সরকারি ছুটি বিধিমালা pdf - সরকারী চাকুরীতে কি কি ধরনের ছুটি ভোগ করা যায় জানুন

ভূমিকা

সুপ্রিয় পাঠক আজকাল অনেকেই অনলাইনে সরকারি ছুটি বিধিমালা pdf - সরকারী চাকুরীতে কি কি ধরনের ছুটি ভোগ করা যায় তা নিয়ে জানতে চান। আপনিও হয়তো অনেক খোঁজাখুঁজির পর নিশ্চয়ই সরকারি ছুটি বিধিমালা pdf - সরকারী চাকুরীতে কি কি ধরনের ছুটি ভোগ করা যায় কি তা জানার জন্যই আমাদের এই সাইটটিতে এসেছেন।
সরকারি ছুটি বিধিমালা pdf - সরকারী চাকুরীতে কি কি ধরনের ছুটি ভোগ করা যায়
হ্যাঁ আজকে আমি সঠিকভাবে সরকারি ছুটি বিধিমালা pdf - সরকারী চাকুরীতে কি কি ধরনের ছুটি ভোগ করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করব। চলুন এই লেখার মূল বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানতে নিচের লেখা গুলো পুরোপুরি পড়ে নিন।

সরকারি ছুটি বিধিমালা pdf - সরকারী চাকুরীতে কি কি ধরনের ছুটি ভোগ করা যায়

বাংলাদেশের সরকারি চাকুরিজীবীরা বিভিন্ন ধরনের ছুটি ভোগ করতে পারেন, যা সরকারি ছুটি বিধিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত। প্রধান ছুটিগুলোর মধ্যে রয়েছে নৈমিত্তিক ছুটি (Casual Leave), অর্জিত ছুটি (Earned Leave), অসুস্থতাজনিত বা মেডিকেল ছুটি, মাতৃত্বকালীন ছুটি, অধ্যয়ন ছুটি, লিয়েন (Lien), এবং বহিঃবাংলাদেশ ছুটি। সাধারণত বছরে ২০ দিন নৈমিত্তিক ছুটি ও নির্দিষ্ট সেবাকালের ভিত্তিতে অর্জিত ছুটি মঞ্জুর হয়। এছাড়া বিশেষ পরিস্থিতিতে সরকার কর্তৃক প্রদত্ত সরকারি ছুটিও ভোগ করা যায়। এই সব ছুটি “সরকারি কর্মচারীদের ছুটি বিধিমালা, ১৯৭৭” অনুযায়ী পরিচালিত হয়, যা pdf আকারে সহজেই পাওয়া যায়।
নির্ধারিত ছুটি বিধিমালা, ১৯৫৯ (The Prescribed Leave Rules, 1959) সরকারী কর্মচারীদের ছুটিসম্পর্কিত বিধানাবলী নির্ধারণ করে। এটি ১ জুলাই, ১৯৫৯ থেকে কার্যকর হয়েছে এবং বাংলাদেশ সরকারের স্থায়ী ও অস্থায়ী সকল সরকারি কর্মচারীদের জন্য প্রযোজ্য। 
  • এই বিধিমালা বাংলাদেশ সার্ভিস রুলস ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিধিমালার পাশে বিকল্প বা অতিরিক্ত বিধান হিসাবে বিবেচিত হয়। সরকারি ছুটি বিধিমালা pdf .
  • গড় বেতনে ও অর্ধ গড় বেতনে ছুটি- স্থায়ী সরকারী কর্মচারীরা গড় বেতনে ছুটি কর্মকালের ভাগ হারে অর্জন করবেন যেখানে সর্বোচ্চ ৪ মাস একত্রে জমা হবে। অতিরিক্ত ছুটি পৃথক হিসাব সদস্য হিসাবে জমা হয়। 
  • গড় বেতনে ছুটি একবারে সর্বোচ্চ ৪ মাস (ব্যাপক ক্ষেত্রে ৬ মাস) ভোগ করা যাবে। অর্ধ-গড় বেতনের ছুটি সীমাহীনভাবে জমা হয় এবং প্রয়োজনে মেডিকেল সার্টিফিকেট হলে সর্বোচ্চ ১২ মাস পর্যন্ত গড় বেতনে রূপান্তর সম্ভব।
  • ছুটি ভোগের সময় বেতন ও অন্যান্য সুবিধাসমূহ– ছুটিকালীন বেতন গড় বেতনের ছুটিতে পূর্ণ বেতন এবং অর্ধ-গড় বেতনে অর্ধ বেতন হিসেবে প্রদান করা হবে। 
  • সরকারি কর্মচারী যে দেশেই ছুটি কাটান না কেন, ছুটিকালীন বেতন বাংলাদেশী মুদ্রায় বাংলাদেশে প্রদান নিশ্চিত থাকে। গড় বেতনে ছুটি ভোগের সময় বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ভাতা, সংবাদপত্র সুবিধা পাওয়ার যোগ্য, তবে ভ্রমণ ভাতা, যাতায়াত ভাতা ও আপ্যায়ন ভাতা প্রযোজ্য হবে না।
  • বিশেষ ধরণের ছুটি ও বিধান- প্রসূতি ছুটির মেয়াদ ৬ মাস নির্ধারিত এবং এটি কর্মচারীর “ছুটি হিসাব” থেকে বাদ যাবে না। অধ্যয়ন ছুটি সর্বোচ্চ ২ বছর পর্যন্ত দেওয়া যাবে যা কর্মকাল হিসাবে গণ্য হবে তবে ছুটি হিসাবের জন্য নয়। 
  • অসাধারণ ছুটি বেতনহীন, বিশেষ অবস্থায় অনুমোদিত, স্থায়ী কর্মচারীদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩ মাস। বিশেষ অক্ষমতাজনিত ছুটি (যেমন দুর্ঘটনা, কাজের সময় আঘাত) মঞ্জুর করা হয় মেডিকেল বোর্ডের দ্বারা প্রত্যয়িত সময়ের জন্য, যার সর্বোচ্চ মেয়াদ ২৪ মাস পর্যন্ত হতে পারে। সংগনিরোধ ছুটি সংক্রামক রোগে অফিসে অনুপস্থিতির জন্য, সর্বাধিক ২১ থেকে ৩০ দিন পর্যন্ত মঞ্জুর।
ছুটির হিসাব ও কর্মকাল গণনা- ছুটির হিসাবের জন্য প্রকৃত কর্মকাল, যোগদানকাল, প্রশিক্ষণকাল, দেশের অভ্যন্তরে বা বাইরে সরকারী কাজের সময়, নৈমিত্তিক ও সংগনিরোধ ছুটির সময় গণনায় অন্তর্ভুক্ত থাকবে। অন্যান্য প্রকার ছুটির সময় শ্রমকাল হিসেবে গণনা হবে না।

ছুটি অনুমোদনের নিয়মাবলী বিস্তারিত জেনে নিন

ছুটি অনুমোদনের নিয়মাবলী - ছুটি অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ ছুটি আবেদন, মেডিকেল সার্টিফিকেট যাচাই, এবং অতিরিক্ত বা বিশেষ ছুটি অনুমোদনের জন্য দায়িত্বশীল থাকবেন। ছুটির মেয়াদ ও শর্ত অনুযায়ী বিভিন্ন প্রকার ছুটির ব্যবস্থাপনা করা হবে। এই বিধিমালা বাংলাদেশ সরকারের সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য ছুটির নিয়ম, শ্রেণীবিন্যাস, বেতন ও অন্যান্য সুবিধাদি নির্ধারণ করে সরকারের বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে ছুটি সম্পর্কিত অনিয়ম ও জটিলতা হ্রাসে সহায়তা করে। প্রয়োজন অনুযায়ী ১৯৫৯ সাল থেকে বিগত সময়ে আনীত সংশোধনী ও আধুনিক নিয়মাবলীও এতে প্রতিফলিত রয়েছে।
নির্ধারিত ছুটি বিধিমালা, ১৯৫৯ ফান্ডামেন্টাল রুলস, বাংলাদেশ সার্ভিস রুলস এবং সরকার কর্তৃক সময়ে সময়ে জারীকৃত আদেশ দ্বারা ছুটিসমূহ নিয়ন্ত্রিত হয়। ছুটিসমূহ হইতেছে-
১। অর্জিত ছুটি
২। অক্ষমতাজনিত বিশেষ ছুটি
৩। অসাধারণ ছুটি
৪। সঙ্গনিরোধ ছুটি
৫। অধ্যয়ন ছুটি
৬। হাসপাতাল ছুটি বা চিকিৎসালয় ছুটি
৭। প্রসূতি ছুটি
৮। অবকাশ বিভাগের ছুটি
৯। বিশেষ অসুস্থ্যতাজনিত ছুটি
১০। প্রাপ্যতা বিহীন বা অপ্রাপ্য ছুটি
১১। বিভাগীয় ছুটি
১২। বাধ্যতামূলক ছুটি
১৩। অবসর প্রস্তুতি ছুটি বা অবসর উত্তর ছুটি
১৪। বিনা বেতনে ছুটি
১৫। নৈমিত্তিক ছুটি
১৬। সাধারণ বা সরকারি ছুটি
১৭। শ্রান্তি বিনোদন ছুটি
অর্জিত ছুটি
এসব ছুটি বিভিন্ন কারণ বশত প্রদান করা হয় বা নেয়া যায়। সাধারণত নৈমিত্তিক ছুটি পারিবারিক বা ব্যক্তিগত কাজ সারতে নেয়া হয়। ১০ দিনের অধিক ছুটির প্রয়োজন হলে অর্জিত ছুটি নিতে হয়। অন্যান্য ছুটিগুলোর উপযুক্ত কারণ প্রযোজ্য হয়।

ছুটির ধরন ও শর্তাবলী বিস্তারিত জেনে নিন

ছুটির ধরন ও শর্তাবলী । বিধিমালায় মোট ১৭টি ছুটির ধরন উল্লেখ রয়েছে, যেমন
অর্জিত ছুটি (Earned Leave)
অসাধারণ ছুটি (Extraordinary Leave)
অধ্যয়ন ছুটি (Study Leave)
প্রসূতি ছুটি (Maternity Leave)
প্রাপ্যতাবিহীন ছুটি (Leave not due)
অবসর উত্তর ছুটি (Post Retirement Leave)
নৈমিত্তিক ছুটি (Casual Leave)
সাধারণ ও সরকারী ছুটি (Public and Government holiday)
শ্রান্তি বিনোদন ছুটি (Rest and Recreation Leave)
বিশেষ অক্ষমতাজনিত ছুটি (Special Disability Leave)
চিকিৎসালয় ছুটি (Hospital Leave)
বাধ্যতামূলক ছুটি (Compulsory Leave)
বিনা বেতনে ছুটি (Leave without pay) ইত্যাদি।

সরকারি চাকরিজীবীদের ছুটি, পেনশানসহ বিস্তারিত জেনে নিন

বাংলাদেশে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য সরকার নির্দিষ্ট ছুটি ও পেনশন সুবিধা প্রদান করে থাকে, যা “সরকারি কর্মচারীদের ছুটি বিধিমালা, ১৯৭৭” এবং সংশ্লিষ্ট পেনশন আইন অনুযায়ী পরিচালিত হয়। ছুটির মধ্যে প্রধান হলো — নৈমিত্তিক ছুটি (২০ দিন), অর্জিত ছুটি (১ বছরের সেবায় প্রায় ৩০ দিন), অসুস্থতাজনিত ছুটি, মাতৃত্বকালীন ছুটি (৬ মাস), অধ্যয়ন ছুটি, লিয়েন এবং বহিঃবাংলাদেশ ছুটি। এসব ছুটি কর্মচারীর মানসিক প্রশান্তি ও উৎপাদনশীলতা বাড়ায়। পেনশন ব্যবস্থা অবসরকালীন আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। পেনশন হিসাব করা হয় সূত্র অনুযায়ী— (শেষ মূল বেতন × চাকরির বছর × ১/১২০), এবং গ্র্যাচুইটি হিসাব হয় (মূল বেতন × চাকরির বছর)। অবসরের সময় সর্বোচ্চ ১২০ দিন পর্যন্ত অর্জিত ছুটি নগদায়নযোগ্য। এই নিয়মগুলো সরকারি কর্মচারীদের সেবা শেষে আর্থিক স্থিতি ও সম্মানজনক অবসর নিশ্চিত করে।
সরকারি চাকরিজীবীদের পেনশন হিসাব
পেনশন হিসাব করার পদ্ধতি
পেনশন হিসাব ক্যালকুলেটর
বাংলাদেশে সরকারি কর্মচারীদের নৈমিত্তিক ছুটির নিয়ম?
নৈমিত্তিক ছুটি কাকে বলে?
অর্জিত ছুটি কত প্রকার?
নৈমিত্তিক ছুটি বছরে কত দিন?
নৈমিত্তিক ছুটির হিসাব?
চাকরিতে সিএল বলতে কি বুঝায়?
নৈমিত্তিক ছুটি কতটুকু নেওয়া যায়?
শ্রম আইন অনুযায়ী কত প্রকার ছুটি রয়েছে?
বাংলাদেশে অর্জিত ছুটি নগদকরণ নীতি কি?
নৈমিত্তিক ছুটি সর্বোচ্চ কত?
নৈমিত্তিক শ্রমিক কি বার্ষিক ছুটি প্রাপ্য?
ছুটি বের করার সূত্র কি?
নৈমিত্তিক ছুটি কখন ব্যবহার করা হয়?
Cl এর পূর্ণরূপ কি?
জ্বালানি সিস্টেম অবস্থা cl মানে কি?
নৈমিত্তিক নোটিশ দিতে হবে?
বার্ষিক ছুটির বেতন কিভাবে পাওয়া যায়?
নতুন চাকরিতে কবে ছুটি নেওয়া যায়?
বাংলাদেশে সরকারি কর্মচারীদের নৈমিত্তিক ছুটির নিয়ম?
কোন ধরনের ছুটি কয়টি ও কি কি?
"নৈমিত্তিক ছুটি" এর ইংরেজি কী?

সরকারি চাকরিজীবীদের ছুটি, পেনশান সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তর জেনে নিন

সরকারি চাকরিজীবীদের পেনশন হিসাব
বাংলাদেশে সরকারি কর্মচারীদের পেনশন হিসাব করা হয় শেষ বেতনের নির্দিষ্ট অংশের ভিত্তিতে। পেনশন = (শেষ মূল বেতন × চাকরির মেয়াদ × ১/১২০)। সর্বোচ্চ ৮০% পর্যন্ত পেনশন পাওয়া যায়। এছাড়া গ্র্যাচুইটি হিসাব করা হয় — শেষ মূল বেতন × চাকরির মেয়াদ।
১. কর্মকাল গণনা করুন (পূর্ণ বছর)।
২. শেষ মাসের মূল বেতন নির্ধারণ করুন।
৩. সূত্র প্রয়োগ করুন:
পেনশন = (মূল বেতন × চাকরির বছর × ১/১২০)
৪. গ্র্যাচুইটি = মূল বেতন × চাকরির বছর
৫. প্রাপ্য হলে অবসর ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাও যোগ হয়।
পেনশন হিসাব ক্যালকুলেটর
অনলাইনে “Bangladesh Pension Calculator” লিখে সার্চ দিলে সরকারি ও বেসরকারি উভয় ধরনের ক্যালকুলেটর পাওয়া যায়। সেখানে বেতন ও চাকরির বছর লিখে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পেনশন ও গ্র্যাচুইটি হিসাব পাওয়া যায়।
বাংলাদেশে সরকারি কর্মচারীদের নৈমিত্তিক ছুটির নিয়ম
সরকারি চাকুরিজীবীরা প্রতি ক্যালেন্ডার বছরে সর্বোচ্চ ২০ দিন নৈমিত্তিক ছুটি (Casual Leave) নিতে পারেন। সাধারণত ৩ দিনের বেশি একটানা নেওয়া যায় না এবং এ ছুটি পূর্ব অনুমতি সাপেক্ষে নিতে হয়।
নৈমিত্তিক ছুটি কাকে বলে?
অল্প সময়ের জন্য জরুরি ব্যক্তিগত কাজ, অসুস্থতা বা পারিবারিক প্রয়োজনে নেওয়া স্বল্প মেয়াদি ছুটিকে নৈমিত্তিক ছুটি বলে।
অর্জিত ছুটি কত প্রকার?
অর্জিত ছুটি একটিই প্রকার — কর্মকাল অনুযায়ী জমা হওয়া ছুটি। সাধারণত প্রতি ১১ দিন কাজের বিপরীতে ১ দিন অর্জিত ছুটি পাওয়া যায়।
নৈমিত্তিক ছুটি বছরে কত দিন?
প্রতি বছর সরকারি চাকরিজীবী সর্বোচ্চ ২০ দিন নৈমিত্তিক ছুটি নিতে পারেন।
নৈমিত্তিক ছুটির হিসাব
এক বছরে ২০ দিন নির্ধারিত, যা পরের বছরে জমা হয় না। প্রয়োজনে প্রতি মাসে গড়ে ১-২ দিন নেওয়া যেতে পারে।
চাকরিতে CL বলতে কি বুঝায়?
“CL” মানে Casual Leave, অর্থাৎ নৈমিত্তিক ছুটি।
নৈমিত্তিক ছুটি কতটুকু নেওয়া যায়?
একটানা সাধারণত ৩ দিন পর্যন্ত নেওয়া যায়। বিশেষ অনুমতিতে আরও কিছুদিন বাড়ানো যেতে পারে।

শ্রম আইন অনুযায়ী কত প্রকার ছুটি রয়েছে 

বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী মূলত তিন প্রকার ছুটি রয়েছে: বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী কর্মচারী ও শ্রমিকদের জন্য মূলত তিন প্রকার ছুটি নির্ধারিত রয়েছে। এগুলো হলো — নৈমিত্তিক ছুটি (Casual Leave), অসুস্থতাজনিত ছুটি (Sick Leave) এবং বার্ষিক বা অর্জিত ছুটি (Annual/Earned Leave)। নৈমিত্তিক ছুটি সাধারণত ১০ দিন, অসুস্থতাজনিত ছুটি ১৪ দিন এবং অর্জিত ছুটি ১ বছরের কাজের বিপরীতে ১১ দিন হিসেবে গণনা করা হয়। এছাড়াও নারী শ্রমিকরা মাতৃত্বকালীন ছুটি পান। এসব ছুটি শ্রমিকদের স্বাস্থ্য, মানসিক প্রশান্তি ও কাজের উৎপাদনশীলতা বজায় রাখতে সহায়তা করে। বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ অনুযায়ী এই নিয়মগুলো কার্যকর।
১. নৈমিত্তিক ছুটি
২. অসুস্থতাজনিত ছুটি
৩. বার্ষিক বা অর্জিত ছুটি

বাংলাদেশে অর্জিত ছুটি নগদকরণ নীতি কি

বাংলাদেশে সরকারি কর্মচারীদের অর্জিত ছুটি নগদকরণ নীতি অনুযায়ী, অবসরের সময় বা চাকরি শেষ হলে অব্যবহৃত অর্জিত ছুটি নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত নগদ অর্থে পরিশোধ করা যায়। সাধারণত সর্বোচ্চ ১২০ দিন (চার মাস) পর্যন্ত অর্জিত ছুটি নগদায়নযোগ্য। এই অর্থ হিসাব করা হয় কর্মচারীর শেষ মূল বেতন ও ভাতা অনুযায়ী। ছুটি নগদকরণের উদ্দেশ্য হলো দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের ন্যায্য প্রতিদান প্রদান করা। তবে, এই সুবিধা কেবলমাত্র অবসরপ্রাপ্ত বা মৃত্যুবরণকারী কর্মচারীর জন্য প্রযোজ্য। “সরকারি কর্মচারীদের ছুটি বিধিমালা, ১৯৭৭” অনুযায়ী এই নীতিটি বাস্তবায়িত হয়।
অবসরের সময় অব্যবহৃত অর্জিত ছুটি সর্বোচ্চ ১২০ দিন পর্যন্ত নগদ অর্থে পরিশোধ করা যায়।
নৈমিত্তিক ছুটি সর্বোচ্চ কত?
  • এক বছরে সর্বোচ্চ ২০ দিন এবং একটানা সাধারণত ৩ দিন নেওয়া যায়।
নৈমিত্তিক শ্রমিক কি বার্ষিক ছুটি প্রাপ্য?
  • হ্যাঁ, শ্রম আইন অনুযায়ী প্রতিটি শ্রমিক ১১ দিন কাজের বিপরীতে ১ দিন বার্ষিক ছুটি প্রাপ্য।
ছুটি বের করার সূত্র কি?
  • অর্জিত ছুটি = (কাজের মোট দিন ÷ ১১)
  • পেনশন = (মূল বেতন × চাকরির বছর × ১/১২০)
  • নৈমিত্তিক ছুটি কখন ব্যবহার করা হয়?
  • ব্যক্তিগত প্রয়োজনে, পারিবারিক সমস্যায়, চিকিৎসার জন্য, বা অল্প মেয়াদে ছুটি প্রয়োজন হলে এটি ব্যবহার করা হয়।
CL এর পূর্ণরূপ কি?
  • CL = Casual Leave (নৈমিত্তিক ছুটি)।
জ্বালানি সিস্টেম অবস্থা CL মানে কি?
  • প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে “CL” মানে হতে পারে Closed Loop, যা সেন্সর-নিয়ন্ত্রিত জ্বালানি সিস্টেমের একটি অবস্থা।
নৈমিত্তিক ছুটি নিতে নোটিশ দিতে হবে?
  • হ্যাঁ, সম্ভব হলে আগেভাগে লিখিত আবেদন বা নোটিশ দিতে হয়। জরুরি অবস্থায় পরে অনুমোদন নেওয়া যেতে পারে।
বার্ষিক ছুটির বেতন কিভাবে পাওয়া যায়?
  • অর্জিত ছুটি ভোগ করলে নিয়মিত বেতন চলবে, আর অবসরের সময় অব্যবহৃত ছুটি নগদে পরিশোধ করা হবে।
নতুন চাকরিতে কবে ছুটি নেওয়া যায়?
  • চাকরিতে যোগদানের পর নির্দিষ্ট সময় (সাধারণত ৬ মাস) কাজ করার পর নৈমিত্তিক ছুটি গ্রহণ করা যায়, তবে বিশেষ ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ অনুমতি দিতে পারেন।
বাংলাদেশে সরকারি কর্মচারীদের নৈমিত্তিক ছুটির নিয়ম (সংক্ষেপে)
  • বছরে ২০ দিন
  • একটানা সর্বোচ্চ ৩ দিন
  • জমা হয় না
  • অনুমতি সাপেক্ষে নিতে হয়
  • 🇬🇧 "নৈমিত্তিক ছুটি" এর ইংরেজি কী?
  • নৈমিত্তিক ছুটি = Casual Leave (CL)

উপসংহার

আজ আমরা সরকারি ছুটি বিধিমালা pdf - সরকারী চাকুরীতে কি কি ধরনের ছুটি ভোগ করা যায় নিয়ে আলোচনা করলাম। আগামীতে ভালো কোনো টপিক নিয়ে হাজির হবো। আশা করছি উপরের সরকারি ছুটি বিধিমালা pdf - সরকারী চাকুরীতে কি কি ধরনের ছুটি ভোগ করা যায় বিষয়ে আলোচনা আপনার ভালো লেগেছে। যদি এ বিষয়ে কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্টে জানান । আমাদের ফলো করে সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

জমজম আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url