি বেশি থাকে।
১৫. আতা কি হৃদরোগে উপকারী?
হ্যাঁ, এতে থাকা পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
১৬. আতা কি চোখের জন্য ভালো?
হ্যাঁ, ভিটামিন A থাকার কারণে।
১৭. আতা কি গর্ভবতী নারীদের জন্য উপকারী?
হ্যাঁ, ফোলিক অ্যাসিড থাকার কারণে শিশুর মস্তিষ্ক গঠনে সহায়তা করে।
১৮. আতা কি ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে?
হ্যাঁ, এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে যা কোষকে সুরক্ষা দেয়।
১৯. আতা খেলে কি ত্বক ভালো থাকে?
হ্যাঁ, ভিটামিন C কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে।
২০. আতা কি চুলের জন্য উপকারী?
হ্যাঁ, আতায় থাকা আয়রন ও ভিটামিন চুল মজবুত করে।
ব্যবহার
২১. আতা কি কাঁচা খাওয়া যায়?
না, পাকা হলে খাওয়া উচিত।
২২. আতা কি জুস বানিয়ে খাওয়া যায়?
হ্যাঁ, সুস্বাদু শরবত তৈরি করা যায়।
২৩. আতা কি আইসক্রিম বা মিষ্টান্নে ব্যবহার করা হয়?
হ্যাঁ, কেক, আইসক্রিম ও ডেজার্টে ব্যবহার হয়।
২৪. আতার বীজ কি খাওয়া যায়?
না, বীজ বিষাক্ত।
২৫. আতার পাতা কি কাজে লাগে?
আয়ুর্বেদ ও ভেষজ চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।
চাষাবাদ
২৬. আতা কোন ধরনের মাটিতে ভালো জন্মে?
বেলে দোআঁশ বা দোআঁশ মাটিতে।
২৭. আতা গাছের আয়ু কত বছর?
প্রায় ১৫–২০ বছর পর্যন্ত ফল দেয়।
২৮. আতা ফলের ফুল কবে ফোটে?
গ্রীষ্মকালে (মে-জুন)।
২৯. আতা গাছে ফল আসতে কত বছর লাগে?
সাধারণত ৩–৪ বছরে ফল আসে।
৩০. আতা গাছ কোন রোগে বেশি আক্রান্ত হয়?
ফল ছিদ্রকারী পোকা ও শিকড় পচা রোগ।
লোকজ ব্যবহার ও ভেষজ গুণ
৩১. আতা কি ডায়রিয়া সারাতে সাহায্য করে?
হ্যাঁ, সীমিত পরিমাণে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
৩২. আতার পাতা কি চুলকানি সারাতে কাজে লাগে?
হ্যাঁ, ভেষজ চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
৩৩. আতা কি শক্তি বাড়ায়?
হ্যাঁ, এতে থাকা প্রাকৃতিক চিনি শরীরে শক্তি যোগায়।
৩৪. আতা কি মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে?
হ্যাঁ, ম্যাগনেসিয়াম স্নায়ুকে শান্ত করে।
৩৫. আতা কি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে?
হ্যাঁ, পটাশিয়াম থাকার কারণে।
সতর্কতা
৩৬. আতা বেশি খেলে কী হয়?
হজমে সমস্যা ও ওজন বেড়ে যেতে পারে।
৩৭. আতার বীজ কি বিষাক্ত?
হ্যাঁ, বীজ খাওয়া বিপজ্জনক।
৩৮. আতা কি ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষতি করতে পারে?
হ্যাঁ, অতিরিক্ত খেলে রক্তে চিনি বাড়ে।
৩৯. শিশুদের জন্য আতা কি নিরাপদ?
হ্যাঁ, তবে বীজ আলাদা করে দিতে হবে।
৪০. আতা খাওয়ার সেরা সময় কখন?
দুপুরে বা বিকেলে, খাবারের পরে।
নানা প্রশ্ন
৪১. আতা ফল কি শরিফার মতোই?
না, আলাদা প্রজাতি হলেও দেখতে কাছাকাছি।
৪২. আতা ফল কি ঠান্ডা প্রকৃতির ফল?
হ্যাঁ, শরীরকে শীতল রাখে।
৪৩. আতা কি কৃমি প্রতিরোধে কাজে লাগে?
হ্যাঁ, পাতার রস ব্যবহার করা হয়।
৪৪. আতা কি রক্তশূন্যতা দূর করে?
হ্যাঁ, আয়রন থাকার কারণে।
৪৫. আতা কি স্মৃতিশক্তি বাড়ায়?
হ্যাঁ, ভিটামিন B6 স্নায়ুতন্ত্রের জন্য ভালো।
৪৬. আতা কি শরীর ঠান্ডা করে দেয়?
হ্যাঁ, অতিরিক্ত খেলে ঠান্ডা লাগতে পারে।
৪৭. আতা কি আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়?
হ্যাঁ, আতা ও এর পাতা ভেষজ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
৪৮. আতা কি কিডনির জন্য উপকারী?
হ্যাঁ, পরিমিত খেলে রক্তচাপ ও কিডনি সুস্থ রাখে।
৪৯. আতা কি জ্বর সারাতে সাহায্য করে?
পাতার নির্যাস কখনও লোকজ চিকিৎসায় ব্যবহার হয়।
৫০. আতা ফল কেন জনপ্রিয়?
মিষ্টি স্বাদ, পুষ্টিগুণ ও সহজলভ্যতার কারণে।
আরো পড়ুনঃ
উপসংহার
প্রিয় পাঠক এই আর্টিকেলে আমরা আতা ফল - আতা ফলের উপকারিতা বিস্তারিত জেনে নিন সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানলাম। আপনার আতা ফল - আতা ফলের উপকারিতা বিস্তারিত জেনে নিন এখন আর কোনো ঐচ্ছিক বিষয় নয়, বরং এটি একটি আবশ্যকতা। এটি শুধুমাত্র আপনার পাঠকদের জন্য একটি জ্ঞান এবং আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে না, বরং আতা ফল - আতা ফলের উপকারিতা বিস্তারিত জেনে নিন অপরিহার্য। তাই, উল্লেখিত টিপসগুলো অনুসরণ করে আপনার আতা ফল - আতা ফলের উপকারিতা বিস্তারিত জেনে নিন ও কার্যকরী রাখুন, যা আজকের ডিজিটাল বিশ্বে আপনার সফলতার পথ প্রশস্ত করবে, ধন্যবাদ।
জমজম আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url