চুক্তিপত্র স্ট্যাম্প লেখার নিয়ম এবং চুক্তিপত্র লেখার পদ্ধতি জানুন

ভূমিকা

সুপ্রিয় পাঠক আজকাল অনেকেই অনলাইনে চুক্তিপত্র স্ট্যাম্প লেখার নিয়ম জানুন নিয়ে জানতে চান। আপনিও হয়তো অনেক খোঁজাখুঁজির পর নিশ্চয়ই চুক্তিপত্র স্ট্যাম্প লেখার নিয়ম জানুন কি তা জানার জন্যই আমাদের এই সাইটটিতে এসেছেন।
চুক্তিপত্র স্ট্যাম্প লেখার নিয়ম জানুন
হ্যাঁ আজকে আমি সঠিকভাবে চুক্তিপত্র স্ট্যাম্প লেখার নিয়ম জানুন তা নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করব। চলুন এই লেখার মূল বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানতে নিচের লেখাটি পড়ে ফেলি।

চুক্তিপত্র স্ট্যাম্প কি?

চুক্তিপত্র স্ট্যাম্প হলো একটি সরকারি রাজস্ব কাগজ (Revenue Stamp), যা চুক্তিপত্র, দলিল বা আইনগত নথিকে আইনগত বৈধতা দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়।
🔹 যখন দুই বা ততোধিক পক্ষ কোনো লিখিত চুক্তি করে, তখন সেটি কেবল কাগজে লিখলেই বৈধ হয় না।
🔹 বাংলাদেশের স্ট্যাম্প আইন, ১৮৯৯ অনুযায়ী, নির্দিষ্ট চুক্তি বা দলিলে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত স্ট্যাম্প শুল্ক (Stamp Duty) পরিশোধ করতে হয়।
🔹 সেই শুল্ক প্রদানের প্রমাণস্বরূপ স্ট্যাম্প ব্যবহার করা হয়।
সহজ ভাষায় –
চুক্তিপত্র স্ট্যাম্প হলো সরকারি কাগজে কেনা কর-শুল্ক, যা চুক্তিকে আইনগতভাবে গ্রহণযোগ্য করে।
✅ উদাহরণ:
  • ভাড়া চুক্তি করতে গেলে ভাড়ার পরিমাণ অনুযায়ী স্ট্যাম্প ব্যবহার করতে হয়।
  • ব্যবসায়িক লেনদেন বা ঋণ সংক্রান্ত চুক্তিতেও নির্দিষ্ট মূল্যের স্ট্যাম্প বসানো বাধ্যতামূলক।

চুক্তিপত্র স্ট্যাম্প লেখার নিয়ম

চুক্তিপত্র স্ট্যাম্পে লেখার নিয়ম বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে গঠিত, যা আইনিভাবে আপনার চুক্তিকে বৈধ ও কার্যকর করে তোলে। নিচে এর বিস্তারিত প্রক্রিয়া আলোচনা করা হলো:
স্ট্যাম্প পেপারের ধরন ও মূল্য
  • চুক্তিপত্র লেখার জন্য নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প পেপার ব্যবহার করা হয়। এর মূল্য চুক্তির ধরন, আর্থিক মূল্য এবং আইন অনুযায়ী নির্ধারিত হয়। বাংলাদেশে সাধারণত বিভিন্ন মূল্যের স্ট্যাম্প পেপার পাওয়া যায়, যেমন - ১০০ টাকা, ৩০০ টাকা, ৫০০ টাকা, ১০০০ টাকা, ১৫০০ টাকা ইত্যাদি। কিছু নির্দিষ্ট চুক্তি, যেমন - জমি রেজিস্ট্রি বা বন্ধক সংক্রান্ত চুক্তির জন্য উচ্চমূল্যের স্ট্যাম্প পেপার ব্যবহার করা হয়।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:
স্ট্যাম্পের মূল্য নির্ধারণ: 
  • চুক্তির ধরন এবং আর্থিক পরিমাণের ওপর ভিত্তি করে স্ট্যাম্প আইন, ১৮৯৯ অনুযায়ী স্ট্যাম্পের মূল্য নির্ধারিত হয়। প্রয়োজনে আইনজীবীর সাথে পরামর্শ করে সঠিক মূল্যের স্ট্যাম্প ব্যবহার করা উচিত।
স্ট্যাম্প সংগ্রহ: 
  • অনুমোদিত বিক্রেতা বা পোস্ট অফিস থেকে স্ট্যাম্প সংগ্রহ করতে হয়। ভুয়া স্ট্যাম্প কেনা থেকে বিরত থাকুন।

চুক্তিপত্র লেখার পদ্ধতি

১. খসড়া প্রস্তুত (Drafting)
  • প্রথমে একটি পরিষ্কার খসড়া (draft) তৈরি করে নিন। এতে চুক্তির সকল শর্ত, পক্ষগণের বিবরণ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এই খসড়াটি চূড়ান্ত চুক্তিপত্রের ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে।
২. চুক্তিপত্রের অপরিহার্য অংশসমূহ
একটি চুক্তিপত্রে নিম্নলিখিত মৌলিক বিষয়গুলো থাকা আবশ্যক:
শিরোনাম (Title): চুক্তিপত্রের শুরুতে এর ধরন উল্লেখ করুন, যেমন - "জমি বিক্রয় চুক্তিপত্র", "ভাড়া চুক্তিপত্র", "চুক্তিভিত্তিক কাজের চুক্তিপত্র" ইত্যাদি।
পক্ষগণের বিবরণ (Details of Parties):
  • চুক্তির সাথে জড়িত সকল পক্ষের (ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান) পূর্ণ নাম, পিতা/স্বামীর নাম, ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর উল্লেখ করুন।
যদি কোনো প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি হয়, তবে প্রতিষ্ঠানের নাম, ঠিকানা, প্রতিনিধির নাম ও পদবি উল্লেখ করতে হবে।
ভূমিকা (Recitals/Preamble):
  • চুক্তির উদ্দেশ্য এবং প্রেক্ষাপট সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। কেন এই চুক্তি করা হচ্ছে, তার একটি সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা এখানে থাকতে পারে।
চুক্তির বিষয়বস্তু (Subject Matter of the Agreement):
  • চুক্তির মূল বিষয়বস্তু স্পষ্টভাবে বর্ণনা করুন। যেমন - জমি ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে জমির তফসিল (মৌজা, খতিয়ান, দাগ নম্বর, জমির পরিমাণ, চৌহদ্দি), ভাড়া চুক্তির ক্ষেত্রে ভাড়া দেওয়া সম্পত্তির বিবরণ।
শর্তাবলী (Terms and Conditions):
  • চুক্তির সকল শর্ত ও নিয়মাবলী বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করুন। যেমন - মূল্য পরিশোধের পদ্ধতি, সময়সীমা, দায়িত্ব ও কর্তব্য, অধিকার এবং বাধ্যবাধকতা।
কোনো পক্ষ শর্ত ভঙ্গ করলে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তার উল্লেখ থাকতে পারে।
প্রতিফল (Consideration):
  • চুক্তির আর্থিক বা অনার্থিক প্রতিফল (মূল্য বা বিনিময়) স্পষ্টভাবে উল্লেখ করুন।
চুক্তির মেয়াদ (Duration of the Agreement):
  • চুক্তি কত সময়ের জন্য কার্যকর থাকবে, তা উল্লেখ করুন।
বিরোধ নিষ্পত্তির পদ্ধতি (Dispute Resolution):
  • চুক্তি সংক্রান্ত কোনো বিরোধ দেখা দিলে তা কীভাবে নিষ্পত্তি করা হবে (যেমন - সালিশ, আদালতের মাধ্যমে) তা উল্লেখ করুন।
সাক্ষী (Witnesses):
  • অন্তত দুজন প্রাপ্তবয়স্ক ও নিরপেক্ষ সাক্ষীর নাম, পিতা/স্বামীর নাম, ঠিকানা এবং স্বাক্ষর প্রয়োজন। সাক্ষীরা চুক্তির বিষয়বস্তু সম্পর্কে অবগত থাকবেন।
তারিখ ও স্থান (Date and Place):
  • চুক্তিপত্রটি কোন তারিখে এবং কোন স্থানে সম্পাদিত হয়েছে, তা উল্লেখ করুন।
পক্ষগণের স্বাক্ষর (Signatures of Parties):
  • চুক্তির সকল পক্ষকে চুক্তিপত্রের প্রতিটি পৃষ্ঠায় স্বাক্ষর করতে হবে। যদি কোনো পক্ষ নিরক্ষর হন, তবে তার টিপসই (বাম হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলির ছাপ) এবং একজন শনাক্তকারী ব্যক্তির স্বাক্ষর প্রয়োজন।
নোটরি পাবলিক/প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা সত্যায়ন (যদি প্রয়োজন হয়):
কিছু কিছু চুক্তির ক্ষেত্রে নোটরি পাবলিক বা প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা সত্যায়ন বাধ্যতামূলক।
৩. স্ট্যাম্পে লেখার নিয়মাবলী
  • পরিষ্কার ও স্পষ্ট হস্তাক্ষর/মুদ্রণ: চুক্তিপত্রটি হাতে লেখা হলে স্পষ্ট ও সুন্দর অক্ষরে লিখতে হবে, যাতে পড়তে অসুবিধা না হয়। কম্পিউটারে টাইপ করে প্রিন্ট করা সবচেয়ে ভালো।
স্ট্যাম্পের উপর লেখা শুরু: 
  • স্ট্যাম্প পেপারের নির্ধারিত স্থানে বা উপরের অংশে লেখা শুরু করতে হবে। লেখার সময় স্ট্যাম্প পেপারের ক্রমিক নম্বর ও অন্যান্য তথ্য যেন ঢাকা না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখুন।
পৃষ্ঠা নম্বর ও ধারাবাহিকতা: 
  • যদি একাধিক স্ট্যাম্প পেপার বা সাধারণ কাগজ ব্যবহার করা হয়, তবে প্রতিটি পৃষ্ঠায় ক্রমিক নম্বর দিন এবং চুক্তির ধারাবাহিকতা বজায় রাখুন।
অতিরিক্ত কাগজ সংযুক্তি: 
  • যদি চুক্তির বিষয়বস্তু একটি স্ট্যাম্প পেপারে সংকুলান না হয়, তবে অতিরিক্ত সাদা কাগজে চুক্তির বাকি অংশ লেখা যেতে পারে এবং সেগুলো স্ট্যাম্প পেপারের সাথে সেলাই করে সংযুক্ত করতে হবে। প্রতিটি অতিরিক্ত কাগজে পক্ষগণের স্বাক্ষর থাকতে হবে।
ওভাররাইটিং/কাটাছেঁড়া পরিহার: 
  • চুক্তিপত্রে কোনো প্রকার ওভাররাইটিং, ঘষামাজা বা কাটাছেঁড়া পরিহার করুন। যদি কোনো ভুল হয়, তবে তা কেটে দিয়ে পাশে সঠিক তথ্য লিখে সকল পক্ষকে তাতে স্বাক্ষর করতে হবে। তবে এটি যত কম করা যায় ততই ভালো।
ফাঁকা স্থান পরিহার: 
  • চুক্তিপত্রে অযাচিত কোনো ফাঁকা স্থান রাখবেন না। যদি কোনো ফাঁকা স্থান থাকে, তবে সেখানে একটি রেখা টেনে দিন।
চুক্তি সম্পাদনের পর
ফটোকপি ও সংরক্ষণ: চুক্তি সম্পাদনের পর এর একাধিক ফটোকপি করে সকল পক্ষের কাছে রাখুন। মূল কপিটি নিরাপদে সংরক্ষণ করুন।
রেজিস্ট্রেশন (যদি প্রয়োজন হয়): কিছু চুক্তি, যেমন - জমি রেজিস্ট্রি, পাওয়ার অব অ্যাটর্নি ইত্যাদি ক্ষেত্রে চুক্তিপত্র রেজিস্ট্রি করা বাধ্যতামূলক। রেজিস্ট্রি করলে চুক্তির আইনি বৈধতা আরও জোরালো হয়।

জমির স্ট্যাম্প লেখার নিয়ম

আসুন এখন আর দেরি না করে আমরা জমির স্ট্যাম্প লেখার নিয়ম বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি। জমজম আইটির জমির স্ট্যাম্প লেখার নিয়ম নিয়ে বিস্তারিত জানার জন্য নিচের লেখা গুলো পুরোপুরি পড়ে নিন। আপনার জন্য আরো অতিরিক্ত বোনাস হিসেবে জমির স্ট্যাম্প লেখার নিয়ম নিয়ে আলোচনা এখানে চাপ দিয়ে বিস্তারিত জেনে নিন জমির স্ট্যাম্প লেখার জন্য নিম্নলিখিত নিয়মগুলি অনুসরণ করতে হবে: 
  • প্রথমে স্ট্যাম্পের উপরে স্পষ্টভাবে জমির মালিকের নাম, ঠিকানা এবং পরিমাণ লিখতে হবে।
  • তারপর বিক্রয়কারী এবং ক্রেতা উভয়ের নাম, ঠিকানা এবং পরিমাণ লিখতে হবে।
  • বিক্রয়ের তারিখ এবং মূল্যও স্ট্যাম্পে উল্লেখ করতে হবে।
  • স্ট্যাম্পে উভয় পক্ষের স্বাক্ষর এবং একজন নোটারির স্বাক্ষর থাকতে হবে।
জমির স্ট্যাম্পে লেখার জন্য নিম্নলিখিত তথ্যগুলি অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে:
  • জমির মালিকের নাম
  • উক্ত জমির ঠিকানা
  • জমির পরিমাণ
  • বিক্রয়কারীর নাম
  • জমি বিক্রয়কারীর ঠিকানা
  • ক্রেতার নাম
  • জমির ক্রেতার ঠিকানা
  • বিক্রয়ের তারিখ
  • জমি বিক্রয়ের মূল্য
  • জমির স্ট্যাম্প লেখার জন্য নিম্নলিখিত টিপসগুলি অনুসরণ করতে পারেন:
  • স্ট্যাম্পে লিখতে কালির পেন ব্যবহার করুন।
  • আপনার স্ট্যাম্পের উপরে কোনও দাগ বা ভুল হলে তা পুনরায় লিখুন।
  • স্ট্যাম্পে উভয় পক্ষের স্বাক্ষর এবং একজন নোটারির স্বাক্ষর থাকতে হবে।
  • জমির স্ট্যাম্প লেখার জন্য আপনি একজন নোটারির সাহায্য নিতে পারেন। নোটারির কাছ থেকে স্ট্যাম্পটি পূরণ করে নিলে আপনাকে কোনও ভুল করতে হবে না।

চুক্তিপত্র স্ট্যাম্প লেখার নিয়ম

চুক্তিপত্র স্ট্যাম্প লেখার জন্য নিম্নলিখিত নিয়মগুলি অনুসরণ করতে হবে: আসুন এখন আর দেরি না করে আমরা চুক্তিপত্র স্ট্যাম্প লেখার নিয়ম বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি। জমজম আইটির চুক্তিপত্র স্ট্যাম্প লেখার নিয়ম নিয়ে বিস্তারিত জানার জন্য নিচের লেখা গুলো পুরোপুরি পড়ে নিন। আপনার জন্য আরো অতিরিক্ত বোনাস হিসেবে চুক্তিপত্র স্ট্যাম্প লেখার নিয়ম নিয়ে আলোচনা এখানে চাপ দিয়ে বিস্তারিত জেনে নিন।
  • প্রথমে স্ট্যাম্পের উপরে স্পষ্টভাবে চুক্তিপত্রের নাম এবং তারিখ লিখতে হবে।
  • তারপর চুক্তিপত্রের মধ্যে উল্লেখিত সমস্ত পক্ষের নাম, ঠিকানা এবং স্বাক্ষর স্ট্যাম্পে লিখতে হবে।
  • চুক্তিপত্রের শর্তাবলীও স্ট্যাম্পে উল্লেখ করতে হবে।
  • স্ট্যাম্পে একজন নোটারির স্বাক্ষর থাকতে হবে।
চুক্তিপত্র স্ট্যাম্পে লেখার জন্য নিম্নলিখিত তথ্যগুলি অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে:
  • চুক্তিপত্রের নাম
  • অবশ্যই চুক্তিপত্রের তারিখ থাকতে হবে।
  • চুক্তিপত্রের পক্ষের নাম
  • আপনরি চুক্তিপত্রের পক্ষের ঠিকানা
  • চুক্তিপত্রের শর্তাবলী
চুক্তিপত্র স্ট্যাম্প লেখার জন্য নিম্নলিখিত টিপসগুলি অনুসরণ করতে পারেন:
  • স্ট্যাম্পে লিখতে কালির পেন ব্যবহার করুন।
  • স্ট্যাম্পের উপরে কোনও দাগ বা ভুল হলে তা পুনরায় লিখুন।
  • লক্ষ করুন স্ট্যাম্পে একজন নোটারির স্বাক্ষর থাকতে হবে।
  • চুক্তিপত্র স্ট্যাম্প লেখার জন্য আপনি একজন নোটারির সাহায্য নিতে পারেন। নোটারির কাছ থেকে স্ট্যাম্পটি পূরণ করে নিলে আপনাকে কোনও ভুল করতে হবে না।
এখানে একটি সাধারণ চুক্তিপত্র স্ট্যাম্পের একটি উদাহরণ দেওয়া হল:

চুক্তিপত্র স্ট্যাম্পের একটি উদাহরণ

আজকের তারিখে, [তারিখ], আমরা, [পক্ষের নাম], নিম্নলিখিত শর্তাবলীর ভিত্তিতে একটি চুক্তিতে আবদ্ধ হই: আসুন এখন আর দেরি না করে আমরা চুক্তিপত্র বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি। জমজম আইটির চুক্তিপত্র নিয়ে বিস্তারিত জানার জন্য নিচের লেখা গুলো পুরোপুরি পড়ে নিন। আপনার জন্য আরো অতিরিক্ত বোনাস হিসেবে চুক্তিপত্র নিয়ে আলোচনা এখানে চাপ দিয়ে বিস্তারিত জেনে নিন।
  • [পক্ষের নাম] [পক্ষের ঠিকানা]-এর মালিক।
  • [পক্ষের নাম] [পক্ষের ঠিকানা]-এর বাসিন্দা।
  • [পক্ষের নাম] [পক্ষের ঠিকানা]-এর কাছে [পক্ষের নাম]-এর কাছ থেকে [সম্পত্তির নাম] বিক্রি করে।
  • [পক্ষের নাম] [পক্ষের ঠিকানা]-এর কাছে [সম্পত্তির নাম] এর জন্য [মূল্য] টাকা পরিশোধ করবে।
  • [পক্ষের নাম] [পক্ষের ঠিকানা]-এর কাছে [সম্পত্তির নাম]-এর মালিকানা হস্তান্তর করবে।
এই চুক্তিটি [সংখ্যা] পৃষ্ঠার মধ্যে লিখিত এবং দুটি কপিতে করা হয়েছে, প্রতিটি পক্ষের কাছে একটি কপি থাকবে।
  • [পক্ষের স্বাক্ষর]
  • [পক্ষের স্বাক্ষর]
  • [নোটারির স্বাক্ষর]
আপনার চুক্তিপত্রের জন্য একটি স্ট্যাম্প লেখার সময়, নিশ্চিত করুন যে আপনি স্ট্যাম্পের সঠিক মূল্য ব্যবহার করছেন। স্ট্যাম্পের মূল্য চুক্তিপত্রের বিষয়বস্তু এবং মূল্য অনুসারে পরিবর্তিত হয়। আপনি স্ট্যাম্পের মূল্য সম্পর্কে আরও তথ্যের জন্য আপনার স্থানীয় নোটারির সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

চুক্তিপত্র স্ট্যাম্প লেখার নিয়ম নিয়ে ২৫টি প্রশ্ন ও উত্তর

চুক্তিপত্র (Agreement) বা অন্য যেকোনো আইনগত নথিতে স্ট্যাম্প লেখা ও ব্যবহার করার নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। নিচে চুক্তিপত্র স্ট্যাম্প লেখার নিয়ম নিয়ে ২৫টি প্রশ্ন ও উত্তর দিলাম—
চুক্তিপত্র স্ট্যাম্প লেখার নিয়ম – ২৫টি প্রশ্ন ও উত্তর
১. প্রশ্ন: চুক্তিপত্রে স্ট্যাম্প কেন ব্যবহার করতে হয়?
উত্তর: আইনি বৈধতা ও প্রমাণীকরণের জন্য চুক্তিপত্রে স্ট্যাম্প ব্যবহার বাধ্যতামূলক।
২. প্রশ্ন: বাংলাদেশে চুক্তিপত্রে কোন আইনের অধীনে স্ট্যাম্প ব্যবহার করতে হয়?
উত্তর: স্ট্যাম্প আইন, ১৮৯৯ (Stamp Act, 1899) অনুযায়ী।
৩. প্রশ্ন: চুক্তিপত্রে ব্যবহৃত স্ট্যাম্পের পরিমাণ কীভাবে নির্ধারিত হয়?
উত্তর: চুক্তির ধরণ, অর্থের পরিমাণ ও উদ্দেশ্যের ভিত্তিতে স্ট্যাম্পের পরিমাণ নির্ধারিত হয়।
৪. প্রশ্ন: সাধারণ চুক্তিপত্রে ন্যূনতম কত টাকার স্ট্যাম্প ব্যবহার করা হয়?
উত্তর: সাধারণ চুক্তিপত্রে ন্যূনতম ৩০০ টাকা বা নির্ধারিত স্ট্যাম্প ব্যবহার হয় (চুক্তির ধরনভেদে পরিবর্তন হতে পারে)।
৫. প্রশ্ন: স্ট্যাম্প কি সবসময় কোর্ট ফি এর সমান?
উত্তর: না, কোর্ট ফি ও স্ট্যাম্প ফি আলাদা বিষয়।
৬. প্রশ্ন: স্ট্যাম্প কোথা থেকে ক্রয় করতে হয়?
উত্তর: ট্রেজারি বা অনুমোদিত ব্যাংক/স্ট্যাম্প ভেন্ডর থেকে।
৭. প্রশ্ন: স্ট্যাম্প কি শুধু কাগজ আকারে পাওয়া যায়?
উত্তর: না, বর্তমানে কাগজ স্ট্যাম্প ও ই-স্ট্যাম্প দুটোই ব্যবহার হয়।
৮. প্রশ্ন: স্ট্যাম্প লেখার সময় কি অবশ্যই সই করতে হয়?
উত্তর: হ্যাঁ, চুক্তির উভয় পক্ষের স্বাক্ষর বাধ্যতামূলক।
৯. প্রশ্ন: স্ট্যাম্প কি চুক্তিপত্রের প্রথম পাতায় বসাতে হয়?
উত্তর: হ্যাঁ, সাধারণত প্রথম পাতার উপরে বা পাশে বসানো হয়।
১০. প্রশ্ন: যদি একাধিক পৃষ্ঠা থাকে তবে সব পাতায় স্ট্যাম্প দিতে হবে কি?
উত্তর: না, তবে প্রতিটি পাতায় সই থাকতে হবে; স্ট্যাম্প কেবল মূল পৃষ্ঠায় ব্যবহার হয়।
১১. প্রশ্ন: স্ট্যাম্প কেটে ব্যবহার করলে কি বৈধ হবে?
উত্তর: না, স্ট্যাম্প অক্ষত থাকতে হবে; আংশিক কাটা বা ক্ষতিগ্রস্ত হলে তা বৈধ নয়।
১২. প্রশ্ন: স্ট্যাম্পের তারিখ কি গুরুত্বপূর্ণ?
উত্তর: হ্যাঁ, স্ট্যাম্পের তারিখ চুক্তির তারিখের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে।
১৩. প্রশ্ন: পুরনো তারিখের স্ট্যাম্প ব্যবহার করলে কি হবে?
উত্তর: প্রয়োজনে বৈধ হতে পারে, তবে মেয়াদোত্তীর্ণ বা বাতিল স্ট্যাম্প ব্যবহার করা যাবে না।
১৪. প্রশ্ন: চুক্তিপত্রের কপি (duplicate) তেও কি স্ট্যাম্প দিতে হয়?
উত্তর: সাধারণত না, তবে বিশেষ ক্ষেত্রে দিতে হয়।
১৫. প্রশ্ন: নোটারাইজ করার আগে কি স্ট্যাম্প লাগাতে হয়?
উত্তর: হ্যাঁ, নোটারাইজড চুক্তিপত্রে আগে স্ট্যাম্প থাকতে হবে।
১৬. প্রশ্ন: স্ট্যাম্প ছাড়া চুক্তি করলে কি তা বৈধ হবে?
উত্তর: আইনত তা প্রমাণ হিসেবে গ্রহণযোগ্য হবে না।
১৭. প্রশ্ন: স্ট্যাম্প কি উভয় পক্ষই কিনতে পারে?
উত্তর: হ্যাঁ, যে কোনো পক্ষ স্ট্যাম্প কিনতে পারে।
১৮. প্রশ্ন: ভাড়া চুক্তিপত্রে স্ট্যাম্প কত লাগবে?
উত্তর: ভাড়া ও মেয়াদের ওপর নির্ভর করে (যেমন এক বছরের জন্য আলাদা হার আছে)।
১৯. প্রশ্ন: ব্যবসায়িক চুক্তিতে কি আলাদা স্ট্যাম্প ব্যবহার হয়?
উত্তর: হ্যাঁ, অর্থমূল্য অনুযায়ী আলাদা স্ট্যাম্প দিতে হয়।
২০. প্রশ্ন: কি ধরনের চুক্তিতে বিশেষ স্ট্যাম্প লাগে?
উত্তর: ভাড়া, বিক্রয়, পাওনাদারী, ঋণ, মুচলেকা প্রভৃতিতে।
২১. প্রশ্ন: ই-স্ট্যাম্প ব্যবহার করলে কি কাগজ স্ট্যাম্পের দরকার হয়?
উত্তর: না, ই-স্ট্যাম্পই যথেষ্ট।
২২. প্রশ্ন: চুক্তিপত্রে যদি ভুলবশত কম স্ট্যাম্প ব্যবহার হয় তাহলে?
উত্তর: কোর্টে অতিরিক্ত জরিমানা দিতে হবে, এবং পরে পূর্ণ স্ট্যাম্প দিতে হবে।
২৩. প্রশ্ন: বিদেশি চুক্তিতে বাংলাদেশি স্ট্যাম্প লাগবে কি?
উত্তর: বাংলাদেশে কার্যকর হলে অবশ্যই বাংলাদেশি স্ট্যাম্প দিতে হবে।
২৪. প্রশ্ন: চুক্তিপত্রে সাক্ষীর সই কি স্ট্যাম্পের ওপর দিতে হয়?
উত্তর: না, সাক্ষীর সই আলাদা স্থানে হয়।
২৫. প্রশ্ন: স্ট্যাম্প লেখার সময় কি কলম দিয়ে কোনো কিছু লিখতে হয়?
উত্তর: হ্যাঁ, সাধারণত চুক্তির শিরোনাম, তারিখ, নাম/স্বাক্ষর দিতে হয় যাতে তা বাতিল (used) হিসেবে গণ্য হয়।

আপনার পছন্দ ও প্রয়োজন হতে পারে এমন আরো পোস্টের তালিকা

উপসংহার

আজ চুক্তিপত্র স্ট্যাম্প লেখার নিয়ম জানুন নিয়ে আলোচনা করলাম। আগামীতে  ভালো কোনো বিষয় নিয়ে হাজির হবো। আশা করছি উপরের চুক্তিপত্র স্ট্যাম্প লেখার নিয়ম জানুন বিষয়ে আলোচনা আপনার ভালো লেগেছে। যদি এ বিষয়ে কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানান । আমাদের ফলো করে সাথেই থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

জমজম আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url