মেয়েদের পিরিয়ড হলে কি করতে হয় বিস্তারিত জানুন
ভূমিকা
সুপ্রিয় পাঠক আজকাল অনেকেই অনলাইনে মেয়েদের পিরিয়ড হলে কি করতে হয় নিয়ে জানতে চান। আপনিও হয়তো অনেক খোঁজাখুঁজির পর নিশ্চয়ই মেয়েদের পিরিয়ড হলে কি করতে হয় কি তা জানার জন্যই আমাদের এই সাইটটিতে এসেছেন।
হ্যাঁ আজকে আমি সঠিকভাবে মেয়েদের পিরিয়ড হলে কি করতে হয় তা নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করব। চলুন এই লেখার মূল বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানতে নিচের লেখাটি পড়ে ফেলি।
মেয়েদের পিরিয়ড হলে কি করতে হয়
মেয়েদের পিরিয়ড (মাসিক) চলাকালীন স্বাস্থ্যবিধি ও যত্ন নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় অস্বস্তি, ব্যথা বা সংক্রমণ এড়াতে কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিত। নিচে বিস্তারিত গাইডলাইন দেওয়া হলো:
পিরিয়ডের সময় করণীয়:
১. স্যানিটারি প্যাড/ট্যাম্পন/মেনস্ট্রুয়াল কাপের সঠিক ব্যবহার:
- প্যাড: প্রতি ৪-৬ ঘণ্টা পর পরিবর্তন করুন (অতিরিক্ত রক্তপাত হলে বেশি বার)।
- ট্যাম্পন বা কাপ: প্রতি ৬-৮ ঘণ্টা পর খালি করুন (TSS-রisk কমাতে)।
- পরিষ্কার হাত দিয়ে পরিবর্তন করুন এবং ভেজা প্যাড/ট্যাম্পন অবশ্যই ময়লার পাত্রে ফেলুন।
২. পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন:
- প্রতিদিন গোসল করুন (হালকা গরম পানি ব্যবহার করুন)।
- যোনিপথ শুধু বাহির থেকে পানি দিয়ে পরিষ্কার করুন (সাবান/ভেজিটাল ওয়াশ ব্যবহার করবেন না, pH балан нарушить করতে পারে)।
- সাদা সুতি অন্তর্বাস পরুন এবং প্রতিদিন পরিবর্তন করুন।
৩. পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর উপায়:
- গরম সেক: তলপেটে হট ওয়াটার ব্যাগ বা গরম পানির বোতল রাখুন।
- হালকা ব্যায়াম: ইয়োগা বা হাঁটাহাঁটি করলে এন্ডোরফিন হরমোন নিঃসৃত হয়, যা ব্যথা কমায়।
- ওষুধ: প্যারাসিটামল বা আইবুপ্রোফেন (ডাক্তারের পরামর্শে) নিতে পারেন।
৪. পুষ্টিকর খাবার:
- আয়রন সমৃদ্ধ খাবার: পালং শাক, মাংস, ডাল, ডার্ক চকলেট (রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধে)।
- ম্যাগনেসিয়াম: কলা, অ্যাভোকাডো, বাদাম (খিঁচুনি কমাতে)।
- পানি বেশি পান করুন (ডিহাইড্রেশন ও ব্লোটিং কমায়)।
- ক্যাফেইন ও নোনতা খাবার কম খান (ব্যথা ও ফোলাভাব বাড়তে পারে)।
৫. মানসিক স্বাস্থ্য:
পিরিয়ডের সময় মুড সুইং বা অবসাদ হতে পারে। পর্যাপ্ত ঘুম নিন এবং স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট করুন (মেডিটেশন, গান শোনা)।
যা এড়িয়ে চলবেন:
- ভেজা প্যাড দীর্ঘক্ষণ ব্যবহার (সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে)।
- অপরিষ্কার হাতে প্যাড/ট্যাম্পন পরিবর্তন।
- ধূমপান বা অ্যালকোহল (ব্যথা ও হরমোনাল imbalance বাড়ায়)।
- টাইট পোশাক পরা (রক্ত চলাচলে বাধা দেয়)।
- জরুরি অবস্থা: কখন ডাক্তার দেখাবেন?
- ৭ দিনের বেশি সময় ধরে রক্তপাত।
- অতিরিক্ত ব্যথা যা ওষুধে কমে না (এটি ডিসমেনোরিয়া বা এন্ডোমেট্রিওসিসের লক্ষণ হতে পারে)।
- জ্বর, দুর্গন্ধযুক্ত স্রাব বা খুব গাঢ় রক্ত (সংক্রমণের লক্ষণ)।
- পিরিয়ড মিস হয়ে গেলে (গর্ভাবস্থা বা হরমোনাল সমস্যা হতে পারে)।
- পিরিয়ড ট্র্যাকার অ্যাপ ব্যবহার করুন (নিয়মিততা চেক করতে)।
- জরুরি সময়ের জন্য ব্যাগে এক্সট্রা প্যাড/পেইনকিলার রাখুন।
- PCOS বা থাইরয়েড থাকলে নিয়মিত চেকআপ করুন।
- পিরিয়ড একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া—লজ্জা নয়, সচেতনতাই গুরুত্বপূর্ণ!
মাসিক হওয়ার লক্ষণ
মাসিক (পিরিয়ড) শুরুর আগে নারীদের শরীরে কিছু সাধারণ লক্ষণ দেখা দেয়, যেগুলোকে প্রিমেন্সট্রুয়াল সিনড্রোম (PMS) বলা হয়। এগুলো হরমোনের পরিবর্তনের কারণে হয়ে থাকে। নিচে মাসিক আসার আগে সাধারণ যে লক্ষণগুলো দেখা যায়:
শারীরিক লক্ষণ:
- তলপেটে ব্যথা বা খিঁচুনি – ইউটেরাসের সংকোচনের কারণে হালকা থেকে তীব্র ব্যথা হতে পারে।
- স্তনে ব্যথা বা স্পর্শকাতরতা – প্রোজেস্টেরন হরমোনের প্রভাবে স্তন ফুলে যেতে পারে।
- পিঠে ব্যথা – অনেকের কোমর বা পিঠের নিচের দিকে ব্যথা হয়।
- মাথাব্যথা বা মাইগ্রেন – হরমোনের ওঠানামার কারণে মাথাব্যথা হতে পারে।
- বমি বমি ভাব বা পেট খারাপ – কিছু মহিলার হজমের সমস্যা বা বমি ভাব হয়।
- অতিরিক্ত ক্লান্তি বা ঘুম ঘুম ভাব – শরীর দুর্বল লাগতে পারে।
- ফুসকুড়ি বা ব্রণ – হরমোনাল পরিবর্তনের কারণে ত্বকে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
মানসিক ও আবেগিক লক্ষণ:
- মুড সুইং (মেজাজের পরিবর্তন) – হঠাৎ রাগ, দুঃখ বা বিরক্তি হতে পারে।
- অবসাদ বা দুশ্চিন্তা – অনেকের মন খারাপ বা উদ্বেগ বোধ হয়।
- খাবারের প্রতি আকর্ষণ বা অরুচি – বিশেষ করে মিষ্টি বা নোনতা খাবার খেতে ইচ্ছা করতে পারে।
- ঘনত্বের সমস্যা – কিছু মহিলার কাজে মনোযোগ দিতে কষ্ট হয়।
মাসিক শুরুর ঠিক আগের লক্ষণ:
- হালকা রক্তপাত বা স্পটিং (কিছু ক্ষেত্রে)
- যোনি স্রাবের পরিবর্তন (সাদা স্রাব বেড়ে যেতে পারে)
- শরীরে ফোলাভাব (হাত-পা ফুলে যাওয়া)
কখন ডাক্তার দেখাবেন?
- যদি অতিরিক্ত ব্যথা, অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণ বা পিরিয়ড মিস হয়।
- লক্ষণগুলো যদি অতিরিক্ত কষ্টদায়ক হয় (যেমন: পিএমএসডি বা PCOS থাকলে)।
- মাসিকের লক্ষণ ব্যক্তি অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে। নিয়মিত পিরিয়ড ট্র্যাক রাখলে (অ্যাপ বা ক্যালেন্ডারে) লক্ষণগুলো বুঝতে সুবিধা হবে।
💡 সতর্কতা: গর্ভাবস্থার কিছু লক্ষণ PMS-এর মতোই হতে পারে। যদি পিরিয়ড মিস হয় এবং গর্ভধারণের সম্ভাবনা থাকে, প্রেগন্যান্সি টেস্ট করুন বা ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
পিরিয়ডের সময় লেবু খেলে কি হয়
পিরিয়ডের সময় লেবু খাওয়ার প্রভাব ও সতর্কতা
পিরিয়ডের সময় লেবু বা লেবুর রস খাওয়া নিয়ে নানা মত থাকলেও বৈজ্ঞানিক ও ব্যবহারিক দিক থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানা জরুরি।
লেবুর উপকারিতা (পিরিয়ডে)
ব্যথা কমাতে সাহায্য করে:
- লেবুর অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ মাসিকের ক্র্যাম্প (ব্যথা) কমাতে পারে।
- গরম পানির সাথে লেবুর রস খেলে পেটের মাংসপেশি রিলাক্স হয়।
আয়রন শোষণ বাড়ায়:
- লেবুর ভিটামিন সি শরীরে আয়রন শোষণে সাহায্য করে, যা পিরিয়ডে রক্তক্ষরণের কারণে আয়রনের ঘাটতি পূরণে গুরুত্বূর্ণ।
বমি ভাব বা গ্যাস কমায়:
- লেবুর সাইট্রিক অ্যাসিড হজমে সাহায্য করে এবং পিরিয়ডের সময়ের বমিভাব কমাতে পারে।
- লেবু খাওয়ার সম্ভাব্য ক্ষতিকর প্রভাব
রক্তস্রাব বাড়াতে পারে:
- লেবুর ভিটামিন সি জরায়ুর প্রাচীর (এন্ডোমেট্রিয়াম) দ্রুত খসে পড়তে সাহায্য করতে পারে, ফলে রক্তস্রাব কিছুটা বাড়তে পারে।
- যাদের হেভি ব্লিডিং হয়, তারা অতিরিক্ত লেবু এড়িয়ে চলুন।
অ্যাসিডিটি বা গ্যাসের সমস্যা:
- খালি পেটে লেবু খেলে অ্যাসিডিটি, বুক জ্বালা বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে।
- শরীরে পানির ঘাটতি (ডিহাইড্রেশন):
- অতিরিক্ত লেবুর রস প্রস্রাব বাড়িয়ে দিতে পারে, যা শরীরে পানিশূন্যতা তৈরি করতে পারে।
কীভাবে খাবেন?
- গরম পানির সাথে লেবুর রস + মধু মিশিয়ে খান (ব্যথা ও বমিভাব কমাবে)।
- খাবারের সাথে লেবু খেলে অ্যাসিডিটি কম হবে।
- পরিমিত পরিমাণে (দিনে ১-২ বার)।
সতর্কতা
- যাদের পিরিয়ডে অতিরিক্ত রক্তপাত হয়, তারা লেবু কম খান।
- গ্যাস্ট্রিক বা আলসার থাকলে লেবু এড়িয়ে চলুন।
- ভিটামিন সি সাপ্লিমেন্ট নেওয়া থাকলে লেবু কম খান।
📌 ইসলামিক দৃষ্টিকোণ: ইসলামে স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে (কুরআন ২:১৬৮)। তবে অতিরিক্ত কোনো কিছু ক্ষতিকর হতে পারে (সুনানে ইবনে মাজাহ)।
পিরিয়ডের সময় তেঁতুল খেলে কি হয়
পিরিয়ডের সময় তেঁতুল খাওয়া কি নিরাপদ?
পিরিয়ডের সময় তেঁতুল খাওয়া নিয়ে নানান ধারণা থাকলেও বৈজ্ঞানিকভাবে এটি সাধারণত নিরাপদ, তবে কিছু ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলতে পারে। নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:
তেঁতুলের পুষ্টিগুণ ও প্রভাব
তেঁতুলে রয়েছে:
- আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম (রক্তস্বল্পতা কমাতে সাহায্য করে)।
- ভিটামিন সি (রক্তজমাট বাঁধতে বাধা দেয়)।
- ফাইবার (হজমে সাহায্য করে)।
- পিরিয়ডে তেঁতুল খাওয়ার সম্ভাব্য প্রভাব
রক্তপ্রবাহ বাড়াতে পারে:
- তেঁতুলে থাকা ভিটামিন সি ও অ্যাসিডিক উপাদান জরায়ুর প্রাচীর খসে পড়তে সাহায্য করে, ফলে রক্তস্রাব কিছুটা বাড়তে পারে (অল্প পরিমাণে খেলে তেমন সমস্যা হয় না)।
পেট ব্যথা বা cramps কমাতে পারে:
- তেঁতুলের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ মাসিকের ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
অ্যাসিডিটি বা গ্যাসের সমস্যা:
- যাদের পাকস্থলী সংবেদনশীল, তাদের টক জাতীয় খাবার (তেঁতুল, লেবু) অ্যাসিডিটি বাড়াতে পারে।
রক্ত তরল করতে পারে:
- তেঁতুল রক্ত পাতলা করার কিছু গুণ ধারণ করে, তাই যারা হেভি ব্লিডিং-এ ভুগছেন, তাদের অতিরিক্ত তেঁতুল এড়ানো ভালো।
কাদের সতর্ক থাকা উচিত?
- হেভি ব্লিডিং যাদের হয়, তারা বেশি তেঁতুল না খাওয়াই ভালো।
- গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটির সমস্যা থাকলে কম খান।
- রক্ত পাতলা করার ওষুধ (যেমন: অ্যাসপিরিন) খেলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
কীভাবে খাবেন?
- পরিমিত পরিমাণে (১-২ চামচ তেঁতুলের শরবত বা চাটনি)।
- গরম পানির সাথে মিশিয়ে খেলে অ্যাসিডিটি কমবে।
- চিনি বা মধু মিশিয়ে খেলে টকের প্রভাব কমবে।
- মাসিকের সময় তেঁতুল সম্পর্কে প্রচলিত ভুল ধারণা
- "তেঁতুল খেলে পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যায়" → এটির কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।
"তেঁতুল পিরিয়ডের ব্যথা বাড়ায়" → বরং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ থাকায় ব্যথা কমাতে পারে।
পিরিয়ডের সময় চা খেলে কি হয়
পিরিয়ডের সময় চা খাওয়া ভালো নাকি খারাপ?
পিরিয়ডের সময় চা খাওয়ার কিছু উপকারিতা ও সম্ভাব্য ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে, যা আপনার চায়ের ধরন এবং স্বাস্থ্যের উপর নির্ভর করে। নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:
১. উপকারী চা (পিরিয়ডের সময় ভালো)
A. আদা চা
উপকারিতা:
- মাসিকের ব্যথা (ক্র্যাম্প) কমায়।
- বমি ভাব ও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করে।
- কীভাবে খাবেন: গরম পানিতে আদা কুচি + লেবুর রস + মধু মিশিয়ে দিনে ২-৩ বার খান।
B. পুদিনা চা
উপকারিতা:
- পেটের ব্যথা ও ফোলাভাব কমায়।
- মানসিক চাপ ও মুড সুইং নিয়ন্ত্রণ করে।
C. ক্যামোমাইল চা
উপকারিতা:
- জরায়ুর সংকোচন কমিয়ে ব্যথা উপশম করে।
- অনিদ্রা ও দুশ্চিন্তা কমাতে সাহায্য করে।
২. ক্ষতিকর চা (পিরিয়ডের সময় এড়িয়ে চলুন)
A. কফি বা ক্যাফেইনযুক্ত চা (ব্ল্যাক/গ্রিন টি)
ক্ষতিকর প্রভাব:
- রক্তস্রাব বাড়িয়ে দিতে পারে (ক্যাফেইন রক্তনালী প্রসারিত করে)।
- ডিহাইড্রেশন করে পিরিয়ডের ব্যথা বাড়ায়।
- আয়রন শোষণে বাধা দেয় (রক্তস্বল্পতা হতে পারে)।
B. অতিরিক্ত মিষ্টি চা
- প্রভাব: ব্লাড সুগার বাড়িয়ে মুড সুইং ও ফ্যাটিগ worsen করতে পারে।
৩. ইসলামিক দৃষ্টিকোণ
- ইসলামে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার গ্রহণে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে (কুরআন ৭:৩১)। পিরিয়ডের সময় শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী উপকারী চা পান করা জায়েজ, তবে অতিরিক্ত ক্যাফেইন এড়িয়ে চলুন।
সর্বোত্তম পরামর্শ
- পিরিয়ডের সময় আদা, পুদিনা বা ক্যামোমাইল চা পান করুন।
- কফি ও ক্যাফেইনযুক্ত চা কমিয়ে দিন (দিনে ১ কাপের বেশি নয়)।
- গরম পানির সাথে লেবু+মধু খেতে পারেন (অ্যাসিডিটি থাকলে এড়িয়ে চলুন)।
পিরিয়ডের সময় আইসক্রিম খেলে কি হয়
পিরিয়ডের সময় আইসক্রিম খাওয়া কি নিরাপদ?
পিরিয়ডের সময় আইসক্রিম বা ঠান্ডা খাবার খাওয়া নিয়ে নানা মত থাকলেও, এটি মূলত আপনার শারীরিক অবস্থা ও সহ্যক্ষমতার উপর নির্ভর করে। নিচে সম্ভাব্য প্রভাবগুলো বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো:
সম্ভাব্য ক্ষতিকর প্রভাব
পেটে ব্যথা বা ক্র্যাম্প বাড়াতে পারে:
- ঠান্ডা খাবার জরায়ুর পেশী সংকোচন (মাসিকের ব্যথা) বাড়িয়ে দিতে পারে, বিশেষ করে যাদের প্রাইমারি ডিসমেনোরিয়া (তীব্র ব্যথা) আছে।
- চিনিযুক্ত আইসক্রিম প্রদাহ বাড়িয়ে ব্যথা তীব্র করতে পারে।
গ্যাস বা বদহজম:
- দুধ-ভিত্তিক আইসক্রিম ল্যাক্টোজ ইনটলারেন্ট ব্যক্তিদের গ্যাস, ব্লোটিং বা ডায়রিয়া ঘটাতে পারে।
রক্তস্রাব ঘন করে দিতে পারে:
- কিছু গবেষণায় দাবি করা হয়, ঠান্ডা খাবার রক্তনালী সংকুচিত করে রক্তপ্রবাহ কমিয়ে দিতে পারে (তবে এটা সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়)।
কখন আইসক্রিম খাওয়া নিরাপদ?
- যদি আপনার ঠান্ডা খাবারে কোনো সমস্যা না হয় এবং পিরিয়ডের ব্যথা কম থাকে।
- ডার্ক চকোলেট বা ফল-ভিত্তিক আইসক্রিম বেছে নিন (চিনি ও দুধের পরিমাণ কম থাকে)।
- ঘরে বানানো স্বাস্থ্যকর আইসক্রিম (যেমন: কলা বা আমের স্মুদি ফ্রিজে জমিয়ে খান)।
- ফল বা ডার্ক চকোলেট (মুড সুইং নিয়ন্ত্রণ করে)।
- কুসুম গরম পানি পান করুন (রক্তপ্রবাহ স্বাভাবিক রাখে)।
ইসলামিক দৃষ্টিকোণ
- ইসলামে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয় এমন খাবার এড়াতে বলা হয়েছে (কুরআন ২:১৯৫)। যদি আইসক্রিম আপনার পিরিয়ডের ব্যথা বা অস্বস্তি বাড়ায়, তবে তা পরিহার করাই উত্তম।
পরামর্শ:
- পিরিয়ডের প্রথম ২-৩ দিন আইসক্রিম এড়িয়ে চলুন।
- যদি খেতেই চান, অল্প পরিমাণে খান এবং গরম পানির সাথে নিন।
- তীব্র ব্যথা বা অস্বস্তি হলে গাইনোকোলজিস্টের পরামর্শ নিন।
পিরিয়ডের সময় ডিম খেলে কি হয়
পিরিয়ডের সময় ডিম খাওয়া কি উপকারী?
পিরিয়ডের সময় ডিম খাওয়া অত্যন্ত উপকারী হতে পারে, কারণ এটি পুষ্টিগুণে ভরপুর এবং মাসিকের সময়কার শারীরিক চাহিদা পূরণে সাহায্য করে। তবে কিছু ক্ষেত্রে সতর্কতা প্রয়োজন। নিচে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হলো:
ডিমের উপকারিতা (পিরিয়ডের সময়)
আয়রন ও প্রোটিনের উৎস:
- ডিমের কুসুমে আয়রন থাকে, যা পিরিয়ডে রক্তক্ষরণের কারণে আয়রনের ঘাটতি পূরণ করে।
- প্রোটিন শক্তি বজায় রাখে এবং মুড সুইং কমায়।
ভিটামিন বি৬ ও বি১২:
- এই ভিটামিনগুলি হরমোনাল ব্যালান্স রক্ষা করে এবং ক্লান্তি দূর করে।
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড:
- ডিমের মধ্যে থাকা ওমেগা-৩ প্রদাহ কমিয়ে মাসিকের ব্যথা (ক্র্যাম্প) উপশম করতে পারে।
কীভাবে খাবেন?
- সিদ্ধ ডিম: সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর বিকল্প (হজম সহজ)।
- অমলেট বা স্ক্র্যাম্বলড ডিম: অল্প তেলে ভেজে নিন, মশলা কম দিন।
- ডিমের স্যুপ: গরম স্যুপ পিরিয়ডের অস্বস্তি কমাতে সাহায্য করে।
সতর্কতা
অতিরিক্ত ডিম খাওয়া এড়িয়ে চলুন:
- দিনে ১-২টি ডিম যথেষ্ট (অতিরিক্ত খেলে কোলেস্টেরল বাড়তে পারে)।
যাদের অ্যালার্জি বা হজমের সমস্যা আছে:
- ডিমে কারও অ্যালার্জি থাকলে এড়িয়ে চলুন।
অর্ধসিদ্ধ বা কাঁচা ডিম না খাওয়া:
- পিরিয়ডের সময় পেটের ইনফেকশনের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
ইসলামিক দৃষ্টিকোণ
- ডিম একটি হালাল ও পুষ্টিকর খাবার (কুরআন ২:১৬৮)। ইসলামে স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে, তবে পরিমিত পরিমাণে খাওয়া জরুরি।
পরামর্শ:
পিরিয়ডের সময় সিদ্ধ ডিম + হালকা লবণ + আদা চা নিয়ে একটি স্বাস্থ্যকর নাশতা করুন।
যদি বমি ভাব বা গ্যাস্ট্রিক সমস্যা হয়, তবে কম তেলে ভাজা ডিম খান।
আপনার জন্য মাসিক সর্ম্পকিত আরো প্রশ্ন উত্তর
- কি খেলে তাড়াতাড়ি পিরিয়ড হয়?
- মাসিক দ্রুত হওয়ার ঔষধ?
- মাসিক ৩ দিন হওয়া যাবে কি?
- পিরিয়ড না হলে কি কি ঘরোয়া উপায় রয়েছে?
- মাসিক বন্ধ হওয়ার লক্ষণ কি কি?
- মাসিক ২ মাস দেরি হওয়ার কারণ?
- মাসিক ৩ দিন হওয়া যাবে কি?
- পিরিয়ড না হলে কি কি ঘরোয়া উপায় রয়েছে?
- সময়মতো পিরিয়ড না হওয়ার কারণ কী কী?
- মাসিক ৩ দিন হওয়া যাবে কি?
- পিরিয়ড কত দেরিতে হতে পারে?
- পিরিয়ড না হলে কি কি ঘরোয়া উপায় রয়েছে?
নামায ও রোযার ক্ষেত্রে ঋতুস্রাবের বিধিবিধান
প্রশ্ন ১: ফজরের পরপরই যদি কোন ঋতুবতী মহিলা ঋতুস্রাব মুক্ত হয়, তাহলে কি সে খানাপিনা ত্যাগ করতঃ ঐ দিনের রোযা রাখবে? তার ঐ দিনের রোযা কি আদায় হয়ে যাবে নাকি পরে ক্বাযা আদায় করতে হবে?
উত্তরঃ ফজরের পরে কোন মহিলা ঋতুস্রাবমুক্ত হলে ঐ দিনে তার রোযা রাখার ক্ষেত্রে আলেমগণের দুটো অভিমত রয়েছেঃ
প্রশ্ন ২: প্রশ্নকারী বলছেন, ঋতুবর্তী যদি [ফজরের আগে] ঋতুস্রাব মুক্ত হয় এবং ফজরের পরে গোসল করে নামায আদায় করতঃ ঐ দিনের রোযা পূর্ণ করে, তাহলে কি তাকে আবার ক্বাযা আদায় করতে হবে?
প্রথম অভিমতঃ
- ঐ দিনের বাকী অংশে তাকে খানা-পিনা, যৌনসঙ্গম ইত্যাকার কর্মকাণ্ড থেকে বেঁচে থাকতে হবে। তবে তা ঐ দিনের রোযা হিসাবে পরিগণিত হবে না; বরং তাকে পরে ক্বাযা আদায় করতে হবে। এটা হাম্বলী মাযহাবের প্রসিদ্ধ অভিমত।
দ্বিতীয় অভিমতঃ
- ঐ দিনের বাকী অংশে তাকে খানাপিনা ইত্যাদি থেকে বিরত থাকতে হবে না। কেননা সে ঐ দিনের শুরুতে ঋতুবতী থাকার কারণে সেদিনের রোযা তার জন্য শুদ্ধ নয়। আর রোযা যেহেতু শুদ্ধ নয়, সেহেতু খানাপিনা থেকে বিরত থাকারও কোন অর্থ নেই। এই দিনটা তার জন্য সম্মানীয় কোন সময় নয়। কেননা ঐ দিনের শুরুতে তাকে রোযা ভাঙ্গার আদেশ করা হয়েছে; বরং ঐ দিনের শুরুতে রোযা রাখা তার জন্য হারাম।
- আর রোযার সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, “ফজর উদয় হওয়া থেকে শুরু করে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আল্লাহর ইবাদতের উদ্দেশ্যে রোযা ভঙ্গকারী যাবতীয় বিষয় থেকে বিরত থাকার নাম রোযা।” এই অভিমতটা আগের খানাপিনা থেকে বিরত থাকা আবশ্যক মর্মের অভিমতের চেয়ে বেশী প্রাধান্য পাওয়ার যোগ্য।
- যাহোক [ঐ দিনের বাকী অংশে সে খানাপিনা ইত্যাদি থেকে বিরত থাক বা না থাক] উভয় অভিমতের আলোকে বলা যায়, তাকে পরবর্তীতে ঐ দিনের ক্বাযা আদায় করতেই হবে।
- উত্তরঃ ঋতুবর্তী ফজরের এক মিনিট আগে হলেও যদি নিশ্চিত ঋতুস্রাব মুক্ত হয়, তাহলে রমযান মাস হলে তাকে ঐ দিনের রোযা আদায় করতে হবে এবং তার ঐ দিনের রোযা শুদ্ধ রোযা হিসাবে পরিগণিত হবে।
- তাকে আর ক্বাযা আদায় করতে হবে না। কেননা সে পবিত্র অবস্থায় রোযা রেখেছে। আর ফজরের পরে ছাড়া গোসল করার সুযোগ না পেলেও কোন সমস্যা নেই। যেমনিভাবে কোন পুরুষ সহবাস জনিত কারণে অথবা স্বপ্নদোষের কারণে যদি অপবিত্র থাকে এবং ঐ অবস্থায় সাহরী করে নেয়, তাহলে ফজরের আগে গোসল না করলেও তার রোযা শুদ্ধ হবে।
- এক্ষেত্রে আমি মহিলাদের একটি বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই, রোযা অবস্থায় ঋতুস্রাব আসলে কোন কোন মহিলা মনে করে যে, ইফতারের পরে ঋতুস্রাব আসলে ঐ দিনের রোযা নষ্ট হয়ে যায়।
- অথচ ইফতার তো দূরের কথা সূর্যাস্তের পরপরই যদি তার ঋতুস্রাব আসে, তথাপিও তারসেদিনের রোযা পূর্ণ এবং শুদ্ধ হবে।
প্রশ্ন ৩: সদ্য সন্তান প্রসবকারিণী নারী যদি চল্লিশ দিনের আগে পবিত্র হয়ে যায়, তাহলে কি তার উপরে রোযা রাখা এবং নামায আদায় করা ওয়াজিব হবে?
- উত্তরঃ হ্যাঁ, সদ্য সন্তান প্রসবকারিণী নারী চল্লিশ দিনের আগে যখনই পবিত্র হবে, তখনই তার উপর রোযা রাখা অপরিহার্য হয়ে যাবে- যদি তখন রমযান মাস চলে।
- অনুরূপভাবে তার উপরে নামায আদায়ও ওয়াজিব হবে এবং তার স্বামীর জন্য তার সাথে সহবাস করাও বৈধ হবে। কেননা সে একজন পবিত্র নারী হিসাবে বিবেচিত হবে।
- যার মধ্যে নামায-রোযা ও সহবাসের বৈধতায় বাধাদানকারী কোন কিছু অবশিষ্ট নেই।
প্রশ্ন ৪: কোন মহিলার ঋতুস্রাবের সময়সীমা যদি প্রত্যেক মাসে আট অথবা সাতদিন হয়; কিন্তু দেখা গেল, মাঝেমধ্যে অভ্যাস ভঙ্গ করে ২/১ দিন বেশী সময় ধরে ঋতুস্রাব চলে, তাহলে সেক্ষেত্রে বিধান কি?
- উত্তরঃ যদি উক্ত মহিলার মাসিক ঋতুস্রাবের সময়সীমা ছয় বা সাত দিন হয় কিন্তু মাঝে-মধ্যে এ সময়সীমা বৃদ্ধি হয়ে আট, নয়, দশ অথবা এগারো দিনে গড়ায়, তাহলে পবিত্র না হওয়া পর্যন্ত তাকে নামায আদায় করতে হবে না।
- কেননা নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঋতুস্রাবের কোন নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেননি। আর আল্লাহ তা‘আলা বলছেন, “তারা তোমাকে মহিলাদের ঋতুস্রাব সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করে; তুমি বলে দাও, সেটা হচ্ছে কষ্টদায়ক বস্তু” ।
- সুতরাং এই রক্ত থাকাকালীন সময়ে মহিলারা আপন অবস্থায় থাকবে, তারপর ভাল হয়ে গেলে গোসল করে নামায আদায় করবে।
- অনুরূপভাবে পরবর্তী মাসে যদি গত মাসের তুলনায় কম দিনে ঋতু বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে সে গোসল করে নিবে [এবং নামায-রোযা শুরু করবে]। এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ কথা হলো এই যে, মহিলার ঋতুস্রাব থাকাকালীন সময়ে সে নামায আদায় করবে না- চাই ঋতুস্রাব গত মাসের মত একই সময় পর্যন্ত চলুক অথবা কিছু দিন বেশি বা কম চলুক। আর যখনই ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যাবে, তখনই নামায আদায় করবে।
প্রশ্ন ৫: সদ্য প্রসবকারিণী নারী কি ছালাত-ছিয়াম (নামায-রোযা) পরিত্যাগ করে চল্লিশ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করবে নাকি রক্ত বন্ধ হওয়া না হওয়াই হলো মূল বিষয়? অর্থাৎ যখনই রক্ত বন্ধ হয়ে যাবে, তখনই কি পবিত্র হয়ে যাবে এবং নামায শুরু করবে? আর পবিত্র হওয়ার সর্বনিম্ন কোন সময়সীমা আছে কি?
- উত্তরঃ প্রসূতি মহিলার নির্দিষ্ট কোন সময়সীমা নেই; বরং যতদিন রক্ত থাকবে, ততদিন অপেক্ষা করবে। এমতাবস্থায় নামায পড়বে না, রোযা রাখবে না এবং তার স্বামী তার সাথে সহবাসও করবে না।
- পক্ষান্তরে যখনই সে পবিত্র হয়ে যাবে-যদিও তা চল্লিশ দিনের আগে হয়; এমনকি দশ বা পাঁচ দিনেও যদি সে পবিত্র হয়- তাহলে সে নামায পড়বে, রোযা রাখবে এবং তার স্বামী তার সাথে সহবাসও করবে। এতে কোন সমস্যা নেই।
- মূলকথাঃ প্রসূতি অবস্থা ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য একটা বিষয়- যা থাকা আর না থাকার সাথে এ সম্পর্কীয় বিধিবিধান সম্পর্কযুক্ত।
- সুতরাং যখনই সেটা বিদ্যমান থাকবে, তখনই তার বিধিবিধান বলবৎ থাকবে। আর যখনই কোন মহিলা তা থেকে মুক্ত থাকবে, তখনই সে উহার বিধিবিধান থেকে মুক্ত থাকবে।
- কিন্তু যদি তার রক্ত ষাট দিনের বেশী সময় ধরে চলে, তাহলে বুঝতে হবে সে ইস্তেহাযাগ্রস্ত মহিলা । এক্ষেত্রে সে শুধুমাত্র অন্যান্য মাসের ঋতুস্রাবের দিনগুলো সমপরিমাণ অপেক্ষা করবে এবং এরপরে বাকী দিনগুলোতে গোসল করে নামায পড়বে।
আপনার পছন্দ ও প্রয়োজন হতে পারে এমন আরো পোস্টের তালিকা
- কলা খাওয়ার উপকারিতা -গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা
- আলু বোখারার উপকারিতা ও অপকারিতা
- অতিরিক্ত চুল পড়ার কারণ ও প্রতিকার
- ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর ১০ লক্ষণ
- আলমারি থেকে তেলাপোকা দূর করার উপায়
- নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
- চুলের যত্ন ঘরোয়া উপায়সহ বিস্তারিত জানুন
- আগুনে পুড়ে ফোসকা পড়লে করণীয়
- শিশুর নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ ও প্রতিকারG 7 ভুক্ত দেশ মনে রাখার কৌশল
- বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন - বাংলাদেশের প্রথম
- ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা
- নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
- ব্রেস্ট টিউমার চেনার উপায়
- চর্মরোগ থেকে মুক্তির উপায় - চর্ম রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা
উপসংহার
আজ মেয়েদের পিরিয়ড হলে কি করতে হয় নিয়ে আলোচনা করলাম। আগামীতে ভালো কোনো বিষয় নিয়ে হাজির হবো। আশা করছি উপরের মেয়েদের পিরিয়ড হলে কি করতে হয় বিষয়ে আলোচনা আপনার ভালো লেগেছে। যদি এ বিষয়ে কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানান । আমাদের ফলো করে সাথেই থাকুন।
জমজম আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url