বাংলাদেশ পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন ফর্ম পূরণের নিয়ম জেনে নিন
BCS
ভূমিকা
সুপ্রিয় পাঠক আজকাল অনেকেই অনলাইনে বাংলাদেশ পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন ফর্ম পূরণের নিয়ম নিয়ে জানতে চান। আপনিও হয়তো অনেক খোঁজাখুঁজির পর নিশ্চয়ই বাংলাদেশ পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন ফর্ম পূরণের নিয়ম কি তা জানার জন্যই আমাদের এই সাইটটিতে এসেছেন।
হ্যাঁ আজকে আমি সঠিকভাবে বাংলাদেশ পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন ফর্ম পূরণের নিয়ম তা নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করব। চলুন এই লেখার মূল বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানতে নিচের লেখা গুলো পুরোপুরি পড়ে নিন।
বাংলাদেশ পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন ফর্ম পূরণের নিয়ম
বাংলাদেশ পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন ফর্ম পূরণের নিয়ম সম্পর্কে জানাটা অত্যন্ত জরুরী কারণ বর্তমান সময়ে ঘরে বসে অনলাইন পাসপোর্ট আবেদন করা যায় আগে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পাসপোর্ট অফিসে দাঁড়িয়ে থেকে কাজ করতে হতো কিন্তু এখন ঘরে বসেই অনলাইনে মাধ্যমে করা সম্ভব। ঘরে বসে পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন ফর্ম পূরণের নিয়ম নিচে ধাপে ধাপে বর্ণনা করা হলোঃ
ধাপ ১ঃ প্রথমে epassport.gov.bd-এ আপনার একাউন্ট লগইন করুন। লগইন করার পর ড্যাশবোর্ডে Apply for a new e-Passport বাটন দেখাবে।এই বাটন ক্লিক করলেই নতুন পাসপোর্ট আবেদন ফরম শুরু হবে। এই প্রসেসটি ঠিকঠাক ভাবে করতে করার জন্য খেয়াল রাখতে হবে। সব তথ্য সঠিকভাবে জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধনের তথ্য অনুযায়ী পূরণ করতে হবে।
ধাপ ২ঃ নতুন পৃষ্ঠায় প্রথমে পাসপোর্টের ধরণ নির্বাচন করতে হবে। এখানের সাধারণ ব্যক্তিদের জন্য Ordinary Passport নির্বাচন করাতে হয় এবং সরকারি কর্মচারীদের ক্ষেত্রে Official Passport করা হয়। এখানে যেটা প্রয়োজন নির্বাচন করার পর Save and continue বাটনে ক্লিক করুন।
ধাপ ৩ঃ এরপর personal information ফর্মে প্রথমে I apply for myself অপশনে টিক মার্ক দিন। এটি করলে আপনার নাম ও রেজিস্ট্রেশন তথ্য নিজে হিসেবে সেভ হয়ে আসবে। এরপর বাকি তথ্য ভালোভাবে পূরণ করুন: পূর্ণ নাম, জেন্ডার, পেশা যেমন চাকরিজীবী, ধর্ম, জন্মতারিখ, জন্মস্থান ইত্যাদি। এই সমস্ত তথ্য অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্র/জন্মনিবন্ধনের তথ্য অনুযায়ী সঠিকভাবে দিতে হবে। সব তথ্য পূরণ হয়ে গেলে Save and continue বাটনে ক্লিক করুন।
এরপর address ফর্মের এখানে আপনার স্থায়ী ঠিকানা জেলা, থানা, ডাকঘর, পোস্টাল কোড, গ্রাম/রাস্তা ইত্যাদি এসব ঠিকানা ভালোভাবে মিলিয়ে দিতে হবে। কেউ বিদেশে থাকলে বিদেশের ঠিকানা দিতে হবে। যদি আপনার আগের অ্যাড্রেস আর এখনকার এড্রেস একই না হয় সে ক্ষেত্রে ভালোভাবে দিবেন কারণ আপনার বর্তমান অ্যাড্রেসে পুলিশ ভেরিফিকেশন এর জন্য আসতে পারে। সকল তথ্য সঠিক ভাবে দেওয়ার পরে Save and continue করুন। এরপর আমাদের নিয়ে আসবে পরের অংশ আইডি ডকুমেন্টে।
এখানে একটা জিনিস ভালোভাবে খেয়াল রাখতে হবে যে আপনার যদি পূর্বের কোন পাসপোর্ট থাকে তাহলে যেই পাসপোর্টটি আছে যদি MRP পাসপোর্ট হয় তাহলে এক নাম্বার যদি ই পাসপোর্ট থাকে তাহলে দুই নাম্বার এবং যদি একদম নতুন হয় মানে আগের কোন পাসপোর্ট নেই তাহলে তিন নাম্বার সিলেট করতে হবে। তবে এক নাম্বার অথবা দুই নাম্বার হলে সেখানে ইনফরমেশন দিতে হবে আগের পাসপোর্ট এর এরপর নিচে আইডি কার্ডের নাম্বার দিয়ে Save and continue করুন ।
ধাপ ৪ঃ এরপর পরবর্তী অংশে আপনার পিতা মাতার তথ্য দিন। এখানে পিতার এবং মাতার পূর্ণ নাম, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর এবং পেশার নাম দিতে হবে।
পাসপোর্ট-অনলাইন-আবেদন-ফর্ম -পূরণের-নিয়ম
এখানে প্রথমে পিতার ইনফরমেশন দিতে হবে তারপর নিচে মায়ের। ১৮ বছরের নিচের শিশুদের ক্ষেত্রে অবশ্যই বাবা-মায়ের NID নম্বর দিতে হবে। সব তথ্য ঠিকঠাক হয়ে গেলে Save and continue করুন।
তারপর বৈবাহিক অবস্থা নির্বাচন করুন। এখানে অবিবাহিত হলে Single সিলেক্ট করুন, বিবাহিত হলে স্বামী/স্ত্রীর নাম, তার NID ও পেশার তথ্য দিন। সবকিছু ঠিকঠাক ভাবে দেওয়া হলে Save and continue বাটনে ক্লিক করুন।
এরপর Emergency contact অর্থাৎ জরুরী যোগাযোগ ফরম পূরণ করতে হবে এখানে একজন পরিচিত লোকের লোকের তথ্য দিতে হবে একজন বিশ্বাসযোগ্য ব্যক্তির। এবং তাদের সাথে আপনার সম্পর্ক কি তাও দিতে হবে যেমন বড় ভাই। এই তথ্য পুলিশ যাচাইয়ের জন্য ব্যবহৃত হয়, তাই সবকিছু সঠিকভাবে পূরণ করা হলে Save and continue বাটনে ক্লিক করুন।
ধাপ ৫ঃ এরপর Passport Options এ নিয়ে আসবে এখানে পছন্দ অনুযায়ী পাতার সংখ্যা ও মেয়াদ নির্ধারণ করুন। মেয়াদ হিসেবে ৫ বা ১০ বছর বেছে নেওয়া যায় ১০ বছর মেয়াদ হলে ফি বেশি হয়। এখানে পাসপোর্ট সিলেট করার পর Save and continue বাটনে ক্লিক করুন।
তাহলে ডেলিভারি অপশনে আসবে এবং এখানে Regular বা Express নির্বাচন করুন: Regular হলে আনুমানিক ২১ দিনে পাসপোর্ট পাওয়া যায় এবং Express হলে ১৫ দিনে পাসপোর্ট পাওয়া যায়। তবে Express হলে ফি বেশি হয়। এখানে নির্বাচন করার পর Save and continue করুন। তাহলে দেখবেন আপনার দেওয়া সকল তথ্য প্রতিটা ফর্মে আলাদা আলাদা হয়ে আছে এখান থেকে আপনি কিছু চেঞ্জ করতে চাইলে এডিট অপশনে ক্লিক করে পরিবর্তন করতে পারেন। বাংলাদেশ পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন ফর্ম পূরণের নিয়ম সম্পূর্ণ ভালোভাবে আলোচনা করা হয়েছে আশা করি ভালোভাবে বোঝাতে পেরেছি। চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক নতুন পাসপোর্ট করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পর্কে।
আরো পড়ুনঃ
নতুন পাসপোর্ট করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
আর দেরি না করে আসুন এখন আমরা নতুন পাসপোর্ট করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি। আর জমজম আইটির নতুন পাসপোর্ট করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে বিস্তারিত জানার জন্য নিচের লেখা গুলো পুরোপুরি পড়ে নিন। বসে বসে সময় নষ্ট না করে দেখুন আর আয় করুন। আপনার জন্য আরো অতিরিক্ত বোনাস হিসেবে নতুন পাসপোর্ট করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে আলোচনা এখানে চাপ দিয়ে বিস্তারিত জেনে নিন।নতুন পাসপোর্ট করার জন্য সাধারণভাবে বাংলাদেশে নিম্নলিখিত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দরকার হয়:
১. জাতীয় পরিচয়পত্র (NID)
পূর্ণবয়স্ক প্রার্থীর জন্য মূল NID কার্ড
যদি প্রার্থী নাবালক হয়, তবে অভিভাবকের NID প্রয়োজন হতে পারে।
২. জন্ম সনদ (Birth Certificate)
জন্ম সনদ মূল কপি এবং ফটোকপি
নবজাতক বা কিশোরদের জন্য বাধ্যতামূলক।
৩. ফটোগ্রাফ
পাসপোর্ট সাইজ রঙিন ছবি (সর্বনিম্ন ২–৪টি)
হালকা পটভূমি এবং সাম্প্রতিক ছবি হতে হবে।
৪. আবেদন ফরম
ই-পাসপোর্ট আবেদন ফরম পূরণ (অনলাইনে বা অফলাইনে)
সঠিক তথ্য দিয়ে স্বাক্ষর করতে হবে।
৫. পিতামাতা বা অভিভাবকের NID (যদি প্রার্থী নাবালক হয়)
নাবালক/শিশুর জন্য।
৬. পূর্বের পাসপোর্ট (যদি থাকে)
নবায়ন বা হারানো ক্ষেত্রে পুরনো পাসপোর্ট দরকার হতে পারে।
৭. অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
ঠিকানার প্রমাণ (বিদ্যুৎ বিল, পানির বিল ইত্যাদি)
বিশেষ ক্ষেত্রে অফিসিয়াল অনুমোদন বা পরিচয়পত্র।
আবেদনকারীর ব্যক্তিগত তথ্য কীভাবে সঠিকভাবে পূরণ করবেন
আর দেরি না করে আসুন এখন আমরা আবেদনকারীর ব্যক্তিগত তথ্য কীভাবে সঠিকভাবে পূরণ করবেন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি। আর জমজম আইটির আবেদনকারীর ব্যক্তিগত তথ্য কীভাবে সঠিকভাবে পূরণ করবেন নিয়ে বিস্তারিত জানার জন্য নিচের লেখা গুলো পুরোপুরি পড়ে নিন। বসে বসে সময় নষ্ট না করে দেখুন আর আয় করুন। আপনার জন্য আরো অতিরিক্ত বোনাস হিসেবে আবেদনকারীর ব্যক্তিগত তথ্য কীভাবে সঠিকভাবে পূরণ করবেন নিয়ে আলোচনা এখানে চাপ দিয়ে বিস্তারিত জেনে নিন।নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদন করার সময় ব্যক্তিগত তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ভুল তথ্য পাসপোর্ট জারি করতে সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। নিচে ধাপে ধাপে নির্দেশনা দিলাম:
১. পুরো নাম
সরকারি কাগজে যেমন লেখা আছে, ঠিক সেইভাবে লিখুন।
কোন ছদ্মনাম বা সংক্ষিপ্ত নাম ব্যবহার করবেন না।
২. জন্মতারিখ
জন্ম সনদের তথ্য অনুযায়ী দিন, মাস, বছর সঠিকভাবে লিখুন।
ভুল তথ্য দিলে পাসপোর্ট বাতিল হতে পারে।
৩. ঠিকানা
স্থায়ী ঠিকানা লিখুন।
যদি ঠিকানা পরিবর্তন হয়, supporting document (বিদ্যুৎ বিল, ব্যাংক স্টেটমেন্ট) সংযুক্ত করুন।
৪. পিতামাতা / অভিভাবকের নাম
সরকারি নথি অনুযায়ী পূরণ করুন।
বিশেষ করে শিশু বা নাবালকের জন্য সঠিক তথ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
৫. যোগাযোগের তথ্য
মোবাইল নম্বর এবং ইমেইল ঠিকভাবে দিন, যাতে নোটিফিকেশন পৌঁছায়।
৬. অতিরিক্ত তথ্য
কোন বৈশিষ্ট্য যেমন নাম পরিবর্তন, বিবাহের পর নাম পরিবর্তন ইত্যাদি থাকলে যথাযথ ডকুমেন্ট সংযুক্ত করুন।
টিপস:
সব তথ্য ইংরেজিতে পূরণ করুন।
কোনো তথ্য বাদ দেবেন না।
অনলাইনে আবেদন করলে, প্রতিটি ধাপ শেষে রিভিউ করুন।
আরো পড়ুনঃ
১৮ বছরের নিচে পাসপোর্ট করার নিয়ম কী?
আর দেরি না করে আসুন এখন আমরা ১৮ বছরের নিচে পাসপোর্ট করার নিয়ম কী? নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি। আর জমজম আইটির ১৮ বছরের নিচে পাসপোর্ট করার নিয়ম কী? নিয়ে বিস্তারিত জানার জন্য নিচের লেখা গুলো পুরোপুরি পড়ে নিন। বসে বসে সময় নষ্ট না করে দেখুন আর আয় করুন। আপনার জন্য আরো অতিরিক্ত বোনাস হিসেবে ১৮ বছরের নিচে পাসপোর্ট করার নিয়ম কী? নিয়ে আলোচনা এখানে চাপ দিয়ে বিস্তারিত জেনে নিন।১৮ বছরের নিচে (নাবালক বা কিশোর) পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশে বিশেষ নিয়ম এবং ধাপ রয়েছে। নিচে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিলাম:
১. আবেদনকারীর ধরন
১৮ বছরের নিচে: শিশু বা কিশোর।
আবেদনের সময় অভিভাবক/পিতামাতার অনুমোদন প্রয়োজন।
২. প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) / জন্ম সনদ:
জন্ম সনদ মূল ও ফটোকপি।
অভিভাবকের NID:
পিতা/মাতার NID মূল ও ফটোকপি।
ফটোগ্রাফ:
২–৪টি সাম্প্রতিক পাসপোর্ট সাইজ ছবি।
ঠিকানার প্রমাণ:
বিদ্যুৎ/পানি বিল বা বাসস্থান সংক্রান্ত ডকুমেন্ট।
৩. আবেদন ফরম পূরণ
শিশুদের তথ্য অনুযায়ী পূরণ করুন।
অভিভাবক/পিতামাতা ফর্মে স্বাক্ষর করতে হবে।
৪. আবেদন প্রক্রিয়া
অনলাইনে বা পাসপোর্ট অফিসে ফর্ম পূরণ।
কাগজপত্র যাচাই ও ফি জমা।
শিশুর উপস্থিতিতে বায়োমেট্রিক বা ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেওয়া হতে পারে (বয়স অনুযায়ী)।
৫. অন্যান্য নিয়ম
শিশুদের পাসপোর্ট সাধারণত বয়স অনুযায়ী ছোট মেয়াদের হয় (৩ বা ৫ বছর)।
আবেদনকারীর নাম, জন্ম তারিখ ও পিতামাতার নাম সঠিকভাবে তথ্য দিতে হবে, কারণ পরে পরিবর্তন কঠিন।
আরো পড়ুনঃ
বিবাহিতদের পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে জেনে নিন
আর দেরি না করে আসুন এখন আমরা বিবাহিতদের পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি। আর জমজম আইটির বিবাহিতদের পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে নিয়ে বিস্তারিত জানার জন্য নিচের লেখা গুলো পুরোপুরি পড়ে নিন। বসে বসে সময় নষ্ট না করে দেখুন আর আয় করুন। আপনার জন্য আরো অতিরিক্ত বোনাস হিসেবে বিবাহিতদের পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে নিয়ে আলোচনা এখানে চাপ দিয়ে বিস্তারিত জেনে নিন।বিবাহিত ব্যক্তিদের জন্য বাংলাদেশে পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে কিছু অতিরিক্ত কাগজপত্র লাগে, যা সিঙ্গেল বা নাবালক আবেদনের থেকে ভিন্ন। নিচে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিলাম:
১. প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
জাতীয় পরিচয়পত্র (NID)
আবেদনকারীর মূল NID কার্ড এবং ফটোকপি।
জন্ম সনদ
মূল কপি এবং ফটোকপি।
বিবাহ সনদ (Marriage Certificate)
বিবাহিতদের জন্য আবশ্যক, বিশেষ করে স্ত্রী/স্বামীর নাম পাসপোর্টে উল্লেখের জন্য।
ফটোগ্রাফ
সাম্প্রতিক পাসপোর্ট সাইজ ছবি ২–৪টি।
ঠিকানার প্রমাণ
বিদ্যুৎ, পানি বা ব্যাংক স্টেটমেন্ট ইত্যাদি।
পূর্বের পাসপোর্ট (যদি থাকে)
নবায়ন বা নাম পরিবর্তনের জন্য।
অভিভাবক অনুমোদন প্রয়োজন নেই
১৮ বছরের বেশি হওয়ায় স্ব-স্বাক্ষর যথেষ্ট।
২. আবেদন প্রক্রিয়া
অনলাইনে বা সরাসরি পাসপোর্ট অফিসে ফর্ম পূরণ।
সমস্ত ডকুমেন্ট যাচাই ও ফি জমা।
ব্যক্তিগত উপস্থিতি ও ফিঙ্গারপ্রিন্ট (যদি প্রয়োজন)।
বিবাহিতদের ক্ষেত্রে নাম পরিবর্তন বা বৈবাহিক নাম সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে।
ভুল তথ্য দিলে পাসপোর্ট জারি হতে বিলম্ব বা বাতিল হতে পারে।
আরো পড়ুনঃ
ঠিকানা সংক্রান্ত তথ্য পূরণের সময় যেসব বিষয় খেয়াল রাখতে হবে
এবার আর দেরি না করে আমরা ঠিকানা সংক্রান্ত তথ্য পূরণের সময় যেসব বিষয় খেয়াল রাখতে হবে নিয়ে বিস্তারিত আলোচনায় আসি। আর জমজম আইটির ঠিকানা সংক্রান্ত তথ্য পূরণের সময় যেসব বিষয় খেয়াল রাখতে হবে নিয়ে বিস্তারিত জানার জন্য নিচের লেখা গুলো পুরোপুরি পড়ে নিন। হাতে সময় থাকলে আরো পড়ুন লিংকে চাপ দিয়ে জ্ঞান অর্জন করুন। আপনার জন্য আরো অতিরিক্ত বোনাস হিসেবে ঠিকানা সংক্রান্ত তথ্য পূরণের সময় যেসব বিষয় খেয়াল রাখতে হবে নিয়ে আলোচনা এখানে ক্লিক করে বিস্তারিত জানুন।নতুন পাসপোর্টের আবেদন করার সময় ঠিকানা সংক্রান্ত তথ্য পূরণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ভুল বা অস্পষ্ট ঠিকানা পাসপোর্ট জারি হতে বিলম্ব বা সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। নিচে বিস্তারিত নির্দেশনা দিলাম:
ঠিকানা পূরণের সময় খেয়াল রাখতে হবে স্থায়ী ঠিকানা লিখুন
সরকারি নথিতে যেমন ঠিকানা আছে, ঠিক সেইভাবে লিখুন।
ভাড়াটে বা সাময়িক ঠিকানা শুধুমাত্র স্থায়ী ঠিকানা না থাকলে উল্লেখ করুন।
সঠিক বিল্ডিং ও রোড নাম
বাড়ি/ফ্ল্যাট নম্বর, রোড/স্ট্রিট নাম এবং পাড়া/মহল্লা উল্লেখ করুন।
উপজেলা ও জেলা ঠিকভাবে দিন
ভুল জেলা বা উপজেলা দিলে পাসপোর্ট ডেলিভারি বিলম্ব হতে পারে।
ডকুমেন্ট সমর্থন যোগ করুন
বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস বিল, ব্যাংক স্টেটমেন্ট বা স্থায়ী ঠিকানার সার্টিফিকেট সংযুক্ত করুন।
ইংরেজি ও বাংলা মিলিয়ে পূরণ করুন
অনলাইনে আবেদন করলে ইংরেজিতে পূরণ করুন, অফিসিয়াল নথির সঙ্গে মিল থাকতে হবে।
যোগাযোগযোগ্য ঠিকানা দিন
মেইল বা নোটিফিকেশন পৌঁছানোর জন্য বর্তমান ঠিকানাও নিশ্চিত করুন।
ঠিকানা সংক্রান্ত তথ্য যাচাই করুন, কোনো শব্দ বাদ দেবেন না।
ভবিষ্যতে ঠিকানা পরিবর্তনের প্রয়োজন হলে সংশোধন করার জন্য নথি সংরক্ষণ করুন।
পূর্ববর্তী পাসপোর্ট থাকলে তার তথ্য কীভাবে যুক্ত করবে
নতুন পাসপোর্ট আবেদন করার সময় যদি আপনার পূর্ববর্তী পাসপোর্ট থাকে, তবে তার তথ্য সঠিকভাবে যুক্ত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর ফলে নবায়ন প্রক্রিয়া সহজ হয় এবং কোনো দ্বিধা বা বিলম্ব হয় না। নিচে ধাপে ধাপে নির্দেশনা দিলাম:
১. পূর্ববর্তী পাসপোর্টের নম্বর ও তথ্য
নতুন ফরমে পূর্ববর্তী পাসপোর্টের পাসপোর্ট নম্বর, ইস্যু তারিখ এবং মেয়াদ শেষের তারিখ সঠিকভাবে লিখুন।
যদি পূর্ববর্তী পাসপোর্ট হারানো বা বাতিল হয়ে থাকে, সেটিও উল্লেখ করুন।
২. হারানো বা ক্ষতিগ্রস্ত পাসপোর্ট
হারানো বা নষ্ট পাসপোর্টের জন্য পুলিশ রিপোর্ট বা নোটারাইজড সার্টিফিকেট লাগতে পারে।
আবেদন ফরমে “Lost/Damaged Passport” চিহ্নিত করুন।
৩. বৈবাহিক নাম পরিবর্তনের ক্ষেত্রে
পূর্ববর্তী পাসপোর্টে পুরনো নাম থাকলে নতুন পাসপোর্টে নতুন নামের সাথে পূর্বের নাম যুক্ত করুন।
Supporting document হিসেবে বিবাহ সনদ সংযুক্ত করুন।
৪. সাবমিশন
সমস্ত তথ্য যাচাই করে নতুন ফরমে যুক্ত করুন।
অনলাইনে আবেদন করলে পূর্ববর্তী পাসপোর্টের স্ক্যান কপি সংযুক্ত করুন।
আরো পড়ুনঃ
আবেদন সাবমিট করার আগে যেসব বিষয় খেয়াল রাখতে হবে
এবার আর দেরি না করে আমরা আবেদন সাবমিট করার আগে যেসব বিষয় খেয়াল রাখতে হবে নিয়ে বিস্তারিত আলোচনায় আসি। আর জমজম আইটির আবেদন সাবমিট করার আগে যেসব বিষয় খেয়াল রাখতে হবে নিয়ে বিস্তারিত জানার জন্য নিচের লেখা গুলো পুরোপুরি পড়ে নিন। হাতে সময় থাকলে আরো পড়ুন লিংকে চাপ দিয়ে জ্ঞান অর্জন করুন। আপনার জন্য আরো অতিরিক্ত বোনাস হিসেবে আবেদন সাবমিট করার আগে যেসব বিষয় খেয়াল রাখতে হবে নিয়ে আলোচনা এখানে ক্লিক করে বিস্তারিত জানুন। নতুন পাসপোর্টের আবেদন সাবমিট করার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় খেয়াল রাখা খুবই জরুরি, যাতে পরবর্তীতে কোনো সমস্যা না হয়। নিচে ধাপে ধাপে নির্দেশনা দিলাম:
আবেদন সাবমিট করার আগে খেয়াল রাখার বিষয়
ব্যক্তিগত তথ্য যাচাই
নাম, জন্ম তারিখ, পিতামাতা/অভিভাবকের নাম সব সঠিকভাবে লেখা আছে কি।
ঠিকানা সঠিকভাবে লেখা আছে কিনা
স্থায়ী ঠিকানা, জেলা, উপজেলা ও পোস্টকোড সঠিকভাবে পূরণ করুন।
পূর্ববর্তী পাসপোর্ট তথ্য যুক্ত করা হয়েছে কি
নবায়ন বা হারানো পাসপোর্ট সম্পর্কিত তথ্য সঠিকভাবে উল্লেখ করুন।
ডকুমেন্ট স্ক্যান ও ফটোকপি সঠিক আছে কিনা
NID, জন্ম সনদ, বিবাহ সনদ (যদি প্রযোজ্য), ঠিকানার প্রমাণ ইত্যাদি।
ফটোগ্রাফের মান
সাম্প্রতিক, সঠিক সাইজের, হালকা পটভূমির ছবি ব্যবহার করুন।
ফি যাচাই
ফি অনলাইনে বা কাউন্টার থেকে সঠিকভাবে জমা হয়েছে কি।
ফর্ম রিভিউ
সব তথ্য পুনরায় দেখে নিশ্চিত করুন কোনো ফিল্ড ফাঁকা নেই।
অনলাইনে আবেদন হলে স্ক্রিনশট সংরক্ষণ
আবেদন সাবমিট করার পর রেফারেন্স বা কনফার্মেশন নম্বর সংরক্ষণ করুন।
ভুল তথ্য বা অসম্পূর্ণ ডকুমেন্ট দিলে পাসপোর্ট প্রক্রিয়া বিলম্বিত হতে পারে।
অনলাইনে বা অফিসে সাবমিট করার আগে সব তথ্য যাচাই করাই নিরাপদ।
আরো পড়ুনঃ
পেশা ও শিক্ষাগত যোগ্যতা সংক্রান্ত তথ্য কীভাবে পূরণ করবেন
এবার আর দেরি না করে আমরা পেশা ও শিক্ষাগত যোগ্যতা সংক্রান্ত তথ্য কীভাবে পূরণ করবেন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনায় আসি। আর জমজম আইটির পেশা ও শিক্ষাগত যোগ্যতা সংক্রান্ত তথ্য কীভাবে পূরণ করবেন নিয়ে বিস্তারিত জানার জন্য নিচের লেখা গুলো পুরোপুরি পড়ে নিন। হাতে সময় থাকলে আরো পড়ুন লিংকে চাপ দিয়ে জ্ঞান অর্জন করুন। আপনার জন্য আরো অতিরিক্ত বোনাস হিসেবে পেশা ও শিক্ষাগত যোগ্যতা সংক্রান্ত তথ্য কীভাবে পূরণ করবেন নিয়ে আলোচনা এখানে ক্লিক করে বিস্তারিত জানুন। নতুন পাসপোর্টের আবেদন ফরমে পেশা ও শিক্ষাগত যোগ্যতা সংক্রান্ত তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করা গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো ভুল বা অসম্পূর্ণ হলে পাসপোর্ট প্রক্রিয়ায় বিলম্ব হতে পারে। নিচে ধাপে ধাপে নির্দেশনা দিলাম:
১. পেশা (Occupation)
আপনার বর্তমান পেশা বা চাকরির ধরন লিখুন।
উদাহরণ: শিক্ষক, ব্যবসায়ী, ছাত্র, সরকারি চাকরিজীবী ইত্যাদি।
যদি আপনি স্ব-উদ্যোক্তা বা ফ্রিল্যান্সার হন, “Self-employed” বা “Freelancer” লিখতে পারেন।
অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তির জন্য “Retired” উল্লেখ করুন।
২. সংস্থা বা কোম্পানির নাম
চাকরির ক্ষেত্রে আপনার অফিস/কোম্পানির নাম লিখুন।
ঠিকানা উল্লেখ করা হলে আরও ভালো।
৩. শিক্ষাগত যোগ্যতা (Educational Qualification)
আপনার সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা লিখুন।
উদাহরণ: এসএসসি, এইচএসসি, স্নাতক, স্নাতকোত্তর ইত্যাদি।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম এবং পাশের সাল উল্লেখ করুন।
৪. সঠিক তথ্য যাচাই
ভুল তথ্য দিলে ভবিষ্যতে পাসপোর্টে সংশোধনের প্রয়োজন হতে পারে।
তথ্য সত্য ও সরকারি নথির সাথে মিলিয়ে পূরণ করুন।
আরো পড়ুনঃ
ই-পাসপোর্ট ফরম পূরণের নির্দেশাবলী জেনে নিন
বাংলাদেশে ই-পাসপোর্টের জন্য ফরম পূরণ করার সময় ধাপে ধাপে নির্দেশনা মেনে চলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমে অনলাইনে বা পাসপোর্ট অফিস থেকে আবেদন ফরম সংগ্রহ করুন। ব্যক্তিগত তথ্য যেমন নাম, জন্মতারিখ, পিতামাতার নাম এবং ঠিকানা সঠিকভাবে পূরণ করুন। শিক্ষাগত যোগ্যতা ও পেশা স্পষ্টভাবে লিখুন। পূর্ববর্তী পাসপোর্ট থাকলে তার তথ্য যুক্ত করতে ভুলবেন না। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যেমন NID, জন্ম সনদ, ফটোগ্রাফ এবং ঠিকানার প্রমাণ প্রস্তুত রাখুন। ফি ঠিকমতো জমা দিন। সব তথ্য যাচাই করে সাবমিট করুন, যাতে ভবিষ্যতে কোনো বিলম্ব বা সমস্যা না হয়।
আজ আমরা বাংলাদেশ পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন ফর্ম পূরণের নিয়ম নিয়ে আলোচনা করলাম। আগামীতে ভালো কোনো টপিক নিয়ে হাজির হবো। আশা করছি উপরের বাংলাদেশ পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন ফর্ম পূরণের নিয়ম বিষয়ে আলোচনা আপনার ভালো লেগেছে। যদি এ বিষয়ে কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্টে জানান । আমাদের ফলো করে সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।
জমজম আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url