অনলাইন জিডি করার নিয়ম - থানায় না গিয়েও জিডি করবেন যেভাবে | Online GD বিস্তারিত জেনে নিন
BCS
ভূমিকা
সুপ্রিয় পাঠক আজকাল অনেকেই অনলাইনে অনলাইন জিডি করার নিয়ম - থানায় না গিয়েও জিডি করবেন যেভাবে | Online GD বিস্তারিত জেনে নিন নিয়ে জানতে চান। আপনিও হয়তো অনেক খোঁজাখুঁজির পর নিশ্চয়ই অনলাইন জিডি করার নিয়ম - থানায় না গিয়েও জিডি করবেন যেভাবে | Online GD বিস্তারিত জেনে নিন কি তা জানার জন্যই আমাদের এই সাইটটিতে এসেছেন।
হ্যাঁ আজকে আমি সঠিকভাবে অনলাইন জিডি করার নিয়ম - থানায় না গিয়েও জিডি করবেন যেভাবে | Online GD বিস্তারিত জেনে নিন তা নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করব। চলুন এই লেখার মূল বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানতে নিচের লেখা গুলো পুরোপুরি পড়ে নিন।
অনলাইন জিডি করার নিয়ম Online GD বিস্তারিত জেনে নিন
বাংলাদেশ পুলিশ এখন অনলাইন জিডি করার সুবিধা চালু করেছে। নাগরিকরা সহজেই ঘরে বসে https://gd.police.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে জিডি করতে পারেন। প্রথমে একাউন্ট তৈরি করে লগইন করতে হয়। এরপর “জিডির ধরন” নির্বাচন করে ঘটনার বিস্তারিত লিখে থানার নাম উল্লেখ করতে হয়। তথ্য যাচাই করে সাবমিট দিলে একটি GD Tracking Number পাওয়া যায়, যা দিয়ে পরবর্তীতে জিডির কপি ডাউনলোড করা যায়। হারানো কাগজপত্র, মোবাইল বা অন্যান্য বিষয়ের জন্য এটি দ্রুত ও নিরাপদ পদ্ধতি। অনলাইন জিডি এখন নাগরিক সেবায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
অনলাইন জিডি (General Diary) করার নিয়ম খুব সহজ। বাংলাদেশ পুলিশ এখন পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ও অনলাইন জিডি সেবা “পুলিশ সার্ভিস পোর্টাল” (https://gd.police.gov.bd এর মাধ্যমে দিচ্ছে। নিচে ধাপে ধাপে নিয়ম দেওয়া হলো:
“Create Account” বা “রেজিস্ট্রেশন” অপশনে ক্লিক করুন।
নাম, মোবাইল নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) নম্বর ও ইমেইল দিয়ে একাউন্ট তৈরি করুন।
মোবাইলে OTP কোড আসবে, তা দিয়ে ভেরিফাই করুন।
লগইন করুন:
রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হলে ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করুন।
জিডি ফর্ম পূরণ করুন:
আপনি কী বিষয় নিয়ে জিডি করছেন তা নির্বাচন করুন (যেমন: হারানো কাগজপত্র, হারানো মোবাইল ইত্যাদি)।
বিস্তারিত বিবরণ লিখুন, কোথায় ও কখন ঘটনাটি ঘটেছে তা উল্লেখ করুন।
প্রয়োজনে হারানো জিনিসের তথ্য দিন (যেমন IMEI নম্বর, ডকুমেন্ট নাম্বার ইত্যাদি)।
থানা নির্বাচন করুন:
ঘটনাস্থলের থানার নাম নির্বাচন করুন।
জিডি সাবমিট করুন:
সবকিছু যাচাই করে সাবমিট করুন।
সফলভাবে সাবমিট হলে একটি GD Tracking Number পাবেন।
জিডির কপি ডাউনলোড করুন:
আপনার একাউন্ট থেকে জিডির কপি ডাউনলোড বা প্রিন্ট করতে পারবেন।
প্রথম ধাপ :
রেজিষ্ট্রেশনে ক্লিক করুন>আপনার জাতীয়পরিচয়পত্র নম্বর লিখুন>আপনার বর্তমান ঠিকানাটি লিখুন>আপনার লাইভ ছবি তুলুন>আপনার সচল মোবাইল(পরবর্তীতে আপনার ইউজার নেম) ও ইমেল (যদি থাকে) এবং পাসওয়ার্ড প্রদান করুন।
আপনার পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য এসএমএস এর মাধ্যমে একটি কোড (ওটিপি) আপনার দেওয়া মোবাইল নম্বরে পাঠানো হবে।
কোডটি (ওটিপি) যথাস্থানে সঠিকভাবে লিখুন।
লগইন পেইজে ইউজারের ঘরে আপনার মোবাইল নম্বর এবং পূর্বে প্রদানকৃত পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন-এ ক্লিক করুন।
দ্বিতীয় ধাপ :
অভিযোগের ধরন এবং আপনার কি হারিয়েছে অথবা কি খুজে পেয়েছেন তা নির্বাচন করুন এবং কোন জেলায় ও কোন থানায় জিডি করতে চান তা নির্বাচন করুন ঘটনার সময় ও স্থান লিখে “ পরবর্তী” ধাপ বাটনে ক্লিক করুন।
আপনার বর্তমান ঠিকানা ও ঘটনা সম্পর্কে আরও বিস্তারিত লিখুন
অভিযোগ সম্পর্কিত কোন ডকুমেন্ট থাকলে সেগুলো যুক্ত করুন। “সাবমিট” বাটনে ক্লিক করে জমা দিন অথবা এডিট বাটনে ক্লিক করে ফর্ম পূরনে কোন সমস্যা হলে তা সমাধান করুন।
আবেদন সম্পন্ন হলে পরবর্তীতে লগইন করে আপনি আপনার জিডিএর সর্বশেষ অবস্থা জানতে পারবেন।
বিশেষ নির্দেশিকা :
আপনার হারানো ও প্রাপ্তি সংক্রান্ত জানমালের বিষয়সহ যে কোন বিষয়ে পুলিশের নিকট অভিযোগ করতে এই ওয়েব সাইট ব্যবহার করুন।।
সংশ্লিষ্ট থানা হতে আপনার অভিযোগের ধরন অনুসারে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে এবং আপনাকে অবগত করা হবে।
অভিযোগের বিষয়টি যদি জিডির যোগ্য হয় তাহলে সেটি জিডি নং এবং তদন্তকারী অফিসারের বিবরণীসহ আপনাকে ডিজিটাল জিডির কপি প্রেরন করা হবে।
অভিযোগের বিষয়টি যদি মামলার যোগ্য (আমলযোগ্য অপরাধ) হয় সেক্ষেত্রে অভিযোগের প্রিন্ট কপি অথবা অভিযোগের কোড নং সহ আপনাকে থানায় উপস্থিত থাকতে হবে।
আরো পড়ুনঃ
অভিযোগ করার জন্য যা প্রয়োজন বিস্তারিত জেনে নিন
অভিযোগ করার জন্য কিছু মৌলিক তথ্য ও প্রমাণ প্রস্তুত রাখা জরুরি। প্রথমে অভিযোগকারীর নাম, ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর এবং যোগাযোগ নম্বর উল্লেখ করতে হয়। এরপর ঘটনার সময়, স্থান, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নাম ও ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ স্পষ্টভাবে লিখতে হয়। যদি কোনো প্রমাণ থাকে, যেমন ছবি, ভিডিও, অডিও বা সাক্ষীর নাম, তা সংযুক্ত করতে হয়। অনলাইনে অভিযোগ করতে হলে ওয়েবসাইটে যান:
ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করে ফরম পূরণ করতে হয়। অভিযোগ জমা দেওয়ার পর ট্র্যাকিং নম্বর সংরক্ষণ করে রাখতে হয় ভবিষ্যতে অনুসন্ধান বা তদন্তের জন্য।
আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর।
আপনার সচল মোবাইল।
আপনার লাইভ ছবি।
অনলাইন জিডি অ্যাপস্ এবং ওয়েব পোর্টালের সুবিধা সমূহ :
খুব সহজে আপনার অভিযোগটি পুলিশকে জানাতে পারবেন।
আপনার অভিযোগের সর্বশেষ অবস্থা জানতে পারবেন।
আপনার অভিযোগের তদন্তকারী অফিসারের সহিত অনলাইনে যোগাযোগ করতে পারবেন।
হারানো মোবাইল ফোনের ক্ষেত্রে দ্রুত জিডি করা অত্যন্ত জরুরি। প্রথমে আপনার মোবাইলের IMEI নম্বর, হারানোর তারিখ, সময় ও স্থান লিখে থানায় অথবা অনলাইনে https://gd.police.gov.bd ওয়েবসাইটে জিডি করতে পারেন। জিডি ফরমে নিজের নাম, ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ও মোবাইল নম্বর দিতে হয়। ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণে উল্লেখ করবেন কোথায় এবং কিভাবে মোবাইলটি হারিয়েছে। জিডি করার পর আপনি একটি ট্র্যাকিং নম্বর পাবেন, যা দিয়ে অনলাইনে জিডির অবস্থা চেক করা যায়। প্রয়োজনে জিডির কপি মোবাইল অপারেটর বা পুলিশ বিভাগে জমা দিতে হয়।
হারানো মোবাইলের জন্য অনলাইন জিডির নমুনা আবেদন
বিষয়: হারানো মোবাইল ফোন সংক্রান্ত জিডি করার আবেদন
মাননীয় অফিসার ইনচার্জ,
[থানার নাম],
[জেলার নাম]।
জনাব,
বিনীত নিবেদন এই যে, আমি [আপনার পূর্ণ নাম], পিতা/স্বামী – [পিতার বা স্বামীর নাম], সাং – [গ্রামের/এলাকার নাম], ডাকঘর – [পোস্ট অফিস], উপজেলা – [উপজেলা], জেলা – [জেলা]।
গত [তারিখ] তারিখে আনুমানিক [সময়] ঘটিকায় আমি আমার মোবাইল ফোনটি [স্থান]-এ হারিয়ে ফেলি। ফোনটির মডেল [মডেল নাম], রঙ [রঙ], এবং সিম নম্বর [মোবাইল নম্বর]। ফোনটির IMEI নম্বর [IMEI নম্বর]। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও সেটি পাওয়া যায়নি।
অতএব, মোবাইল ফোনটি উদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার অনুরোধ জানাচ্ছি এবং এই বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (GD) করার আবেদন করছি।
হারানো কাগজপত্রের ক্ষেত্রে দ্রুত জিডি করা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি ভবিষ্যতে আইনি বা প্রশাসনিক কাজে প্রমাণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। প্রথমে হারানো কাগজের নাম, ধরন (যেমন জাতীয় পরিচয়পত্র, শিক্ষাগত সনদ, লাইসেন্স ইত্যাদি), নম্বর, হারানোর তারিখ ও স্থান স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হয়। অনলাইনে ওয়েবসাইটে যান:
ওয়েবসাইটে গিয়ে বা নিকটস্থ থানায় গিয়ে জিডি করা যায়। জিডি ফরমে নিজের নাম, ঠিকানা ও যোগাযোগ নম্বর দিতে হয়। জিডি জমা দেওয়ার পর একটি ট্র্যাকিং নম্বর পাওয়া যায়, যা দিয়ে অনলাইনে জিডির অগ্রগতি বা কপি ডাউনলোড করা সম্ভব।
হারানো কাগজপত্রের জিডির নমুনা আবেদন
বিষয়: গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র হারানোর বিষয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার আবেদন
মাননীয় অফিসার ইনচার্জ,
[থানার নাম],
[জেলার নাম]।
জনাব,
বিনীত নিবেদন এই যে, আমি [আপনার পূর্ণ নাম], পিতা/স্বামী – [পিতার বা স্বামীর নাম], সাং – [এলাকা/গ্রাম], ডাকঘর – [পোস্ট অফিস], উপজেলা – [উপজেলা], জেলা – [জেলা]।
গত [তারিখ] তারিখে আনুমানিক [সময়] ঘটিকায় আমি আমার কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র হারিয়ে ফেলি। হারানো কাগজপত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে [যেমন: জাতীয় পরিচয়পত্র, শিক্ষাগত সনদ, জন্ম নিবন্ধন, ব্যাংক ডকুমেন্ট ইত্যাদি]। কাগজপত্রগুলো [স্থান]-এ হারিয়ে যায় এবং অনেক খোঁজাখুঁজির পরও সেগুলো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
অতএব, হারানো কাগজপত্রগুলো উদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করছি এবং এই বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (GD) করার অনুমতি প্রার্থনা করছি।
ধন্যবাদান্তে,
বিনীত,
[আপনার নাম]
মোবাইল: [যোগাযোগ নম্বর]
তারিখ: [জিডি করার তারিখ]
স্বাক্ষর: ___________
আরো পড়ুনঃ
অনলাইন জিডি ফরম Online GD বিস্তারিত জেনে নিন
অনলাইন জিডি ফরম হলো পুলিশের ডিজিটাল সেবা প্ল্যাটফর্মের একটি অংশ, যেখানে নাগরিকরা সহজে ঘরে বসেই সাধারণ ডায়েরি (GD) করতে পারেন। এই ফরমটি পাওয়া যায় https://gd.police.gov.bd
ওয়েবসাইটে। ফরম পূরণের জন্য প্রথমে জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, মোবাইল নম্বর ও একটি বৈধ ইমেইল দিতে হয়। এরপর ঘটনার ধরন নির্বাচন করতে হয় যেমন—হারানো জিনিসপত্র, হুমকি, প্রতারণা, কাগজপত্র ইত্যাদি। ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ, তারিখ, সময় ও স্থান স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হয়। প্রয়োজনে ছবি বা প্রমাণ ফাইল সংযুক্ত করা যায়। ফরমটি জমা দেওয়ার পর একটি GD Tracking Number পাওয়া যায়, যার মাধ্যমে পরবর্তীতে জিডির অবস্থা জানা বা কপি ডাউনলোড করা সম্ভব। অনলাইন জিডি ফরমের মাধ্যমে থানায় না গিয়েই নাগরিকরা সহজে অভিযোগ বা তথ্য নথিভুক্ত করতে পারেন, যা সময় ও ঝামেলা দুই-ই বাঁচায় এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ উদ্যোগকে আরও শক্তিশালী করে।
বাংলাদেশ পুলিশ অনলাইন জিডির জন্য একটি নির্দিষ্ট ফর্ম (Form) ব্যবহার করে, যা আপনি সরাসরি পূরণ করতে পারেন ওয়েবসাইটে। নিচে আমি সেই ফরমের কাঠামো ও একটি copy–paste ready নমুনা ফরম দিচ্ছি — আপনি শুধু নিজের তথ্য বসিয়ে দিতে পারবেন:
অনলাইন জিডি ফরম
জিডির ধরন: হারানো কাগজপত্র
বিষয়: গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র হারানোর বিষয়ে জিডি
ঘটনার বিবরণ:
আমি [আপনার পূর্ণ নাম], পিতা/স্বামী – [পিতার বা স্বামীর নাম], ঠিকানা – [সম্পূর্ণ ঠিকানা]।
গত [তারিখ] তারিখে আনুমানিক [সময়] ঘটিকায় আমি আমার কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র হারিয়ে ফেলি। হারানো কাগজপত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে [হারানো কাগজপত্রের নাম যেমন— জাতীয় পরিচয়পত্র, এসএসসি সার্টিফিকেট, জন্ম নিবন্ধন ইত্যাদি]। কাগজপত্রগুলো [স্থান]-এ হারিয়ে যায় এবং খোঁজাখুঁজি করেও আর পাওয়া যায়নি।
অতএব, হারানো কাগজপত্রগুলো উদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করছি এবং এ বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (GD) করার আবেদন জানাচ্ছি।
আমি [আপনার পূর্ণ নাম], পিতা/স্বামী – [পিতার বা স্বামীর নাম], ঠিকানা – [সম্পূর্ণ ঠিকানা]।
গত [তারিখ] তারিখে আনুমানিক [সময়] ঘটিকায় আমি আমার কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র হারিয়ে ফেলি। হারানো কাগজপত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে [হারানো কাগজপত্রের নাম যেমন— জাতীয় পরিচয়পত্র, এসএসসি সার্টিফিকেট, জন্ম নিবন্ধন ইত্যাদি]। কাগজপত্রগুলো [স্থান]-এ হারিয়ে যায় এবং খোঁজাখুঁজি করেও আর পাওয়া যায়নি।
অতএব, হারানো কাগজপত্রগুলো উদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করছি এবং এ বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (GD) করার আবেদন জানাচ্ছি।
শেষে একটি GD Tracking Number পাবেন — এটি সংরক্ষণ করুন।
আরো পড়ুনঃ
বিস্তারিত জেনে নিন থানায় সাধারণ ডায়েরি করার নিয়ম
থানায় সাধারণ ডায়েরি (GD) করা হলো এমন একটি প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে আপনি কোনো ঘটনা, হারানো জিনিস, সন্দেহজনক কার্যকলাপ বা নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় থানায় অফিসিয়ালি লিপিবদ্ধ করতে পারেন। এটি ভবিষ্যতে প্রমাণ বা রেফারেন্স হিসেবে কাজে আসে। নিচে থানায় জিডি করার সম্পূর্ণ নিয়ম দেওয়া হলো:
থানায় সাধারণ ডায়েরি (GD) করার নিয়ম:
থানায় উপস্থিত হন:
যে থানার এলাকায় ঘটনা ঘটেছে বা জিনিস হারিয়েছে, সেই থানায় যান।
ডিউটি অফিসারের সাথে যোগাযোগ করুন:
থানায় প্রবেশ করলে ডিউটি অফিসার বা ডিউটি সেন্ট্রিতে গিয়ে বলুন—
অফিসার আপনার দেওয়া তথ্য থানার জিডি খাতায় লিপিবদ্ধ করবেন।
জিডি নম্বর পাবেন:
জিডি সম্পন্ন হলে আপনাকে একটি GD Number ও তারিখসহ স্বাক্ষরিত কপি দেওয়া হবে।
এটি ভবিষ্যতে প্রমাণ বা সরকারি কাজে লাগবে (যেমন হারানো সার্টিফিকেট পুনঃপ্রাপ্তি, NID পুনঃপ্রদানের আবেদন ইত্যাদি)।
কোনো ফি লাগে না:
সাধারণ ডায়েরি করার জন্য কোনো টাকা লাগে না। এটি ফ্রি সার্ভিস।
যে কারণে থানায় জিডি করা যায়:
মোবাইল ফোন, কাগজপত্র, ওয়ালেট বা কার্ড হারানো
সন্দেহজনক ব্যক্তি বা ঘটনার খবর দেওয়া
নিরাপত্তা ঝুঁকি বা হুমকি পাওয়া
ঝগড়া, মারামারি বা বিরোধের প্রাথমিক তথ্য নথিভুক্ত করা
আরো পড়ুনঃ
অনলাইনে থানায় অভিযোগ করার নিয়ম বিস্তারিত জেনে নিন
অনলাইনে থানায় অভিযোগ করার নিয়ম খুবই সহজ এবং নাগরিকবান্ধব। আপনি চাইলে ঘরে বসেই https://gd.police.gov.bd ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অভিযোগ বা সাধারণ ডায়েরি (GD) করতে পারেন। প্রথমে সাইটে গিয়ে “Make a GD” বাটনে ক্লিক করে জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, মোবাইল নম্বর এবং একটি পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করতে হয়। এরপর অভিযোগের ধরন নির্বাচন করে ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ, তারিখ, সময়, স্থান ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির তথ্য দিতে হয়। প্রয়োজনে ছবি বা প্রমাণ ফাইল সংযুক্ত করা যায়। সব তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করে জমা দিলে একটি GD Tracking Number পাওয়া যায়, যার মাধ্যমে পরবর্তীতে অভিযোগের অবস্থা চেক করা যায়। অনলাইন অভিযোগ সিস্টেমের মাধ্যমে থানায় না গিয়েই নিরাপদে ও দ্রুত তথ্য নথিভুক্ত করা সম্ভব হয়। এতে নাগরিক সেবা আরও সহজ, স্বচ্ছ ও সময়োপযোগী হয়েছে।
অনলাইন জিডি চেক করার নিয়ম
জিডি করার নিয়ম pdf
অনলাইন জিডি কপি ডাউনলোড
হুমকির জিডি করার নিয়ম
জিডি ফরম pdf
অনলাইনে জিডি কিভাবে করতে হয়?
জিডি করতে কি কি প্রয়োজন?
জিডি তদন্তের সর্বোচ্চ সময়সীমা কতদিন?
জিডি করলে কত টাকা লাগে?
হারানো ফোনের জিডি করতে কী কী লাগে?
GD অর্থ কি?
জিডি করলে কি হয়?
থানায় অভিযোগ করলে কি হয়?
মিথ্যা জিডি হলে কী করণীয়?
জিডির ধারা কত?
মামলা এবং জিডির মধ্যে পার্থক্য কী?
জিডির পূর্ণরূপ কী?
মানহানির মামলা করতে কত টাকা লাগে?
আপিল করতে কত টাকা লাগে?
কিভাবে মামলা করতে হয়?
থানায় জিডি করতে কত খরচ হয়?
মোবাইল হারিয়ে গেলে করণীয় কি?
সাধারণ ডায়েরি বা জিডি (GD) কী?
Fir কি?
জেনারেল ডায়েরি কী?
General Diary কি?
মামলা কত প্রকার, কি কি?
১০৭/১১৭ (সি) ধারা কী?
ফোনে হুমকি দিলে কি করবেন?
আরো পড়ুনঃ
🧾 ১. অনলাইন জিডি চেক করার নিয়ম:
👉 https://gd.police.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে “Check GD Status” অপশনে ক্লিক করে আপনার GD Tracking Number ও মোবাইল নম্বর দিয়ে চেক করতে পারবেন।
জিডি সাবমিট করার পর আপনার Tracking Number দিয়ে লগইন করে “Download GD Copy” অপশন থেকে PDF কপি ডাউনলোড করা যায়।
⚠️ ৪. হুমকির জিডি করার নিয়ম:
যদি কেউ ফোনে বা সরাসরি হুমকি দেয়, সাথে সাথে থানায় বা অনলাইনে জিডি করুন। জিডিতে লিখবেন – কে, কখন, কীভাবে হুমকি দিয়েছে এবং সম্ভাব্য কারণ। 👉 সংযুক্ত করুন: কল রেকর্ড, মেসেজ, বা স্ক্রিনশট (যদি থাকে)।
জমজম আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url