কোরবানির ফজিলত সম্পর্কে হাদিস ও পশু নির্বাচন

ভূমিকা

সুপ্রিয় পাঠক আজকাল অনেকেই অনলাইনে কোরবানির ফজিলত সম্পর্কে হাদিস ও পশু নির্বাচন নিয়ে জানতে চান। আপনিও হয়তো অনেক খোঁজাখুঁজির পর নিশ্চয়ই কোরবানির ফজিলত সম্পর্কে হাদিস ও পশু নির্বাচন কি তা জানার জন্যই আমাদের এই সাইটটিতে এসেছেন।
হ্যাঁ আজকে আমি সঠিকভাবে কোরবানির ফজিলত সম্পর্কে হাদিস ও পশু নির্বাচন তা নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করব। চলুন এই লেখার মূল বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানতে নিচের লেখাটি পড়ে ফেলি।

কুরবানী সম্পর্কে হাদিস

কুরবানী সম্পর্কে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ হাদীস নিম্নে উল্লেখ করা হলো: আসুন এখন আর দেরি না করে আমরা কুরবানী সম্পর্কে হাদিস বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি। জমজম আইটির কুরবানী সম্পর্কে হাদিস নিয়ে বিস্তারিত জানার জন্য নিচের লেখা গুলো পুরোপুরি পড়ে নিন।
১. কুরবানীর ফযীলত সম্পর্কে:
رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ: "مَا عَمِلَ آدَمِيٌّ مِنْ عَمَلٍ يَوْمَ النَّحْرِ أَحَبَّ إِلَى اللَّهِ مِنْ إِهْرَاقِ الدَّمِ، إِنَّهَا لَتَأْتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ بِقُرُونِهَا وَأَشْعَارِهَا وَأَظْلاَفِهَا، وَإِنَّ الدَّمَ لَيَقَعُ مِنَ اللَّهِ بِمَكَانٍ قَبْلَ أَنْ يَقَعَ مِنَ الأَرْضِ، فَطِيبُوا بِهَا نَفْسًا" (তিরমিযী, ইবনে মাজাহ)
  • অর্থ: রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, "কুরবানীর দিন আল্লাহর নিকট রক্ত প্রবাহিত করার চেয়ে প্রিয় কোনো আমল আদম সন্তান করে না। কিয়ামতের দিন কুরবানীর পশু তার শিং, পশম ও খুরসহ উপস্থিত হবে। নিশ্চয়ই রক্ত জমিনে পড়ার আগেই আল্লাহর নিকট পৌঁছে যায়। সুতরাং তোমরা আনন্দিত মনে কুরবানী কর।"
২. কুরবানীর গুরুত্ব:
عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ: "مَا عَمِلَ ابْنُ آدَمَ يَوْمَ النَّحْرِ عَمَلاً أَحَبَّ إِلَى اللَّهِ مِنْ إِهْرَاقِ الدَّمِ، وَإِنَّهُ لَيَأْتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ بِقُرُونِهَا وَأَشْعَارِهَا وَأَظْلاَفِهَا، وَإِنَّ الدَّمَ لَيَقَعُ مِنَ اللَّهِ بِمَكَانٍ قَبْلَ أَنْ يَقَعَ عَلَى الأَرْضِ، فَطِيبُوا بِهَا نَفْسًا" (ইবনে মাজাহ)
  • অর্থ: হযরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবীজি (সা.) বলেছেন, "কুরবানীর দিনে আদম সন্তানের কোনো আমল আল্লাহর নিকট রক্ত প্রবাহিত করার চেয়ে বেশি প্রিয় নয়। কিয়ামতের দিন তা তার শিং, পশম ও খুরসহ উপস্থিত হবে। নিশ্চয়ই রক্ত জমিনে পড়ার আগেই আল্লাহর নিকট পৌঁছে যায়। সুতরাং তোমরা খুশি মনে কুরবানী কর।"
৩. সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কুরবানী না দেওয়ার ব্যাপারে সতর্কতা:
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ: "مَنْ كَانَ لَهُ سَعَةٌ وَلَمْ يُضَحِّ فَلاَ يَقْرَبَنَّ مُصَلاَّنَا"
(ইবনে মাজাহ, মুসনাদে আহমাদ)
  • অর্থ: হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, "যার সামর্থ্য আছে অথচ সে কুরবানী করে না, সে যেন আমাদের ঈদগাহের নিকটেও না আসে।"
৪. কুরবানীর পশুর গুণগত মান সম্পর্কে:
عَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: "كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُضَحِّي بِكَبْشَيْنِ أَمْلَحَيْنِ أَقْرَنَيْنِ، وَيَضَعُ رِجْلَهُ عَلَى صَفْحَتِهِمَا وَيَذْبَحُهُمَا بِيَدِهِ" (বুখারী, মুসলিম)
  • অর্থ: হযরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, "নবীজি (সা.) দুটি সাদা-কালো মিশ্রিত রংয়ের, শিংওয়ালা দুম্বা কুরবানী করতেন। তিনি নিজ হাতে জবাই করার সময় তাদের পাশে পা রাখতেন।"
৫. কুরবানীর সময় সদকার গুরুত্ব:
عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ أَصْحَابُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم: يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَا هَذِهِ الأَضَاحِيُّ؟ قَالَ: "سُنَّةُ أَبِيكُمْ إِبْرَاهِيمَ". قَالُوا: فَمَا لَنَا فِيهَا؟ قَالَ: "بِكُلِّ شَعَرَةٍ حَسَنَةٌ". قَالُوا: فَالصُّوفُ؟ قَالَ: "بِكُلِّ شَعَرَةٍ مِنَ الصُّوفِ حَسَنَةٌ" (ইবনে মাজাহ)
  • অর্থ: হযরত যায়েদ ইবনে আরকাম (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর সাহাবীরা জিজ্ঞাসা করলেন, "ইয়া রাসূলুল্লাহ! এই কুরবানী কী?" তিনি বললেন, "এটা তোমাদের পিতা ইবরাহীম (আ.)-এর সুন্নাত।" তারা বললেন, "এতে আমাদের জন্য কী সওয়াব আছে?" তিনি বললেন, "পশুর প্রতিটি পশমের বিনিময়ে একটি করে নেকী।" তারা বললেন, "যদি পশম হয়?" তিনি বললেন, "পশমের প্রতিটি লোমের বিনিময়েও একটি করে নেকী।"
৬. কুরবানীর মাংস বণ্টন সম্পর্কে:
عَنْ سَلْمَانَ بْنِ عَامِرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم: "مَنْ ضَحَّى مِنْكُمْ فَلاَ يُصْبِحَنَّ بَعْدَ ثَالِثَةٍ وَفِي بَيْتِهِ مِنْهُ شَيْءٌ". فَلَمَّا كَانَ الْعَامُ الْمُقْبِلُ قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، نَفْعَلُ كَمَا فَعَلْنَا عَامَ أَوَّلَ؟ قَالَ: "كُلُوا وَأَطْعِمُوا وَادَّخِرُوا، فَإِنَّ ذَلِكَ الْعَامَ كَانَ بِالنَّاسِ جَهْدٌ فَأَرَدْتُ أَنْ تُعِينُوا فِيهَا" (বুখারী, মুসলিম)
  • অর্থ: হযরত সালমান ইবনে আমির (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, "তোমাদের মধ্যে যে কুরবানী করবে, সে যেন তিন দিন পরও তার ঘরে কিছু সংরক্ষণ না রাখে।" পরের বছর সাহাবীরা জিজ্ঞাসা করলেন, "ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমরা কি গত বছরের মতই করব?" তিনি বললেন, "খাও, খাওয়াও এবং সংরক্ষণ কর। কারণ গত বছর মানুষ অভাবগ্রস্ত ছিল, তাই আমি চেয়েছিলাম তোমরা তাদের সাহায্য কর।"
৭. কুরবানীর নিয়তের গুরুত্ব:
عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم: "إِنَّمَا الأَعْمَالُ بِالنِّيَّاتِ، وَإِنَّمَا لِكُلِّ امْرِئٍ مَا نَوَى"
(বুখারী, মুসলিম)
  • অর্থ: হযরত উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, "নিশ্চয়ই সকল কাজের ফলাফল নির্ভর করে নিয়তের উপর। প্রত্যেক ব্যক্তি যা নিয়ত করবে, তাই পাবে।"
এই হাদীসগুলো থেকে বোঝা যায় যে:
  • কুরবানী আল্লাহর নিকট অত্যন্ত প্রিয় ইবাদত
  • সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কুরবানী না দেওয়া অনুচিত
  • উত্তম পশু দিয়ে কুরবানী দেওয়া মুস্তাহাব
  • কুরবানীর মাংস গরীব-দুঃখীদের মধ্যে বণ্টন করা গুরুত্বপূর্ণ
  • খাঁটি নিয়ত সহকারে কুরবানী দেওয়া জরুরী
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে এই হাদীসগুলোর আলোকে কুরবানী আদায় করার তাওফিক দান করুন। 

কোরবানির ফজিলত সম্পর্কে হাদিস

কুরবানীর ফযীলত সম্পর্কে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ হাদীস নিম্নে বর্ণনা করা হলো:আসুন এখন আর দেরি না করে আমরা কোরবানির ফজিলত সম্পর্কে হাদিস বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি। জমজম আইটির কোরবানির ফজিলত সম্পর্কে হাদিস
 নিয়ে বিস্তারিত জানার জন্য নিচের লেখা গুলো পুরোপুরি পড়ে নিন।
১. সর্বোত্তম আমল হিসেবে কুরবানী:
رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ: "مَا عَمِلَ ابْنُ آدَمَ يَوْمَ النَّحْرِ عَمَلاً أَحَبَّ إِلَى اللَّهِ مِنْ إِهْرَاقِ الدَّمِ، إِنَّهَا لَتَأْتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ بِقُرُونِهَا وَأَشْعَارِهَا وَأَظْلاَفِهَا، وَإِنَّ الدَّمَ لَيَقَعُ مِنَ اللَّهِ بِمَكَانٍ قَبْلَ أَنْ يَقَعَ عَلَى الأَرْضِ، فَطِيبُوا بِهَا نَفْسًا"
(তিরমিযী, ইবনে মাজাহ: ৩১২৬)
  • অর্থ: রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, "কুরবানীর দিনে আদম সন্তানের কোনো আমল আল্লাহর নিকট রক্ত প্রবাহিত করার চেয়ে বেশি প্রিয় নয়। কিয়ামতের দিন কুরবানীর পশু তার শিং, পশম ও খুরসহ উপস্থিত হবে। রক্ত মাটিতে পড়ার আগেই তা আল্লাহর নিকট পৌঁছে যায়। সুতরাং তোমরা আনন্দিত মনে কুরবানী কর।"
২. প্রতিটি পশমের বিনিময়ে সওয়াব:
عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ أَصْحَابُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم: يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَا هَذِهِ الأَضَاحِيُّ؟ قَالَ: "سُنَّةُ أَبِيكُمْ إِبْرَاهِيمَ". قَالُوا: فَمَا لَنَا فِيهَا؟ قَالَ: "بِكُلِّ شَعَرَةٍ حَسَنَةٌ". قَالُوا: فَالصُّوفُ؟ قَالَ: "بِكُلِّ شَعَرَةٍ مِنَ الصُّوفِ حَسَنَةٌ"
(ইবনে মাজাহ: ৩১২৭)
  • অর্থ: সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞাসা করলেন, "ইয়া রাসূলুল্লাহ! এই কুরবানী কী?" তিনি বললেন, "এটা তোমাদের পিতা ইবরাহীম (আ.)-এর সুন্নাত।" তারা বললেন, "এতে আমাদের কী সওয়াব আছে?" তিনি বললেন, "পশুর প্রতিটি পশমের বিনিময়ে একটি নেকী।" তারা বললেন, "যদি পশম হয়?" তিনি বললেন, "পশমের প্রতিটি লোমের বিনিময়েও একটি নেকী।"
৩. কুরবানীকারীর জন্য সুসংবাদ:
عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ: "مَا مِنْ عَمَلٍ أَحَبَّ إِلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ مِنْ عِبَادَتِهِ فِي أَيَّامِ الْعَشْرِ، وَإِهْرَاقُ الدَّمِ فِيهَا أَفْضَلُ إِلاَّ أَنْ يَأْتِيَ الرَّجُلُ بِقَلْبِهِ" (দারেমী: ১৭৭৪)
  • অর্থ: রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, "জিলহজ্জের প্রথম দশকে আল্লাহর নিকট কোনো আমলই রক্ত প্রবাহিত করার চেয়ে প্রিয় নয়, তবে যদি কেউ খাঁটি অন্তরে আসে।"
৪. কুরবানী গুনাহ মোচনের কারণ:
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ: "مَا مِنْ مُسْلِمٍ يُضَحِّي بِذَبِيحَةٍ إِلاَّ كَانَتْ لَهُ فِدَاءً مِنَ النَّارِ"
(তাবরানী, মাজমাউয যাওয়াইদ: ৪/২২)
  • অর্থ: রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, "কোনো মুসলিম যখন কুরবানী করে, তা তার জন্য জাহান্নাম থেকে মুক্তির কারণ হয়।"
৫. কিয়ামতের দিন কুরবানীর বিশেষ মর্যাদা:
عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم: "يَا فَاطِمَةُ، قُومِي إِلَى أُضْحِيَّتِكِ فَاشْهَدِيهَا، فَإِنَّهُ يُغْفَرُ لَكِ بِأَوَّلِ قَطْرَةٍ مِنْ دَمِهَا كُلُّ ذَنْبٍ عَمِلْتِيهِ، وَقُولِي: إِنَّ صَلاَتِي وَنُسُكِي وَمَحْيَايَ وَمَمَاتِي لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ"
(হাকেম: ৭৫৬৬)
  • অর্থ: রাসূলুল্লাহ (সা.) ফাতিমা (রা.)-কে বললেন, "হে ফাতিমা! তোমার কুরবানীর নিকট যাও এবং তা প্রত্যক্ষ কর। কারণ তার রক্তের প্রথম ফোঁটা পড়ার সাথে সাথেই তোমার সকল গুনাহ মাফ হয়ে যাবে। আর বল: 'নিশ্চয়ই আমার নামায, আমার কুরবানী, আমার জীবন ও মরণ বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহর জন্য।'"
৬. কুরবানী দাতার জন্য বিশেষ দু'আ:
عَنْ جَابِرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم: "اللَّهُمَّ تَقَبَّلْ مِنْ مُحَمَّدٍ وَآلِ مُحَمَّدٍ، وَمِنْ أُمَّةِ مُحَمَّدٍ" (মুসলিম: ১৯৬৭)
  • অর্থ: রাসূলুল্লাহ (সা.) কুরবানীর সময় এই দু'আ পড়তেন: "হে আল্লাহ! মুহাম্মদ, তাঁর পরিবার এবং তাঁর উম্মতের পক্ষ থেকে কুরবানী কবুল করুন।"
৭. কুরবানীর পশুর লক্ষণ:
عَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: "ضَحَّى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِكَبْشَيْنِ أَمْلَحَيْنِ أَقْرَنَيْنِ، فَرَأَيْتُهُ وَاضِعًا قَدَمَهُ عَلَى صَفْحَتِهِمَا يُسَمِّي وَيُكَبِّرُ فَذَبَحَهُمَا بِيَدِهِ"
(বুখারী: ৫৫৫৮)
  • অর্থ: নবীজি (সা.) দুটি সাদা-কালো মিশ্রিত রংয়ের, শিংওয়ালা দুম্বা কুরবানী করতেন। আমি দেখেছি তিনি নিজ হাতে জবাই করার সময় তাদের পাশে পা রাখতেন।

ঈদের রাতে সহবাস করা যাবে কি

হ্যাঁ, ঈদের রাতে সহবাস করা সম্পূর্ণ জায়েজ। ঈদ হলো মুসলিমদের জন্য আনন্দ ও উৎসবের দিন। এই দিনে কোনো বিশেষ ধর্মীয় বিধানে সহবাস করার উপর কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।
কেন ঈদের রাতে সহবাস করা জায়েজ?
  • ঈদের উদ্দেশ্য: ঈদ হলো আনন্দ ও উৎসবের দিন। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বজায় রাখা এই উৎসবের একটি অংশ হতে পারে।
  • ধর্মীয় বিধান: ইসলামে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে স্নেহ, ভালোবাসা এবং ঘনিষ্ঠতা বজায় রাখার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। ঈদের দিনেও এই সম্পর্ক বজায় রাখা জায়েজ।
তবে কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি:
  • ঈদের নামাজ: ঈদের নামাজের আগে সহবাস করা থেকে বিরত থাকা উচিত। কারণ ঈদের নামাজ আদায়ের জন্য শুদ্ধ থাকা জরুরি।
  • ইবাদত: ঈদের দিনে ইবাদত-বন্দেগি করা উচিত। তাই সহবাসের কারণে ইবাদতের সময় কমে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি।
  • স্বাস্থ্য: স্বাস্থ্যগত কারণে সহবাস থেকে বিরত থাকার প্রয়োজন হলে তা করতে হবে।

এই হাদীসগুলো থেকে আমরা শিখতে পারি

  • কুরবানী আল্লাহর নিকট অত্যন্ত প্রিয় ইবাদত
  • কুরবানীর প্রতিটি অংশের জন্য রয়েছে বিশাল সওয়াব
  • এটি গুনাহ মোচন ও জাহান্নাম থেকে মুক্তির কারণ
  • কিয়ামতের দিন কুরবানীর বিশেষ মর্যাদা থাকবে
  • উত্তম পশু দিয়ে কুরবানী দেওয়া মুস্তাহাব
  • কুরবানী ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। সামর্থ্যবান প্রত্যেক মুসলিমের জন্য এটি আদায় করা অত্যাবশ্যক। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে খাঁটি নিয়তে কুরবানী আদায় করার তাওফিক দান করুন এবং আমাদের কুরবানী কবুল করুন।

কুরবানী ফরজ হওয়ার শর্ত

কুরবানী ফরজ হওয়ার জন্য কিছু শর্ত রয়েছে। সেগুলো হলো:
১. মুসলিম হওয়া: কোরবানী শুধু মুসলিমদের উপরই ওয়াজিব।
২. প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া: অপ্রাপ্তবয়স্কদের উপর কোরবানী ফরজ নয়।
৩. বিবেকবান হওয়া: পাগল বা মানসিকভাবে অসুস্থ ব্যক্তির উপর কোরবানী ফরজ নয়।
৪. নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হওয়া: কোরবানীর দিনগুলোতে (১০ই যিলহজ্জ ফজর থেকে ১২ই যিলহজ্জ সূর্যাস্ত পর্যন্ত) যদি কোনো ব্যক্তির কাছে তার প্রয়োজনীয় জিনিসের (যেমন: বাসস্থান, পরিধেয় বস্ত্র, খাদ্যদ্রব্য, ব্যবহার্য তৈজসপত্র ইত্যাদি) অতিরিক্ত সাড়ে ৫২ তোলা রূপা বা তার সমমূল্যের সম্পদ থাকে, তাহলে তার উপর কোরবানী করা ওয়াজিব। এক্ষেত্রে সম্পদের উপর এক বছর অতিবাহিত হওয়া শর্ত নয়।
৫. মুসাফির না হওয়া: মুসাফিরের উপর সাধারণত কোরবানী ওয়াজিব নয়। তবে মুসাফির অবস্থায় কেউ কোরবানী করলে তা সহীহ হবে।
সুতরাং, উপরোক্ত শর্তগুলো যদি কোনো মুসলিম ব্যক্তির মধ্যে পাওয়া যায়, তাহলে তার উপর কোরবানী করা ফরজ।

কোরবানির পশু নির্বাচন

কোরবানির জন্য পশু নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিছু বিষয় বিবেচনা করে সঠিক পশু নির্বাচন করা যায়। এখানে কিছু টিপস দেওয়া হলো:
শারীরিক গঠন ও স্বাস্থ্য:
বয়স: 
  • কোরবানির জন্য নির্দিষ্ট বয়সসীমা রয়েছে। সাধারণত উট পাঁচ বছর, গরু ও মহিষ দুই বছর এবং ছাগল ও ভেড়া এক বছর বা তার বেশি বয়সের হতে হয়। দাঁত দেখে বয়স নির্ধারণ করা যায়।
সুস্থতা: 
  • পশুটি সম্পূর্ণ সুস্থ ও রোগমুক্ত হতে হবে। চামড়া মসৃণ ও উজ্জ্বল হতে হবে। লোম ওঠা বা কোনো ক্ষত থাকা উচিত নয়।
শারীরিক ত্রুটি: 
  • পশুটি খুঁড়া, কানা, বধির, লেংড়া অথবা অন্য কোনো গুরুতর শারীরিক ত্রুটিযুক্ত হওয়া উচিত নয় যা কুরবানি করার উপযুক্ততাকে ব্যাহত করে।
অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ: 
  • পশুর কান, লেজ, শিং ইত্যাদি অক্ষত থাকতে হবে। কোনো অঙ্গের সামান্য অংশ কাটা থাকলেও তা কুরবানির জন্য উপযুক্ত নয়।
গর্ভবতী বা দুগ্ধবতী: 
  • গর্ভবতী বা দুগ্ধবতী পশু কোরবানি না করাই ভালো।
অন্যান্য বিষয়:
মাংসের পরিমাণ: 
  • কেনার সময় পশুর আকার ও মাংসের অনুপাত বিবেচনা করা উচিত।
আচরণ: 
  • শান্ত ও স্বাভাবিক আচরণ করা পশু সাধারণত ভালো হয়। অতিরিক্ত চঞ্চল বা দুর্বল পশু পরিহার করা উচিত।
অর্থনৈতিক দিক: 
  • নিজের বাজেট অনুযায়ী পশু নির্বাচন করা উচিত।
পরিবেশ: 
  • পশুর স্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং পর্যাপ্ত খাদ্য ও পানির ব্যবস্থা আছে কিনা তা দেখে নেওয়া উচিত।
আইন ও বিধি-নিষেধ:
স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কোনো বিশেষ নিয়ম বা বিধি-নিষেধ থাকলে তা অবশ্যই মেনে চলতে হবে।
কোরবানির পশু নির্বাচনে তাড়াহুড়ো না করে ভালোভাবে দেখে ও যাচাই করে নেওয়া উচিত। এতে আপনি একটি উপযুক্ত ও স্বাস্থ্যবান পশু নির্বাচন করতে পারবেন।
  • ইহুদিরা পশু কোরবানি করে না কেন?
  • কুরবানীর পশুর বয়স কত হতে হবে?
  • মহিষ দিয়ে কি কোরবানি দেওয়া যাবে?
  • পাঁঠা দিয়ে কোরবানি দেওয়া যাবে কি?
  • সুস্থ পশুর লক্ষণ কী কী?
  • সুস্থ গরু কিভাবে বুঝবো?
  • কোরবানির পশুর প্রকারভেদ?
  • ইসলামে কোন পশু কোরবানির জন্য উত্তম?

আপনার পছন্দ হতে পারে এমন আরো পোস্টের তালিকা প্রশ্ন উত্তরসহ বিস্তারিত জেনে নিন

খাসি আর পাঁঠার মাংসে পার্থক্য কী? সবাই খাসি কেন কুরবানি দেন? অন্যদিকে ষাঁড় কেন বেশি কুরবানি হয়?
গাধার মাংস খাওয়া হারাম কেন?
কুরবানীর মাংস বন্টনের বিষয়টি জানতে চাই ?
কুরবানী কার জন্য ওয়াজিব?
কয় প্রকারের প্রাণী দ্বারা কুরবানী করা বৈধ, তাদের চিহ্ন কী?
মৃত ব্যক্তির নামে কুরবানী করা যাবে কি?
ধার নেয়া টাকা দিয়ে কুরবানী করা কি?
বাথরুমে একা পোশাক ছাড়া গোসল করা যাবে কি, ইসলাম এ সম্পর্কে কি বলে?
ইসলামে নিজের খালাতো বোনের মেয়েকে কি বিয়ে করা যাবে?
ঘোড়া কুরবানী দেওয়া যায় না কেন?
সাত ভাগ না করে সমান চার ভাগে কুরবানি করা যাবে কি?
কুরবানি ওয়াজিব হওয়ার জন্য কত টাকার মালিক হতে হবে?
একই পশুতে আকিকা ও কুরবানি করা যাবে কি?
কারোর নামে আকিকাহ দেওয়া না হলে তার নামে কুরবানী হবে কি?
ভাড়া বাসায় থাকেন,তবে চার লাখ টাকা নগদ আছে।কুরবানি ওয়াজিব হবে?
কাদের জন্য কোরবানি ফরজ?

উপসংহার

আজ কোরবানির ফজিলত সম্পর্কে হাদিস ও পশু নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করলাম। আগামীতে  ভালো কোনো বিষয় নিয়ে হাজির হবো। আশা করছি উপরের কোরবানির ফজিলত সম্পর্কে হাদিস ও পশু নির্বাচন বিষয়ে আলোচনা আপনার ভালো লেগেছে। যদি এ বিষয়ে কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানান । আমাদের ফলো করে সাথেই থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

জমজম আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url