নামাজের ভিতরে বাহিরে ১৩ ফরজ কি কি
ভূমিকা
প্রিয় পাঠক আজকাল অনেকেই নামাজের ভিতরে বাহিরে ১৩ ফরজ কি কি বিষয় নিয়ে জানতে চান। আপনিও হয়তো অনেক খোঁজাখুঁজির পর নিশ্চয়ই নামাজের ভিতরে বাহিরে ১৩ ফরজ কি কি কি তা জানার জন্যই আমাদের এই সাইটটিতে এসেছেন।
হ্যাঁ আজকে আমি সঠিকভাবে নামাজের ভিতরে বাহিরে ১৩ ফরজ কি কি নিয়ে আলোচনা করব। চলুন এই লেখার মূল বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানতে পুরো আর্টিকেলটি পড়ে ফেলি।
নামাজের ভিতরে বাহিরে ১৩ ফরজ কি কি
আপনি নামাজের ফরজ সম্পর্কে খুব ভালো প্রশ্ন করেছেন। নামাজের ফরজ মোট ১৩টি হলেও, এগুলোকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়:
১. আহকাম (নামাজ শুরুর আগের ফরজ):
- শরীর পাক হওয়া: অজু বা তায়াম্মুম করে শরীর পাক করা।
- কাপড় পাক হওয়া: নামাজের কাপড় পাক হওয়া।
- নামাজের জায়গা পাক হওয়া: নামাজের জায়গা পাক হওয়া।
- সতর বা শরীর ঢাকা: শরীরের সতর অংশ ঢাকা রাখা।
- কিবলামুখী হওয়া: নামাজের সময় কিবলামুখী হওয়া।
- ওয়াক্ত অনুযায়ী নামাজ পড়া: নির্ধারিত ওয়াক্তে নামাজ আদায় করা।
- নামাজের নিয়্যাত করা: নামাজের নিয়্যাত করা।
২. আরকান (নামাজের ভিতরের ফরজ):
- তাকবিরে-তাহরিমা বলা: নামাজ শুরুর সময় "আল্লাহু আকবার" বলা।
- দাঁড়িয়ে নামাজ পড়া: সুস্থ ব্যক্তির জন্য দাঁড়িয়ে নামাজ পড়া।
- ক্বেরাত পড়া: কুরআনের আয়াত পাঠ করা।
- রুকু করা: মাথা নত করে শরীরকে সমান্তরাল করার অবস্থা।
- সিজদা করা: মাটিতে মাথা এবং হাত-ঘুঁটি রেখে শরীরকে নত করার অবস্থা।
- ক্বুদুম বসা: দুই সিজদার মাঝখানে বসা।
- আত্তাহিয়াতু পড়া এবং সালাম ফিরানো: নামাজ শেষে দরুদ ও সালাম পাঠ করা।
এই ১৩টি ফরজ সঠিকভাবে পালন করলেই নামাজ বৈধ হবে। কোনো একটি ফরজ বাদ গেলে বা ভুল হলে নামাজ বাতিল হয়ে যাবে।
মনে রাখবেন:
নামাজ আদায় করার সময় সঠিক নিয়ত এবং ইখলাসের সাথে আল্লাহ তা'আলার দিকে মনোযোগ দিতে হবে।
নামাজের ১৩ ফরজ কি কি
আহকাম (নামাজ শুরুর আগের ফরজ):
- শরীর পাক হওয়া: অজু বা তায়াম্মুম করে শরীর পাক করা।
- কাপড় পাক হওয়া: নামাজের কাপড় পাক হওয়া।
- নামাজের জায়গা পাক হওয়া: নামাজের জায়গা পাক হওয়া।
- সতর বা শরীর ঢাকা: শরীরের সতর অংশ ঢাকা রাখা।
- কিবলামুখী হওয়া: নামাজের সময় কিবলামুখী হওয়া।
- ওয়াক্ত অনুযায়ী নামাজ পড়া: নির্ধারিত ওয়াক্তে নামাজ আদায় করা।
- নামাজের নিয়্যাত করা: নামাজের নিয়্যাত করা।
আরকান (নামাজের ভিতরের ফরজ):
- তাকবিরে-তাহরিমা বলা: নামাজ শুরুর সময় "আল্লাহু আকবার" বলা।
- দাঁড়িয়ে নামাজ পড়া: সুস্থ ব্যক্তির জন্য দাঁড়িয়ে নামাজ পড়া।
- ক্বেরাত পড়া: কুরআনের আয়াত পাঠ করা।
- রুকু করা: মাথা নত করে শরীরকে সমান্তরাল করার অবস্থা।
- সিজদা করা: মাটিতে মাথা এবং হাত-ঘুঁটি রেখে শরীরকে নত করার অবস্থা।
- ক্বুদুম বসা: দুই সিজদার মাঝখানে বসা।
- আত্তাহিয়াতু পড়া এবং সালাম ফিরানো: নামাজ শেষে দরুদ ও সালাম পাঠ করা।
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের ফরজ কয়টি
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের ফরজ রাকাতের সংখ্যা নির্দিষ্ট। আসুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক:
- ফজর: ফজরের নামাজে মোট ২ রাকাত ফরজ।
- যোহর: যোহরের নামাজে মোট ৪ রাকাত ফরজ।
- আসর: আসরের নামাজে মোট ৪ রাকাত ফরজ।
- মাগরিব: মাগরিবের নামাজে মোট ৩ রাকাত ফরজ।
- এশা: এশার নামাজে মোট ৪ রাকাত ফরজ।
মোট ফরজ: তাই, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে মোট ফরজ রাকাত হলো:
২ (ফজর) + ৪ (যোহর) + ৪ (আসর) + ৩ (মাগরিব) + ৪ (এশা) = ১৭ রাকাত।
উল্লেখ্য:
সালাত শব্দের অর্থ কি
সালাত শব্দের অর্থ:
আরবি শব্দ "সালাত" এর বাংলা অনুবাদ হল "নামাজ"। শুধুমাত্র "নামাজ" শব্দটি দিয়ে সালাতের সম্পূর্ণ অর্থ বোঝানো সম্ভব নয়। সালাত শব্দের অর্থ অনেক গভীর এবং ব্যাপক।
সালাতের মূল অর্থ:
- দোয়া: আল্লাহর কাছে দোয়া করা, বিনয়াবদি করে প্রার্থনা করা।
- বন্দেগি: আল্লাহর ইবাদত করা, তার কাছে নিজেকে সমর্পণ করা।
- শান্তি: মনের শান্তি, আত্মার শান্তি এবং সমাজের শান্তি প্রতিষ্ঠা করা।
- পরিচ্ছন্নতা: শরীর, কাপড় এবং জায়গা পবিত্র রেখে নামাজ আদায় করা।
- একতা: মুসলিম উম্মাহর একতা এবং ভ্রাতৃত্ববোধ সৃষ্টি করা।
সালাতের বিভিন্ন অর্থ:
- কুরআনে সালাত: কুরআনে সালাত শব্দটির বিভিন্ন অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে। যেমন: দোয়া, বন্দেগি, নামাজ, কুরআন তিলাওয়াত, ইত্যাদি।
- ইসলামে সালাত: ইসলামে সালাত হল পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, যা মুসলমানদের জন্য ফরজ। এটি মুসলিম জীবনের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত।
- সুফিদের দৃষ্টিতে সালাত: সুফিদের দৃষ্টিতে সালাত হল মনের সাথে আল্লাহর সংযোগ স্থাপন করা। এটি একটি ধ্যানের মতো অবস্থা, যেখানে মুমিন আল্লাহর সাথে একাত্ম হয়ে যায়।
- সালাত শব্দের অর্থ খুবই বিস্তৃত এবং গভীর। এটি শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় কাজ নয়, বরং এটি একটি জীবনযাত্রার পদ্ধতি। সালাত আদায়ের মাধ্যমে মুসলমানরা আল্লাহর কাছে নিকটবর্তী হয় এবং আধ্যাত্মিক পরিশুদ্ধি লাভ করে।
নামাজের ফরজ ও ওয়াজিব কয়টি ও কি কি
নামাজ ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে একটি এবং মুসলমানদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। নামাজ আদায়ের সময় কিছু বিষয় অবশ্যই মেনে চলতে হয়। এগুলোকে ফরজ ও ওয়াজিব বলা হয়।
ফরজ কী?
ফরজ হলো এমন কিছু যা আল্লাহ তা'আলা আমাদের উপর ফরজ করেছেন। অর্থাৎ, এগুলো না করলে ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে গুনাহগার হওয়া যায়। নামাজের ফরজগুলো ঠিক মতো আদায় না করলে নামাজ বাতিল হয়ে যায়।
ওয়াজিব কী?
ওয়াজিব হলো ফরজের মতোই গুরুত্বপূর্ণ, তবে ফরজের তুলনায় কিছুটা কম জোরালো। ওয়াজিবগুলো না করলে নামাজ বাতিল না হলেও, সিজদাহ সাযিদা আদায় করতে হয়।
নামাজের ফরজ
নামাজের ফরজগুলো হলো:
- নিয়ত: নামাজ পড়ার আগে নিয়ত করতে হবে যে, আমি আল্লাহ তা'আলার জন্য ফজরের/যোহরের/আসরের/মাগরিবের/এশার নামাজ পড়ছি।
- তাকবীর: নামাজ শুরু করার সময় আল্লাহু আকবার বলা।
- কিরাত: নামাজে কোরআন তিলাওয়াত করা।
- রুকু: মাথা নত করে রুকু করা।
- সিজদা: মাটিতে মাথা রেখে সিজদা করা।
- কুদুস: সিজদা থেকে উঠে দাঁড়ানো।
- জলসা: দুই সিজদার মাঝে বসা।
- তাসবিহ: রুকু ও সিজদার পর তাসবিহ পাঠ করা।
- আত্তাহিয়াত: আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ পাঠ করা।
নামাজের ওয়াজিব
নামাজের ওয়াজিবগুলোর মধ্যে রয়েছে:
- ক্বিয়াম: দাঁড়িয়ে নামাজ পড়া (যদি শারীরিক অসুস্থতা না থাকে)।
- রুকু ও সিজদা নির্দিষ্ট সংখ্যায় করা।
- রুকু ও সিজদায় নির্দিষ্ট সময় থাকা।
- রুকু ও সিজদায় সঠিক অবস্থানে থাকা।
- রুকু ও সিজদার সময় নির্দিষ্ট দোয়া পাঠ করা।
আপনার পছন্দ হতে পারে এমন আরো পোস্টের তালিকা প্রশ্ন উত্তরসহ বিস্তারিত জেনে নিন
- চতুর্ভুজ কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি চিত্র সহ
- ইফতার আইটেম - এবারের রোজায় খাদ্যাভ্যাস
- নফল রোজা রেখে সহবাস করা যাবে ক
- ডাবের পানির উপকারিতা ও অপকারিতা
- কোন কোন পশু কোরবানি দেওয়া যায় না
- ত্রিভুজ কাকে বলে কত প্রকার ও কী কী
- নফল রোজা রেখে সহবাস করা যাবে কি
- ডাবের পানির উপকারিতা ও অপকারিতা
- পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের নাম ও সময়
- কোন কোন পশু কোরবানি দেওয়া যায় না
- ইফতার আইটেম - এবারের রোজায় খাদ্যাভ্যাস
- ঈদের রাতে সহবাস করা যাবে কি
গাধার মাংস খাওয়া হারাম কেন?
কুরবানীর মাংস বন্টনের বিষয়টি জানতে চাই ?
সুদের টাকায় কুরবানি কেন হবে না?
কুরবানী কার জন্য ওয়াজিব?
কয় প্রকারের প্রাণী দ্বারা কুরবানী করা বৈধ, তাদের চিহ্ন কী?
মৃত ব্যক্তির নামে কুরবানী করা যাবে কি?
ধার নেয়া টাকা দিয়ে কুরবানী করা কি?
খরগোশ কি কুরবানি করা যাবে?
বাথরুমে একা পোশাক ছাড়া গোসল করা যাবে কি, ইসলাম এ সম্পর্কে কি বলে?ইসলামে নিজের খালাতো বোনের মেয়েকে কি বিয়ে করা যাবে?
ঘোড়া কুরবানী দেওয়া যায় না কেন?
সাত ভাগ না করে সমান চার ভাগে কুরবানি করা যাবে কি?
কুরবানি ওয়াজিব হওয়ার জন্য কত টাকার মালিক হতে হবে?
একই পশুতে আকিকা ও কুরবানি করা যাবে কি?
একই পশুতে আকিকা ও কুরবানি করা যাবে কি?
কারোর নামে আকিকাহ দেওয়া না হলে তার নামে কুরবানী হবে কি?
ভাড়া বাসায় থাকেন,তবে চার লাখ টাকা নগদ আছে।কুরবানি ওয়াজিব হবে?
কাদের জন্য কোরবানি ফরজ?
ভাড়া বাসায় থাকেন,তবে চার লাখ টাকা নগদ আছে।কুরবানি ওয়াজিব হবে?
কাদের জন্য কোরবানি ফরজ?
উপসংহার
প্রিয় পাঠক আজ নামাজের ভিতরে বাহিরে ১৩ ফরজ কি কি নিয়ে আলোচনা করলাম। আগামীতে অন্য কোনো ভালো টপিক নিয়ে হাজির হবো। আশা করছি উপরের নামাজের ভিতরে বাহিরে ১৩ ফরজ কি কি আলোচনা আপনার ভালো লেগেছে। যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানান আর আপনার ফ্রেন্ড সার্কেলে এই কনটেন্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না। আমাদের ফলো করে সাথেই থাকুন।
জমজম আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url