শুধু ধর্মীয় দিক নয়, সামাজিক, শিল্প-সংস্কৃতি, আনন্দ-উৎসব সব মিলিয়ে দুর্গাপূজা বাঙালির হৃদয়ের উৎসব

ভূমিকা

সুপ্রিয় পাঠক আজকাল অনেকেই অনলাইনে শুধু ধর্মীয় দিক নয়, সামাজিক, শিল্প-সংস্কৃতি, আনন্দ-উৎসব সব মিলিয়ে দুর্গাপূজা বাঙালির হৃদয়ের উৎসব নিয়ে জানতে চান। আপনিও হয়তো অনেক খোঁজাখুঁজির পর নিশ্চয়ই শুধু ধর্মীয় দিক নয়, সামাজিক, শিল্প-সংস্কৃতি, আনন্দ-উৎসব সব মিলিয়ে দুর্গাপূজা বাঙালির হৃদয়ের উৎসব কি তা জানার জন্যই আমাদের এই সাইটটিতে এসেছেন।
শুধু ধর্মীয় দিক নয়, সামাজিক, শিল্প-সংস্কৃতি, আনন্দ-উৎসব সব মিলিয়ে দুর্গাপূজা বাঙালির হৃদয়ের উৎসব
হ্যাঁ আজকে আমি সঠিকভাবে শুধু ধর্মীয় দিক নয়, সামাজিক, শিল্প-সংস্কৃতি, আনন্দ-উৎসব সব মিলিয়ে দুর্গাপূজা বাঙালির হৃদয়ের উৎসব তা নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করব। চলুন এই লেখার মূল বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানতে নিচের লেখা গুলো পুরোপুরি পড়ে নিন।

দুর্গাপূজা: বাঙালির হৃদয়ের উৎসব

দুর্গাপূজা শুধু একটি ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি বাঙালি জীবনের সাথে মিশে থাকা এক মহোৎসব। মূলত দেবী দুর্গার অশুভের বিরুদ্ধে শুভ শক্তির বিজয় স্মরণে এই পূজা পালিত হলেও এর তাৎপর্য সীমাবদ্ধ নয় কেবল ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতায়। এটি একদিকে যেমন ভক্তির প্রকাশ, অন্যদিকে তেমনি সামাজিক মিলনমেলারও এক বিশাল ক্ষেত্র।
  • শরৎকালের আকাশে সাদা মেঘ আর কাশফুলের দোলা বাঙালির মনে দুর্গাপূজার আগমনী বার্তা আনে। ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত পাঁচ দিন প্রতিটি পাড়া, মহল্লা, শহর ও গ্রাম আলোকসজ্জা, প্রতিমা, সজ্জা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মুখরিত হয়ে ওঠে। 
  • এই সময়ে শুধু হিন্দু সম্প্রদায় নয়, সব ধর্ম-বর্ণের মানুষ একসাথে আনন্দে শরিক হয়। পুজোর মণ্ডপে জমে ওঠে নাচ, গান, নাটক, কবিতা আবৃত্তি থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।
  • শিল্পীরা মাসের পর মাস ধরে প্রতিমা গড়ে তোলেন, প্যান্ডেলে চলে নান্দনিক শৈল্পিক সজ্জা। একেকটি মণ্ডপ যেন একেকটি শিল্পকর্ম। এতে প্রকাশ পায় বাঙালির সৃজনশীলতা, কল্পনা ও নান্দনিক রুচি।
  • দুর্গাপূজার সবচেয়ে বড় দিক হলো সামাজিক বন্ধন। পরিবার, বন্ধু-বান্ধব, প্রতিবেশী সবাই একত্রে আনন্দ ভাগ করে নেয়। গ্রাম হোক বা শহর, সকলের মনেই পূজার সময়ে বিশেষ আনন্দ কাজ করে। 
  • ভোগ খাওয়া, নতুন পোশাক পরা, মণ্ডপ ভ্রমণ বা আড্ডা—সব মিলিয়ে পূজো বাঙালির কাছে হয়ে ওঠে জীবনের সবচেয়ে উজ্জ্বল মুহূর্ত।
তাই বলা হয়, দুর্গাপূজা বাঙালির হৃদয়ের উৎসব। এখানে ধর্মীয় ভক্তি যেমন আছে, তেমনি আছে শিল্প-সংস্কৃতি, সামাজিকতা ও মিলনমেলার আনন্দ। এই উৎসব বাঙালি সংস্কৃতির শ্রেষ্ঠ প্রতীক।

Durga Puja date 2025

আর দেরি না করে আসুন এখন  আমরা Durga Puja date 2025 নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি। আর জমজম আইটির Durga Puja date 2025 নিয়ে বিস্তারিত জানার জন্য নিচের লেখা গুলো পুরোপুরি পড়ে নিন। বসে বসে সময় নষ্ট না করে দেখুন আর আয় করুন। আপনার জন্য আরো অতিরিক্ত বোনাস হিসেবে Durga Puja date 2025 নিয়ে আলোচনা এখানে চাপ দিয়ে বিস্তারিত জেনে নিন।
Durga Puja 2025 Schedule
  • Mahalaya (invocation day): Sunday, September 21, 2025 

  • Maha Panchami: Saturday, September 27, 2025

  • Maha Shashthi: Sunday, September 28, 2025 

  • Maha Saptami: Monday, September 29, 2025 

  • Maha Ashtami: Tuesday, September 30, 2025 

  • Maha Navami: Wednesday, October 1, 2025 

  • Vijaya Dashami / Durga Visarjan: Thursday, October 2, 2025 

Summary Table

Puja Day

Date

Mahalaya

September 21, 2025

Maha Panchami

September 27, 2025

Maha Shashthi

September 28, 2025

Maha Saptami

September 29, 2025

Maha Ashtami

September 30, 2025

Maha Navami

October 1, 2025

Vijaya Dashami (Visarjan)

October 2, 2025

আরো পড়ুনঃ

2025 Durga Puja Date and time

আর দেরি না করে আসুন এখন  আমরা 2025 Durga Puja Date and time নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি। আর জমজম আইটির 2025 Durga Puja Date and time নিয়ে বিস্তারিত জানার জন্য নিচের লেখা গুলো পুরোপুরি পড়ে নিন। বসে বসে সময় নষ্ট না করে দেখুন আর আয় করুন। আপনার জন্য আরো অতিরিক্ত বোনাস হিসেবে 2025 Durga Puja Date and time নিয়ে আলোচনা এখানে চাপ দিয়ে বিস্তারিত জেনে নিন।
Durga Puja 2025 Schedule
  • Mahalaya (invocation day): Sunday, September 21, 2025 

  • Maha Panchami: Saturday, September 27, 2025

  • Maha Shashthi: Sunday, September 28, 2025 

  • Maha Saptami: Monday, September 29, 2025 

  • Maha Ashtami: Tuesday, September 30, 2025 

  • Maha Navami: Wednesday, October 1, 2025 

  • Vijaya Dashami / Durga Visarjan: Thursday, October 2, 2025 

Summary Table

Puja Day

Date

Mahalaya

September 21, 2025

Maha Panchami

September 27, 2025

Maha Shashthi

September 28, 2025

Maha Saptami

September 29, 2025

Maha Ashtami

September 30, 2025

Maha Navami

October 1, 2025

Vijaya Dashami (Visarjan)

October 2, 2025

আরো পড়ুনঃ

দূর্গা পূজা ২০২৫ কত তারিখ

আর দেরি না করে আসুন এখন  আমরা দূর্গা পূজা ২০২৫ কত তারিখ বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি। আর জমজম আইটির দূর্গা পূজা ২০২৫ কত তারিখ নিয়ে বিস্তারিত জানার জন্য নিচের লেখা গুলো পুরোপুরি পড়ে নিন। বসে বসে সময় নষ্ট না করে দেখুন আর আয় করুন। আপনার জন্য আরো অতিরিক্ত বোনাস হিসেবে দূর্গা পূজা ২০২৫ কত তারিখ নিয়ে আলোচনা এখানে চাপ দিয়ে বিস্তারিত জেনে নিন।
২০২৫ সালের দুর্গাপূজা মূলত ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে, যার মধ্যে মহালয়া ২১ সেপ্টেম্বর, ষষ্ঠী ২৮ সেপ্টেম্বর এবং বিজয়া দশমী ২ অক্টোবর তারিখে পড়বে। দেবী দুর্গার আগমন ও গমনের দিনটিও যথাক্রমে ২১ সেপ্টেম্বর এবং ২ অক্টোবর তারিখে পড়ছে।
শারদীয়া দুর্গাপূজা ২০২৫-এর সময়সূচি:
  • মহালয়া: সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৫
  • ষষ্ঠী (মহাষষ্ঠী): সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৫
  • সপ্তমী (মহাসপ্তমী): সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৫
  • অষ্টমী (মহাষ্টমী ও সন্ধিপূজা): সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৫
  • নবমী: অক্টোবর ১, ২০২৫
  • বিজয়া দশমী ও প্রতিমা বিসর্জন: অক্টোবর ২, ২০২৫

দূর্গা পূজার ইতিহাস pdf

দূর্গা পূজার ইতিহাস আর দেরি না করে আসুন এখন  আমরা দূর্গা পূজার ইতিহাস pdf বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি। আর জমজম আইটির দূর্গা পূজার ইতিহাস pdf নিয়ে বিস্তারিত জানার জন্য নিচের লেখা গুলো পুরোপুরি পড়ে নিন। বসে বসে সময় নষ্ট না করে দেখুন আর আয় করুন। আপনার জন্য আরো অতিরিক্ত বোনাস হিসেবে দূর্গা পূজার ইতিহাস pdf নিয়ে আলোচনা এখানে চাপ দিয়ে বিস্তারিত জেনে নিন।
দেবী দূর্গার উৎপত্তি
  • হিন্দু পুরাণে দেবী দূর্গাকে মহাশক্তি বা আদ্যাশক্তি রূপে মানা হয়। দেবী মহিষাসুর নামক অসুরকে বধ করার জন্য ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বরসহ সমস্ত দেবতারা তাদের শক্তির অংশ মিলিয়ে দেবীকে সৃষ্টি করেন। 
  • দেবী সিংহবাহিনী দূর্গা দশভুজা রূপে মহিষাসুরকে বধ করেন। সেই বিজয়ের স্মরণেই প্রতি বছর আশ্বিন মাসে দূর্গাপূজা পালিত হয়।
প্রাচীনকালের পূজা
  • ঋগ্বেদ, মহাভারত ও পুরাণে দেবী দূর্গার উল্লেখ আছে। মহাভারতে কুরুক্ষেত্র যুদ্ধে অর্জুন দেবীকে আহ্বান করেছিলেন। প্রাচীন কালে দূর্গার পূজা মূলত রাজা-মহারাজা ও জমিদারদের প্রাসাদে সীমাবদ্ধ ছিল।
বাংলায় দূর্গা পূজা
  • বাংলায় প্রথম সর্বজনীন দূর্গা পূজা শুরু হয় ১৬শ শতকে। শোনা যায়, নদীয়ার রাজা কংশনারায়ণ ১৫৮০ খ্রিস্টাব্দে জমকালো দূর্গোৎসবের আয়োজন করেন। 
  • এর আগে পূজা ঘরোয়া ছিল, সাধারণ মানুষ তাতে অংশ নিতে পারত না। ধীরে ধীরে জমিদার বাড়ি থেকে পুজো গ্রামে-গঞ্জে ছড়িয়ে পড়ে।
ব্রিটিশ আমল ও নবাব যুগ
  • ১৮শ শতকের কলকাতায় জমিদার পরিবারগুলো (যেমন শোভাবাজার রাজবাড়ি) দূর্গাপূজাকে এক বিশাল সামাজিক উৎসবে পরিণত করে। 
  • পূজার সময় নাটক, গান, কবিতা, অতিথি আপ্যায়ন ও মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হতো। ব্রিটিশ আমলে এটি ধীরে ধীরে সর্বজনীন উৎসবে রূপ নেয়।
আধুনিক দূর্গা পূজা
  • আজকের দিনে দূর্গাপূজা কেবল ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়; এটি এক বিশাল সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও শিল্প-সাহিত্যের উৎসব। পশ্চিমবঙ্গ, বাংলাদেশসহ বিশ্বের যেখানেই বাঙালি আছে, সেখানেই এই উৎসব পালিত হয়। 
  • প্রতিমা, প্যান্ডেল, আলোকসজ্জা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান—সবকিছু মিলে এটি এখন সর্বজনীন আনন্দোৎসব।

2025 সালের দূর্গা পূজার সন্ধিপূজার সময়

২০২৫ সালের দুর্গা পূজার সন্ধিপূজার সময় হলো: আর দেরি না করে আসুন এখন  আমরা 2025 সালের দূর্গা পূজার সন্ধিপূজার সময় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি। আর জমজম আইটির 2025 সালের দূর্গা পূজার সন্ধিপূজার সময় নিয়ে বিস্তারিত জানার জন্য নিচের লেখা গুলো পুরোপুরি পড়ে নিন। বসে বসে সময় নষ্ট না করে দেখুন আর আয় করুন। আপনার জন্য আরো অতিরিক্ত বোনাস হিসেবে 2025 সালের দূর্গা পূজার সন্ধিপূজার সময় নিয়ে আলোচনা এখানে চাপ দিয়ে বিস্তারিত জেনে নিন।
তারিখ: মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ (মহা অষ্টমীর শেষ ও মহা নবরাত্রির প্রথম মুহূর্তে)
সন্ধিপূজা মুহূর্ত: প্রায় সন্ধ্যা ৫:৪২ থেকে ৬:৩০ পর্যন্ত 
বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য:
  • Drik Panchang অনুসারে, সন্ধিপূজা হবে ৫:৪২ PM থেকে ৬:৩০ PM 
  • দ্বিতীয় উৎস অনুযায়ীও একই সময়সীমা নিশ্চিত করা হয়েছে
  • Belur Math-এর নির্ধারিত সময়সূচী অনুযায়ী সন্ধিপূজা হবে ৫:৪৩ PM হতে ৬:৩১ PM
  • ইভেন্ট
  • তারিখ
  • সময় (স্থায়ী রেঞ্জ)
  • সন্ধিপূজা
  • ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৫:৪২ PM থেকে ৬:৩০ PM (সংক্ষিপ্ত অ্যালার্জি ভ্যারিয়েশন ± মিনিট)
গুরুত্ব:
সন্ধিপূজা হল মহা অষ্টমী ও মহা নবমীর সঙ্ক্রান্ত বিশেষ মুহূর্তে করা হয়— যখন অষ্টমী থেকে নবমী তিথি সূচনালুণ করে। এটি দুর্গা পূজার অন্যতম পবিত্র ও শক্তিমান পূজা। আপনার যদি নির্দিষ্ট স্থান বা পাণ্ডালের সন্ধিতে পরিকল্পনা থাকে, তবে স্থানীয় পঞ্চাং বা কমিটি দ্বারা প্রকাশিত সূচী খতিয়ে দেখা উচিত।

দূর্গা পূজা কত দিন বাকি 2025

২০২৫ সালের দুর্গা পূজা (মহাষষ্ঠী: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫) শুরু হতে আর ১৮ দিন বাকি। আর দেরি না করে আসুন এখন  আমরা দূর্গা পূজা কত দিন বাকি 2025 নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি। আর জমজম আইটির দূর্গা পূজা কত দিন বাকি 2025 নিয়ে বিস্তারিত জানার জন্য নিচের লেখা গুলো পুরোপুরি পড়ে নিন। বসে বসে সময় নষ্ট না করে দেখুন আর আয় করুন। আপনার জন্য আরো অতিরিক্ত বোনাস হিসেবে দূর্গা পূজা কত দিন বাকি 2025 নিয়ে আলোচনা এখানে চাপ দিয়ে বিস্তারিত জেনে নিন।

দূর্গা পূজা বাংলা কত তারিখ

২০২৫ সালের দুর্গা পূজার বাংলা (বঙ্গাব্দ) তারিখসমূহ নিচে দেওয়া হলো: আর দেরি না করে আসুন এখন  আমরা দূর্গা পূজা বাংলা কত তারিখ বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি। আর জমজম আইটির দূর্গা পূজা বাংলা কত তারিখ নিয়ে বিস্তারিত জানার জন্য নিচের লেখা গুলো পুরোপুরি পড়ে নিন। বসে বসে সময় নষ্ট না করে দেখুন আর আয় করুন। আপনার জন্য আরো অতিরিক্ত বোনাস হিসেবে দূর্গা পূজা বাংলা কত তারিখ নিয়ে আলোচনা এখানে চাপ দিয়ে বিস্তারিত জেনে নিন।
বঙ্গাব্দ ১৪৩২ (আশ্বিন মাস অনুযায়ী):
  • মহালয়া – ৬ আশ্বিন ১৪৩২ (রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫)
  • মহাষষ্ঠী – ১৩ আশ্বিন ১৪৩২ (রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫)
  • মহাসপ্তমী – ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ (সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫)
  • মহাষ্টমী – ১৫ আশ্বিন ১৪৩২ (মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫)
  • মহনবমী – ১৬ আশ্বিন ১৪৩২ (বুধবার, ১ অক্টোবর ২০২৫)
  • বিজয়া দশমী – ১৭ আশ্বিন ১৪৩২ (বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর ২০২৫)

দুর্গা পূজা কে প্রথম চালু করেছিলেন?

দুর্গা পূজার উৎপত্তি ও প্রচলন নিয়ে ইতিহাসে ভিন্ন ভিন্ন মত পাওয়া যায়। সংক্ষেপে তুলে ধরছি: আর দেরি না করে আসুন এখন  আমরা দুর্গা পূজা কে প্রথম চালু করেছিলেন? বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি। আর জমজম আইটির দুর্গা পূজা কে প্রথম চালু করেছিলেন? নিয়ে বিস্তারিত জানার জন্য নিচের লেখা গুলো পুরোপুরি পড়ে নিন। বসে বসে সময় নষ্ট না করে দেখুন আর আয় করুন। আপনার জন্য আরো অতিরিক্ত বোনাস হিসেবে দুর্গা পূজা কে প্রথম চালু করেছিলেন? নিয়ে আলোচনা এখানে চাপ দিয়ে বিস্তারিত জেনে নিন।
পুরাণ অনুযায়ী
  • দেবী মহিষাসুরকে বধ করার পর থেকেই দেবী দূর্গার আরাধনা শুরু হয়। তবে সেই পূজা ছিল মূলত অকাল বোধন বা বিশেষ তিথিতে দেবীকে আহ্বান করা।
  • মহাভারতের কুরুক্ষেত্র যুদ্ধে অর্জুন দেবীকে আহ্বান করেছিলেন। এটিকেই অনেকে প্রথম দুর্গাপূজা হিসেবে উল্লেখ করেন।
বাংলায় দুর্গাপূজা
  • বাংলায় প্রথম রাজকীয়ভাবে দুর্গাপূজা শুরু করেন নদীয়ার রাজা কংশ নারায়ণ (প্রায় ১৫৮০ খ্রিস্টাব্দে)। তিনি জমকালো আয়োজন করে দূর্গোৎসবের প্রচলন করেন।
  • এর পর ১৮শ শতকে কলকাতার জমিদার পরিবারগুলি, বিশেষত শোভাবাজার রাজবাড়ি (রাজা নবকৃষ্ণ দেব), দুর্গাপূজাকে বিশাল সামাজিক উৎসবে রূপ দেন।
সর্বজনীন পূজা
আগে দুর্গাপূজা কেবল জমিদারবাড়ি ও রাজবাড়িতেই হতো।
১৯শ শতকের শেষভাগ ও ২০শ শতকের শুরুতে বারোয়ারি পূজা (সবার অর্থে, সবার জন্য) প্রচলিত হয়। প্রথম সর্বজনীন বারোয়ারি পূজা হয় ১৯১০ সালে কলকাতার ভগবানগঙ্গা সান্ধ্যে, যেখানে সাধারণ মানুষও অংশ নিতে পারে।
 তাই বলা যায়
  • পুরাণে অর্জুনের পূজা সর্বপ্রথম উল্লেখিত দুর্গাপূজা।
  • বাংলায় প্রথম রাজকীয় দুর্গাপূজা করেন নদীয়ার কংশ নারায়ণ।
  • আর আধুনিক সর্বজনীন দুর্গাপূজার পথিকৃৎ ছিল কলকাতার বারোয়ারি পূজা আন্দোলন।

২০২৫ সালের দুর্গা পূজার সময়সূচী কী?

আর দেরি না করে আসুন এখন  আমরা ২০২৫ সালের দুর্গা পূজার সময়সূচী কী? বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি। আর জমজম আইটির ২০২৫ সালের দুর্গা পূজার সময়সূচী কী? নিয়ে বিস্তারিত জানার জন্য নিচের লেখা গুলো পুরোপুরি পড়ে নিন। বসে বসে সময় নষ্ট না করে দেখুন আর আয় করুন। আপনার জন্য আরো অতিরিক্ত বোনাস হিসেবে ২০২৫ সালের দুর্গা পূজার সময়সূচী কী? নিয়ে আলোচনা এখানে চাপ দিয়ে বিস্তারিত জেনে নিন।
২০২৫ সালের দুর্গাপূজা মূলত ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে, যার মধ্যে মহালয়া ২১ সেপ্টেম্বর, ষষ্ঠী ২৮ সেপ্টেম্বর এবং বিজয়া দশমী ২ অক্টোবর তারিখে পড়বে। দেবী দুর্গার আগমন ও গমনের দিনটিও যথাক্রমে ২১ সেপ্টেম্বর এবং ২ অক্টোবর তারিখে পড়ছে।
শারদীয়া দুর্গাপূজা ২০২৫-এর সময়সূচি:
  • মহালয়া: সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৫
  • ষষ্ঠী (মহাষষ্ঠী): সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৫
  • সপ্তমী (মহাসপ্তমী): সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৫
  • অষ্টমী (মহাষ্টমী ও সন্ধিপূজা): সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৫
  • নবমী: অক্টোবর ১, ২০২৫
  • বিজয়া দশমী ও প্রতিমা বিসর্জন: অক্টোবর ২, ২০২৫

দেবী দুর্গার ১০৮টি নাম কি কি?

দেবী দুর্গার অসংখ্য নাম আছে। আর দেরি না করে আসুন এখন  আমরা দেবী দুর্গার ১০৮টি নাম কি কি? বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি। আর জমজম আইটির দেবী দুর্গার ১০৮টি নাম কি কি? নিয়ে বিস্তারিত জানার জন্য নিচের লেখা গুলো পুরোপুরি পড়ে নিন। বসে বসে সময় নষ্ট না করে দেখুন আর আয় করুন। আপনার জন্য আরো অতিরিক্ত বোনাস হিসেবে দেবী দুর্গার ১০৮টি নাম কি কি? নিয়ে আলোচনা এখানে চাপ দিয়ে বিস্তারিত জেনে নিন।
 শাস্ত্রে তাঁকে অষ্টোত্তর শতনামা (১০৮ নাম) দ্বারা পূজা করার বিশেষ মাহাত্ম্য আছে। নিচে দেবী দুর্গার ১০৮ নাম দেওয়া হলো:
দেবী দুর্গার ১০৮ নাম
  1. দুর্গা
  2. দুঃখহন্ত্রী
  3. দুরিতনাশিনী
  4. দূর্গতিহন্ত্রী
  5. দুর্গতি-নাশিনী
  6. দুর্দুরা
  7. দুঃস্বপ্ন-নাশিনী
  8. দুর্গা-দুর্গতিনাশিনী
  9. দূর্বা
  10. দুর্গেশ্বরী
  11. দূর্যোধনা
  12. দুরাশা-হন্ত্রী
  13. দুঃখ-দারিদ্র্য-নাশিনী
  14. দূর্দান্তা
  15. দুঃস্বপ্ন-হারিণী
  16. দুর্গমা
  17. দুর্গাশ্রিতা
  18. দুর্গামোহিনী
  19. দুর্গেশা
  20. দুর্লভা
  21. দুর্গবিনাশিনী
  22. দুর্গাশ্রয়দা
  23. দূর্বলহন্ত্রী
  24. দুর্গবিনাশিনী
  25. দুর্গতিহারিণী
  26. দুর্গ-দমন
  27. দুর্গমারী
  28. দুর্গানাশিনী
  29. দুর্গাভয়া
  30. দূর্দাহা
  31. দুরাশা-নাশিনী
  32. দুর্গ-শমনী
  33. দুর্গ-শ্রেষ্ঠা
  34. দুর্গাপরায়ণা
  35. দুর্গ-জয়া
  36. দুর্গাপালিনী
  37. দুর্গানন্দা
  38. দূর্দর্শা
  39. দূর্বাধারা
  40. দুর্গাপ্রিয়া
  41. দূর্দান্তদমনী
  42. দুর্গাপরমা
  43. দুর্গবালা
  44. দুর্গসুন্দরী
  45. দুর্গবাহিনী
  46. দুর্গবাণী
  47. দুর্গবালা
  48. দুর্গবিক্রমা
  49. দুর্গা-শক্তি
  50. দুর্গমোহিনী
  51. দুর্গবিভূষণা
  52. দুর্গবিজয়া
  53. দুর্গসার্বভৌমী
  54. দুর্গবিন্দ্যা
  55. দুর্গদুর্গা
  56. দুর্গাধারিণী
  57. দুর্গতিহন্ত্রী
  58. দুর্গামহাশক্তি
  59. দুর্গাবিনাশিনী
  60. দুর্গা-চামুণ্ডা
  61. দুর্গেশ্বরী
  62. দুর্গবিজয়া
  63. দুর্গানামধারিণী
  64. দুর্গা-রূপা
  65. দুর্গবাণী
  66. দুর্গানাশিনী
  67. দুর্গানামবতী
  68. দুর্গা-সুন্দরী
  69. দুর্গবালা
  70. দুর্গা-সিদ্ধিদা
  71. দুর্গশক্তি
  72. দুর্গবিভূতিদা
  73. দুর্গা-শক্তিধারা
  74. দুর্গা-শ্রীদা
  75. দুর্গপ্রদা
  76. দুর্গ-ভূষণা
  77. দুর্গা-হংসিনী
  78. দুর্গেশা
  79. দুর্গাভয়া
  80. দুর্গা-নাশিনী
  81. দুর্গাবলা
  82. দুর্গদুর্গমা
  83. দুর্গাদমনী
  84. দুর্গ-চামুণ্ডা
  85. দুর্গসুবলা
  86. দুর্গমোক্ষদা
  87. দুর্গশ্রেষ্ঠা
  88. দুর্গ-জয়া
  89. দুর্গ-ধারিণী
  90. দুর্গা-শ্রদ্ধা
  91. দুর্গামাতা
  92. দুর্গ-শক্তি
  93. দুর্গ-স্বরূপা
  94. দুর্গ-শ্রীদা
  95. দুর্গ-সার্বভৌমী
  96. দুর্গাশ্রিতা
  97. দুর্গানন্দিনী
  98. দুর্গাশ্রয়দা
  99. দুর্গমোহিনী
  100. দুর্গবাহিনী
  101. দুর্গসার্বজ্যা
  102. দুর্গপালিনী
  103. দুর্গবালা
  104. দুর্গানাশিনী
  105. দুর্গশক্তিধারা
  106. দুর্গা-জগন্মাতা
  107. দুর্গবিজয়া
  108. দুর্গামহেশ্বরী

বাংলাদেশে প্রথম দুর্গা পূজা কোথায় হয়েছিল?

বাংলাদেশের প্রথম দুর্গা পূজা: আর দেরি না করে আসুন এখন  আমরা বাংলাদেশে প্রথম দুর্গা পূজা কোথায় হয়েছিল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি। আর জমজম আইটির বাংলাদেশে প্রথম দুর্গা পূজা কোথায় হয়েছিল নিয়ে বিস্তারিত জানার জন্য নিচের লেখা গুলো পুরোপুরি পড়ে নিন। বসে বসে সময় নষ্ট না করে দেখুন আর আয় করুন। আপনার জন্য আরো অতিরিক্ত বোনাস হিসেবে বাংলাদেশে প্রথম দুর্গা পূজা কোথায় হয়েছিল নিয়ে আলোচনা এখানে চাপ দিয়ে বিস্তারিত জেনে নিন।
অবস্থান: বর্তমান বাংলাদেশের যশোর, রাজশাহী, খুলনা এবং ঢাকার অঞ্চলগুলিতে মধ্যযুগে দুর্গাপূজার সূত্র মিলেছে।
প্রথম উল্লেখযোগ্য পূজা:
  • প্রাচীন সময়ে রাজপরিবার ও জমিদারদের রাজবাড়িতে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হতো।
  • বিশেষ করে সোনারগাঁও ও নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলে ১৮শ-১৯শ শতকের শুরুতে পূজা অনুষ্ঠিত হতো।
সর্বজনীন পূজা:
প্রথম সাধারণ মানুষও অংশগ্রহণ করতে পারে এমন পূজা শুরু হয় ১৯শ শতকের মাঝামাঝি সময়ে।
ঢাকার বাঙালি মহল্লায়, বিশেষ করে আরবান এলাকায়, জমিদারবাড়ির বাইরে প্যান্ডেল বসানো শুরু হয়।
বাংলাদেশে প্রথম দুর্গা পূজা মূলত রাজবাড়ি বা জমিদারবাড়িতে শুরু হয়েছিল।
  • সাধারণ মানুষের জন্য এটি সর্বজনীন রূপ নেয় ১৮-১৯শ শতকে।
  • প্রাচীন উল্লেখগুলো বিশেষ করে সোনারগাঁও, নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকার বাঙালি মহল্লা ভিত্তিক।

দুর্গা পূজা কেন পালন করা হয়?

দুর্গা পূজা মূলত অশুভ শক্তির বিনাশ ও শুভ শক্তির বিজয় উদযাপন করার জন্য পালন করা হয়। হিন্দু ধর্ম মতে, মহিষাসুর নামের অসুর দেবতাদের পরাজিত করে দেবলোকে অরাজকতা সৃষ্টি করেছিল। তখন ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বরসহ সকল দেবতা তাঁদের শক্তি মিলিয়ে দেবী দুর্গাকে সৃষ্টি করেন। দেবী দুর্গা মহিষাসুরের সাথে নয় রাত দশ দিন যুদ্ধ করে দশম দিনে (বিজয়া দশমী) তাকে বধ করেন। এই বিজয়ের স্মরণে দুর্গা পূজা পালিত হয়।
দুর্গা পূজার তাৎপর্য:
  • অসুরের উপর সুরের জয় (অশুভ শক্তির উপর শুভ শক্তির জয়)
  • ধর্ম ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা
  • মায়ের শক্তি ও করুণার আরাধনা
  • পরিবার, সমাজ ও সংস্কৃতিতে আনন্দ ও মিলন উৎসব হিসেবে পালন
বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতীয় উপমহাদেশে দুর্গা পূজা শুধু ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক এক মহোৎসব হিসেবে পালিত হয়।

বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব কোনটি?

হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য এটি ধর্মীয়ভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলেও, সাংস্কৃতিক দিক থেকে এটি পুরো বাঙালি সমাজেরই সবচেয়ে বড় উৎসব। আর দেরি না করে আসুন এখন  আমরা বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব কোনটি তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি। আর জমজম আইটির বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব কোনটি নিয়ে বিস্তারিত জানার জন্য নিচের লেখা গুলো পুরোপুরি পড়ে নিন। বসে বসে সময় নষ্ট না করে দেখুন আর আয় করুন। আপনার জন্য আরো অতিরিক্ত বোনাস হিসেবে বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব কোনটি নিয়ে আলোচনা এখানে চাপ দিয়ে বিস্তারিত জেনে নিন।
  • দুর্গাপূজাকে বলা হয় শারদীয় উৎসব, কারণ এটি শরৎকালে পালিত হয়।
  • এ সময় পাঁচ দিন ধরে (ষষ্ঠী থেকে বিজয়া দশমী) মণ্ডপে মণ্ডপে প্রতিমা পূজা, আলোকসজ্জা, শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ভোগ ও প্রসাদ বিতরণ, এবং সামাজিক মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়।
  • শুধু ধর্মীয় দিক নয়, সামাজিক, শিল্প-সংস্কৃতি, আনন্দ-উৎসব সব মিলিয়ে দুর্গাপূজা বাঙালির হৃদয়ের উৎসব।
তবে মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব হলো ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা।
অর্থাৎ, ধর্মভেদে উৎসব আলাদা হলেও সমাজ ও সংস্কৃতির দিক থেকে দুর্গাপূজাকেই বাঙালির সর্বজনীন বৃহত্তম উৎসব ধরা হয়।

দুর্গার বয়স কত?

দেবী দুর্গার মানবিক বয়সের কোনো নির্দিষ্ট সংখ্যা নেই। তিনি হিন্দু ধর্মে আদ্যাশক্তি, অর্থাৎ সৃষ্টির শুরু থেকেই বিদ্যমান এক চিরন্তন শক্তির প্রতীক। তাই তাঁর বয়সকে বছর দিয়ে মাপা যায় না।
তবে কল্পনায় ও শিল্পকর্মে দুর্গাকে সাধারণত যুবতী, মায়ের রূপে উপস্থাপন করা হয়। তিনি মাতৃত্ব, শক্তি ও সৌন্দর্যের প্রতীক হিসেবে পূজিত হন।
পুরাণ মতে –
  • দেবী দুর্গা হলেন মহামায়া, যিনি বিশ্ব সৃষ্টি, পালন ও সংহার করেন।
  • তিনি অবিনশ্বর, তাই তাঁর বয়স নির্ধারণ করা সম্ভব নয়।
  • বাস্তবে: দুর্গার বয়স অসীম, তিনি শাশ্বত শক্তি।
  • চিত্রকলা/প্রতিমায়: দুর্গাকে সাধারণত ২০-২৫ বছর বয়সী যুবতী দেবী হিসেবে দেখানো হয়।
২৫ সালের দুর্গাপুজো কবে?
  • মা দুর্গা ঘোড়ায় আসলে কি হয়?
  • দুর্গা নামের সমার্থক শব্দ কী কী?
  • দুর্গা ঠাকুরের অন্যান্য নাম কি কি?
  • দুর্গার বাহন সিংহের নাম কি?
  • দুর্গা শব্দের অর্থ কি?
  • দুর্গার ভাইয়ের নাম কী?
  • মা দুর্গার জন্ম কিভাবে হয়েছিল?
  • মা দুর্গা হাতি তে আসলে কি হয়?
  • মা দুর্গা কিসে আগমন করেন?
  • দেবীর গজে আগমন হলে কি হয়?
  • দুর্গার কয়টি রূপ রয়েছে?
  • দুর্গার প্রণাম মন্ত্র কী?
  • প্রথম দূর্গা পূজা কোথায় হয়?
  • কোনটি শক্তিশালী দুর্গা মন্ত্র?
  • দুর্গা নাম জপ করলে কি হয়?
  • দুর্গা পুজার মন্ত্র কী?
  • মা দুর্গার ১০৮টি নাম কি কি?
  • মা দুর্গার বাবার নাম কী?
  • দূর্গা পূজার চন্ডীপাঠের মন্ত্র কী?

দুর্গাপূজা নিয়ে ১০০টি প্রশ্ন ও উত্তর

আর দেরি না করে আসুন এখন  আমরা দুর্গাপূজা নিয়ে ১০০টি প্রশ্ন ও উত্তর বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি। আর জমজম আইটির দুর্গাপূজা নিয়ে ১০০টি প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে বিস্তারিত জানার জন্য নিচের লেখা গুলো পুরোপুরি পড়ে নিন। বসে বসে সময় নষ্ট না করে দেখুন আর আয় করুন। আপনার জন্য আরো অতিরিক্ত বোনাস হিসেবে দুর্গাপূজা নিয়ে ১০০টি প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে আলোচনা এখানে চাপ দিয়ে বিস্তারিত জেনে নিন।
  • অংশ–১: দুর্গাপূজার মৌলিক তথ্য (১–২০)
১. দুর্গাপূজা কী?
দেবী দুর্গার আরাধনার প্রধান উৎসব।
২. দুর্গাপূজা কবে হয়?
শরৎকালে, আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত।
৩. কত দিন ধরে দুর্গাপূজা চলে?
প্রধানত ৫ দিন—ষষ্ঠী, সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী ও দশমী।
৪. মহালয়ার তাৎপর্য কী?
দেবীর আগমনের সূচনা ঘোষণা।
৫. দুর্গাপূজা কেন পালন করা হয়?
অশুভ শক্তির বিনাশ ও শুভ শক্তির বিজয় উদযাপনের জন্য।
৬. দেবী দুর্গা কাকে বধ করেছিলেন?
মহিষাসুরকে।
৭. মহিষাসুর কে ছিলেন?
এক অসুর রাজা, যিনি দেবতাদের স্বর্গ থেকে উৎখাত করেছিলেন।
৮. দেবী দুর্গাকে কে সৃষ্টি করেছিলেন?
সব দেবতার শক্তি মিলিয়ে সৃষ্টি হয়েছিলেন।
৯. দুর্গার কত হাত থাকে?
দশটি।
১০. দুর্গার বাহন কী?
সিংহ।
১১. দুর্গার হাতে কী কী অস্ত্র থাকে?
ত্রিশূল, ধনুক-বাণ, চক্র, খড়্গ, শঙ্খসহ দশটি অস্ত্র।
১২. দুর্গাপূজার অন্য নাম কী?
শারদীয় উৎসব।
১৩. ষষ্ঠীর বিশেষ আচার কী?
বোধন—দেবীর আহ্বান।
১৪. সপ্তমীর প্রধান আচার কী?
নবপত্রিকা স্নান।
১৫. অষ্টমীর বিশেষ আচার কী?
কুমারী পূজা ও সন্ধিপূজা।
১৬. নবমীতে কী হয়?
মহানবমী পূজা ও হোম।
১৭. দশমীতে কী হয়?
বিসর্জন ও বিজয়া দশমী পালন।
১৮. বিজয়া দশমীর তাৎপর্য কী?
শুভের জয়, মায়ের বিদায়।
১৯. দুর্গার সন্তান কারা?
লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক ও গণেশ।
২০. দুর্গাপূজা কোথায় সবচেয়ে বেশি ধুমধাম করে পালিত হয়?
বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গসহ সমগ্র বাঙালি সমাজে।
  • অংশ–২: ধর্মীয় দিক (২১–৪০)

২১. দুর্গা শব্দের অর্থ কী?
অদুর্গম—যিনি অশুভকে দূর করেন।
২২. মহিষাসুর বধ কাহিনী কোন গ্রন্থে পাওয়া যায়?
দেবী মহাত্ম্যম (চণ্ডী)।
২৩. দেবী দুর্গাকে আর কী নামে ডাকা হয়?
অম্বিকা, মহামায়া, শক্তি, মহিষাসুরমর্দিনী।
২৪. দুর্গাপূজায় কোন মন্ত্র পাঠ করা হয়?
চণ্ডীপাঠ।
২৫. মহালয়ায় কী করা হয়?
পিতৃতর্পণ এবং দেবী আহ্বান।
২৬. নবপত্রিকা কী?
নয়টি ভিন্ন গাছের পাতা, দেবীর প্রতীক।
২৭. কুমারী পূজা কেন হয়?
নারী শক্তির প্রতীক হিসেবে।
২৮. সন্ধিপূজার তাৎপর্য কী?
অষ্টমী ও নবমীর সন্ধিক্ষণে দেবীর বিশেষ পূজা।
২৯. দেবীর রূপ কত প্রকার?
দশমহাবিদ্যা, নবরূপা ইত্যাদি।
৩০. দুর্গাপূজা কত প্রকারে হয়?
ঘরোয়া (বারোয়ারি) ও সার্বজনীন।
৩১. ঘরোয়া পূজা কবে জনপ্রিয় হয়?
১৮শ শতকে জমিদারদের মধ্যে।
৩২. সার্বজনীন পূজা কবে শুরু হয়?
২০শ শতকের প্রথম দিকে।
৩৩. দেবী দুর্গা কেন সিংহের উপর বসেন?
সিংহ শক্তি ও বীর্যের প্রতীক।
৩৪. চণ্ডীপাঠ কতদিন হয়?
পাঁচ দিন ধরে।
৩৫. দেবী দুর্গার সঙ্গে কালী কীভাবে সম্পর্কিত?
কালী তাঁর আরেক রূপ।
৩৬. দুর্গা পূজায় ঢাক বাজানো কেন গুরুত্বপূর্ণ?
এটি আনন্দ ও ভক্তির প্রকাশ।
৩৭. দুর্গার দশ হাত কী নির্দেশ করে?
দশ দিক রক্ষার শক্তি।
৩৮. বিসর্জনের সময় কী বলা হয়?
"আশ্বিন মাসে আবার এসো মা।"
৩৯. দেবী দুর্গার পিতৃগৃহ কোথায় ধরা হয়?
হিমালয় পর্বতে।
৪০. দুর্গার স্বামী কে?
শিব।
অংশ–৩: সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দিক (৪১–৬০)
৪১. দুর্গাপূজা শুধু হিন্দুদের উৎসব কি?
না, এটি এখন বাঙালির সার্বজনীন উৎসব।
৪২. পূজায় কী ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়?
নাটক, গান, নাচ, আবৃত্তি, প্রতিযোগিতা।
৪৩. পূজার সময় নতুন পোশাক কেন প্রচলিত?
আনন্দ ও উৎসবের প্রতীক।
৪৪. দুর্গাপূজা শিল্পীদের জন্য কী গুরুত্ব রাখে?
প্রতিমা ও প্যান্ডেল শিল্পকলার বিশাল প্রদর্শনী।
৪৫. দুর্গাপূজার সময় কাকে প্রধান বাদ্যযন্ত্র বলা হয়?
ঢাক।
৪৬. পূজার সময় কোন খাবার দেওয়া হয়?
ভোগ—খিচুড়ি, লাবড়া, পায়েস ইত্যাদি।
৪৭. বিজয়া দশমীতে কী প্রথা আছে?
প্রণাম, আলিঙ্গন, মিষ্টি খাওয়ানো।
৪৮. প্যান্ডেল কী?
অস্থায়ী মণ্ডপ, যেখানে প্রতিমা বসানো হয়।
৪৯. প্যান্ডেল সাজানো কেন গুরুত্বপূর্ণ?
এটি শিল্প-সংস্কৃতির প্রকাশ।
৫০. দুর্গাপূজা পর্যটনের ক্ষেত্রেও কীভাবে ভূমিকা রাখে?
দেশ-বিদেশের মানুষ ভ্রমণে আসে।
৫১. পূজার সময় ব্যবসায়ীদের জন্য কী প্রভাব থাকে?
পোশাক, খাবার, গহনা, আলোকসজ্জার বড় বাজার তৈরি হয়।
৫২. সামাজিক সম্প্রীতি কীভাবে বৃদ্ধি পায়?
সব ধর্ম-বর্ণের মানুষ একসাথে অংশ নেয়।
৫৩. পূজায় শিশুদের আনন্দ কী?
নতুন পোশাক, খেলনা, মেলা ও আলোকসজ্জা।
৫৪. দুর্গাপূজা কোন মৌসুমের সঙ্গে যুক্ত?
শরৎকাল।
৫৫. বিদেশে বাঙালিরা পূজা করে কি?
হ্যাঁ, প্রবাসে দুর্গাপূজা ব্যাপকভাবে পালিত হয়।
৫৬. পূজার সময় কোন গান বাজে বেশি?
আগমনী ও বীজন গান।
৫৭. পূজার দিনগুলোতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কী হয়?
ছুটি থাকে।
৫৮. পূজার সময় নিরাপত্তা কেন গুরুত্বপূর্ণ?
জনসমাগম ও শোভাযাত্রার কারণে।
৫৯. পূজায় নারীদের ভূমিকা কী?
ভোগ রান্না, আলপনা আঁকা, সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ।
৬০. পূজা শেষে মণ্ডপ ভাঙা কেন কষ্টের হয়?
কারণ মায়ের বিদায়ে আবেগ জড়িত।
  • অংশ–৪: ইতিহাস ও তথ্যভিত্তিক প্রশ্ন (৬১–৮০)
৬১. দুর্গাপূজা কত পুরনো?
প্রায় হাজার বছরের বেশি পুরনো।
৬২. প্রাচীন কালে দুর্গাপূজা কোথায় শুরু হয়েছিল?
ভারতের পূর্বাঞ্চলে।
৬৩. দুর্গাপূজার প্রাচীনতম প্রমাণ কোথায় পাওয়া গেছে?
বেদ ও পুরাণে।
৬৪. বাংলায় প্রথম জমিদার বাড়ির দুর্গাপূজা কোথায়?
নবদ্বীপে।
৬৫. কলকাতায় বড় সার্বজনীন পূজা কবে শুরু হয়েছিল?
১৯১০ সালের দিকে।
৬৬. ঢাক বাজানোর প্রথা কোথা থেকে এসেছে?
বাংলার লোকসংস্কৃতি থেকে।
৬৭. প্রতিমা গড়ার জন্য প্রধানত কোন মাটি লাগে?
গঙ্গার তীরের মাটি।
৬৮. প্রতিমায় মাটি কোথা থেকে আনা হয়?
‘নিষিদ্ধ স্থান’ থেকে, যেমন বেশ্যাবাড়ির উঠোন।
৬৯. কেন ওই মাটি নেওয়া হয়?
পবিত্রতার প্রতীক হিসেবে।
৭০. দুর্গার সবচেয়ে বিখ্যাত প্রতিমা কোথায় হয়?
কুমারটুলি, কলকাতা।
৭১. বাংলার বাইরে কোন শহরে দুর্গাপূজা বিখ্যাত?
দিল্লি, মুম্বাই, আসাম।
৭২. বাংলাদেশের কোন শহরে দুর্গাপূজা সবচেয়ে বড় হয়?
ঢাকা, চট্টগ্রাম।
৭৩. UNESCO কবে দুর্গাপূজাকে স্বীকৃতি দেয়?
২০২১ সালে, Intangible Cultural Heritage হিসেবে।
৭৪. সবচেয়ে বড় প্রতিমা কোথায় হয়?
ভারতের বিভিন্ন শহরে, কখনও ৮০–১০০ ফুট পর্যন্ত।
৭৫. পুজোর আগে কোন অনুষ্ঠান হয়?
মহালয়া।
৭৬. ‘যত্র নার্যস্তু পূজ্যন্তে তত্র রমন্তে দেবতা’ এর মানে কী?
যেখানে নারীর পূজা হয়, সেখানে দেবতারা বসবাস করেন।
৭৭. প্রাচীনকালে দুর্গাপূজা কতদিন হত?
১৬ দিন ধরে।
৭৮. বর্তমানে পূজা কেন পাঁচ দিনে সীমাবদ্ধ?
সহজীকরণ ও সময়ের কারণে।
৭৯. দুর্গাপূজা বাংলার কোন ঐতিহ্য বহন করে?
শক্তিপূজা ও নারীশক্তির আরাধনা।
৮০. বাংলার কোন কবি দুর্গাপূজা নিয়ে গান লিখেছেন?
কাজী নজরুল ইসলাম, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
  • অংশ–৫: মজার তথ্য ও বিবিধ (৮১–১০০)
৮১. পূজার সময় কোন ফুল বেশি ব্যবহার হয়?
শিউলি ফুল।
৮২. দুর্গার চোখ আঁকাকে কী বলে?
চক্ষুদান।
৮৩. চক্ষুদান কখন হয়?
মহাষষ্ঠীর আগে।
৮৪. পূজায় কোন রঙ বেশি ব্যবহৃত হয়?
লাল—শক্তির প্রতীক।
৮৫. সিঁদুর খেলা কী?
দশমীতে নারীরা একে অপরকে সিঁদুর পরায়।
৮৬. সিঁদুর খেলার তাৎপর্য কী?
দীর্ঘ দাম্পত্য ও আনন্দের প্রতীক।
৮৭. পূজার সময় কোন বাদ্যযন্ত্র জনপ্রিয়?
ঢাক, কাঁসর, শঙ্খ।
৮৮. পূজা নিয়ে কোন বাংলা সিনেমা আছে?
‘উৎসব’ (ঋতুপর্ণ ঘোষের ছবি)।
৮৯. পূজার সময় কোন মিষ্টি জনপ্রিয়?
সন্দেশ, রসগোল্লা।
৯০. দুর্গাপূজায় কেন মানুষ সারারাত জেগে থাকে?
মণ্ডপ দর্শন ও আনন্দের জন্য।
৯১. পূজার সময় কোন বিশেষ নৃত্য হয়?
ধুনুচি নাচ।
৯২. ধুনুচি কী?
ধূপ জ্বালানোর পাত্র।
৯৩. বিজয়া দশমীতে নদীতে প্রতিমা বিসর্জন কেন হয়?
মাকে বিদায় দিয়ে জলে বিলীন করা।
৯৪. বিসর্জনের পর মানুষ কী বলে?
"আসছে বছর আবার হবে।"
৯৫. পূজার সময় কোন আগমনী গান বিখ্যাত?
বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের মহালয়া আবৃত্তি।
৯৬. পূজায় রাত জাগার নাম কী?
প্যান্ডেল হপিং।
৯৭. পূজার ভোগে কেন পেঁয়াজ-রসুন থাকে না?
এগুলো অশুদ্ধ ধরা হয়।
৯৮. দুর্গাপূজা কোন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে?
UNESCO Intangible Cultural Heritage।
৯৯. পূজায় সবাই কী কামনা করে?
শান্তি, সমৃদ্ধি, অশুভের বিনাশ।
১০০. দুর্গাপূজা কেন বাঙালির হৃদয়ের উৎসব বলা হয়?
কারণ ধর্ম, সমাজ, শিল্প-সংস্কৃতি, আনন্দ ও ঐক্য—সবকিছু মিলিয়ে এটি বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব।
বি.দ্র.  এই লেখার মধ্যে কোন ধরনের ভূল পরিলক্ষিত হলে বা কোন ধরনের সংযোজন বা বিয়োজন করার প্রয়োজন হলে অনুগ্রহ করে জানাবেন তা সাদরে গ্রহন করা হবে।

উপসংহার

প্রিয় পাঠক এই আর্টিকেলে আমরা শুধু ধর্মীয় দিক নয়, সামাজিক, শিল্প-সংস্কৃতি, আনন্দ-উৎসব সব মিলিয়ে দুর্গাপূজা বাঙালির হৃদয়ের উৎসব সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানলাম। আপনার শুধু ধর্মীয় দিক নয়, সামাজিক, শিল্প-সংস্কৃতি, আনন্দ-উৎসব সব মিলিয়ে দুর্গাপূজা বাঙালির হৃদয়ের উৎসব এখন আর কোনো ঐচ্ছিক বিষয় নয়, বরং এটি একটি আবশ্যকতা। এটি শুধুমাত্র আপনার পাঠকদের জন্য একটি জ্ঞান এবং আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে না, বরং শুধু ধর্মীয় দিক নয়, সামাজিক, শিল্প-সংস্কৃতি, আনন্দ-উৎসব সব মিলিয়ে দুর্গাপূজা বাঙালির হৃদয়ের উৎসব অপরিহার্য। তাই, উল্লেখিত টিপসগুলো অনুসরণ করে আপনার শুধু ধর্মীয় দিক নয়, সামাজিক, শিল্প-সংস্কৃতি, আনন্দ-উৎসব সব মিলিয়ে দুর্গাপূজা বাঙালির হৃদয়ের উৎসব ও কার্যকরী রাখুন, যা আজকের ডিজিটাল বিশ্বে আপনার সফলতার পথ প্রশস্ত করবে, ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

জমজম আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url