পাইলস বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ঢাকা ইবনে সিনা বিস্তারিত জেনে নিন
ভূমিকা
সুপ্রিয় পাঠক আজকাল অনেকেই অনলাইনে পাইলস বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ঢাকা ইবনে সিনা নিয়ে জানতে চান। আপনিও হয়তো অনেক খোঁজাখুঁজির পর নিশ্চয়ই পাইলস বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ঢাকা ইবনে সিনা কি তা জানার জন্যই আমাদের এই সাইটটিতে এসেছেন।
হ্যাঁ আজকে আমি সঠিকভাবে পাইলস বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ঢাকা ইবনে সিনা তা নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করব। চলুন এই লেখার মূল বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানতে নিচের লেখাটি পড়ে ফেলি।
পাইলস কি? কেন হয়?
পাইলস (Piles) বা হেমোরয়েডস (Hemorrhoids) হলো মলদ্বারের ভেতরে বা বাইরের শিরা (vein) ফুলে যাওয়া ও প্রদাহ হওয়া।
এটি মূলত মলদ্বারের শিরার ওপর অতিরিক্ত চাপের কারণে হয়।
পাইলসের ধরণ
- ইন্টারনাল পাইলস – মলদ্বারের ভেতরে হয়, সাধারণত শুরুতে ব্যথা হয় না, কিন্তু রক্তপাত হতে পারে।
- এক্সটারনাল পাইলস – মলদ্বারের বাইরে হয়, ব্যথা ও ফোলা বেশি হয়।
পাইলস হওয়ার প্রধান কারণ
- কোষ্ঠকাঠিন্য – দীর্ঘদিন শক্ত মল ত্যাগের ফলে চাপ পড়া
- ডায়রিয়া বা বারবার পাতলা পায়খানা
- দীর্ঘ সময় টয়লেটে বসে থাকা
- গর্ভাবস্থা – পেট ও পেলভিক অঞ্চলে চাপ বৃদ্ধি
- ভারী ওজন তোলা
- মোটা হওয়া (Obesity)
- কম ফাইবারযুক্ত খাবার খাওয়া
- দীর্ঘসময় দাঁড়িয়ে বা বসে কাজ করা
পাইলসের সাধারণ উপসর্গ
- মলত্যাগের সময় বা পরে রক্তপাত
- মলদ্বারের চারপাশে চুলকানি
- ফোলা বা গুটি অনুভব হওয়া
- বসার সময় বা হাঁটার সময় ব্যথা
পাইলস বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ঢাকা ইবনে সিনা
ইবনে সিনা হাসপাতালের বিভিন্ন শাখায় পাইলস (কোলোরেক্টাল সার্জারি) বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা সেবা দিয়ে থাকেন। একই ডাক্তার ইবনে সিনার একাধিক শাখায় বসতে পারেন। ১০ জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের একটি তালিকা নিচে দেওয়া হলো:
ইবনে সিনা হাসপাতাল, ঢাকা-এর পাইলস বিশেষজ্ঞ ডাক্তার (বিভিন্ন শাখা থেকে সংগৃহীত):
অধ্যাপক ডাঃ এ. কে. এম. ফজলুল হক (জেনারেল, ল্যাপারোস্কোপিক, হার্নিয়া, ব্রেস্ট ও পাইলস সার্জন)
অধ্যাপক ডাঃ রুকসানা পারভিন (ব্রেস্ট, কোলোরেক্টাল, ল্যাপারোস্কোপি ও জেনারেল সার্জারি বিশেষজ্ঞ)
ডাঃ জেসমিন নাহার রুনি (কোলোরেক্টাল ও স্তন্য সার্জন) - ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কল্যাণপুর শাখায় বসেন।
অধ্যাপক ডাঃ মোঃ মহিবুল আজিজ (জেনারেল, ল্যাপারোস্কোপি ও কোলোরেক্টাল সার্জন) - ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কল্যাণপুর শাখায় বসেন।
ডাঃ এম. মোহিবুল আজিজ (কোলোরেক্টাল সার্জন)
অধ্যাপক ডাঃ নীলিমা জাহান (পায়ুপথ ও মলদ্বার বিশেষজ্ঞ সার্জন)
অধ্যাপক ডাঃ ফেরদৌস আলম (জেনারেল ও ল্যাপারোস্কোপিক সার্জন - ব্রেস্ট, পাইলস, ফিসার, ফিস্টুলা, কোলোরেক্টাল ও যেকোনো টিউমার সার্জারি)
ডাঃ মোঃ তৌহিদুল ইসলাম (জেনারেল, ল্যাপারোস্কোপি ও কোলোরেক্টাল সার্জন)
ডাঃ আবিদা সুলতানা (জেনারেল, ল্যাপারোস্কোপিক, ব্রেস্ট ও কোলোরেক্টাল সার্জারি বিশেষজ্ঞ)
ডাঃ সৈয়দা গুলশান আয়েশা (জেনারেল, ল্যাপারোস্কোপিক, ব্রেস্ট ও কোলোরেক্টাল সার্জারি বিশেষজ্ঞ)
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
ডাক্তারদের বসার সময়সূচী এবং চেম্বারের ঠিকানা পরিবর্তিত হতে পারে।
যেকোনো ডাক্তারের সাথে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়ার আগে ইবনে সিনা হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট শাখার হেল্পলাইন নম্বরে যোগাযোগ করে নিশ্চিত হয়ে নেওয়া উচিত।
পাইলস বিশেষজ্ঞ মহিলা ডাক্তার ঢাকা ইবনে সিনা
প্রফেসর ড সালমা সুলতানা
এমবিবিএস, এফসিপিএস (সার্জারি), এমএস (সার্জারি)
স্তন, পাইলস, কোলোরেক্টাল এবং ল্যাপারোস্কোপিক সার্জারি বিশেষজ্ঞ
ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অধিভুক্ত
চেম্বার: ইবনে-সিনা মেডিকেল ইমেজিং সেন্টার, জিগাটোলা, ঢাকা।
- চেম্বারের ঠিকানা: বাড়ি-৫৮, রোড-২এ, জিগাতলা বাস স্ট্যান্ড, ঢাকা - 1209।
দেখার সময়:
বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা (শনিবার) এবং সন্ধ্যা ৭.৩০ থেকে রাত ৯.৩০ (মঙ্গলবার)
- অ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য যোগাযোগের নম্বর: +8801711625173
রেকটাল প্রোল্যাপসের লক্ষণগুলি কী কী
রেকটাল প্রোল্যাপসের লক্ষণগুলি
রেকটাল প্রোল্যাপস হল একটি অবস্থা যেখানে মলদ্বার তার স্বাভাবিক অবস্থান থেকে পিছলে যায় এবং পায়ুপথের মাধ্যমে বের হয়ে আসে। এটি একটি ছোট, লালচে, মাংসল ভরের মতো দেখায়।
রেকটাল প্রোল্যাপসের সাধারণ লক্ষণগুলি হল:
- মলদ্বার থেকে কিছু বের হওয়ার চেষ্টা করার অনুভূতি: বিশেষ করে মলত্যাগের সময়।
- মলদ্বারের বাইরে একটি ছোট, লাল ভর ঝুলে থাকা: এটি হাত দিয়ে পিছনে ঠেলে দেওয়া যেতে পারে।
- মলদ্বার এবং মলদ্বারে ক্রমাগত ব্যথা: এই ব্যথা মলত্যাগের সময় বা পরে বেড়ে যেতে পারে।
- মলদ্বার থেকে রক্তক্ষরণ: ফলে মলের মধ্যে রক্ত বা শ্লেষ্মা দেখা দিতে পারে।
- মল অসংযম: মলত্যাগ নিয়ন্ত্রণে অক্ষমতা।
- কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া: মলত্যাগের প্যাটার্ন অনিয়মিত হতে পারে।
মলত্যাগের পরে মনে হওয়া যে মলদ্বার খালি নেই: এই অবস্থাকে "ইনকমপ্লিট এভাকুয়েশন" বলা হয়।
এছাড়াও, রোগীর বয়স, লিঙ্গ এবং সাধারণ স্বাস্থ্যের উপর নির্ভর করে অন্যান্য লক্ষণও দেখা দিতে পারে।
ঢাকার সেরা মহিলা পাইলস, ব্রেস্ট এবং কোলোরেক্টাল সার্জারি বিশেষজ্ঞ
ঢাকার সেরা মহিলা পাইলস, ব্রেস্ট এবং কোলোরেক্টাল সার্জারি বিশেষজ্ঞ - বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের তালিকা
Best Female Colorectal Surgeon in Dhaka
কোলোরেক্টাল সার্জন ঢাকা বা পাইলস বিশেষজ্ঞ মহিলা ডাক্তার ঢাকা Dr. Ismat Jahan Lima MBBS, BCS (Health), FCPS (Gold Medalist) Surgery, MS (Colorectal Surgery), FACS (USA)
Colorectal (Piles, Fissure, Fistula) & Pelvic Floor Surgeon
- Assistant Professor, Colorectal Surgery
- Shaheed Suhrawardy Medical College & Hospital
Islami Bank Hospital, Mirpur
Address: Plot # 31, Block # D, Section # 11, Mirpur, Dhaka – 1216
Visiting Hour: 3pm to 6pm (Sat, Mon & Wed) Appointment: +8801810000118
পাইলস প্রতিরোধ ও ঘরোয়া যত্নের জন্য আপনি কিছু জীবনধারা ও খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন আনলেই অনেকটা সমস্যা এড়ানো বা কমানো সম্ভব।
পাইলস প্রতিরোধের উপায়
1. খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন
পাইলস সম্পর্কিত ২০টি প্রশ্নোত্তর
পাইলস কী?
পাইলস প্রতিরোধের উপায়
1. খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন
- উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার খান
- যেমন: শাকসবজি, ফল, ডাল, ওটস, গমের আটা, ব্রাউন রাইস
- পর্যাপ্ত পানি পান করুন
- দিনে অন্তত ৮–১০ গ্লাস পানি
- প্রসেসড খাবার কমান
- ফাস্টফুড, অতিরিক্ত ঝাল-মশলা, কোল্ড ড্রিঙ্ক, চিপস ইত্যাদি এড়িয়ে চলুন
- প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে মলত্যাগের অভ্যাস গড়ে তুলুন
- মলত্যাগের সময় অতিরিক্ত চাপ দেবেন না
- দীর্ঘক্ষণ টয়লেটে মোবাইল বা বই পড়া এড়িয়ে চলুন
- প্রতিদিন অন্তত ২০–৩০ মিনিট হালকা ব্যায়াম (হাঁটা, যোগব্যায়াম)
- অতিরিক্ত ওজন কমানো
- দীর্ঘসময় দাঁড়িয়ে বা বসে থাকা এড়ানো
- ফাইবার ও পানি গ্রহণ বাড়ানো
- ডাক্তারের পরামর্শে হালকা ব্যায়াম
- কোষ্ঠকাঠিন্য রোধে খাদ্য নিয়ন্ত্রণ
- পাইলস হলে ঘরোয়া যত্ন
- হালকা গরম পানিতে দিনে ২–৩ বার ১৫–২০ মিনিট বসে থাকা
- এটি ব্যথা ও ফোলা কমায়
- বরফের টুকরা কাপড়ে মুড়ে আক্রান্ত স্থানে ১০ মিনিট লাগানো
- ব্যথা ও ফোলা কমাতে সহায়ক
- মলত্যাগের পর নরম টিস্যু বা ভেজা কাপড় ব্যবহার
- শক্ত টয়লেট পেপার ও সুগন্ধিযুক্ত সাবান এড়িয়ে চলা
- ইসবগুলের ভুসি (Psyllium husk) পানির সঙ্গে খাওয়া — কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে কার্যকর
- ডাক্তার অনুমোদিত হেমোরয়েড ক্রিম বা সাপোজিটরি ব্যবহার করা
- তবে নিজের ইচ্ছায় ওষুধ শুরু না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া
- যদি পাইলস থেকে অতিরিক্ত রক্তপাত, তীব্র ব্যথা, বা মলদ্বারে বড় গুটি হয়, তবে দেরি না করে দ্রুত ডাক্তার দেখান।
পাইলস নিয়ে ২০টি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
এখানে পাইলস নিয়ে ২০টি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর দেওয়া হলো — পরীক্ষার প্রস্তুতি, সাধারণ জ্ঞান বা দ্রুত রিভিশনের জন্য উপযোগী:পাইলস সম্পর্কিত ২০টি প্রশ্নোত্তর
পাইলস কী?
- মলদ্বারের শিরা ফুলে যাওয়া বা প্রদাহ হওয়া।
- হেমোরয়েডস (Hemorrhoids)।
- প্রধানত ২ প্রকার: ইন্টারনাল ও এক্সটারনাল।
- মলদ্বারের ভেতরে।
- মলদ্বারের বাইরে।
- কোষ্ঠকাঠিন্য ও মলত্যাগের সময় অতিরিক্ত চাপ।
- মলত্যাগের সময় রক্তপাত।
- কম ফাইবারযুক্ত ও অতিরিক্ত ঝাল-মশলাযুক্ত খাবার।
- শাকসবজি, ফল, ডাল, ওটস।
- গরম পানিতে কিছুক্ষণ বসে থাকা, যা ব্যথা ও ফোলা কমায়।
- হ্যাঁ, অতিরিক্ত ওজন চাপ বাড়ায়।
- না।
- পেলভিক অঞ্চলে চাপ বৃদ্ধি ও হরমোনের পরিবর্তন।
- অন্তত ৮–১০ গ্লাস।
- মল নরম করে, কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়।
- হ্যাঁ, তবে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
- অতিরিক্ত রক্তপাত, থ্রম্বোসিস (রক্ত জমাট বাঁধা)।
- হ্যাঁ।
- প্রাথমিক অবস্থায় হ্যাঁ, জীবনধারা পরিবর্তন ও চিকিৎসায়।
- সার্জারি বা প্রোক্টোলজি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে।
পায়ুপথে সহবাস করলে কি কি সমস্যা হতে পারে
দীর্ঘদিন নিয়মিত পায়ু সেক্স করলে একসময় পাইলস, ফিসার, টয়লেট আটকে রাখতে না পারা, ক্যান্সার ইত্যাদি হয়।
পায়ুপথে সেক্স করলে কি পাইলস হয়
না, সরাসরি পায়ুপথে যৌন মিলনের কারণে পাইলস (হেমোরয়েডস) হয় না।
তবে কিছু ঝুঁকি থাকে—
✅ পাইলস আগে থেকে থাকলে – পায়ুপথে চাপ বা আঘাতের কারণে সমস্যা বেড়ে যেতে পারে, রক্তপাত ও ব্যথা বাড়তে পারে।
✅ অতিরিক্ত রুক্ষ বা সুরক্ষা ছাড়া সেক্সে – মলদ্বারের শিরা ও টিস্যুতে আঘাত লাগতে পারে, যা ফিশার (Anal fissure), প্রদাহ বা হেমোরয়েডকে খারাপ করতে পারে।
✅ সংক্রমণের ঝুঁকি – পায়ুপথে যৌন মিলনে HIV, HPV, হেপাটাইটিস বি/সি সহ অন্যান্য যৌনবাহিত রোগের ঝুঁকি বেশি।
✅ লুব্রিকেশন কম থাকলে – অস্বস্তি, ছিঁড়ে যাওয়া, ফোলা ইত্যাদি হতে পারে, যা হেমোরয়েডের মতো সমস্যাকে জটিল করতে পারে।
👉 তাই, পায়ুপথে সেক্স করলে সরাসরি পাইলস হয় না, কিন্তু যাদের আগে থেকেই পাইলস আছে, তাদের ক্ষেত্রে এটি সমস্যা বাড়াতে পারে।
পায়ুপথে সহবাস করা কি জায়েজ
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
স্ত্রীর পায়ুপথে সহবাস কবিরা গুনাহ। কেননা, এটা হারাম হওয়ার ব্যাপারে স্পষ্ট দলিল আছে। এমনকি ইমাম তাহাবি রহ বলেন, এর নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কিত হাদিসগুলো মুতাওয়াতির (বর্ণনা-পরম্পরার প্রতিটি স্তরেই রয়েছে বৃহৎ জনসংখ্যা।) (শরহু মাআনিল আসার ৩/৪৩)
যেমন,
১. আবু হুরায়রা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
مَنْ أَتَى امْرَأَتَهُ فِي دُبُرِهَا فَقَدْ بَرِئَ مِمَّا أُنْزِلَ عَلَى مُحَمَّدٍ ﷺ সে তার স্ত্রীর পশ্চাদদ্বারে সংগম করে; সে যেন আল্লাহ তা’আলা কর্তৃক মুহাম্মদ ﷺ -এর উপর নাযিলকৃত দীন হতে মুক্ত হয়ে গেল। (আবু দাউদ ৩৯০৪)
২. ইবন আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, لَا يَنْظُرُ اللَّهُ إِلَى رَجُلٍ أَتَى امْرَأَةً فِي الدُّبُرِ যে ব্যক্তি তার স্ত্রীর সাথে স্ত্রীর পায়ুপথে যৌন মিলন করে আল্লাহ তার দিকে তাকাবেন না। (তিরমিযি ১১৬৫)
৩. আবু হুরায়রা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,مَلْعُونٌ مَنْ أَتَى امْرَأَتَهُ فِي دُبُرِهَ যে ব্যক্তি স্ত্রীর সাথে নিতম্বে সহবাস করে সে লা’নত প্রাপ্ত। (আবু দাউদ ২১৬২)
৪. খুযাইমা ইবন সাবিত রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, إِنَّ اللَّهَ لَا يَسْتَحْيِي مِنْ الْحَقِّ لَا تَأْتُوا النِّسَاءَ فِي أَدْبَارِهِنَّ হে মানবমণ্ডলী! আল্লাহ তা’আলা সত্য কথা (প্রকাশের) ব্যাপারে লজ্জা করেন না। তোমরা স্ত্রীলোকদের পশ্চাদ্দারে সঙ্গম করো না। (ইবনু মাজাহ ১৯২৪)
- দুই. উল্লেখ্য, স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের দেহ থেকে সব উপায়ে সুখ নেয়ার অনুমতি ইসলামে আছে। কেননা, আল্লাহ তাআলা বলেন,نِسَاؤُكُمْ حَرْثٌ لَّكُمْ فَأْتُوا حَرْثَكُمْ أَنَّىٰ شِئْتُمْ তোমাদের স্ত্রীগণ তোমাদের জন্য ক্ষেতস্বরূপ; অতএব তোমরা যেভাবেই ইচ্ছা তোমাদের ক্ষেতে গমণ কর। (সূরা বাকারা ২২৩)
তবে যে উপায়ে সুখ নেয়া হারাম হওয়ার ব্যাপারে স্পষ্ট দলিল আছে, তা পরিহার করতে হবে। যেমন, মলদ্বারে সহবাস এবং ঋতুবতী ও প্রসব পরবর্তী সময়ে নির্গত রক্তস্রাব অবস্থায় সহবাস।
- মুজাহিদ রহ. আয়াতের তফসিরে বলেন, قَائِمَةً وَقَاعِدَةً وَمُقْبِلَةً وَمُدْبِرَةً فِي الْفَرْجِ ‘দাঁড়ানো ও বসা অবস্থায়, সামনের দিক থেকে এবং পিছনের দিক থেকে (সঙ্গম করতে পারো, তবে তা হতে হবে) স্ত্রীর যোনিপথে।’ ( দুররে মানছুর ১/২৬৫ তাফসীর তাবারী ২/৩৮৭-৩৮৮ মুসান্নাফ ইবনু আবী শাইবা ৪/২৩২)
মুসলিমের বর্ণনায় এসেছে, إِنْ شَاءَ مُجَبِّيَةً ، وَإِنْ شَاءَ غَيْرَ مُجَبِّيَةٍ ، غَيْرَ أَنَّ ذَلِكَ فِي صِمَامٍ وَاحِدٍ স্বামী ইচ্ছে করলে উপুড় করে, ইচ্ছা করলে উপুড় না করে তবে একই দ্বারে (যোনিপথে) হতে হবে। (মুসলিম ১৪৩৫)
গর্ভাবস্থায় পাইলস প্রতিরোধে করণীয়
গর্ভাবস্থায় পাইলস প্রতিরোধে করণীয়
গর্ভাবস্থায় পাইলস বা অর্শ্বরোগ একটি সাধারণ সমস্যা। বাচ্চা পেটে বড় হওয়ার সাথে সাথে পেটের চাপ বাড়ে এবং মলত্যাগের সময় জোরে চাপ দেওয়ার কারণে এই সমস্যাটি হতে পারে।
গর্ভাবস্থায় পাইলস প্রতিরোধে নিচের কাজগুলো করতে পারেন:
আঁশযুক্ত খাবার খান:
- ফল, শাকসবজি, গোটা শস্য ইত্যাদি আঁশযুক্ত খাবার মলকে নরম করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে।
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন:
- পানি শরীরে পানি সরবরাহ করে এবং মলকে নরম রাখতে সাহায্য করে।
নিয়মিত ব্যায়াম করুন:
- হালকা ব্যায়াম যেমন হাঁটা, সাঁতার ইত্যাদি রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
ভারী ওস্তা ওঠা বসা এড়িয়ে চলুন:
- ভারী ওস্তা তোলা বা দীর্ঘক্ষণ একই জায়গায় বসে থাকা পেটের চাপ বাড়িয়ে তুলতে পারে।
গরম পানিতে বসুন:
- গরম পানিতে বসে থাকলে ব্যথা এবং ফোলাভাব কমতে পারে।
মলত্যাগের সময় জোরে চাপ দেবেন না:
- মলত্যাগের সময় ধৈর্য ধরুন এবং জোরে চাপ দেবেন না।
হেমরয়েড ক্রিম বা সাপোজিটরি ব্যবহার করুন:
- ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী হেমরয়েড ক্রিম বা সাপোজিটরি ব্যবহার করতে পারেন।
নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ নিন:
- যদি সমস্যা বেড়ে যায় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
গর্ভাবস্থায় পাইলস হলে কী করবেন:
ডাক্তারের পরামর্শ নিন:
- ডাক্তার আপনার জন্য উপযুক্ত চিকিৎসা নির্ধারণ করে দেবেন।
বাড়িতে কিছু ঘরোয়া উপায়ে উপশম পেতে পারেন:
উপসংহার
আজ পাইলস বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ঢাকা ইবনে সিনা নিয়ে আলোচনা করলাম। আগামীতে ভালো কোনো বিষয় নিয়ে হাজির হবো। আশা করছি উপরের পাইলস বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ঢাকা ইবনে সিনা বিষয়ে আলোচনা আপনার ভালো লেগেছে। যদি এ বিষয়ে কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানান । আমাদের ফলো করে সাথেই থাকুন।
জমজম আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url