নতুনদের জন্য শেয়ার বাজার - ভালো শেয়ার চেনার উপায় কি

ভূমিকা

সুপ্রিয় পাঠক আজকাল অনেকেই অনলাইনে নতুনদের জন্য শেয়ার বাজার - ভালো শেয়ার চেনার উপায় কি নিয়ে জানতে চান। আপনিও হয়তো অনেক খোঁজাখুঁজির পর নিশ্চয়ই নতুনদের জন্য শেয়ার বাজার - ভালো শেয়ার চেনার উপায় কি কি তা জানার জন্যই আমাদের এই সাইটটিতে এসেছেন।
নতুনদের জন্য শেয়ার বাজার - ভালো শেয়ার চেনার উপায় কিনতুনদের জন্য শেয়ার বাজার - ভালো শেয়ার চেনার উপায় কি
হ্যাঁ আজকে আমি সঠিকভাবে নতুনদের জন্য শেয়ার বাজার - ভালো শেয়ার চেনার উপায় কি তা নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করব। চলুন এই লেখার মূল বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানতে নিচের লেখা গুলো পুরোপুরি পড়ে নিন।

শেয়ার বাজার একাউন্ট খোলার নিয়ম

এখন আর দেরি না করে আমরা শেয়ার বাজার একাউন্ট খোলার নিয়ম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি। আর জমজম আইটির শেয়ার বাজার একাউন্ট খোলার নিয়ম নিয়ে বিস্তারিত জানার জন্য নিচের লেখা গুলো পুরোপুরি পড়ে নিন। হাতে সময় থাকলে আরো পড়ুন লিংকে চাপ দিয়ে জ্ঞান অর্জন করুন। আপনার জন্য আরো অতিরিক্ত বোনাস হিসেবে শেয়ার বাজার একাউন্ট খোলার নিয়ম নিয়ে আলোচনা এখানে ক্লিক করে বিস্তারিত জানুন।নিচে বাংলাদেশে শেয়ার বাজারে একাউন্ট খোলার সম্পূর্ণ নিয়ম (ধাপে ধাপে) সহজ ভাষায় ব্যাখ্যা করছি, যাতে নতুনরাও সহজে বুঝতে পারেন:
বাংলাদেশে শেয়ার বাজার একাউন্ট খোলার নিয়ম
বাংলাদেশে শেয়ার কেনাবেচার জন্য আপনাকে মূলত দুইটি একাউন্ট খুলতে হয়:
  • BO (Beneficiary Owners) Account – যেটি মূল একাউন্ট, শেয়ার রাখার জন্য
  • Trading Account – ব্রোকার হাউজ বা মার্চেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে, যেটা দিয়ে আপনি শেয়ার কেনাবেচা করবেন
Step 1: ব্রোকার/মার্চেন্ট ব্যাংক বেছে নিন
  • ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (DSE) বা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (CSE)-এর যেকোনো অনুমোদিত ব্রোকারেজ হাউজ বা মার্চেন্ট ব্যাংক বেছে নিন।
  • বড়, পরিচিত ব্রোকার হাউজে একাউন্ট খোলা নিরাপদ।
Step 2: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করুন
  • একটি BO Account খুলতে যা লাগবে:
  • জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) বা পাসপোর্ট
  • পাসপোর্ট সাইজ ছবি (সাধারণত ২ কপি)
  •  বৈধ ব্যাংক একাউন্ট (চেকবই বা একাউন্ট স্টেটমেন্ট কপি)
  • টিন সার্টিফিকেট (TIN Certificate), না থাকলে অনেক ব্রোকার হাউজে হয়ত করে দেয়া যায় বা নির্দেশনা দেয়
  • যদি জয়েন্ট একাউন্ট খোলেন, তাহলে উভয়ের ডকুমেন্ট লাগবে।
 Step 3: ফর্ম পূরণ ও সাইন দিন
  • ব্রোকার হাউজ বা মার্চেন্ট ব্যাংক আপনাকে BO Account Opening Form দিবে।
  • সব তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করে সাইন করতে হবে।
  • যাদের মোবাইল ট্রেডিং করতে হবে, আলাদা ফর্ম থাকতে পারে।
Step 4: একাউন্ট খোলার ফি জমা দিন
  • BO একাউন্ট খোলার জন্য সাধারণত বাৎসরিক চার্জ ৪৫০–৫০০ টাকা।
  • ব্রোকার হাউজ তাদের ফি ও চার্জ জানিয়ে দিবে।
 Step 5: একাউন্ট চালু হলে কনফার্মেশন পান
  • একাউন্ট খোলা হলে, আপনার BO একাউন্ট নম্বর (একটি ৮-ডিজিটের নম্বর) পাবেন।
  • এই একাউন্টে আপনার শেয়ার জমা থাকে।
Step 6: ট্রেডিং শুরু করুন
ব্রোকারের ট্রেডিং সফটওয়্যার বা অ্যাপের মাধ্যমে, অথবা ব্রোকার অফিসে গিয়ে অর্ডার দিতে পারেন।
মোবাইল অ্যাপ থেকে সরাসরি শেয়ার কেনা-বেচা করতে পারবেন।
সংক্ষেপে যা দরকার:
  •  NID + ছবি
  •  ব্যাংক একাউন্ট
  •  ফর্ম পূরণ
  • বার্ষিক ফি জমা
  • ব্রোকার বা মার্চেন্ট ব্যাংকে জমা
  • প্রথমে বিশ্বস্ত ব্রোকার হাউজ বেছে নিন।
  • ট্রেডিং শুরু করার আগে কিছুদিন মার্কেট পর্যবেক্ষণ করুন।
একাউন্ট খোলার সময় ব্রোকার হাউজের ট্রেনিং সেশন থাকলে অংশ নিন।

নতুনদের জন্য শেয়ার বাজার

এখন আর দেরি না করে আমরা নতুনদের জন্য শেয়ার বাজার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি। আর জমজম আইটির নতুনদের জন্য শেয়ার বাজার নিয়ে বিস্তারিত জানার জন্য নিচের লেখা গুলো পুরোপুরি পড়ে নিন। হাতে সময় থাকলে আরো পড়ুন লিংকে চাপ দিয়ে জ্ঞান অর্জন করুন। আপনার জন্য আরো অতিরিক্ত বোনাস হিসেবে নতুনদের জন্য শেয়ার বাজার নিয়ে আলোচনা এখানে ক্লিক করে বিস্তারিত জানুন।নতুনদের জন্য শেয়ার বাজার আসলে বেশ আকর্ষণীয়, কিন্তু কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণও। তাই খুব বুঝে-শুনে শুরু করতে হয়। আমি নিচে সহজ ভাষায় ধাপে ধাপে গাইড দিচ্ছি, যা একজন নতুন বিনিয়োগকারী (বিশেষ করে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে) কাজে লাগাতে পারবেন:
 ১. শেয়ার বাজার কীভাবে কাজ করে বোঝা
  • শেয়ার বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার (ownership এর অংশ) কেনাবেচা হয়।
  • কোম্পানি শেয়ার ইস্যু করে মূলধন সংগ্রহ করে, আর বিনিয়োগকারী শেয়ার কিনে লাভ (ডিভিডেন্ড + দাম বৃদ্ধির মাধ্যমে) করতে চায়।
২. ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট (BO account) খুলুন
  • শেয়ার কেনাবেচার জন্য অবশ্যই বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (BO) একাউন্ট দরকার।
  • ব্যাংক, ব্রোকারেজ হাউজ বা মার্চেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে এই একাউন্ট খোলা যায়।
  • পরিচয়পত্র, ছবি, ব্যাংক একাউন্টের তথ্য লাগে।
৩. শেয়ারের ধরন বুঝুন
  • Blue chip stocks: বড় কোম্পানি, স্থিতিশীল, তুলনায় কম ঝুঁকি।
  • Mid cap / Small cap stocks: মাঝারি বা ছোট কোম্পানি, ঝুঁকি বেশি, কিন্তু লাভের সম্ভাবনাও বেশি।
  • Growth stocks: দ্রুত বৃদ্ধিশীল কোম্পানি।
  • Dividend stocks: নিয়মিত লভ্যাংশ দেয়।
 ৪. বিনিয়োগের আগে শিখুন ও রিসার্চ করুন
  • কোম্পানির Annual report, EPS, PE ratio, dividend history দেখুন।
  • ইন্টারনেটে ফান্ডামেন্টাল ও টেকনিক্যাল এনালাইসিস শেখা যায়।
  • DSE (ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ) ও CSE (চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ)-এর ওয়েবসাইটে নিয়মিত আপডেট পান।
৫. ছোট শুরু করুন
  • প্রথমে বড় অংকের টাকা বিনিয়োগ না করে, অল্প টাকায় শেয়ার কিনে শিখুন।
  • প্রথমে বড় লাভের পেছনে না ছুটে, শেখার দিকে মন দিন।
৬. নিয়মিত খবর ও মার্কেট আপডেট ফলো করুন
  • ইকোনমিক নিউজ, কোম্পানির খবর, ডিভিডেন্ড ঘোষণা ইত্যাদি বাজারে প্রভাব ফেলে।
  • অনলাইন নিউজ পোর্টাল, ফেসবুক গ্রুপ, ব্রোকারেজ হাউজের রিসার্চ রিপোর্ট দেখুন।
৭. আবেগ দিয়ে নয়, তথ্য দিয়ে সিদ্ধান্ত নিন
  • বাজারে হঠাৎ উত্থান বা পতন দেখে ভয় বা লোভে সিদ্ধান্ত নেবেন না।
  • লং-টার্ম ভিউ রাখুন।
 ৮. ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা শিখুন
  • সব টাকা এক কোম্পানিতে বিনিয়োগ না করে ডাইভার্সিফাই করুন।
  • অতি অল্প দামে বা অতি বেশি দামে কেনাবেচা করতে সাবধান থাকুন।
শেয়ার বাজারে দ্রুত ধনী হওয়া যায় না। ধীরে ধীরে শিখে, ধারাবাহিকভাবে বিনিয়োগ করলেই সাফল্য বেশি আসে।

ভালো শেয়ার চেনার উপায় কি

আর দেরি না করে আমরা ভালো শেয়ার চেনার উপায় কি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি। আর জমজম আইটির ভালো শেয়ার চেনার উপায় কি নিয়ে বিস্তারিত জানার জন্য নিচের লেখা গুলো পুরোপুরি পড়ে নিন। হাতে সময় থাকলে আরো পড়ুন লিংকে চাপ দিয়ে জ্ঞান অর্জন করুন। আপনার জন্য আরো অতিরিক্ত বোনাস হিসেবে ভালো শেয়ার চেনার উপায় কি নিয়ে আলোচনা এখানে ক্লিক করে বিস্তারিত জানুন।শেয়ার বাজারে ভাল শেয়ার চেনা আসলে ধাপে ধাপে বিশ্লেষণের মাধ্যমে করা যায়। নিচে সহজভাবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানাচ্ছি, যেগুলো দেখে বোঝা যায় কোন শেয়ার তুলনামূলকভাবে ভালো হতে পারে:
 ১. কোম্পানির ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস করুন
  • EPS (Earnings Per Share): ধারাবাহিকভাবে বেশি ও বৃদ্ধি পেলে ভালো লক্ষণ।
  • PE Ratio (Price to Earnings): খুব বেশি হলে সাবধান, কারণ তাতে শেয়ারের দাম অতিমূল্যায়িত হতে পারে।
  • NAV (Net Asset Value): কোম্পানির প্রকৃত সম্পদের মান বেশি থাকলে ভালো।
  • Dividend History: নিয়মিত এবং ভালো হারে লভ্যাংশ দেয় কিনা দেখুন।
 ২. কোম্পানির ব্যবসার ধরন ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা
  • কোন সেক্টরে আছে, সেই সেক্টরের ভবিষ্যৎ কেমন?
  • কোম্পানির ব্যবসা কি টেকসই ও ভবিষ্যতে বাড়তে পারে এমন?
  • নতুন বিনিয়োগ বা প্রকল্পের খবর আছে কিনা?
 ৩. টেকনিক্যাল এনালাইসিস (যদি শিখে থাকেন)
  • ট্রেন্ড লাইন, সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স দেখে বোঝা যায় শেয়ার আপট্রেন্ডে আছে কিনা।
  • ভলিউম বেশি থাকা ভালো লক্ষণ, কারণ তা বাজারে আগ্রহ বোঝায়।
 ৪. লিকুইডিটি এবং মার্কেট ক্যাপ
  • বড় এবং লিকুইড শেয়ার বেশি নিরাপদ (Blue Chip stocks)।
  • ছোট কোম্পানির শেয়ার বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
৫. ম্যানেজমেন্ট ও গুডউইল
  • কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ এবং মালিকপক্ষের রেপুটেশন কেমন?
  • অতীতে কোন বড় কেলেঙ্কারির রেকর্ড আছে কিনা?
৬. সাম্প্রতিক খবর ও আর্থিক প্রতিবেদন পড়ুন
  • কোন বড় চুক্তি, নতুন প্রকল্প বা প্রবৃদ্ধির খবর আছে কিনা।
  • লেটেস্ট কোর্য়াটারলি ও অ্যানুয়াল রিপোর্ট দেখে নিন।
  • ভাল শেয়ার মানে এমন শেয়ার যেটির ভালো ব্যবসার ভিত্তি আছে, ধারাবাহিক মুনাফা করে, সঠিক দামে আছে এবং ভবিষ্যতে বৃদ্ধি সম্ভাবনা আছে।

শেয়ার বাজার A to Z

এখন আর দেরি না করে আমরা শেয়ার বাজার A to Z বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি। আর জমজম আইটির শেয়ার বাজার A to Z নিয়ে বিস্তারিত জানার জন্য নিচের লেখা গুলো পুরোপুরি পড়ে নিন। হাতে সময় থাকলে আরো পড়ুন লিংকে চাপ দিয়ে জ্ঞান অর্জন করুন। আপনার জন্য আরো অতিরিক্ত বোনাস হিসেবে শেয়ার বাজার A to Z নিয়ে আলোচনা এখানে ক্লিক করে বিস্তারিত জানুন।নিচে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে শেয়ার বাজার নিয়ে একেবারে সহজ ভাষায় A to Z গাইড দিলাম।
এটি একেবারে নতুনদের জন্য — যেন শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পুরো ধারণা তৈরি হয়:
শেয়ার বাজার A to Z (বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে)
 A - শেয়ার বাজার কী?
শেয়ার বাজার এমন একটি স্থান/প্লাটফর্ম, যেখানে কোম্পানির মালিকানার অংশ (শেয়ার) কেনা-বেচা হয়।
বাংলাদেশে প্রধানত দুইটি স্টক এক্সচেঞ্জ:
  • ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (DSE)
  • চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (CSE)
 B - কেন শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করবেন?
  • সঞ্চয়ের চেয়ে বেশি রিটার্ন।
  • ডিভিডেন্ড (লভ্যাংশ) পেতে পারেন।
  • কোম্পানির উন্নতির সাথে সম্পদও বাড়ে।
 C - কোম্পানির ধরণ
  • Listed company: যারা স্টক এক্সচেঞ্জে লিস্টেড।
  • Public limited company: শেয়ার ইস্যু করে জনগণের কাছ থেকে মূলধন সংগ্রহ করে।
 D - ডিভিডেন্ড
  • লাভের অংশ যা কোম্পানি শেয়ারহোল্ডারদের দেয়।
দুই ধরনের:
Cash dividend
Stock dividend (bonus share)
 E - EPS (Earnings Per Share)
  • প্রতিটি শেয়ারের জন্য কোম্পানির আয়।
  • বেশি EPS ভালো।
F - ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস
  • কোম্পানির মূল অর্থনৈতিক ভিত্তি যাচাই: আয়, ব্যালান্স শীট, লভ্যাংশ ইতিহাস ইত্যাদি।
 G - গুডউইল ও ম্যানেজমেন্ট
  • কোম্পানির বাজারে সুনাম ও পরিচালনা পর্ষদের যোগ্যতা যাচাই।
H - হোল্ডিং
  • শেয়ার কিনে কিছুদিন বা দীর্ঘ সময়ের জন্য ধরে রাখা।
 I - আইপিও (IPO)
  • Initial Public Offering: নতুন কোম্পানি প্রথমবার শেয়ার বাজারে আসার সময় শেয়ার ইস্যু করে।
 J - ঝুঁকি (Risk)
  • শেয়ারের দাম উঠা-নামা করে, তাই বিনিয়োগের ঝুঁকি থাকে।
  • Risk management শিখুন।
K - Know your stock
  • না বুঝে বিনিয়োগ না করে, কোম্পানি সম্পর্কে জেনে-বুঝে বিনিয়োগ করুন।
 L - লিকুইডিটি
  • কোনো শেয়ার দ্রুত বিক্রি করা যায় কিনা। বেশি লিকুইড শেয়ার দ্রুত বিক্রি করা যায়।
 M - মার্কেট প্রাইস
  • শেয়ারের বর্তমান বাজার দর।
 N - NAV (Net Asset Value)
  • কোম্পানির প্রকৃত সম্পদের উপর ভিত্তি করে শেয়ারের দাম।
 O - Order
  • শেয়ার কেনা বা বিক্রির জন্য ব্রোকার হাউজে অর্ডার দেওয়া।
 P - PE Ratio (Price to Earnings Ratio)
  • শেয়ারের দাম বনাম আয়। খুব বেশি PE মানে দাম অতিমূল্যায়িত হতে পারে।
Q - Quarterly Report
  • প্রতি তিন মাসে কোম্পানি আয়ের রিপোর্ট প্রকাশ করে। এটি বিশ্লেষণ করুন।
R - Right Share
  • কোম্পানি বিদ্যমান শেয়ারহোল্ডারদের জন্য নতুন শেয়ার ইস্যু করে।
 S - Secondary Market
  • আইপিও ছাড়া যেসব শেয়ার বাজারে কেনা-বেচা হয়, তা সেকেন্ডারি মার্কেট।
 T - টেকনিক্যাল এনালাইসিস
  • চার্ট, ট্রেন্ড, ভলিউম দেখে দাম ও ট্রেন্ডের পূর্বাভাস।
 U - Uptrend
  • শেয়ারের দাম ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।
V - Volume
  • একদিনে কত শেয়ার কেনাবেচা হলো। বেশি ভলিউম বাজারের আগ্রহ বোঝায়।
W - Watchlist
  • আগ্রহের শেয়ারের তালিকা রাখুন, পর্যবেক্ষণ করুন।
X - Exit Strategy
  • কখন শেয়ার বিক্রি করবেন, সেই পরিকল্পনা আগে থেকেই ঠিক রাখুন।
Y - Yield
  • লভ্যাংশ থেকে প্রাপ্ত রিটার্ন। (Dividend yield)
Z - Zero Emotion
  • আবেগ দিয়ে নয়, তথ্য দিয়ে বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নিন।
 নতুনদের জন্য টিপস:
  • প্রথমে শিখুন → তারপর বিনিয়োগ করুন।
  • ডাইভার্সিফাই করুন: একসাথে অনেক শেয়ার কিনে ঝুঁকি কমান।
  • নিয়মিত রিপোর্ট, খবর পড়ুন।
  • প্রথমে অল্প টাকা দিয়ে শুরু করুন।

শেয়ার ব্যবসা করতে কত টাকা লাগে

এখন আর দেরি না করে আমরা শেয়ার ব্যবসা করতে কত টাকা লাগে বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি। আর জমজম আইটির শেয়ার ব্যবসা করতে কত টাকা লাগে নিয়ে বিস্তারিত জানার জন্য নিচের লেখা গুলো পুরোপুরি পড়ে নিন। হাতে সময় থাকলে আরো পড়ুন লিংকে চাপ দিয়ে জ্ঞান অর্জন করুন। আপনার জন্য আরো অতিরিক্ত বোনাস হিসেবে শেয়ার ব্যবসা করতে কত টাকা লাগে নিয়ে আলোচনা এখানে ক্লিক করে বিস্তারিত জানুন।বাংলাদেশে শেয়ার বাজারে ব্যবসা বা বিনিয়োগ শুরু করতে আসলে খুব বেশি টাকা লাগে না আপনি চাইলে অল্প টাকা দিয়েও শুরু করতে পারেন। নিচে সহজভাবে ব্যাখ্যা করছি:
শেয়ার বাজারে ব্যবসা শুরু করতে কত টাকা লাগে?
১. একাউন্ট খোলার খরচ:
  • BO (Beneficiary Owners) একাউন্ট খোলার জন্য বার্ষিক চার্জ প্রায়:
  • ৪৫০–৫০০ টাকা (ব্রোকার হাউজ বা মার্চেন্ট ব্যাংকের উপর নির্ভর করে)
  • ট্রেডিং একাউন্ট সাধারণত আলাদা কোনো চার্জ লাগে না, তবে কিছু ব্রোকার হাউজে সফটওয়্যার বা অ্যাপের জন্য ছোট ফি থাকতে পারে।
২. শেয়ার কেনার জন্য মূলধন:
  • বাংলাদেশের শেয়ার বাজারে অনেক কোম্পানির শেয়ার দর ১০ টাকা, ২০ টাকা, ৫০ টাকা, ১০০ টাকা এরকম।
  • শেয়ার কেনার সময় লট বা মিনিমাম ইউনিট লাগে না; চাইলে ১০০০–২০০০ টাকা দিয়েও শুরু করতে পারেন।
  • তবে, বাস্তবে একটু কার্যকরভাবে বিনিয়োগ করতে কমপক্ষে:
  • ৫,০০০–১০,০০০ টাকা থাকলে ভালো হয়।
  • এতে করে ২–৩টি কোম্পানির শেয়ার কিনে ডাইভার্সিফাই করতে পারবেন।
৩. ব্রোকার কমিশন:
  • প্রতি শেয়ার কেনা-বেচায় ব্রোকার হাউজ একটি ছোট কমিশন কেটে নেয়।
  • সাধারণত ০.৩%–০.৫% এর মধ্যে হয়ে থাকে।
 ৪. অন্যান্য সম্ভাব্য খরচ:
  • একাউন্ট রিনিউ (প্রতি বছর) – আবার ৪৫০–৫০০ টাকা।
  • যদি মোবাইল ট্রেডিং বা অনলাইন ট্রেডিং সফটওয়্যার ব্যবহার করেন, আলাদা ফি থাকতে পারে (সব ব্রোকারে হয় না)।
🌱 সংক্ষেপে:
  • একাউন্ট খোলার জন্য: ~৫০০ টাকা
  • বিনিয়োগের জন্য: ৫,০০০–১০,০০০ টাকা (ছোট পরিসরে শুরু করতে)
  • ট্রেডিং কমিশন: লেনদেনের সময় ছোট চার্জ:
  • প্রথমেই বড় অংকের টাকা বিনিয়োগ না করে, শিখতে শিখতে অল্প দিয়ে শুরু করা বুদ্ধিমানের কাজ।
  • শেয়ার বাজারের নিয়ম, কোম্পানি বিশ্লেষণ ও রিস্ক ম্যানেজমেন্ট শিখে ধাপে ধাপে মূলধন বাড়ানো ভালো।

কোন শেয়ার ভালো তা কিভাবে বুঝব

দেরি না করে আমরা কোন শেয়ার ভালো তা কিভাবে বুঝব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি। আর জমজম আইটির কোন শেয়ার ভালো তা কিভাবে বুঝব নিয়ে বিস্তারিত জানার জন্য নিচের লেখা গুলো পুরোপুরি পড়ে নিন। হাতে সময় থাকলে আরো পড়ুন লিংকে চাপ দিয়ে জ্ঞান অর্জন করুন। আপনার জন্য আরো অতিরিক্ত বোনাস হিসেবে কোন শেয়ার ভালো তা কিভাবে বুঝব নিয়ে আলোচনা এখানে ক্লিক করে বিস্তারিত জানুন।ভালো শেয়ার চেনার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিশ্লেষণ করতে হয়। নিচে সহজভাবে কিছু মূল পয়েন্ট দেওয়া হলো যেগুলোর মাধ্যমে আপনি একটি শেয়ার ভালো কিনা তা বুঝতে পারেন:

১. কোম্পানির মৌলিক বিশ্লেষণ (Fundamental Analysis)
  •  ১.১ কোম্পানির আয় ও লাভ
  • নিয়মিত আয় (Revenue) ও নিট লাভ (Net Profit) বাড়ছে কি না?
  • বিগত ৫ বছরের রিপোর্ট দেখুন (DSE → Annual Report)
 ১.২ ডিভিডেন্ড রেকর্ড
  • নিয়মিত এবং ভালো হারে ডিভিডেন্ড দিচ্ছে কিনা?
  • ডিভিডেন্ড ইয়িল্ড ৩%-৫% এর বেশি হলে ভালো।
১.৩ ইপিএস (EPS - Earnings Per Share)
  • প্রতি শেয়ারে কত আয় হচ্ছে?
  • বেশি EPS মানে কোম্পানি মুনাফাযোগ্য।
 ১.৪ পিই রেশিও (P/E Ratio)
  • সাধারণত ১০-২০ এর মধ্যে হলে ভালো।
  • খুব বেশি P/E মানে শেয়ার দাম বেশি, আর কম হলে অস্থিরতা থাকতে পারে।
২. টেকনিক্যাল এনালাইসিস (Technical Analysis)
 ২.১ ট্রেন্ড দেখুন
  • শেয়ারের দাম ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে নাকি কমছে?
  • চার্টে ৫০ দিন বা ২০০ দিনের Moving Average দেখে বোঝা যায়।
২.২ ভলিউম (Volume)
  • বেশি ভলিউমে লেনদেন মানে আগ্রহ বেশি, এটি ভালো সিগন্যাল।
৩. কোম্পানির খাত (Sector)
  • কোন খাতে কোম্পানি কাজ করছে?
  • ব্যাংক, ফার্মা, পাওয়ার, টেলিকম সাধারণত স্থিতিশীল খাত।
 ৪. ঝুঁকি ও সতর্কতা
  • জাঙ্ক শেয়ার (যেগুলো অল্প সময়ে বেশি মুনাফার প্রলোভন দেয়) থেকে দূরে থাকুন।
  • “ইনসাইডার টিপস” বা “সিওর লাভ” জাতীয় পরামর্শ এড়িয়ে চলুন।
  • বোঝার আগে বিনিয়োগ নয় — প্রাথমিক বিশ্লেষণ না করে টাকা ঢালবেন না।
৫. ভালো শেয়ার চেনার চেকলিস্ট

সূচক

ভালো শেয়ারের বৈশিষ্ট্য

লাভ

নিয়মিত মুনাফা করে

EPS

ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে

P/E

১০-২০ এর মধ্যে

ডিভিডেন্ড

৩% বা তার বেশি

কোম্পানি

দীর্ঘমেয়াদী খ্যাতি আছে

খাত

স্থিতিশীল ও প্রবৃদ্ধিমূলক

শেয়ারের দাম ভালো হলে কিভাবে বুঝব?
শেয়ার কেনা ভালো হলে কিভাবে বুঝবেন?
শেয়ার ভালো কিনা কিভাবে বুঝবো?

উপসংহার

প্রিয় পাঠক এই আর্টিকেলে আমরা নতুনদের জন্য শেয়ার বাজার - ভালো শেয়ার চেনার উপায় কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানলাম। আপনার নতুনদের জন্য শেয়ার বাজার - ভালো শেয়ার চেনার উপায় কি এখন আর কোনো ঐচ্ছিক বিষয় নয়, বরং এটি একটি আবশ্যকতা। এটি শুধুমাত্র আপনার পাঠকদের জন্য একটি জ্ঞান এবং আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে না, বরং নতুনদের জন্য শেয়ার বাজার - ভালো শেয়ার চেনার উপায় কি অপরিহার্য। তাই, উল্লেখিত টিপসগুলো অনুসরণ করে আপনার নতুনদের জন্য শেয়ার বাজার - ভালো শেয়ার চেনার উপায় কি ও কার্যকরী রাখুন, যা আজকের ডিজিটাল বিশ্বে আপনার সফলতার পথ প্রশস্ত করবে, ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

জমজম আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url