৬ ভাগে কুরবানী দেওয়া যাবে কি এবং যাদের উপর কুরবানী ওয়াজিব নয়
ভূমিকা
সুপ্রিয় পাঠক আজকাল অনেকেই অনলাইনে ৬ ভাগে কুরবানী দেওয়া যাবে কি এবং যাদের উপর কুরবানী ওয়াজিব নয় নিয়ে জানতে চান। আপনিও হয়তো অনেক খোঁজাখুঁজির পর নিশ্চয়ই ৬ ভাগে কুরবানী দেওয়া যাবে কি এবং যাদের উপর কুরবানী ওয়াজিব নয় কি তা জানার জন্যই আমাদের এই সাইটটিতে এসেছেন।
হ্যাঁ আজকে আমি সঠিকভাবে ৬ ভাগে কুরবানী দেওয়া যাবে কি এবং যাদের উপর কুরবানী ওয়াজিব নয় তা নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করব। চলুন এই লেখার মূল বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানতে নিচের লেখাটি পড়ে ফেলি।
৬ ভাগে কুরবানী দেওয়া যাবে কি
ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী, কুরবানীর পশু ৬ ভাগে দেওয়া যাবে কি না—এ বিষয়টি নির্ভর করে পশুর ধরন ও শেয়ারিংয়ের নিয়মের উপর।
কুরবানীর পশু ভাগ করার নিয়ম:৬ ভাগে কুরবানী দেওয়া যাবে কি এবং যাদের উপর কুরবানী ওয়াজিব নয়
গরু/মহিষ/উট:
একটি গরু, মহিষ বা উটে সর্বোচ্চ ৭ জন শরীক হতে পারেন (প্রত্যেকে কমপক্ষে ১/৭ অংশ কিনে কুরবানী দিতে পারেন)।
তাই, ৬ জন শরীক হলে অবশ্যই কুরবানী দেওয়া যাবে (প্রত্যেকে ১/৬ অংশ নিলে সমস্যা নেই, তবে সাধারণত ৭ ভাগের হিসাবই প্রচলিত)।
ছাগল/ভেড়া/দুম্বা:
- এই ধরনের ছোট পশু শুধুমাত্র ১ জনের পক্ষ থেকে কুরবানী দেওয়া যায়। একাধিক ব্যক্তি শেয়ার করে কুরবানী দিতে পারবেন না।
- শরীক সকলেরই কুরবানীর নিয়ত থাকা জরুরি। কেউ শুধু মাংসের জন্য টাকা দিলে কুরবানী শুদ্ধ হবে না।
- পশু কেনার সময়ই শরীকের সংখ্যা ও অংশ স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করে নিতে হবে।
ফতোয়ার উৎস:
ইসলামিক স্কলারদের মতে, গরু/মহিষ/উটে ৭ ভাগের বেশি শরীক হওয়া মাকরুহ (অপছন্দনীয়), তবে ৬ বা তার কম ভাগে কোনো সমস্যা নেই (সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং ২৮০৮)।
সিদ্ধান্ত:
- ৬ ভাগে কুরবানী দেওয়া জায়েজ, তবে পশুটি গরু/মহিষ/উট হলে। ছাগল/ভেড়ার ক্ষেত্রে শুধু ১ জনই দেবেন।
- কোনো সন্দেহ থাকলে স্থানীয় কোনো আলেম বা ইসলামিক স্কলার থেকে পরামর্শ নিন।
- কোরবানি কি ২-৪-৬ ভাগে করা যায়?
- ভাগে কুরবানী দেওয়া যাবে কি?
কুরবানী করার দোয়া ও পদ্ধতি
কুরবানী করার সময় নিম্নোক্ত দোয়া ও নিয়ম পালন করা সুন্নত:
১. কুরবানীর পশু জবাই করার সময়ের দোয়া:
জবাই করার সময় নবীজি (সা.)-এর শেখানো এই দোয়া পড়া সুন্নত:
بِسْمِ اللهِ، اللهُ أَكْبَرُ
"বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার"
- (অর্থ: আল্লাহর নামে শুরু করছি, আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ।)
এটি পড়ার পর পশু জবাই করুন।
সম্ভব হলে এই দোয়াটিও যোগ করতে পারেন:
اللَّهُمَّ هَذَا مِنْكَ وَلَكَ
"আল্লাহুম্মা হাযা মিনকা ওয়া লাকা"
- (অর্থ: হে আল্লাহ! এটি আপনার পক্ষ থেকে এবং আপনার জন্যই।)
২. রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর শেখানো পূর্ণ দোয়া:
ইমাম আবু দাউদ (রহ.) বর্ণিত হাদীসে নবীজি (সা.) কুরবানীর সময় এই দোয়া পড়তেন:
بِسْمِ اللهِ وَاللهُ أَكْبَرُ، اللَّهُمَّ تَقَبَّلْ مِنِّي
"বিসমিল্লাহি ওয়াল্লাহু আকবার, আল্লাহুম্মা তাকাব্বাল মিন্নী"
- (অর্থ: আল্লাহর নামে শুরু করছি এবং আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ। হে আল্লাহ! আমার কুরবানী গ্রহণ করুন।)
৩. কুরবানী শেষে দোয়া:
কুরবানী দেওয়ার পর নিম্নোক্ত দোয়া পড়া মুস্তাহাব:
اللَّهُمَّ تَقَبَّلْهُ مِنِّي كَمَا تَقَبَّلْتَ مِنْ خَلِيلِكَ إِبْرَاهِيمَ وَحَبِيبِكَ مُحَمَّدٍ عَلَيْهِمَا الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ
"আল্লাহুম্মা তাকাব্বালহু মিন্নী, কামা তাকাব্বালতা মিন খলীলিকা ইবরাহীমা ওয়া হাবীবিকা মুহাম্মাদিন, আলাইহিমাস সালাতু ওয়াস সালাম"
- (অর্থ: হে আল্লাহ! আমার কুরবানী কবুল করুন, যেমন আপনি কবুল করেছিলেন আপনার খলীল ইবরাহীম (আ.) ও আপনার হাবীব মুহাম্মদ (সা.)-এর কুরবানী। তাদের উপর সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক।)
গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা:৬ ভাগে কুরবানী দেওয়া যাবে কি এবং যাদের উপর কুরবানী ওয়াজিব নয়
- ছুরি ধারালো করুন এবং পশুকে কষ্ট না দিয়ে দ্রুত জবাই করুন।
- কিবলামুখী করে (মক্কার দিকে মুখ করে) জবাই করুন।
- নিজে জবাই করতে না পারলে অন্যকে দিয়ে পড়িয়ে নিন।
হাদীস: ৬ ভাগে কুরবানী দেওয়া যাবে কি এবং যাদের উপর কুরবানী ওয়াজিব নয়
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, "নিশ্চয় আল্লাহ প্রত্যেক জিনিসে উত্তম আচরণের নির্দেশ দিয়েছেন। তাই যখন তোমরা হত্যা করো (জবাই করো), সুন্দরভাবে করো।" (সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৯৫৫)
দোয়া মুখস্থ করতে না পারলে "বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার" বলেই জবাই করুন।
কুরবানী দেওয়ার পর গরীব-এতিমদের মাংস বিতরণ করুন এবং নিজে খান।
কুরবানী কার উপর ওয়াজিব
ইসলামি শরীয়ত অনুযায়ী, কুরবানী নিম্নলিখিত ব্যক্তিদের উপর ওয়াজিব (অত্যাবশ্যকীয়): ৬ ভাগে কুরবানী দেওয়া যাবে কি এবং যাদের উপর কুরবানী ওয়াজিব নয়।
১. প্রাপ্তবয়স্ক মুসলিম:
- বালেগ (প্রাপ্তবয়স্ক) হওয়া জরুরি।
২. সচ্ছল ব্যক্তি:
- নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হলে:
- সাড়ে ৭ তোলা স্বর্ণ (≈৫২.৫ গ্রাম) বা
- সাড়ে ৫২ তোলা রূপা (≈৬১২ গ্রাম) বা
- সমমূল্যের নগদ/বাণিজ্যিক পণ্য থাকলে।
এই সম্পদ বছরব্যাপী থাকা জরুরি নয়, শুধু কুরবানীর ৩ দিনে (১০-১২ জিলহজ্জ) থাকলেই যথেষ্ট।
৩. স্বাধীন/মুক্ত ব্যক্তি:
- গোলাম/দাসের উপর ওয়াজিব নয়।
৪. স্থায়ী বাসিন্দা (মুকীম):
- মুসাফির (যাত্রী) এর উপর ওয়াজিব নয় (তবে দিলে সওয়াব পাবে)।
ঈদের রাতে সহবাস করা যাবে কি
হ্যাঁ, ঈদের রাতে সহবাস করা সম্পূর্ণ জায়েজ। ঈদ হলো মুসলিমদের জন্য আনন্দ ও উৎসবের দিন। এই দিনে কোনো বিশেষ ধর্মীয় বিধানে সহবাস করার উপর কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।
কেন ঈদের রাতে সহবাস করা জায়েজ?
- ঈদের উদ্দেশ্য: ঈদ হলো আনন্দ ও উৎসবের দিন। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বজায় রাখা এই উৎসবের একটি অংশ হতে পারে।
- ধর্মীয় বিধান: ইসলামে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে স্নেহ, ভালোবাসা এবং ঘনিষ্ঠতা বজায় রাখার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। ঈদের দিনেও এই সম্পর্ক বজায় রাখা জায়েজ।
তবে কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি:
- ঈদের নামাজ: ঈদের নামাজের আগে সহবাস করা থেকে বিরত থাকা উচিত। কারণ ঈদের নামাজ আদায়ের জন্য শুদ্ধ থাকা জরুরি।
- ইবাদত: ঈদের দিনে ইবাদত-বন্দেগি করা উচিত। তাই সহবাসের কারণে ইবাদতের সময় কমে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি।
- স্বাস্থ্য: স্বাস্থ্যগত কারণে সহবাস থেকে বিরত থাকার প্রয়োজন হলে তা করতে হবে।
যাদের উপর কুরবানী ওয়াজিব নয়
নিসাব পরিমাণ সম্পদ নেই এমন ব্যক্তি।
অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশু।
অপ্রকৃতিস্থ (পাগল) ব্যক্তি।
ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি (ঋণ পরিশোধের পর নিসাব বাকি থাকলে ওয়াজিব)।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য: ৬ ভাগে কুরবানী দেওয়া যাবে কি এবং যাদের উপর কুরবানী ওয়াজিব নয়
মহিলাদের জন্য:
- নিসাব পরিমাণ সম্পদ থাকলে নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই কুরবানী ওয়াজিব।
পরিবারের প্রধান হিসেবে দেওয়া:
- ব্যক্তিগত সম্পদ থাকলে প্রত্যেকের আলাদা কুরবানী দেয়া উত্তম, তবে পরিবারের প্রধান একজনের পক্ষ থেকে দেওয়াও জায়েজ (যদি অন্যরা নিসাবের মালিক না হয়)।
সামর্থ্য থাকলে না দিলে গুনাহ:
- কুরবানীর হুকুম জানার পরেও ইচ্ছাকৃতভাবে না দিলে পাপ হবে।
হাদীস: ৬ ভাগে কুরবানী দেওয়া যাবে কি এবং যাদের উপর কুরবানী ওয়াজিব নয়
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, "যে ব্যক্তি সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কুরবানী দিল না, সে যেন আমাদের ঈদগাহের নিকটেও না আসে।" (মুসনাদে আহমাদ, হাদীস: ৮২৩৩)
প্রশ্নোত্তর: ৬ ভাগে কুরবানী দেওয়া যাবে কি এবং যাদের উপর কুরবানী ওয়াজিব নয়
প্রশ্ন: ঋণ আছে, কিন্তু নিসাব পরিমাণ সম্পদও আছে—কি করব?
- উত্তর: ঋণ পরিশোধের পর যদি নিসাব বাকি থাকে, তবেই কুরবানী ওয়াজিব।
প্রশ্ন: সঞ্চয় নেই, কিন্তু মাসিক আয় বেশি—কুরবানী দেব?
- উত্তর: কুরবানীর দিনগুলোতে নিসাব পরিমাণ সম্পদ (নগদ/সঞ্চয়) না থাকলে ওয়াজিব নয় (তবে সুন্নাত হিসেবে দিলে ভালো)।
প্রশ্ন: আগে কখনও কুরবানী দেইনি, এখন সামর্থ্য হয়েছে—কি করব?
- উত্তর: বর্তমানে নিসাব পরিমাণ সম্পদ থাকলে এবার কুরবানী দিন (গত বছরের জন্য কাযা করতে হবে না)।
সর্বোপরি, জটিলতা দেখা দিলে কোনো বিশ্বস্ত আলেম বা ইসলামিক স্কলার-এর সাথে পরামর্শ করুন। আল্লাহ আমাদের সঠিকভাবে কুরবানী আদায় করার তাওফিক দিন!
কুরবানী সম্পর্কে হাদিস
কুরবানী সম্পর্কে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ হাদীস নিম্নে উল্লেখ করা হলো:কুরবানী সম্পর্কে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ হাদীস নিম্নে উল্লেখ করা হলো: আসুন এখন আর দেরি না করে আমরা কুরবানী সম্পর্কে হাদিস বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি। জমজম আইটির কুরবানী সম্পর্কে হাদিস নিয়ে বিস্তারিত জানার জন্য নিচের লেখা গুলো পুরোপুরি পড়ে নিন।
১. কুরবানীর ফযীলত সম্পর্কে:
رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ: "مَا عَمِلَ آدَمِيٌّ مِنْ عَمَلٍ يَوْمَ النَّحْرِ أَحَبَّ إِلَى اللَّهِ مِنْ إِهْرَاقِ الدَّمِ، إِنَّهَا لَتَأْتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ بِقُرُونِهَا وَأَشْعَارِهَا وَأَظْلاَفِهَا، وَإِنَّ الدَّمَ لَيَقَعُ مِنَ اللَّهِ بِمَكَانٍ قَبْلَ أَنْ يَقَعَ مِنَ الأَرْضِ، فَطِيبُوا بِهَا نَفْسًا" (তিরমিযী, ইবনে মাজাহ)
অর্থ: রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, "কুরবানীর দিন আল্লাহর নিকট রক্ত প্রবাহিত করার চেয়ে প্রিয় কোনো আমল আদম সন্তান করে না। কিয়ামতের দিন কুরবানীর পশু তার শিং, পশম ও খুরসহ উপস্থিত হবে। নিশ্চয়ই রক্ত জমিনে পড়ার আগেই আল্লাহর নিকট পৌঁছে যায়। সুতরাং তোমরা আনন্দিত মনে কুরবানী কর।"
২. কুরবানীর গুরুত্ব:
عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ: "مَا عَمِلَ ابْنُ آدَمَ يَوْمَ النَّحْرِ عَمَلاً أَحَبَّ إِلَى اللَّهِ مِنْ إِهْرَاقِ الدَّمِ، وَإِنَّهُ لَيَأْتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ بِقُرُونِهَا وَأَشْعَارِهَا وَأَظْلاَفِهَا، وَإِنَّ الدَّمَ لَيَقَعُ مِنَ اللَّهِ بِمَكَانٍ قَبْلَ أَنْ يَقَعَ عَلَى الأَرْضِ، فَطِيبُوا بِهَا نَفْسًا" (ইবনে মাজাহ)
অর্থ: হযরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবীজি (সা.) বলেছেন, "কুরবানীর দিনে আদম সন্তানের কোনো আমল আল্লাহর নিকট রক্ত প্রবাহিত করার চেয়ে বেশি প্রিয় নয়। কিয়ামতের দিন তা তার শিং, পশম ও খুরসহ উপস্থিত হবে। নিশ্চয়ই রক্ত জমিনে পড়ার আগেই আল্লাহর নিকট পৌঁছে যায়। সুতরাং তোমরা খুশি মনে কুরবানী কর।"
৩. সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কুরবানী না দেওয়ার ব্যাপারে সতর্কতা:
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ: "مَنْ كَانَ لَهُ سَعَةٌ وَلَمْ يُضَحِّ فَلاَ يَقْرَبَنَّ مُصَلاَّنَا" (ইবনে মাজাহ, মুসনাদে আহমাদ)
অর্থ: হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, "যার সামর্থ্য আছে অথচ সে কুরবানী করে না, সে যেন আমাদের ঈদগাহের নিকটেও না আসে।"
৪. কুরবানীর পশুর গুণগত মান সম্পর্কে:
عَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: "كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُضَحِّي بِكَبْشَيْنِ أَمْلَحَيْنِ أَقْرَنَيْنِ، وَيَضَعُ رِجْلَهُ عَلَى صَفْحَتِهِمَا وَيَذْبَحُهُمَا بِيَدِهِ" (বুখারী, মুসলিম)
অর্থ: হযরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, "নবীজি (সা.) দুটি সাদা-কালো মিশ্রিত রংয়ের, শিংওয়ালা দুম্বা কুরবানী করতেন। তিনি নিজ হাতে জবাই করার সময় তাদের পাশে পা রাখতেন।"
৫. কুরবানীর সময় সদকার গুরুত্ব:
عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ أَصْحَابُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم: يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَا هَذِهِ الأَضَاحِيُّ؟ قَالَ: "سُنَّةُ أَبِيكُمْ إِبْرَاهِيمَ". قَالُوا: فَمَا لَنَا فِيهَا؟ قَالَ: "بِكُلِّ شَعَرَةٍ حَسَنَةٌ". قَالُوا: فَالصُّوفُ؟ قَالَ: "بِكُلِّ شَعَرَةٍ مِنَ الصُّوفِ حَسَنَةٌ (ইবনে মাজাহ)
অর্থ: হযরত যায়েদ ইবনে আরকাম (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর সাহাবীরা জিজ্ঞাসা করলেন, "ইয়া রাসূলুল্লাহ! এই কুরবানী কী?" তিনি বললেন, "এটা তোমাদের পিতা ইবরাহীম (আ.)-এর সুন্নাত।" তারা বললেন, "এতে আমাদের জন্য কী সওয়াব আছে?" তিনি বললেন, "পশুর প্রতিটি পশমের বিনিময়ে একটি করে নেকী।" তারা বললেন, "যদি পশম হয়?" তিনি বললেন, "পশমের প্রতিটি লোমের বিনিময়েও একটি করে নেকী।"
৬. কুরবানীর মাংস বণ্টন সম্পর্কে:
عَنْ سَلْمَانَ بْنِ عَامِرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم: "مَنْ ضَحَّى مِنْكُمْ فَلاَ يُصْبِحَنَّ بَعْدَ ثَالِثَةٍ وَفِي بَيْتِهِ مِنْهُ شَيْءٌ". فَلَمَّا كَانَ الْعَامُ الْمُقْبِلُ قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، نَفْعَلُ كَمَا فَعَلْنَا عَامَ أَوَّلَ؟ قَالَ: "كُلُوا وَأَطْعِمُوا وَادَّخِرُوا، فَإِنَّ ذَلِكَ الْعَامَ كَانَ بِالنَّاسِ جَهْدٌ فَأَرَدْتُ أَنْ تُعِينُوا فِيهَا" (বুখারী, মুসলিম)
অর্থ: হযরত সালমান ইবনে আমির (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, "তোমাদের মধ্যে যে কুরবানী করবে, সে যেন তিন দিন পরও তার ঘরে কিছু সংরক্ষণ না রাখে।" পরের বছর সাহাবীরা জিজ্ঞাসা করলেন, "ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমরা কি গত বছরের মতই করব?" তিনি বললেন, "খাও, খাওয়াও এবং সংরক্ষণ কর। কারণ গত বছর মানুষ অভাবগ্রস্ত ছিল, তাই আমি চেয়েছিলাম তোমরা তাদের সাহায্য কর।"
৭. কুরবানীর নিয়তের গুরুত্ব:
عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم: "إِنَّمَا الأَعْمَالُ بِالنِّيَّاتِ، وَإِنَّمَا لِكُلِّ امْرِئٍ مَا نَوَى"(বুখারী, মুসলিম)
অর্থ: হযরত উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, "নিশ্চয়ই সকল কাজের ফলাফল নির্ভর করে নিয়তের উপর। প্রত্যেক ব্যক্তি যা নিয়ত করবে, তাই পাবে।"
এই হাদীসগুলো থেকে বোঝা যায় যে:৬ ভাগে কুরবানী দেওয়া যাবে কি এবং যাদের উপর কুরবানী ওয়াজিব নয়
- কুরবানী আল্লাহর নিকট অত্যন্ত প্রিয় ইবাদত
- সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কুরবানী না দেওয়া অনুচিত
- উত্তম পশু দিয়ে কুরবানী দেওয়া মুস্তাহা
- কুরবানীর মাংস গরীব-দুঃখীদের মধ্যে বণ্টন করা গুরুত্বপূর্ণ
- খাঁটি নিয়ত সহকারে কুরবানী দেওয়া জরুরী
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে এই হাদীসগুলোর আলোকে কুরবানী আদায় করার তাওফিক দান করুন।
- ইহুদিরা পশু কোরবানি করে না কেন?
- কুরবানীর পশুর বয়স কত হতে হবে?
- মহিষ দিয়ে কি কোরবানি দেওয়া যাবে?
- পাঁঠা দিয়ে কোরবানি দেওয়া যাবে কি?
কোরবানির ফজিলত সম্পর্কে হাদিস
কুরবানীর ফযীলত সম্পর্কে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ হাদীস নিম্নে বর্ণনা করা হলো:আসুন এখন আর দেরি না করে আমরা কোরবানির ফজিলত সম্পর্কে হাদিস বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি। জমজম আইটির কোরবানির ফজিলত সম্পর্কে হাদিস
নিয়ে বিস্তারিত জানার জন্য নিচের লেখা গুলো পুরোপুরি পড়ে নিন।
নিয়ে বিস্তারিত জানার জন্য নিচের লেখা গুলো পুরোপুরি পড়ে নিন।
১. সর্বোত্তম আমল হিসেবে কুরবানী:
رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ: "مَا عَمِلَ ابْنُ آدَمَ يَوْمَ النَّحْرِ عَمَلاً أَحَبَّ إِلَى اللَّهِ مِنْ إِهْرَاقِ الدَّمِ، إِنَّهَا لَتَأْتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ بِقُرُونِهَا وَأَشْعَارِهَا وَأَظْلاَفِهَا، وَإِنَّ الدَّمَ لَيَقَعُ مِنَ اللَّهِ بِمَكَانٍ قَبْلَ أَنْ يَقَعَ عَلَى الأَرْضِ، فَطِيبُوا بِهَا نَفْسًا" (তিরমিযী, ইবনে মাজাহ: ৩১২৬)
অর্থ: রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, "কুরবানীর দিনে আদম সন্তানের কোনো আমল আল্লাহর নিকট রক্ত প্রবাহিত করার চেয়ে বেশি প্রিয় নয়। কিয়ামতের দিন কুরবানীর পশু তার শিং, পশম ও খুরসহ উপস্থিত হবে। রক্ত মাটিতে পড়ার আগেই তা আল্লাহর নিকট পৌঁছে যায়। সুতরাং তোমরা আনন্দিত মনে কুরবানী কর।"
২. প্রতিটি পশমের বিনিময়ে সওয়াব:
عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ أَصْحَابُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم: يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَا هَذِهِ الأَضَاحِيُّ؟ قَالَ: "سُنَّةُ أَبِيكُمْ إِبْرَاهِيمَ". قَالُوا: فَمَا لَنَا فِيهَا؟ قَالَ: "بِكُلِّ شَعَرَةٍ حَسَنَةٌ". قَالُوا: فَالصُّوفُ؟ قَالَ: "بِكُلِّ شَعَرَةٍ مِنَ الصُّوفِ حَسَنَةٌ" (ইবনে মাজাহ: ৩১২৭)
অর্থ: সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞাসা করলেন, "ইয়া রাসূলুল্লাহ! এই কুরবানী কী?" তিনি বললেন, "এটা তোমাদের পিতা ইবরাহীম (আ.)-এর সুন্নাত।" তারা বললেন, "এতে আমাদের কী সওয়াব আছে?" তিনি বললেন, "পশুর প্রতিটি পশমের বিনিময়ে একটি নেকী।" তারা বললেন, "যদি পশম হয়?" তিনি বললেন, "পশমের প্রতিটি লোমের বিনিময়েও একটি নেকী।"
৩. কুরবানীকারীর জন্য সুসংবাদ:
عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ: "مَا مِنْ عَمَلٍ أَحَبَّ إِلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ مِنْ عِبَادَتِهِ فِي أَيَّامِ الْعَشْرِ، وَإِهْرَاقُ الدَّمِ فِيهَا أَفْضَلُ إِلاَّ أَنْ يَأْتِيَ الرَّجُلُ بِقَلْبِهِ" (দারেমী: ১৭৭৪)
অর্থ: রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, "জিলহজ্জের প্রথম দশকে আল্লাহর নিকট কোনো আমলই রক্ত প্রবাহিত করার চেয়ে প্রিয় নয়, তবে যদি কেউ খাঁটি অন্তরে আসে।"
৪. কুরবানী গুনাহ মোচনের কারণ:
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ: "مَا مِنْ مُسْلِمٍ يُضَحِّي بِذَبِيحَةٍ إِلاَّ كَانَتْ لَهُ فِدَاءً مِنَ النَّارِ"
(তাবরানী, মাজমাউয যাওয়াইদ: ৪/২২)
অর্থ: রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, "কোনো মুসলিম যখন কুরবানী করে, তা তার জন্য জাহান্নাম থেকে মুক্তির কারণ হয়।"
৫. কিয়ামতের দিন কুরবানীর বিশেষ মর্যাদা:
عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم: "يَا فَاطِمَةُ، قُومِي إِلَى أُضْحِيَّتِكِ فَاشْهَدِيهَا، فَإِنَّهُ يُغْفَرُ لَكِ بِأَوَّلِ قَطْرَةٍ مِنْ دَمِهَا كُلُّ ذَنْبٍ عَمِلْتِيهِ، وَقُولِي: إِنَّ صَلاَتِي وَنُسُكِي وَمَحْيَايَ وَمَمَاتِي لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ" (হাকেম: ৭৫৬৬)
অর্থ: রাসূলুল্লাহ (সা.) ফাতিমা (রা.)-কে বললেন, "হে ফাতিমা! তোমার কুরবানীর নিকট যাও এবং তা প্রত্যক্ষ কর। কারণ তার রক্তের প্রথম ফোঁটা পড়ার সাথে সাথেই তোমার সকল গুনাহ মাফ হয়ে যাবে। আর বল: 'নিশ্চয়ই আমার নামায, আমার কুরবানী, আমার জীবন ও মরণ বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহর জন্য।'"
৬. কুরবানী দাতার জন্য বিশেষ দু'আ:
عَنْ جَابِرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم: "اللَّهُمَّ تَقَبَّلْ مِنْ مُحَمَّدٍ وَآلِ مُحَمَّدٍ، وَمِنْ أُمَّةِ مُحَمَّدٍ" (মুসলিম: ১৯৬৭)
অর্থ: রাসূলুল্লাহ (সা.) কুরবানীর সময় এই দু'আ পড়তেন: "হে আল্লাহ! মুহাম্মদ, তাঁর পরিবার এবং তাঁর উম্মতের পক্ষ থেকে কুরবানী কবুল করুন।"
৭. কুরবানীর পশুর লক্ষণ:
عَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: "ضَحَّى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِكَبْشَيْنِ أَمْلَحَيْنِ أَقْرَنَيْنِ، فَرَأَيْتُهُ وَاضِعًا قَدَمَهُ عَلَى صَفْحَتِهِمَا يُسَمِّي وَيُكَبِّرُ فَذَبَحَهُمَا بِيَدِهِ" (বুখারী: ৫৫৫৮)
অর্থ: নবীজি (সা.) দুটি সাদা-কালো মিশ্রিত রংয়ের, শিংওয়ালা দুম্বা কুরবানী করতেন। আমি দেখেছি তিনি নিজ হাতে জবাই করার সময় তাদের পাশে পা রাখতেন।
এই হাদীসগুলো থেকে আমরা শিখতে পারি যে: ৬ ভাগে কুরবানী দেওয়া যাবে কি এবং যাদের উপর কুরবানী ওয়াজিব নয়
- কুরবানী আল্লাহর নিকট অত্যন্ত প্রিয় ইবাদত
- কুরবানীর প্রতিটি অংশের জন্য রয়েছে বিশাল সওয়াব
- এটি গুনাহ মোচন ও জাহান্নাম থেকে মুক্তির কারণ
- কিয়ামতের দিন কুরবানীর বিশেষ মর্যাদা থাকবে
- উত্তম পশু দিয়ে কুরবানী দেওয়া মুস্তাহাব
- কুরবানী ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। সামর্থ্যবান প্রত্যেক মুসলিমের জন্য এটি আদায় করা অত্যাবশ্যক। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে খাঁটি নিয়তে কুরবানী আদায় করার তাওফিক দান করুন এবং আমাদের কুরবানী কবুল করুন।
কোরবানির পশু নির্বাচন
কোরবানির জন্য পশু নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিছু বিষয় বিবেচনা করে সঠিক পশু নির্বাচন করা যায়। এখানে কিছু টিপস দেওয়া হলো:৬ ভাগে কুরবানী দেওয়া যাবে কি এবং যাদের উপর কুরবানী ওয়াজিব নয়।
শারীরিক গঠন ও স্বাস্থ্য: ৬ ভাগে কুরবানী দেওয়া যাবে কি এবং যাদের উপর কুরবানী ওয়াজিব নয়
বয়স:
- কোরবানির জন্য নির্দিষ্ট বয়সসীমা রয়েছে। সাধারণত উট পাঁচ বছর, গরু ও মহিষ দুই বছর এবং ছাগল ও ভেড়া এক বছর বা তার বেশি বয়সের হতে হয়। দাঁত দেখে বয়স নির্ধারণ করা যায়।
সুস্থতা:
- পশুটি সম্পূর্ণ সুস্থ ও রোগমুক্ত হতে হবে। চামড়া মসৃণ ও উজ্জ্বল হতে হবে। লোম ওঠা বা কোনো ক্ষত থাকা উচিত নয়।
শারীরিক ত্রুটি:
- পশুটি খুঁড়া, কানা, বধির, লেংড়া অথবা অন্য কোনো গুরুতর শারীরিক ত্রুটিযুক্ত হওয়া উচিত নয় যা কুরবানি করার উপযুক্ততাকে ব্যাহত করে।
অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ:
- পশুর কান, লেজ, শিং ইত্যাদি অক্ষত থাকতে হবে। কোনো অঙ্গের সামান্য অংশ কাটা থাকলেও তা কুরবানির জন্য উপযুক্ত নয়।
গর্ভবতী বা দুগ্ধবতী:
- গর্ভবতী বা দুগ্ধবতী পশু কোরবানি না করাই ভালো।
অন্যান্য বিষয়:
মাংসের পরিমাণ:
- কেনার সময় পশুর আকার ও মাংসের অনুপাত বিবেচনা করা উচিত।
আচরণ:
- শান্ত ও স্বাভাবিক আচরণ করা পশু সাধারণত ভালো হয়। অতিরিক্ত চঞ্চল বা দুর্বল পশু পরিহার করা উচিত।
অর্থনৈতিক দিক:
- নিজের বাজেট অনুযায়ী পশু নির্বাচন করা উচিত।
পরিবেশ:
- পশুর স্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং পর্যাপ্ত খাদ্য ও পানির ব্যবস্থা আছে কিনা তা দেখে নেওয়া উচিত।
আইন ও বিধি-নিষেধ:
স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কোনো বিশেষ নিয়ম বা বিধি-নিষেধ থাকলে তা অবশ্যই মেনে চলতে হবে।
কোরবানির পশু নির্বাচনে তাড়াহুড়ো না করে ভালোভাবে দেখে ও যাচাই করে নেওয়া উচিত। এতে আপনি একটি উপযুক্ত ও স্বাস্থ্যবান পশু নির্বাচন করতে পারবেন।
- ইহুদিরা পশু কোরবানি করে না কেন?
- কুরবানীর পশুর বয়স কত হতে হবে?
- মহিষ দিয়ে কি কোরবানি দেওয়া যাবে?
- পাঁঠা দিয়ে কোরবানি দেওয়া যাবে কি?
- সুস্থ পশুর লক্ষণ কী কী?
- সুস্থ গরু কিভাবে বুঝবো?
- কোরবানির পশুর প্রকারভেদ?
- ইসলামে কোন পশু কোরবানির জন্য উত্তম?
আপনার পছন্দ হতে পারে এমন আরো পোস্টের তালিকা প্রশ্ন উত্তরসহ বিস্তারিত জেনে নিন
- চতুর্ভুজ কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি চিত্র সহ
- ইফতার আইটেম - এবারের রোজায় খাদ্যাভ্যাস
- নফল রোজা রেখে সহবাস করা যাবে ক
- ডাবের পানির উপকারিতা ও অপকারিতা
- কোন কোন পশু কোরবানি দেওয়া যায় না
- ত্রিভুজ কাকে বলে কত প্রকার ও কী কী
- নফল রোজা রেখে সহবাস করা যাবে কি
- ডাবের পানির উপকারিতা ও অপকারিতা
- পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের নাম ও সময়
- কোন কোন পশু কোরবানি দেওয়া যায় না
- ইফতার আইটেম - এবারের রোজায় খাদ্যাভ্যাস
- ঈদের রাতে সহবাস করা যাবে কি
গাধার মাংস খাওয়া হারাম কেন?
কুরবানীর মাংস বন্টনের বিষয়টি জানতে চাই ?
সুদের টাকায় কুরবানি কেন হবে না?
কুরবানী কার জন্য ওয়াজিব?
কয় প্রকারের প্রাণী দ্বারা কুরবানী করা বৈধ, তাদের চিহ্ন কী?
মৃত ব্যক্তির নামে কুরবানী করা যাবে কি?
ধার নেয়া টাকা দিয়ে কুরবানী করা কি?
খরগোশ কি কুরবানি করা যাবে?
বাথরুমে একা পোশাক ছাড়া গোসল করা যাবে কি, ইসলাম এ সম্পর্কে কি বলে?ইসলামে নিজের খালাতো বোনের মেয়েকে কি বিয়ে করা যাবে?
ঘোড়া কুরবানী দেওয়া যায় না কেন?
সাত ভাগ না করে সমান চার ভাগে কুরবানি করা যাবে কি?
কুরবানি ওয়াজিব হওয়ার জন্য কত টাকার মালিক হতে হবে?
একই পশুতে আকিকা ও কুরবানি করা যাবে কি?
একই পশুতে আকিকা ও কুরবানি করা যাবে কি?
কারোর নামে আকিকাহ দেওয়া না হলে তার নামে কুরবানী হবে কি?
ভাড়া বাসায় থাকেন,তবে চার লাখ টাকা নগদ আছে।কুরবানি ওয়াজিব হবে?
কাদের জন্য কোরবানি ফরজ?
ভাড়া বাসায় থাকেন,তবে চার লাখ টাকা নগদ আছে।কুরবানি ওয়াজিব হবে?
কাদের জন্য কোরবানি ফরজ?
উপসংহার
আজ ৬ ভাগে কুরবানী দেওয়া যাবে কি এবং যাদের উপর কুরবানী ওয়াজিব নয় নিয়ে আলোচনা করলাম। আগামীতে ভালো কোনো বিষয় নিয়ে হাজির হবো। আশা করছি উপরের ৬ ভাগে কুরবানী দেওয়া যাবে কি এবং যাদের উপর কুরবানী ওয়াজিব নয় বিষয়ে আলোচনা আপনার ভালো লেগেছে। যদি এ বিষয়ে কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানান । আমাদের ফলো করে সাথেই থাকুন।
জমজম আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url