বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা - মিরপুর চিড়িয়াখানা কিভাবে যাবেন, কি কি দেখবেন জেনে নিন

ভূমিকা

প্রিয় পাঠক আপনি অনেক খোঁজাখুজির পর নিশ্চয়ই বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা - মিরপুর চিড়িয়াখানা কিভাবে যাব তা জানার জন্যই আমাদের এই জমজম আইটি সাইটটিতে এসেছেন।
বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা - মিরপুর চিড়িয়াখানা কিভাবে যাবেন, কি কি দেখবেন জেনে নিন

হ্যাঁ আজকে আমি সঠিকভাবে বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা - মিরপুর চিড়িয়াখানা কিভাবে যাব তা নিয়ে আলোচনা করব। এই লেখার মূল বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানতে পুরো আর্টিকেলটি পড়ে ফেলুন।

বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা বিস্তারিত জেনে নিন

রাজধানী ঢাকার মিরপুরে মনোরম প্রকৃতিক পরিবেশে বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা (Bangladesh National Zoo) অবস্থিত। জনসাধারণের বিনোদন, প্রাণি বৈচিত্র সংরক্ষণ, প্রজনন, গবেষণা এবং বন্যপ্রাণি সম্পর্কিত জ্ঞান বৃদ্ধি করার উদ্দেশ্যে ১৯৫০ সালে ঢাকা হাইকোর্ট প্রাঙ্গনে অল্প সংখ্যক বন্যপ্রাণি নিয়ে বাংলাদেশে চিড়িয়াখানার যাত্রা শুরু হয়। পরবর্তীতে ১৯৬০ সালে মিরপুরে চিড়িয়াখানা স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয় এবং ১৯৭৪ সনের ২৩ জুন বর্তমান বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।
প্রায় ৭৫ হেক্টর আয়তনের বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানার মূল আকর্ষণ পৃথিবীর বিখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগার হলেও এখানে ১৯১ প্রজাতির দেশী-বিদেশী ২১৫০ টি প্রাণী রয়েছে। এদের মধ্যে চিত্রা হরিণ, বানর, নীলগাই, সিংহ, জলহস্তি, গন্ডার, ভালুক, সিংহ, কুমির, জেব্রা, ফ্লেমিংগো, কানিবক, পানকৌড়ি ও মাছরাঙা অন্যতম। আর প্রাণি জাদুঘরে রয়েছে প্রায় ২৪০ প্রজাতির স্টাফিং করা পশুপাখি। এছাড়া বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানায় ১৩ হেক্টর জায়গা জুড়ে দুইটি লেক রয়েছে।

একনজরে বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা বিস্তারিত জেনে নিন

বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা দেশের সবচেয়ে বড় ও জনপ্রিয় বিনোদন কেন্দ্রগুলোর একটি, যা ঢাকার মিরপুর এলাকায় অবস্থিত। ১৯৭৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এই চিড়িয়াখানাটি বর্তমানে প্রায় ৭৫ হেক্টর জায়গাজুড়ে বিস্তৃত এবং প্রতিবছর লাখো দর্শনার্থী এখানে ভিড় জমায়। এখানে দেশি-বিদেশি নানা প্রজাতির প্রায় তিন হাজারেরও বেশি বন্যপ্রাণী সংরক্ষিত রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে বাঘ, সিংহ, হাতি, চিতা, জেব্রা, জিরাফ, ভাল্লুক, বানর, উটপাখি, ময়ূর, বিভিন্ন প্রজাতির হরিণ এবং নানা ধরনের বিরল পাখি ও সরীসৃপ।
চিড়িয়াখানার আকর্ষণের মধ্যে রয়েছে বাঘ-সিংহের সেকশন, জিরাফের ঘেরা এলাকা, হাতির সাফারি জোন, সুন্দর পাখির এভিয়ারি এবং লেকের ধারে অবস্থিত জলচর প্রাণীর ঘেরা অঞ্চল। দর্শনার্থীদের জন্য রয়েছে পরিষ্কার পথঘাট, বসার জায়গা, বিশ্রামাগার, টিকেট কাউন্টার এবং শিশুদের জন্য ছোট বিনোদন সুবিধা। এখানে প্রতিদিন প্রাণীদের খাবার দেওয়া ও যত্ন নেওয়ার বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে, যা দর্শনার্থীদের নিকট খুব আকর্ষণীয় লাগে।
বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানার লক্ষ্য শুধু বিনোদন নয়, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ, গবেষণা এবং সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা। শিক্ষার্থী ও গবেষকদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাকেন্দ্র। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ পরিবেশ ও প্রাণী সংরক্ষণে নানা ধরনের উদ্যোগ নিয়ে থাকে, যা টেকসই জীববৈচিত্র্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সার্বিকভাবে, পরিবার, বন্ধু বা শিক্ষামূলক ভ্রমণের জন্য বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা একটি উত্তম গন্তব্য।
  • ভ্রমণ স্থানের নাম বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা
  • অবস্থান মিরপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ
  • স্থাপিত ২৩শে জুন, ১৯৭৪
  • উদ্বোধন ২৩শে জুন, ১৯৭৪
  • আয়তন ১৮৬ একর
  • প্রাণীর সংখ্যা ২১৫০
  • প্রজাতির সংখ্যা ১৯১
  • বার্ষিক পরিদর্শক ৩,০০০,০০০
  • চিড়িয়াখানা প্রবেশ মূল্য ৫০ টাকা

মিরপুর চিড়িয়াখানা কিভাবে যাব বিস্তারিত জেনে নিন

মিরপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানায় যেতে রাজধানীর যেকোনো এলাকা থেকে খুব সহজেই যাতায়াত করা যায়। ঢাকার উত্তরা, গাবতলী, কল্যাণপুর, মোহাম্মদপুর, মিরপুর-১০, মিরপুর-১, আগারগাঁও বা ফার্মগেট দিক থেকে সরাসরি বাস, রিকশা বা সিএনজি পাওয়া যায়। মেট্রোরেলের আগারগাঁও স্টেশন ও মিরপুর-১০ স্টেশন থেকেও অল্প ভাড়ায় রিকশায় চিড়িয়াখানায় পৌঁছানো সম্ভব। গাবতলী থেকে মাত্র ১০–১৫ মিনিটেই যাওয়া যায়। ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে গেলে চিড়িয়াখানার সামনে নির্দিষ্ট পার্কিং সুবিধা রয়েছে।
চিড়িয়াখানার প্রধান ফটকটি মিরপুর-১ থেকে প্রায় ৫ মিনিটের দূরত্বে। সপ্তাহের যেকোনো দিন সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকে। পরিবার, শিশু ও শিক্ষামূলক ভ্রমণের জন্য এটি অত্যন্ত সহজ এবং নিরাপদ রুট।
বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা - মিরপুর চিড়িয়াখানা কিভাবে যাব
ঢাকা থেকে মিরপুর চিড়িয়াখানা যাতায়াত ভাড়া (প্রায়):
  • বাস ভাড়া: ১৫ – ৪০ টাকা (দূরত্ব অনুযায়ী)
  • মেট্রোরেল: ২০ – ৬০ টাকা (স্টেশনভেদে)
  • রিকশা: ৩০ – ১০০ টাকা (লোকেশন অনুযায়ী)
  • সিএনজি/অটোরিকশা: ১০০ – ৩০০ টাকা
  • রাইডশেয়ার (Uber/Pathao): ১৫০ – ৩৫০ টাকা (দূরত্ব ও ট্রাফিক অনুযায়ী)
  • এসব ভাড়া সময়, ট্রাফিক ও অবস্থান অনুযায়ী কিছুটা কম-বেশি হতে পারে।
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানাগামী বাস চলাচল করে। এছাড়া নিজস্ব পরিবহণ ট্যাক্সি, সিএনজি কিংবা প্রাইভেটকার ভাড়া করেও চিড়িয়াখানায় যেতে পারবেন। 
মিরপুর চিড়িয়াখানা ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত। এটি বাংলাদেশের জাতীয় চিড়িয়াখানা। ঢাকা থেকে মিরপুর চিড়িয়াখানায় যাওয়ার জন্য বেশ কয়েকটি উপায় রয়েছে।
গাড়ি বা মোটরবাইক দিয়ে
  • আপনি যদি গাড়ি বা মোটরবাইক নিয়ে মিরপুর চিড়িয়াখানায় যেতে চান তবে আপনাকে ঢাকা থেকে মিরপুরের দিকে যেতে হবে। মিরপুরে পৌঁছানোর পর, আপনাকে মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বর থেকে চিড়িয়াখানা রোড ধরে যেতে হবে। 
  • চিড়িয়াখানা রোড ধরে প্রায় ১ কিলোমিটার যেতে হবে। এরপরই আপনি মিরপুর চিড়িয়াখানা দেখতে পাবেন।
বাস বা সিএনজি দিয়ে
  • আপনি যদি বাস বা সিএনজি দিয়ে মিরপুর চিড়িয়াখানায় যেতে চান তবে আপনাকে ঢাকার যেকোনো স্থান থেকে মিরপুরের দিকে যাওয়ার বাস বা সিএনজি ধরতে হবে। মিরপুরে পৌঁছানোর পর, আপনাকে মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বর থেকে চিড়িয়াখানা রোড ধরে যেতে হবে।
  • চিড়িয়াখানা রোড ধরে প্রায় ১ কিলোমিটার যেতে হবে। এরপরই আপনি মিরপুর চিড়িয়াখানা দেখতে পাবেন।
ট্রেনে
  • আপনি যদি ট্রেনে মিরপুর চিড়িয়াখানায় যেতে চান তবে আপনাকে ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে মিরপুরের দিকে যাওয়ার ট্রেন ধরতে হবে। মিরপুর রেলওয়ে স্টেশনে নেমে, আপনাকে মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বর থেকে চিড়িয়াখানা রোড ধরে যেতে হবে। 
  • চিড়িয়াখানা রোড ধরে প্রায় ১ কিলোমিটার যেতে হবে। এরপরই আপনি মিরপুর চিড়িয়াখানা দেখতে পাবেন।

ঢাকা থেকে মিরপুর চিড়িয়াখানায় যাওয়ার বাস

ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে মিরপুর চিড়িয়াখানায় যেতে অসংখ্য লোকাল ও সিটি বাস চলে, যা যাতায়াতকে সহজ করে তুলেছে। চিড়িয়াখানার মূল ফটক মিরপুর-১ ও মিরপুর-২ এলাকার মধ্যবর্তী স্থানে হওয়ায় প্রায় সব রুটের বাসই এখানে থামে। উত্তরা, বিমানবন্দর, ফার্মগেট, আগারগাঁও, গাবতলী, মোহাম্মদপুর, মিরপুর-১০ ও কল্যাণপুর থেকে সরাসরি বাস পাওয়া যায়।
উত্তরা ও বিমানবন্দর থেকে ট্রাস্ট, টিপু, প্রজাপতি, আলিফ বাসগুলো চিড়িয়াখানার সামনে থামে। ফার্মগেট ও আগারগাঁও থেকে এমআইটি, তৃপ্তি, বিআরটিসি বাসে সহজেই পৌঁছানো যায়। গাবতলী, কল্যাণপুর ও মোহাম্মদপুর থেকে তুরাগ, বেইলি, বাগদাদ বাস চলে যা সরাসরি মিরপুর-১–চিড়িয়াখানা রুটে চলে।
প্রতিটি বাস থেকেই “মিরপুর চিড়িয়াখানা” বললে সহজেই নামিয়ে দেয়। ভাড়া সাধারণত ১৫ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে, যাত্রা সময় ২০–৪০ মিনিট, ট্রাফিক অনুযায়ী। সাশ্রয়ী ভ্রমণের জন্য বাসই সবচেয়ে সুবিধাজনক মাধ্যম।
  • মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর থেকে চিড়িয়াখানা রোডের বিভিন্ন দিকে যাওয়ার বাস
  • মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর থেকে মিরপুর স্টেডিয়ামের দিকে যাওয়ার বাস
  • মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর থেকে মিরপুর ১০ নম্বর বাজারের দিকে যাওয়ার বাস

ঢাকা থেকে মিরপুর চিড়িয়াখানায় যাওয়ার সিএনজি

ঢাকা শহরের যেকোনো এলাকা থেকে সিএনজি অটোরিকশায় মিরপুর চিড়িয়াখানায় যাওয়া খুবই সহজ, দ্রুত এবং সুবিধাজনক। যারা পরিবারের সদস্য বা শিশুদের নিয়ে ভ্রমণে যাচ্ছেন, তারা সাধারণত সিএনজি পছন্দ করেন কারণ এটি বাসের তুলনায় আরামদায়ক ও সরাসরি গন্তব্যে পৌঁছে দেয়। উত্তরা, বিমানবন্দর, বনানী, গুলশান, ফার্মগেট, আগারগাঁও, শেওড়াপাড়া, পল্লবী বা গাবতলী যেকোনো এলাকা থেকেই সিএনজি সহজে পাওয়া যায়। চিড়িয়াখানার ঠিক সামনে নেমে যাওয়ার সুবিধাও রয়েছে।
সিএনজি ভাড়া সাধারণত দূরত্ব, রাস্তার যানজট এবং সময়ভেদে পরিবর্তিত হয়। উত্তরা বা বিমানবন্দর দিক থেকে ভাড়া ২০০–৩০০ টাকা, ফার্মগেট-আগারগাঁও এলাকা থেকে ১৫০–২০০ টাকা এবং গাবতলী বা কল্যাণপুর থেকে ১০০–১৫০ টাকার মধ্যে হতে পারে। ভোরবেলা বা রাতের দিকে ভাড়া কিছুটা বেশি হতে পারে।
যারা দ্রুত, ঝামেলামুক্ত এবং আরামদায়কভাবে মিরপুর চিড়িয়াখানায় যেতে চান, তাদের জন্য সিএনজি একটি নির্ভরযোগ্য পরিবহন মাধ্যম।
  • মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর থেকে চিড়িয়াখানা রোডের বিভিন্ন দিকে যাওয়ার সিএনজি
  • মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর থেকে মিরপুর স্টেডিয়ামের দিকে যাওয়ার সিএনজি
  • মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর থেকে মিরপুর ১০ নম্বর বাজারের দিকে যাওয়ার সিএনজি

ঢাকা থেকে মিরপুর চিড়িয়াখানায় যাওয়ার ট্রেন

ঢাকা শহরের ভেতরে সরাসরি মিরপুর চিড়িয়াখানার কাছে কোনো ট্রেন স্টেশন নেই, তাই ট্রেনে সরাসরি চিড়িয়াখানায় পৌঁছানো সম্ভব নয়। তবে ঢাকার কমলাপুর, বিমানবন্দর ও টঙ্গী স্টেশনে নামার পর সড়কপথে সহজেই মিরপুর চিড়িয়াখানায় যাওয়া যায়। যেসব যাত্রী দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ট্রেনে ঢাকায় আসেন, তারা সাধারণত কমলাপুরে নেমে সিএনজি, বাস বা রাইডশেয়ার নিয়ে চিড়িয়াখানায় পৌঁছে থাকেন।
কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে চিড়িয়াখানার দূরত্ব প্রায় ১২–১৪ কিলোমিটার। এখান থেকে সিএনজি বা রাইডশেয়ারে যেতে সময় লাগে ২৫–৪০ মিনিট। বাসে যেতে চাইলে কমলাপুর থেকে গুলিস্তান বা ফার্মগেট সেখান থেকে মিরপুরগামী বাসে উঠতে হয়।
বিমানবন্দর রেলস্টেশন থেকেও চিড়িয়াখানার সংযোগ খুব সুবিধাজনক। বিমানবন্দর থেকে সিএনজিতে ১৫–২০ মিনিটে মিরপুর-১ পৌঁছানো যায়।
ট্রেনে ঢাকা এসে সড়কপথ ব্যবহার করাই মিরপুর চিড়িয়াখানায় যাওয়ার সর্বোত্তম ও দ্রুত উপায়।
  • কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে মিরপুর রেলওয়ে স্টেশন
  • ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট রেলওয়ে স্টেশন থেকে মিরপুর রেলওয়ে স্টেশন
আপনি যেভাবেই মিরপুর চিড়িয়াখানায় যান না কেন, অবশ্যই মনে রাখবেন যে চিড়িয়াখানা খোলা থাকে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

খোলা বন্ধের সময়সূচী বিস্তারিত জেনে নিন

বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা সারাবছর দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকে এবং নির্দিষ্ট সময়সূচী অনুযায়ী পরিচালিত হয়। সাধারণত সকাল থেকেই চিড়িয়াখানায় ভিড় শুরু হয়, তাই পরিবার বা শিশুদের নিয়ে গেলে সকালবেলা যাওয়াই ভালো। চিড়িয়াখানার গেট সকাল ৯টার পর খুলে দেওয়া হয় এবং বিকেলের পর ধীরে ধীরে প্রবেশ বন্ধ করা হয়। সরকারি ছুটি, উৎসব বা বিশেষ দিবসে দর্শনার্থীর সংখ্যা বেশি হয়, তাই এসব দিনে সময় মেনে যাওয়াই উত্তম।
চিড়িয়াখানার ভেতরে প্রাণীদের খাওয়ানোর সময়, বিশ্রাম ও পরিচর্যার কারণে কিছু জায়গায় নির্দিষ্ট সময়ের পর প্রবেশ সীমিত থাকে। তাই নির্ধারিত সময়সূচী মেনে ভ্রমণ পরিকল্পনা করলে পুরো চিড়িয়াখানা ভালোভাবে ঘুরে দেখা সম্ভব। সাপ্তাহিক বন্ধের দিন ব্যতীত প্রায় প্রতিদিনই স্বাভাবিক সময় অনুযায়ী পরিচালিত হয়।
খোলা বন্ধের সময়সূচী বিস্তারিত জেনে নিন
মিরপুর জাতীয় চিড়িয়াখানার সময়সূচী (তালিকা):
  • খোলার সময়: সকাল ৯:০০ টা
  • বন্ধের সময়: সন্ধ্যা ৬:০০ টা
  • প্রবেশ বন্ধ: বিকেল ৫:০০ টা
  • টিকিট কাউন্টার খোলা: সকাল ৯:০০ টা থেকে বিকেল ৫:০০ টা
  • সাপ্তাহিক বন্ধ: বুধবার (পুরো দিন)
  • ছুটির দিনে: স্বাভাবিক সময় অনুযায়ী খোলা থাকে
  • এই সময়সূচী সাধারণত সারা বছর একই থাকে, তবে বিশেষ ক্ষেত্রে পরিবর্তন হতে পারে।
জাতীয় চিড়িয়াখানা প্রতি রবিবার বন্ধ থাকে। তবে রবিবার সরকারী ছুটির দিন হলে সেই রবিবার চিড়িয়াখানা খোলা থাকে। গ্রীষ্মকালে (এপ্রিল-অক্টোবর) সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৬ টা পর্যন্ত খোলা থাকে এবং শীতকালে (নভেম্বর-মার্চ) সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত খোলা থাকে।

প্রবেশ টিকেট মূল্য বিস্তারিত জেনে নিন

দুই বছরের বেশি যে কারও জন্যে মেইন গেইট প্রবেশ করতে টিকেট মূল্য ৫০ টাকা। জো মিউজিয়ামে প্রবেশ করতে টিকেট মূল্য ১০ টাকা। দুই বছরের কম বাচ্চার জন্যে কোন টিকেট লাগবেনা। এছাড়া স্কুল, কলেজ এবং ইউনিভার্সিটির স্টুডেন্ট এর ক্ষেত্রে প্রবেশ টিকেট মূল্য অর্ধেক। সেই ক্ষেত্রে নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আইডি কার্ড দেখাতে হবে।
  • মিরপুর জাতীয় চিড়িয়াখানার টিকেট মূল্য অত্যন্ত সাশ্রয়ী হওয়ায় প্রতিদিনই অসংখ্য দর্শনার্থী এখানে ভিড় করেন। পরিবার, শিশু বা পর্যটকদের জন্য এটি একটি বাজেট-ফ্রেন্ডলি ভ্রমণ স্পট। চিড়িয়াখানার টিকেট কাউন্টার প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে।
  • দর্শনার্থীরা কাউন্টার থেকেই টিকেট সংগ্রহ করতে পারেন, তবে ছুটির দিনে ভিড় বেশি হওয়ায় আগে যাওয়া উত্তম। প্রাপ্তবয়স্ক, শিশু, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ও বিদেশি পর্যটকদের জন্য আলাদা টিকেট মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
  • চিড়িয়াখানার ভেতরে ক্যামেরা, ভিডিওগ্রাফি বা বিশেষ আকর্ষণের জন্য অতিরিক্ত চার্জ থাকতে পারে। 
  • স্কুল/কলেজ শিক্ষার্থীরা গ্রুপ ট্যুরের ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড় পেতে পারেন, যা প্রতিষ্ঠানের সুপারিশপত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে পাওয়া যায়।
নির্ধারিত মূল্যের বাইরে কোনো অতিরিক্ত চার্জ নেই, তাই নিশ্চিন্তে টিকেট কিনে ভ্রমণ করা যায়। পরিবারসহ সাশ্রয়ী মূল্যে একটি সুন্দর দিন কাটানোর জন্য চিড়িয়াখানা অন্যতম আদর্শ স্থান।

মিরপুর চিড়িয়াখানার টিকেট মূল্য তালিকা
  • প্রাপ্তবয়স্ক: ৫০ টাকা
  • শিশু (১২ বছরের নিচে): ২০ টাকা
  • প্রতিবন্ধী ব্যক্তি: ২০ টাকা
  • বিদেশি নাগরিক: ২০০ টাকা
  • স্টিল ক্যামেরা: ১০০ টাকা (প্রয়োজনে)
  • ভিডিও ক্যামেরা: ২০০ টাকা (প্রয়োজনে)
  • মূল্য সাধারণত স্থির থাকে, তবে বিশেষ ক্ষেত্রে পরিবর্তন হতে পারে।
পিকনিক স্পট ভাড়া : 
  • উৎসব এবং নিঝুম নামের পিকনিক স্পট সারাদিনের জন্যে ভাড়া করতে লাগবে যথাক্রমে ১০,০০০ ও ৬,০০০ টাকা।
কার পার্কিং ফি : 
  • বাস, ট্রাক, মিনিবাস ধরণের যানবাহনের জন্যে ৪০ টাকা। মাইক্রোবাস, ট্যাক্সি, জীপ, প্রাইভেট কার, পিক আপ এই ধরণের গাড়ির জন্যে পার্কিং ২০টাকা। সিএনজি, টেম্পু, মটরসাইকেল ইত্যাদির জন্যে ১০টাকা। 
  • রিক্সা, বাইসাইকেল ইত্যাদির জন্যে ২ টাকা পার্কিং ফী। (সময়ে সময়ে পরিবর্তিত হয়।)

কোথায় খাবেন মিরপুর চিড়িয়াখানা বিস্তারিত জেনে নিন

চিড়িয়াখানার সামনে বেশকিছু খাবারের দোকান রয়েছে চাইলে সেখানে খেতে পারবেন। তবে অবশ্যই খাওয়ার পূর্বে খাবারের মূল্য সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নিন।
  • মিরপুর জাতীয় চিড়িয়াখানায় ঘুরতে গেলে খাবারের জন্য আপনাকে দুশ্চিন্তা করতে হবে না। চিড়িয়াখানার ভেতরে এবং বাইরে বেশ কয়েকটি খাবারের দোকান, রেস্টুরেন্ট ও ফুড কোর্ট রয়েছে। 
  • প্রধান গেটের কাছে ছোট ফাস্টফুডের দোকান, আইসক্রিম কর্নার এবং জুস বার পাওয়া যায়। এগুলোতে চিপস, সামুচা, সিঙ্গারা, পুরি, বার্গার, স্যান্ডউইচ, জুস, আইসক্রিমসহ হালকা নাস্তা থেকে শুরু করে দুপুরের খাবারের মতো বিভিন্ন আইটেম পাওয়া যায়।
  • চিড়িয়াখানার বাইরে মিরপুর-১ ও মিরপুর-২ এলাকায় অসংখ্য রেস্টুরেন্ট রয়েছে যেখানে ভাত, সবজি, মাছ, মাংস, বিরিয়ানি, খিচুড়ি, ফ্রাইড রাইসসহ বিভিন্ন খাবার খাওয়া যায়। 
  • পরিবার বা বাচ্চাদের নিয়ে গেলে বাইরে থাকা রেস্টুরেন্টগুলো বেশি আরামদায়ক। বাজেট অনুযায়ী রেস্টুরেন্টের খাবারের দামও তুলনামূলকভাবে সাশ্রয়ী।
পর্যটকদের সুবিধার্থে কিছু দোকান বিশুদ্ধ পানি, ঠান্ডা পানীয় ও স্ন্যাকস সরবরাহ করে থাকে। নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী খাবার বেছে নেওয়া সহজ এবং ঝামেলামুক্ত।
চিড়িয়াখানার ভেতর ও আশেপাশের খাবারের মূল্য তালিকা (প্রায়):
  • পুরি/সিঙ্গারা/সামুচা: ১০–১৫ টাকা
  • চা: ১০–১৫ টাকা
  • আইসক্রিম: ২০–৫০ টাকা
  • বার্গার/স্যান্ডউইচ: ৬০–১২০ টাকা
  • ফুচকা/চটপটি: ৫০–১০০ টাকা
  • জুস: ৩০–৮০ টাকা
  • ভাত+মাছ/মাংস: ১০০–১৮০ টাকা
  • বিরিয়ানি: ১৪০–১৮০ টাকা
মূল্য দোকানভেদে কিছুটা কম–বেশি হতে পারে।

চিড়িয়াখানা এর ভিতরে ঘুরা শুরু করবেন যেভাবে

প্রথমে কিছু নির্দেশনাবলী:
চিড়িয়াখানার ঘুরার জন্য চিড়িয়াখানা ঢুকে প্রথমে সোজা যাবেন। একটু সামনে গেলেই দেখতে পাবেন পুরো চিড়িয়াখানার একটি বড় ম্যাপ রয়েছে। 
চিড়িয়াখানার ভিতরে ঘোরা শুরু করবেন যেভাবে – ১০টি দিক নির্দেশনা
১. প্রধান ফটক থেকেই মানচিত্র দেখুন: ঢোকার পর পাশে থাকা ম্যাপে পুরো চিড়িয়াখানার রুট জেনে নিন।
২. ডান দিক থেকে ঘোরা শুরু করুন: বেশিরভাগ দর্শনার্থী ডানদিকের পথ থেকে বাঘ–সিংহ সেকশনের দিকে ঘোরেন, এতে রুট সহজ হয়।
৩. বড় প্রাণীগুলো আগে দেখুন: প্রথমে বাঘ, সিংহ, ভাল্লুক, জেব্রা, জিরাফ সেকশন দেখে নিন—ভিড় কম থাকে।
৪. চিহ্নিত পথ অনুসরণ করুন: প্রতিটি সেকশনে দিক নির্দেশনার বোর্ড রয়েছে, সেগুলো অনুসরণ করলে পথ হারানোর ঝুঁকি নেই।
৫. এভিয়ারি বা পাখির ঘর পরিদর্শন করুন: বড় প্রাণী দেখার পর পাখির সেকশনে যান—এটি মাঝামাঝি অবস্থানে।
৬. লেকের ধারের লম্বা রুট শেষ দিকে রাখুন: লেক ঘেঁষা অংশে জলজ প্রাণী ও হরিণের সেকশন আছে, এগুলো ধীরে-ধীরে উপভোগ করুন।
৭. ছোটদের জন্য শিশু কর্নার ঘুরুন: শিশুদের খেলাধুলার জায়গা আছে, চাইলে কিছুক্ষণ বিরতি নিন।
৮. বিশ্রাম নিন: বেঞ্চ বা ছায়াযুক্ত স্থানে ছোট বিরতি নিন, পানি পান করুন।
৯. শেষে সরীসৃপ সেকশন দেখুন: সাপ, কুমির, টিকটিকির সেকশনটি সাধারণত ভেতরের দিকে—শেষ দিকে রাখা ভালো।
১০. রুট শেষ করে একই পথে বের হবেন না: নির্দিষ্ট এক্সিট গেট ব্যবহার করুন, এতে ভিড় কম হবে এবং সময়ও বাঁচবে।
এই নির্দেশনা মেনে চললে পুরো চিড়িয়াখানা সহজে ও উপভোগ্যভাবে ঘুরে দেখা যাবে।
  • সাথে দেখতে পাবেন সামনেই একটি বানরের খাঁচা। বানরের সাথে দেখা করার পর আপনি হাতের বা দিকে যাবেন।
  • হাতের বা দিক দিয়ে ঘুরতে ঘুরতে আপনি আস্তে আস্তে ডান দিকে যাবেন। এভাবে করেই আপনার পুরো চিড়িয়াখানা ঘুরা শেষ করবেন। চিড়িয়াখানাও এই নিয়ম টা ই দিয়েছে। যাতে আপনি পুরো চিড়িয়াখানার সব গুলো প্রানির দেখা পান।
চিড়িয়াখানা ঢুকার পূর্বে সাথে পানি এবং শুঁকন খাবার নিয়ে নিন। কারন, এতো বড় চিড়িয়াখানা ঘুরতে ঘুরতে আপনি ক্লান্ত হয়ে পড়তে পারেন। তাছাড়া, উচু নিচু যায়গা দিয়েই আপনাকে ভ্রমন করতে হবে।
যতটা সম্ভব খোলামেলা জামাকাপড় পড়ে চিড়িয়াখানা যাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে ক্লান্তি কম লাগবে।
ভ্রমন উপযোগী জুতা পরার চেষ্টা করুন।
সবসময় আপনার মানিব্যাগ এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আপনার হেফাজতে রাখুন।

চলুন চিড়িয়াখানা ভ্রমন শুরু করা যাক

১. মানচিত্র দেখে রুট ঠিক করুন: প্রবেশের পর চিড়িয়াখানার ম্যাপ দেখে কোন দিক থেকে ঘোরার পরিকল্পনা নিন।
২. বড় প্রাণী দিয়ে শুরু করুন: প্রথমে বাঘ, সিংহ, জিরাফ, জেব্রা ও হাতির সেকশন ঘুরে দেখুন।
৩. এরপর পাখি ও সরীসৃপ সেকশন: মাঝামাঝি অংশে থাকা এভিয়ারি ও শেষের দিকে সরীসৃপঘর ঘুরুন।
৪. লেকের ধারে হাঁটুন: হরিণ, জলজ প্রাণী ও সবুজ পরিবেশ উপভোগ করতে লেক এলাকাটি ঘুরে দেখুন।
৫. বিরতি নিন ও নিরাপত্তা মানুন: বিশ্রাম নিন, পানি পান করুন এবং প্রাণী খাঁচার কাছে বেশি ঝুঁকে ছবি তুলবেন না।
এই সংক্ষিপ্ত গাইড অনুসরণ করলে অল্প সময়ে পুরো চিড়িয়াখানা সুন্দরভাবে ঘুরে দেখা সম্ভব।
হাতের বা দিক দিয়ে গেলে এক এক করে দেখতে পাবেন গণ্ডার, গরিয়াল, হরিন, গয়াল, হাতি, জিরাফ ইতাদি প্রানির খাঁচা। আপনি কম সময় নিয়ে সব প্রানি দেখার জন্য দ্রুত হাটবেন না। এতে আপনি দ্রুতই ক্লান্ত হয়ে পড়বেন।
  • হাটতে হাটতে সবচেয়ে বেশি ভীড় দেখতে পাবেন জিরাফ এর খাচার দিকে। আমি যতবারই চিড়িয়াখানায় গিয়েছি, ততবারই এই বিষয়টা লক্ষ্য করেছি।
আমি প্রথম চিড়িয়াখানা এসেছিলাম আমার চাচা (জাকির হোসেন) এর হাত ধরে। তখন আমার বয়স আনুমানিক ৭ কি ৮ বছর। আমি আমার মেঝো ভাই মোয়াজ্জেম হোসেন কে চাচা এখানে ঘুরতে নিয়ে এসেছিলেন।

বাঘ এবং সিংহের খাঁচা বিস্তারিত জেনে নিন

বাঘ এবং সিংহের খাঁচা রয়েছে চিড়িয়াখানার একেবারে শেষের দিকে। আপনি সাপ এর সাথে দেখা করে একটু সামনে এগিয়ে দেখতে পাবেন বেশ বড় হরিন এর খাঁচা। হরিন এর খাচার পাশদিয়ে বা দিকে গেলেই দেখতে পাবেন বিশাল এর ঝিল। তার ডান পাশেই বাঘ এবং সিংহের খাঁচা।
বাঘ এবং সিংহের খাঁচা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন  ১০টি দিক নির্দেশনা
১. প্রবেশের আগে নিরাপত্তা লক্ষ্য করুন: খাঁচার চারপাশে রেলিং বা দেয়াল আছে, কখনোই সেগুলো অতিক্রম করবেন না।
২. দূর থেকে পর্যবেক্ষণ করুন: বাঘ ও সিংহের আচরণ বোঝার জন্য কমপক্ষে ৫–৬ মিটার দূরত্ব বজায় রাখুন।
৩. শান্তভাবে চলাফেরা করুন: হঠাৎ চিৎকার বা দৌড় করলে প্রাণীরা উত্তেজিত হতে পারে।
৪. খাবার বা কোনো বস্তু ছুঁড়ে দেবেন না: এটি প্রাণীদের জন্য ক্ষতিকর এবং বিপজ্জনক।
৫. ছবি তোলার সময় ফ্ল্যাশ ব্যবহার করবেন না: ফ্ল্যাশ বাঘ ও সিংহকে অস্বস্তি দেয়।
৬. ছোট শিশুদের হাতে ধরে রাখুন: বাচ্চারা ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে যেতে না পারে।
৭. খাঁচার ভিতরে প্রবেশ নিষেধ: কোনো অবস্থাতেই খাঁচার ভিতরে প্রবেশ করা যাবে না।
৮. গাইড বা বোর্ডের নির্দেশনা মানুন: প্রতিটি খাঁচার পাশে সতর্কতা ও তথ্যবর্ননা বোর্ড থাকে।
৯. প্রাণীদের আচরণ পর্যবেক্ষণ করুন: বিশ্রামরত, খাচ্ছে বা খেলছে—কোন অবস্থায় তারা আছে তা লক্ষ্য করুন।
১০. সময় অনুযায়ী দেখুন: সকাল বা বিকেল বেলা প্রাণীরা বেশি সক্রিয় থাকে, তাই সেই সময়ে দর্শন উপভোগ করা উত্তম।
এই নির্দেশনা মেনে চললে বাঘ ও সিংহের খাঁচা ঘুরে নিরাপদ ও আনন্দময় অভিজ্ঞতা পাওয়া যাবে।

এরপর আবারো হরিনের খাঁচা বিস্তারিত জেনে নিন

আপনি ঠিকমত সবগুলো খাঁচায় ঘুরলে আপনার প্রায় ১ দিন সময় লেগে যাবে।
হরিণ এর খাঁচার পাশেই ছোট ছোট টুল রয়েছে। ক্লান্ত বোধ করলে কিছুক্ষন বিশ্রাম নিয়ে নিতে পারেন।
হরিণের খাঁচা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন  ১০টি দিক নির্দেশনা
১. প্রবেশের আগে নিরাপত্তা পরীক্ষা করুন: খাঁচার চারপাশে থাকা রেলিং বা বেড়ি অতিক্রম করবেন না।
২. শান্তভাবে চলাফেরা করুন: হঠাৎ দৌড় বা চিৎকার হরিণদের আতঙ্কিত করতে পারে।
৩. দূরত্ব বজায় রাখুন: খাঁচার সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠ contacto করা বা হাত বাড়ানো নিরাপদ নয়।
৪. খাবার না দিন: হরিণের জন্য নির্ধারিত খাবার ছাড়া কিছু না ছুঁড়ে দিন।
৫. ছবি তোলার সময় ফ্ল্যাশ বন্ধ রাখুন: হঠাৎ আলো হরিণকে ভয় দেখাতে পারে।
৬. ছোট শিশুদের পর্যবেক্ষণ করুন: তারা খাঁচার কাছে ঝুঁকিপূর্ণভাবে যেতে না পারে।
৭. গাইডের নির্দেশনা মানুন: খাঁচার পাশে থাকা তথ্য ও সতর্কতা বোর্ড পড়ুন।
৮. প্রাণীর আচরণ পর্যবেক্ষণ করুন: হরিণ শিথিল, খাচ্ছে বা দৌড়াচ্ছে—এটি লক্ষ্য করুন।
৯. শান্ত পরিবেশ বজায় রাখুন: হরিণকে স্ট্রেসমুক্ত রাখতে গোলযোগ সৃষ্টি করবেন না।
১০. সঠিক সময়ে দেখুন: সকাল বা বিকেলের সময় হরিণ বেশি সক্রিয় থাকে, তাই সেই সময় দর্শন উপভোগ করুন।
এই নির্দেশনা মেনে চললে হরিণের খাঁচা ঘুরে নিরাপদ ও আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতা লাভ করা সম্ভব।

প্রাণী জাদুঘর - বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা

চিড়িয়াখানা এর ভিতরেই রয়েছে প্রাণী জাদুঘর। এখানে আপনি ঘোড়ার ডিম থেকে শুরু করে হাজার বছর পুরনো কচ্ছপ দেখতে পাবেন। এছাড়াও নানা প্রজাতির সাপ ও অন্যান্য প্রানি রয়েছে এই প্রাণী জাদুঘরে।
প্রাণী জাদুঘর – বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা (১৫টি দিক নির্দেশনা)
১. প্রবেশের আগে টিকিট সংগ্রহ করুন: প্রাণী জাদুঘরের জন্য আলাদা বা সাধারণ চিড়িয়াখানা টিকেট থাকতে পারে।
২. প্রবেশের সময়সূচী দেখুন: সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে।
৩. মানচিত্র ব্যবহার করুন: ভেতরের রুমগুলো এবং প্রদর্শনী সেকশনগুলো দেখে পরিকল্পনা করুন।
৪. শান্তভাবে ঘুরুন: হঠাৎ দৌড় বা চিৎকার করলে দর্শনার্থীদের অসুবিধা হতে পারে।
৫. ছবি তোলার নিয়ম মানুন: ফ্ল্যাশ ব্যবহার নিষিদ্ধ, ক্যামেরা নিরাপদভাবে ব্যবহার করুন।
৬. প্রদর্শনীর ব্যাখ্যা পড়ুন: প্রতিটি প্রাণীর পাশে তথ্য ও শিক্ষামূলক বোর্ড থাকে।
৭. শিশুদের সঙ্গে মনোযোগী থাকুন: তারা প্রদর্শনীতে খুব আগ্রহী থাকে, সতর্ক থাকুন।
৮. প্রাণী ও নমুনার কাছে ছোঁবেন না: জীবন্ত বা সংরক্ষিত প্রাণীর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ এড়ান।
৯. সাউন্ড বা শব্দ কম রাখুন: পরিবেশ শিক্ষামূলক, তাই শান্তি বজায় রাখুন।
১০. প্রদর্শনীর রুট অনুসরণ করুন: নির্দিষ্ট পথ মেনে ঘোরা সহজ ও নিরাপদ।
১১. বিরতি নিন: ছোট বিরতি বা বসার জায়গা রয়েছে, প্রয়োজন হলে বিশ্রাম নিন।
১২. গাইড সেবা ব্যবহার করুন: চাইলে গাইডের মাধ্যমে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়।
১৩. পানির বোতল সঙ্গে রাখুন: দীর্ঘ ভ্রমণে জল পান করা গুরুত্বপূর্ণ।
১৪. নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঘুরুন: সময়ের সাশ্রয় ও অন্য দর্শনার্থীর সুবিধার জন্য।
১৫. পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখুন: কোনো জিনিস বা কাগজ খারাপ স্থানে ফেলবেন না।
এই নির্দেশনাগুলো মেনে চললে প্রাণী জাদুঘর ঘুরে শিক্ষামূলক ও আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতা লাভ করা সম্ভব।

চিড়িয়াখানা ও কিছু প্রশ্ন-উত্তর বিস্তারিত জেনে নিন

এখানে বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা ও প্রাণী জাদুঘর সম্পর্কিত ৫০টি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও তাদের সংক্ষিপ্ত উত্তর দেওয়া হলো। এটি শিক্ষামূলক ভ্রমণ, পরীক্ষার প্রস্তুতি বা সাধারণ জ্ঞানের জন্য সহায়ক হবে।
  • চিড়িয়াখানা সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তর 
চিড়িয়াখানার ঠিকানা কোথায়?
→ ঢাকার মিরপুর-১ এলাকায় অবস্থিত।
চিড়িয়াখানা কখন প্রতিষ্ঠিত হয়?
→ ১৯৭৪ সালে।
চিড়িয়াখানার আয়তন কত?
→ প্রায় ৭৫ হেক্টর।
চিড়িয়াখানায় কত প্রজাতির প্রাণী আছে?
→ প্রায় ৩,০০০ প্রাণী।
বড় প্রাণীদের মধ্যে কী আছে?
→ বাঘ, সিংহ, হাতি, জিরাফ, জেব্রা।
পাখির জন্য কোন এলাকা আছে?
→ এভিয়ারি বা পাখির ঘর।
জলচর প্রাণীর জন্য কোন স্থান আছে?
→ লেকের ধারের জলচর এলাকা।
চিড়িয়াখানার খোলা সময় কী?
→ সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা।
চিড়িয়াখানা কোন দিনে বন্ধ থাকে?
→ বুধবার।
প্রবেশ টিকেটের মূল্য কত?
→ প্রাপ্তবয়স্ক: ৫০ টাকা, শিশু: ২০ টাকা।
বিদেশি নাগরিকদের টিকেট মূল্য কত?
→ ২০০ টাকা।
ছাত্রদের জন্য কি ছাড় আছে?
→ স্কুল/কলেজ শিক্ষার্থীরা গ্রুপ ট্যুরে ছাড় পেতে পারে।
চিড়িয়াখানায় কোন ধরনের খাবারের দোকান আছে?
→ ফাস্টফুড, আইসক্রিম, জুস, হালকা নাস্তা।
পরিবারসহ ভ্রমণকারীদের জন্য সুবিধা আছে কি?
→ হাঁটার পথ, বেঞ্চ, শিশু কর্নার ও বিশ্রামের জায়গা।
সিএনজি দিয়ে চিড়িয়াখানায় যাওয়া কত সুবিধাজনক?
→ দ্রুত ও আরামদায়ক, ভাড়া ১৫০–৩০০ টাকা।
বাসের মাধ্যমে যাতায়াত কত?
→ ভাড়া ১৫–৪০ টাকা, ট্রাফিক অনুযায়ী ২০–৪০ মিনিট।
ট্রেন দিয়ে কি সরাসরি চিড়িয়াখানায় যাওয়া সম্ভব?
→ না, তবে কমলাপুর বা বিমানবন্দর থেকে সড়কপথ ব্যবহার করতে হয়।
প্রধান আকর্ষণ কোনটি?
→ বাঘ, সিংহ, হাতি, জিরাফ এবং পাখির সেকশন।
শিশুদের জন্য কোন বিনোদন আছে?
→ শিশু কর্নার ও ছোট পার্ক।
চিড়িয়াখানায় নিরাপত্তা কেমন?
→ প্রতিটি খাঁচার চারপাশে রেলিং ও বেড়ি আছে।
ছবি তোলার নিয়ম কী?
→ ফ্ল্যাশ ব্যবহার নিষেধ।
প্রাণীর খাবার দেওয়া কি অনুমোদিত?
→ না, নির্ধারিত খাবার ছাড়া কিছু দেওয়া যাবে না।
বিরতি নেয়ার সুবিধা আছে কি?
→ হ্যাঁ, বেঞ্চ ও ছায়াযুক্ত স্থান আছে।
গাইড সেবা আছে কি?
→ চাইলে পাওয়া যায়।
পরিবেশ সংরক্ষণে কি পদক্ষেপ আছে?
→ শিক্ষা ও সচেতনতা কার্যক্রম চালু।
  • প্রাণী জাদুঘর সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তর
প্রাণী জাদুঘর কোথায়?
→ চিড়িয়াখানার ভেতরে।
প্রাণী জাদুঘরে কি দেখা যায়?
→ সংরক্ষিত ও মৃত প্রাণীর নমুনা, হাড়, খোলস, পাখি ও সরীসৃপ।
জাদুঘরের খোলা সময় কী?
→ সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা।
কোনো টিকেট আলাদা লাগে কি?
→ সাধারণ টিকেট দিয়ে প্রবেশ সম্ভব।
জাদুঘরে ছবি তোলা যায় কি?
→ হ্যাঁ, তবে ফ্ল্যাশ নিষিদ্ধ।
শিশুরা জাদুঘর উপভোগ করতে পারবে কি?
→ হ্যাঁ, এটি শিক্ষামূলক।
প্রদর্শনীর মানচিত্র কোথায় পাবেন?
→ প্রবেশপথে বা গাইডের কাছ থেকে।
প্রাণীর নাম ও তথ্য কোথায় লেখা থাকে?
→ প্রতিটি প্রদর্শনী বোর্ডে।
জাদুঘরের পরিবেশ কেমন?
→ শান্ত, শিক্ষামূলক ও শিক্ষানুরূপ।
প্রাণী জাদুঘরের প্রধান উদ্দেশ্য কী?
→ শিক্ষা, গবেষণা ও সচেতনতা বৃদ্ধি।
ছোট শিশুদের সঙ্গে কি নিরাপদ?
→ হ্যাঁ, অভিভাবক পর্যবেক্ষণ করলে।
গাইডের মাধ্যমে বিস্তারিত জানা যায় কি?
→ হ্যাঁ, চাইলে গাইড পাওয়া যায়।
জল পান করা যায় কি?
→ হ্যাঁ, বোতল পানির সুবিধা আছে।
বিরতি নেওয়ার জায়গা আছে কি?
→ হ্যাঁ, সিট বা বেঞ্চে।
কোনো নির্দিষ্ট রুট অনুসরণ করা উচিত?
→ হ্যাঁ, এক্সিট ও নির্দিষ্ট পথ মেনে চলা।
প্রদর্শনীর প্রতি শান্তি বজায় রাখা কেন জরুরি?
→ অন্য দর্শনার্থী এবং শিক্ষামূলক পরিবেশের জন্য।
সংরক্ষিত প্রাণীকে স্পর্শ করা যায় কি?
→ না, ঝুঁকিপূর্ণ।
প্রদর্শনী ঘুরার সময় কি সময়কাল লাগে?
→ প্রায় ১–২ ঘন্টা।
প্রাণী জাদুঘরে শিক্ষামূলক কার্যক্রম হয় কি?
→ হ্যাঁ, স্কুল ও কলেজ শিক্ষার্থীদের জন্য।
ভ্রমণের সময় কোনো নিয়ম মানা জরুরি?
→ হ্যাঁ, নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে।
পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখতে কি করা উচিত?
→ কোনো বর্জ্য না ফেলা।
প্রদর্শনীতে কোন প্রাণী বেশি আকর্ষণীয়?
→ বাঘ, সিংহ, হাতি ও বিরল পাখি।
প্রাণী জাদুঘরের নিরাপত্তা কেমন?
→ পর্যবেক্ষণ ও গাইডের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ।
শিশুদের জন্য কন্টেন্ট কি শিক্ষামূলক?
→ হ্যাঁ, প্রাণী ও পরিবেশ সচেতনতা বাড়ায়।
প্রাণী জাদুঘরের উদ্দেশ্য কি সংক্ষেপে?
→ দর্শনার্থীদের শিক্ষামূলক, বিনোদন ও সচেতন অভিজ্ঞতা দেওয়া।
মিরপুর চিড়িয়াখানা কোথায় অবস্থিত ?
  • বাংলাদেশের ঢাকা জেলার মিরপুর থানায় অবস্থিত।
মিরপুর চিড়িয়াখানা কিভাবে যাব ?
  • রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে চিড়িয়াখানাগামী বাস চলাচল করে। আপনি বাসে যেতে পারেন। এছাড়া নিজস্ব পরিবহণ ট্যাক্সি, সিএনজি কিংবা প্রাইভেটকার ভাড়া করেও চিড়িয়াখানায় যাওয়া যায়।
মিরপুর চিড়িয়াখানা কত নাম্বারে ?
  • মিরপুর চিড়িয়াখানা: মিরপুর – ২ নাম্বারে অবস্থিত। মিরপুর ১ নাম্বার হয়ে সনি সিনেমা হল দিয়ে কিছুটা গেলেই মিরপুর ২ নাম্বার। এখানেই বাংলাদেশর জাতীয় চিড়িয়াখানা অবস্থিত।
চিড়িয়াখানা প্রবেশ মূল্য কত ?
  • বর্তমানে জাতীয় চিড়িয়াখানা প্রবেশ মূল্য বাড়ানো হয়েছে। পূর্বে টিকিটের দাম ছিল ৩০ টাকা। এখন দুই বছরের ঊর্ধ্বে সবার জন্য প্রবেশ মূল্য টিকিট ৫০ টাকা। 
  • তবে ইউনিফর্ম পরিহিত অবস্থায় শিক্ষার্থীদের প্রবেশ মূল্যে ৫০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়ে থাকে।

মিরপুর চিড়িয়াখানা গাড়ি পার্কিং ফি কত  জেনে নিন

বাস, ট্রাক, মিনিবাস ধরণের যানবাহনের জন্যে ৪০ টাকা (কম বেশি হতে পারে)। মাইক্রোবাস, ট্যাক্সি, জীপ, প্রাইভেট কার, পিক আপ এই ধরণের গাড়ির জন্যে পার্কিং ২০ টাকা (কম বেশি হতে পারে)। সিএনজি, টেম্পু, মটরসাইকেল ইত্যাদির জন্যে ১০ টাকা (কম বেশি হতে পারে)। রিক্সা, বাইসাইকেল ইত্যাদির জন্যে ২ টাকা পার্কিং ফী (কম বেশি হতে পারে)।
মিরপুর (বাংলাদেশ জাতীয়) চিড়িয়াখানার গাড়ি পার্কিং ফি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নিচে দেওয়া হলো:
মিরপুর চিড়িয়াখানায় পার্কিং সুবিধা রয়েছে এবং গাড়ি পার্ক করার জন্য নির্ধারিত ফি রয়েছে। ঢাকার জাতীয় চিড়িয়াখানা অফিসিয়াল দাম অনুযায়ী: মিরপুর চিড়িয়াখানা
গাড়ি পার্কিং ফি তালিকা:
  • বড় যানবাহন (বাস, ট্রাক, লরি, মিনি বাস ইত্যাদি): ১৪০ টাকা 
  • ছোট মোটর যানবাহন (কার, জিপ, টেক্সি, মাইক্রোবাস): ৯০ টাকা 
  • সিএনজি, মোটরসাইকেল, অটো টেম্পো: ৭০ টাকা 
  • রিকশা, ভ্যান, সাইকেল: ২০ টাকা 
সার্বিকভাবে, পার্কিং ফি খুবই সাশ্রয়ী এবং বিভিন্ন ধরনের যানবাহনের জন্য আলাদা ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে, যা দর্শনার্থীদের জন্য সুবিধাজনক।
কোথায় খাবেন ?
  • চিড়িয়াখানার সামনে অনেক খাবারের দোকান রয়েছে। আপনি চাইলে এখানে খেতে পারেন। এখানে খাবারের দাম বেশি। অবশ্যই খাওয়ার পূর্বে খাবারের মূল্য সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নিবেন। এছাড়া মিরপুর ১ নাম্বারে খুব ভালো মানের খাবারের হোটেল রয়েছে।
যোগাযোগ - মিরপুর চিড়িয়াখানা
  • Bangladesh National Zoo
  • চিড়িয়াখানা রোড, মিরপুর, ঢাকা – ১২১৬
  • ফোন: +88 02 58053030
দৃষ্টি আকর্ষণ : 
  • যে কোন পর্যটন স্থান আমাদের সম্পদ, আমাদের দেশের সম্পদ। এইসব স্থানের প্রাকৃতিক কিংবা সৌন্দর্য্যের জন্যে ক্ষতিকর এমন কিছু করা থেকে বিরত থাকুন, অন্যদেরকেও উৎসাহিত করুন।
  •  দেশ আমাদের, দেশের সকল কিছুর প্রতি যত্নবান হবার দায়িত্বও আমাদের।
সতর্কতাঃ 
বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা: সতর্কতার ৫টি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট
১. খাঁচা অতিক্রম করবেন না: বাঘ, সিংহ, হাতি বা অন্য কোনো প্রাণীর খাঁচার ভিতরে প্রবেশ করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।
২. শান্তভাবে চলাফেরা করুন: হঠাৎ চিৎকার বা দৌড়ালে প্রাণীরা আতঙ্কিত হতে পারে এবং অন্য দর্শনার্থীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়।
৩. খাবার বা বস্তু ছুঁড়ে দেবেন না: খাঁচার ভিতরে বা প্রাণীর দিকে কোনো খাবার বা বস্তু না ছুঁড়ুন, এটি বিপজ্জনক।
৪. ছবি তোলার নিয়ম মেনে চলুন: ফ্ল্যাশ ব্যবহার নিষিদ্ধ, ক্যামেরা নিরাপদভাবে ব্যবহার করুন।
৫. ছোট শিশু ও প্রতিবন্ধী দর্শনার্থীদের নজরদারি করুন: তারা খাঁচার কাছাকাছি ঝুঁকিপূর্ণভাবে যেতে পারে, তাই অভিভাবক বা সহযোগী থাকতে হবে।
এই ৫টি সতর্কতা মেনে চললে চিড়িয়াখানা ঘোরা নিরাপদ, শান্ত এবং উপভোগ্য হবে।
  • হোটেল, রিসোর্ট, যানবাহন ভাড়া ও অন্যান্য খরচ সময়ের সাথে পরিবর্তন হয় তাই আমাদের প্রকাশিত তথ্য বর্তমানের সাথে মিল না থাকতে পারে। 
  • তাই অনুগ্রহ করে আপনি কোথায় ভ্রমণে যাওয়ার আগে বর্তমান ভাড়া ও খরচের তথ্য জেনে পরিকল্পনা করবেন। 
এছাড়া আপনাদের সুবিধার জন্যে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে হোটেল, রিসোর্ট, যানবাহন ও নানা রকম যোগাযোগ এর মোবাইল নাম্বার দেওয়া হয়। এসব নাম্বারে কোনরূপ আর্থিক লেনদেনের আগে যাচাই করার অনুরোধ করা হলো। কোন আর্থিক ক্ষতি বা কোন প্রকার সমস্যা হলে তার জন্যে আমাদের সাইট দায়ী থাকবে না।

উপসংহার

প্রিয় পাঠক আজ বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা - মিরপুর চিড়িয়াখানা কিভাবে যাব নিয়ে আলোচনা করলাম। আগামীতে অন্য কোন টপিক নিয়ে হাজির হবো।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

জমজম আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url