রিজিক বৃদ্ধির দোয়া - পরিবারে হঠাৎ আয় কমে গেলে কী করবেন
ভূমিকা
সুপ্রিয় পাঠক আজকাল অনেকেই অনলাইনে রিজিক বৃদ্ধির দোয়া - পরিবারে হঠাৎ আয় কমে গেলে কী করবেন নিয়ে জানতে চান। আপনিও হয়তো অনেক খোঁজাখুঁজির পর নিশ্চয়ই রিজিক বৃদ্ধির দোয়া - পরিবারে হঠাৎ আয় কমে গেলে কী করবেন কি তা জানার জন্যই আমাদের এই সাইটটিতে এসেছেন।

হ্যাঁ আজকে আমি সঠিকভাবে রিজিক বৃদ্ধির দোয়া - পরিবারে হঠাৎ আয় কমে গেলে কী করবেন তা নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করব। চলুন এই লেখার মূল বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানতে নিচের লেখাটি পড়ে ফেলি।
রিজিক বৃদ্ধির দোয়া বিস্তারিত জেনে নিন
আসুন এখন আর দেরি না করে আমরা রিজিক বৃদ্ধির দোয়া বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি। জমজম আইটির রিজিক বৃদ্ধির দোয়া নিয়ে বিস্তারিত জানার জন্য নিচের লেখা গুলো পুরোপুরি পড়ে নিন। আপনার জন্য আরো অতিরিক্ত বোনাস হিসেবে রিজিক বৃদ্ধির দোয়া নিয়ে আলোচনা এখানে চাপ দিয়ে বিস্তারিত জেনে নিন।
রিজিক বৃদ্ধির জন্য ইসলামিক কিছু দোয়া ও আমল নিচে উল্লেখ করা হলো:
১. রিজিক বৃদ্ধির দোয়া:
বাংলা উচ্চারণ: আল্লাহুম্মাক ফিনি বি হালালিকা আন হারামিকা, ওয়া আগনিনি বিফাজলিকা আম্মান সিওয়াক।
বাংলা অর্থ: হে আল্লাহ, হারামের পরিবর্তে আপনার হালাল রুজি আমার জন্য যথেষ্ট করুন। আর আপনাকে ছাড়া আমাকে কারও মুখাপেক্ষী করবেন না। আপনার অনুগ্রহ দিয়ে আমাকে সচ্ছলতা দান করুন। (সুনানে তিরমিজি, হাদিস: ৩৫৬৩)
বাংলা উচ্চারণ:
- আল্লাহুম্মাগফির লি জাম্বি, ওয়া ওয়াসসি লি ফি রিযকি, ওয়া বারিক লি ফিমা রাজাকতানি।
- বাংলা অর্থ: হে আল্লাহ, আমার গুনাহ ক্ষমা করে দিন, আমার ঘর প্রশস্ত করে দিন এবং আপনি আমাকে যে জীবিকা দান করেছেন তাতে বরকত দান করুন। (তিরমিজি: ৩৫০০)
বাংলা উচ্চারণ:
- আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা ইলমান নাফিআ ওয়া রিযকান তায়্যিবা ওয়া আমালান মুতাকাব্বিলা।
- বাংলা অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে উপকারী জ্ঞান প্রার্থনা করছি, উত্তম-পবিত্র রিজিক কামনা করছি এবং কবুল হওয়ার মতো কর্ম তৎপরতা কামনা করছি। (ইবনে মাজাহ, মুসনাদে আহমাদ)
২. রিজিক বৃদ্ধির জন্য কিছু আমল:
তওবা ও ইস্তিগফার:
- বেশি বেশি করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া। হাদিসে এসেছে, যে ব্যক্তি তার পাপাচারের জন্য ইস্তিগফারের মাধ্যমে নিয়মিত আল্লাহ তাআলার কাছে ক্ষমা চাইবে, আল্লাহ তাআলা তার দারিদ্র্য ঘুচিয়ে দেবেন এবং এমন উৎস থেকে রিজিকপ্রাপ্ত হবে, যা সে চিন্তাও করেনি।
আল্লাহর ওপর ভরসা:
- আল্লাহর ওপর পূর্ণ ভরসা রাখা।
নামাজ আদায়:
- সময়মতো দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করলে রিজিক বাড়ে।
সূরা আল-ওয়াকিয়া তিলাওয়াত:
- হাদিসে এসেছে, যে ব্যক্তি প্রতি রাতে সূরা আল-ওয়াকিয়া পাঠ করবে, তার রিজিকের কোনো অভাব হবে না।
হজ ও ওমরাহ পালন:
- বারবার হজ ও ওমরাহ পালন করার দ্বারা রিজিকে প্রবৃদ্ধি ঘটে।
আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা:
- আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখলে রিজিক প্রশস্ত হয় এবং আয়ু দীর্ঘ হয়।
আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় ও দান-সদকা করা:
- দান-সদকা করার মাধ্যমে রিজিক বাড়ে।
সকাল-সন্ধ্যা সাইয়েদুল ইস্তিগফার পাঠ:
- রিজিক বৃদ্ধির জন্য সকালে ও সন্ধ্যায় সাইয়েদুল ইস্তিগফার পড়া যেতে পারে।
এগুলো মেনে চললে আল্লাহ তায়ালা আপনার রিজিকে বরকত দান করবেন ইনশাআল্লাহ।
পরিবারে হঠাৎ আয় কমে গেলে কী করবেন
আসুন এখন আর দেরি না করে আমরা পরিবারে হঠাৎ আয় কমে গেলে কী করবেন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি। জমজম আইটির পরিবারে হঠাৎ আয় কমে গেলে কী করবেন নিয়ে বিস্তারিত জানার জন্য নিচের লেখা গুলো পুরোপুরি পড়ে নিন। আপনার জন্য আরো অতিরিক্ত বোনাস হিসেবে পরিবারে হঠাৎ আয় কমে গেলে কী করবেন নিয়ে আলোচনা এখানে চাপ দিয়ে বিস্তারিত জেনে নিন।
জীবনের পথে হঠাৎ ঝড় আসতেই পারে। অনেক সময় পরিবারের প্রধান উপার্জনকারী সদস্যের আয় অপ্রত্যাশিতভাবে কমে যায়। এমন পরিস্থিতিতে ভেঙে পড়া নয়, বরং সচেতনভাবে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করলেই পরিবারকে স্থিতিশীল রাখা সম্ভব।
চলুন জেনে নিই কিছু বাস্তব পরামর্শ:
১. খরচের তালিকা তৈরি করুন
- প্রথমেই পরিবারের সব মাসিক খরচ এক কাগজে লিখে ফেলুন। কোন খরচ অপরিহার্য (যেমন খাবার, ওষুধ, বাসা ভাড়া), আর কোনগুলো সাময়িকভাবে কমানো বা বাদ দেওয়া যায়—তা আলাদা করুন।
২. বাজেট নতুন করে সাজান
- উপজীবিকার ওপর ভিত্তি করে একটি নতুন বাজেট তৈরি করুন। এ সময় অপ্রয়োজনীয় খরচ যেমন রেস্টুরেন্টে খাওয়া, ঘন ঘন কেনাকাটা, ইন্টারটেইনমেন্ট—এসব কমিয়ে আনুন।
৩. বিকল্প আয়ের পথ খুঁজুন
- পরিবারের অন্য সদস্যরা যদি সক্ষম হন, তাঁরা ফ্রিল্যান্সিং, টিউশন, ঘরে তৈরি পণ্য বিক্রি বা অনলাইন ছোটখাটো কাজ শুরু করতে পারেন। এটা একসাথে চাপ কমায়।
৪. সঞ্চয়ে হাত দেওয়ার সময় হিসেব করে নিন
- আপনার যদি সঞ্চয় থাকে, তা হলে খুব হিসেব করে খরচ করুন। একেবারে দরকারি সময়ে, পরিকল্পিতভাবে এটি ব্যবহার করুন।
৫. মানসিকভাবে শক্ত থাকুন
- পরিবারের সবার মানসিক শক্তি খুব গুরুত্বপূর্ণ। একে অপরকে সাপোর্ট করুন, নেতিবাচক চিন্তা থেকে দূরে থাকুন। আলাপ-আলোচনা করুন, সকলে মিলে সিদ্ধান্ত নিন।
৬. সরকারি বা সামাজিক সহায়তার সুযোগ খুঁজুন
- সরকারি সাহায্য, এনজিও বা লোকাল কমিউনিটির সহায়তা পাওয়া যায় কিনা খোঁজ নিন। অনেক সময় এই সহায়তা কঠিন সময়ে অনেক কাজে আসে।
৭. আশাবাদী থাকুন ও নতুন কিছু শিখুন
- এই সময়টা নতুন কিছু শেখার সুযোগ হিসেবেও কাজে লাগাতে পারেন—যেমন, অনলাইন কোর্স, স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি। ভবিষ্যতের জন্য এটি বড় সহায়ক হবে।
মনে রাখবেন, সাময়িক সমস্যা চিরস্থায়ী নয়। ধৈর্য, পরিকল্পনা ও পারিবারিক ঐক্য থাকলে যেকোনো ঝড় মোকাবিলা করা সম্ভব।
ঘরে বরকত না আসার কারণ বিস্তারিত জেনে নিন
আসুন এখন আর দেরি না করে আমরা ঘরে বরকত না আসার কারণ বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি। জমজম আইটির ঘরে বরকত না আসার কারণ নিয়ে বিস্তারিত জানার জন্য নিচের লেখা গুলো পুরোপুরি পড়ে নিন। আপনার জন্য আরো অতিরিক্ত বোনাস হিসেবে ঘরে বরকত না আসার কারণ নিয়ে আলোচনা এখানে চাপ দিয়ে বিস্তারিত জেনে নিন।
ঘরে বরকত না আসার কয়েকটি কারণ নিচে উল্লেখ করা হলো:
১. গুনাহ ও নাফরমানি
পাপ কাজ:
- পরিবারে বা ব্যক্তিগতভাবে কোনো পাপ কাজ করা, যেমন - মিথ্যা কথা বলা, হারাম উপার্জন করা, সুদ, ঘুষ, জিনা-ব্যভিচার ইত্যাদি। এগুলো বরকত নষ্ট করে দেয়।
ফরজ নামাজ ত্যাগ: নিয়মিত নামাজ আদায় না করা বা নামাজে অবহেলা করা।
হারাম ভক্ষণ:
- পরিবারে হারাম উপার্জন থেকে খাবার বা অন্য কিছু ব্যবহার করা। হারাম জিনিস ঘরে প্রবেশ করলে বরকত কমে যায়।
২. আল্লাহর স্মরণ থেকে দূরে থাকা
কুরআন ও হাদিস থেকে দূরে থাকা:
- ঘরে নিয়মিত কুরআন তিলাওয়াত না হওয়া বা দ্বীনি আলোচনা না থাকা।
আল্লাহর জিকির না করা:
- সকাল-সন্ধ্যা আল্লাহর জিকির ও তাসবিহ থেকে গাফেল থাকা।
দোয়া ও ইস্তিগফার না করা:
- আল্লাহ তাআলার কাছে নিয়মিত ক্ষমা না চাওয়া এবং দোয়া না করা।
৩. পরিবারে অনৈক্য ও বিবাদ
পারিবারিক কলহ:
- স্বামী-স্ত্রী বা পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ, হিংসা-বিদ্বেষ ও মনোমালিন্য থাকা।
আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা:
- আত্মীয়-স্বজনের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করা বা তাদের হক আদায় না করা।
৪. শুকরিয়া ও কৃতজ্ঞতার অভাব
অকৃতজ্ঞতা:
- আল্লাহ তাআলা যে নেয়ামত দান করেছেন তার শুকরিয়া আদায় না করা, বরং অভিযোগ করা।
অপচয় ও অপব্যয়:
- আল্লাহর দেওয়া রিজিকের অপচয় করা বা অপ্রয়োজনীয় কাজে খরচ করা।
৫. অপরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা
ঘরের অপরিষ্কার:
- ঘর নোংরা ও অপরিষ্কার রাখা। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অংশ।
বাথরুম বা টয়লেট পরিষ্কার না রাখা:
- বাথরুম বা টয়লেট অপরিষ্কার রাখলে ঘরে বরকত কমে যেতে পারে।
৬. অন্যান্য কারণ
সকালে দেরি করে ঘুম থেকে ওঠা:
- সকালের বরকতময় সময়ে ঘুমিয়ে থাকা বা দেরি করে ওঠা।
প্রয়োজনে বা অপ্রয়োজনে গান-বাজনা:
- ঘরে অতিরিক্ত গান-বাজনা বা হারাম বিনোদনমূলক কাজ করা।
বদনজর ও জাদু:
- কখনো কখনো বদনজর বা জাদুর কারণেও বরকত চলে যেতে পারে।
এই কারণগুলো থেকে দূরে থাকতে পারলে এবং আল্লাহ তাআলার কাছে ইস্তিগফার ও দোয়া করলে ঘরে বরকত ফিরে আসবে ইনশাআল্লাহ।
রিজিক নিয়ে হাদিস বিস্তারিত জেনে নিন
আসুন এখন আর দেরি না করে আমরা রিজিক নিয়ে হাদিস বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি। জমজম আইটির রিজিক নিয়ে হাদিস নিয়ে বিস্তারিত জানার জন্য নিচের লেখা গুলো পুরোপুরি পড়ে নিন। আপনার জন্য আরো অতিরিক্ত বোনাস হিসেবে রিজিক নিয়ে হাদিস নিয়ে আলোচনা এখানে চাপ দিয়ে বিস্তারিত জেনে নিন।
রিজিক বা জীবিকা আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত। আল্লাহ তাআলা প্রতিটি প্রাণীর রিজিকের দায়িত্ব নিয়েছেন। এ বিষয়ে অসংখ্য হাদিস রয়েছে। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ হাদিস উল্লেখ করা হলো:
১. রিজিক সুনির্ধারিত:
হাদিস:
- আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, "যদি আদম সন্তান মৃত্যু থেকে যেমন পালায়, রিজিক থেকেও সেভাবে পালাতো, তবে রিজিকও তাকে ঠিক সেভাবে খুঁজে নিতো, যেভাবে মৃত্যু তাকে খুঁজে নেয়।"
(হিলয়াতুল আউলিয়া ৭/৯০, আলবানি কর্তৃক 'হাসান' হিসাবে প্রমাণিত)
শিক্ষা: রিজিক মানুষের পেছনেই আসে, যেমন মৃত্যু আসে। তাই রিজিকের জন্য অতিরিক্ত পেরেশান হওয়ার প্রয়োজন নেই।
হাদিস:
- আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, "নিশ্চয় তোমাদের প্রত্যেকের সৃষ্টি তার মায়ের পেটে চল্লিশ দিন পর্যন্ত শুক্ররূপে জমা করা হয়, এরপর চল্লিশ দিন রক্তপিণ্ডরূপে, এরপর চল্লিশ দিন গোশতপিণ্ডরূপে। অতঃপর তার কাছে একজন ফেরেশতা পাঠানো হয়। সে তাকে চারটি কথা লেখার নির্দেশ পায়: তার আমল, তার রিজিক, তার আয়ু এবং সে কি হতভাগ্য হবে নাকি সৌভাগ্যবান হবে।"
(সহীহ বুখারী, মুসলিম)
শিক্ষা: মানুষের রিজিক, আয়ু, আমল, সৌভাগ্য বা দুর্ভাগ্য—সবকিছুই আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত থাকে।
২. আল্লাহর ওপর ভরসা ও প্রচেষ্টার গুরুত্ব:
হাদিস:
- উমর ইবনুল খাত্তাব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, "যদি তোমরা আল্লাহর ওপর যথাযথভাবে ভরসা করতে, তবে তিনি তোমাদেরকে এমনভাবে রিজিক দিতেন, যেমন তিনি পাখিদেরকে রিজিক দেন। তারা সকালে খালি পেটে বেরিয়ে যায় এবং সন্ধ্যায় ভরা পেটে ফিরে আসে।" (তিরমিযী, ইবনে মাজাহ, আহমাদ)
শিক্ষা: আল্লাহর ওপর পূর্ণ ভরসা রাখতে হবে, কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে চেষ্টা করা ছেড়ে দিতে হবে। পাখিরাও রিজিকের সন্ধানে বের হয়।
৩. রিজিক বৃদ্ধির আমল:
হাদিস:
- আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, "যে ব্যক্তি চায় যে তার রিজিক প্রশস্ত হোক এবং তার আয়ু বৃদ্ধি হোক, সে যেন তার আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করে চলে।"
(সহীহ বুখারী ২০৬৭, মুসলিম ২৫৫৭)
শিক্ষা: আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা রিজিক বৃদ্ধি ও হায়াত দীর্ঘ হওয়ার অন্যতম কারণ।
হাদিস:
- আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, "সম্পদ বেশি হওয়াতে নয়, বরং প্রকৃত সম্পদ হলো আত্ম-সন্তুষ্টিতে।"
(সহীহ বুখারী ৬৪৪৬)
শিক্ষা: রিজিক কেবল সম্পদের প্রাচুর্য নয়, বরং অন্তরের পরিতৃপ্তিই আসল রিজিক।
হাদিস: আল্লাহ তায়ালা বলেন (হাদিসে কুদসি), "হে আদম সন্তান! তুমি আমার রাস্তায় খরচ করতে থাকো, আমিও তোমার জন্য খরচ করতে থাকবো।"
(সহীহ বুখারী, মুসলিম)
শিক্ষা: আল্লাহর পথে দান-সদকা করলে রিজিক বাড়ে।
৪. হালাল রিজিকের গুরুত্ব:
হাদিস:
- আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, "আল্লাহ তাআলা পবিত্র এবং তিনি পবিত্র জিনিস ছাড়া গ্রহণ করেন না।" এরপর তিনি এমন এক ব্যক্তির কথা উল্লেখ করলেন যে দীর্ঘ সফর করে, যার চুল এলোমেলো এবং দেহ ধূলিধূসরিত, সে আকাশের দিকে হাত তুলে বলে, "হে আমার রব! হে আমার রব!" অথচ তার খাবার হারাম, তার পানীয় হারাম, তার পোশাক হারাম এবং সে হারাম দ্বারাই প্রতিপালিত হয়েছে। তাহলে তার দোয়া কীভাবে কবুল হবে? (সহীহ মুসলিম)
শিক্ষা: হালাল উপার্জনের গুরুত্ব অপরিসীম। হারাম উপার্জনে বরকত থাকে না এবং দোয়াও কবুল হয় না।
আমরা কেন রিজিক নিয়ে বেশি পেরেশানিতে থাকি
রিজিক (জীবিকা/উপার্জন) নিয়ে মানুষ সাধারণত বেশি পেরেশানিতে থাকে কয়েকটি স্বাভাবিক মানসিক ও সামাজিক কারণে। বিষয়টি ধর্মীয়, মানসিক এবং বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা মিলিয়েই গড়ে ওঠে। নিচে সহজভাবে ব্যাখ্যা করা হলো:
১. ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তা আমাদের চিন্তিত করে
- মানুষ স্বভাবতই ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকে। আগামী মাসে আয় থাকবে কি না, চাকরি বা ব্যবসা টিকবে কি না এসব ভাবনা রিজিককে কেন্দ্র করে বেশি পেরেশানি তৈরি করে।
২. সামাজিক চাপ ও তুলনা
- সমাজে অন্যকে দেখে নিজের আয়কে ছোট মনে হওয়া, সামাজিক মর্যাদা বা লাইফস্টাইল বজায় রাখার চাপ আমাদের রিজিক নিয়ে অস্থির করে তোলে।
৩. ভয় ব্যর্থতা বা অভাবের
- অনেকেই মনে করে ভুল সিদ্ধান্ত নিলে রিজিক কমে যেতে পারে বা পরিবারকে ঠিকমতো চালানো যাবে না। এই ভয় মানুষকে সব সময় মানসিক চাপের মধ্যে রাখে।
৪. অতিরিক্ত প্রত্যাশা ও চাহিদা
- খরচ বাড়ছে, লাইফস্টাইল বাড়ছে, ইচ্ছে-আকাঙ্ক্ষাও বাড়ছে। কিন্তু আয় সেই হারে না বাড়ায় মানুষের মনে সবসময় দুশ্চিন্তা কাজ করে।
৫. ঈমান বা বিশ্বাসের ঘাটতি (ধর্মীয় ব্যাখ্যা)
- ধর্মীয় দৃষ্টিকোণে অতিরিক্ত রিজিক-চিন্তা তখনই বাড়ে যখন মানুষ আল্লাহর উপর ভরসা কম অনুভব করে। ইসলাম বলে রিজিক আল্লাহর হাতে, মানুষ শুধু চেষ্টা করবে।
বিশ্বাস দুর্বল হলে চিন্তা শক্তিশালী হয়।
৬. অভ্যাসগত দুশ্চিন্তা
- অনেকেই ছোট ছোট বিষয় নিয়েও চিন্তা করার অভ্যাসে অভ্যস্ত থাকে। এতে রিজিকের মতো বড় বিষয়ে আরও বেশি পেরেশানি তৈরি হয়।
কিভাবে রিজিক নিয়ে দুশ্চিন্তা কমাবেন বিস্তারিত জেনে নিন
পরিকল্পনা করে চলুন (বাজেট, সঞ্চয়, বিনিয়োগ)।
এক জায়গায় আয়ের উপর নির্ভর না করে স্কিল বাড়ান।
অন্যের সাথে নিজেকে তুলনা কমান।
যা আছে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা অনুভব করুন।
পরিশ্রম + দোয়া + তাওয়াক্কুল (বিশ্বাস) এই তিনটি একসাথে রাখুন।
পরিবারে হঠাৎ আয় কমে গেলে কী করবেন ৩০টি উপায়
পরিবারে হঠাৎ আয় কমে গেলে অনেকেই হতাশ হয়ে পড়েন। তবে সঠিক পরিকল্পনা ও সচেতনতার মাধ্যমে সমস্যাটি সামলানো সম্ভব। নিচে ৩০টি কার্যকর উপায় দেওয়া হলো—
আয় কমে গেলে করণীয় ৩০টি উপায়
- বাজেট তৈরি করুন – আয় অনুযায়ী অগ্রাধিকার নির্ধারণ করুন।
- অপ্রয়োজনীয় খরচ কমান – বিলাসী খরচ যেমন বাইরে খাওয়া, ব্র্যান্ডেড জিনিস কেনা বন্ধ করুন।
- জরুরি খরচ ঠিক করুন – শুধু খাদ্য, চিকিৎসা, বাসাভাড়া, বিদ্যুৎ–গ্যাস বিলকে অগ্রাধিকার দিন।
- ঋণ পরিশোধ পরিকল্পনা করুন – সুদ বেশি এমন ঋণ আগে পরিশোধ করুন।
- অতিরিক্ত আয়ের চেষ্টা করুন – পার্ট টাইম বা ফ্রিল্যান্স কাজ খুঁজুন।
- ঘরে বসে কাজ করুন – অনলাইন ফর্ম ফিলআপ, টিউশনি, কনটেন্ট রাইটিং বা ডেটা এন্ট্রি কাজ করতে পারেন।
- অপ্রয়োজনীয় জিনিস বিক্রি করুন – বাসায় থাকা ব্যবহারহীন জিনিস বিক্রি করে নগদ অর্থ সংগ্রহ করুন।
- সঞ্চয় থেকে ব্যয় করুন – ব্যাংক বা পিগি ব্যাংকে রাখা সঞ্চয় প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে ব্যবহার করুন।
- খাদ্য তালিকা সহজ করুন – কম দামী, পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করুন।
- বিদ্যুৎ ও গ্যাস সাশ্রয় করুন – অপচয় রোধ করে বিল কমান।
- পরিবারের সবাইকে অবহিত করুন – সবাই যেন খরচে সচেতন থাকে।
- বড় কেনাকাটা স্থগিত রাখুন – নতুন ফ্রিজ, টিভি বা ফোন কেনা বন্ধ রাখুন।
- অর্থ ধার নেওয়ার আগে ভেবে দেখুন – অতিরিক্ত ঋণে জড়াবেন না।
- সঞ্চয়ী অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করুন – মাসিক আয় থেকে কিছুটা হলেও সঞ্চয়ে রাখুন।
- সামাজিক সাহায্য নিন – প্রয়োজনে আত্মীয়–বন্ধুর সহযোগিতা চান।
- সরকারি ভাতা খুঁজে দেখুন – দরিদ্র ভাতা, খাদ্য সহায়তা স্কিম আছে কিনা জানুন।
- বাসা ভাড়া কমান – সম্ভব হলে কম ভাড়ার বাসায় যান।
- অতিরিক্ত ঘর ভাড়া দিন – বাড়তি রুম ভাড়া দিয়ে আয়ের উৎস তৈরি করুন।
- চাকরি খোঁজার প্রচেষ্টা বাড়ান – নতুন জবের জন্য আবেদন করুন।
- দক্ষতা উন্নয়ন করুন – স্বল্প মেয়াদী কোর্স করে নতুন কাজে দক্ষ হন।
- বাজারে দরদাম করুন – সব জিনিস সর্বনিম্ন দামে কিনুন।
- ঔষধ খরচ নিয়ন্ত্রণ করুন – ব্র্যান্ডেডের বদলে জেনেরিক ওষুধ ব্যবহার করুন (ডাক্তারের পরামর্শে)।
- নিজে রান্না করুন – বাইরে খাওয়া বন্ধ করুন।
- সন্তানদের প্রাইভেট খরচ কমান – টিউশনি কমিয়ে নিজে পড়ানোর চেষ্টা করুন।
- পরিবারে উৎপাদনশীল কাজ শুরু করুন – বাসায় গাছ লাগানো, হাঁস–মুরগি পালন ইত্যাদি।
- পরিবারের সবাইকে কাজে যুক্ত করুন – বড়রা পার্ট টাইম, শিশুরা পড়াশোনার পাশাপাশি ছোটখাটো কাজ করতে পারে।
- সামাজিক অনুষ্ঠানে খরচ কমান – অপ্রয়োজনীয় দাওয়াত ও আয়োজন এড়িয়ে চলুন।
- স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মনোযোগ দিন – অসুস্থ হলে খরচ বেড়ে যাবে, তাই প্রতিরোধে সচেতন হোন।
- মানসিক দৃঢ়তা বজায় রাখুন – হতাশ না হয়ে ধৈর্য ধরুন।
- আল্লাহর উপর ভরসা রাখুন – আয়ের নতুন পথ খুঁজতে দোয়া ও চেষ্টা চালিয়ে যান।
আপনার পছন্দ হতে পারে এমন আরো প্রশ্ন উত্তরসহ জেনে নিন
- চতুর্ভুজ কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি চিত্র সহ
- ইফতার আইটেম - এবারের রোজায় খাদ্যাভ্যাস
- নফল রোজা রেখে সহবাস করা যাবে ক
- ডাবের পানির উপকারিতা ও অপকারিতা
- কোন কোন পশু কোরবানি দেওয়া যায় না
- ত্রিভুজ কাকে বলে কত প্রকার ও কী কী
- নফল রোজা রেখে সহবাস করা যাবে কি
- ডাবের পানির উপকারিতা ও অপকারিতা
- পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের নাম ও সময়
- কোন কোন পশু কোরবানি দেওয়া যায় না
- ইফতার আইটেম - এবারের রোজায় খাদ্যাভ্যাস
- ঈদের রাতে সহবাস করা যাবে কিখাসি আর পাঁঠার মাংসে পার্থক্য কী? সবাই খাসি কেন কুরবানি দেন? অন্যদিকে ষাঁড় কেন বেশি কুরবানি হয়?
- গাধার মাংস খাওয়া হারাম কেন?
- কুরবানীর মাংস বন্টনের বিষয়টি জানতে চাই ?
- সুদের টাকায় কুরবানি কেন হবে না?
- কুরবানী কার জন্য ওয়াজিব?
- কয় প্রকারের প্রাণী দ্বারা কুরবানী করা বৈধ, তাদের চিহ্ন কী?
- মৃত ব্যক্তির নামে কুরবানী করা যাবে কি?
- ধার নেয়া টাকা দিয়ে কুরবানী করা কি?
- খরগোশ কি কুরবানি করা যাবে?বাথরুমে একা পোশাক ছাড়া গোসল করা যাবে কি, ইসলাম এ সম্পর্কে কি বলে?
- ইসলামে নিজের খালাতো বোনের মেয়েকে কি বিয়ে করা যাবে?
- ঘোড়া কুরবানী দেওয়া যায় না কেন?
- সাত ভাগ না করে সমান চার ভাগে কুরবানি করা যাবে কি?
- কুরবানি ওয়াজিব হওয়ার জন্য কত টাকার মালিক হতে হবে?
- একই পশুতে আকিকা ও কুরবানি করা যাবে কি?
- কারোর নামে আকিকাহ দেওয়া না হলে তার নামে কুরবানী হবে কি?
- ভাড়া বাসায় থাকেন,তবে চার লাখ টাকা নগদ আছে।কুরবানি ওয়াজিব হবে?
- কাদের জন্য কোরবানি ফরজ?
উপসংহার
আজ রিজিক বৃদ্ধির দোয়া - পরিবারে হঠাৎ আয় কমে গেলে কী করবেন নিয়ে আলোচনা করলাম। আগামীতে ভালো কোনো বিষয় নিয়ে হাজির হবো। আশা করছি উপরের রিজিক বৃদ্ধির দোয়া - পরিবারে হঠাৎ আয় কমে গেলে কী করবেন বিষয়ে আলোচনা আপনার ভালো লেগেছে। যদি এ বিষয়ে কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানান । আমাদের ফলো করে সাথেই থাকুন।

জমজম আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url