কান পাকা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা জেনে নিন
ভূমিকা
সুপ্রিয় পাঠক আজকাল অনেকেই অনলাইনে কান পাকা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা জেনে নিন নিয়ে জানতে চান। আপনিও হয়তো অনেক খোঁজাখুঁজির পর নিশ্চয়ই কান পাকা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা জেনে নিন কি তা জানার জন্যই আমাদের এই সাইটটিতে এসেছেন।
হ্যাঁ আজকে আমি সঠিকভাবে কান পাকা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা জেনে নিন তা নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করব। চলুন এই লেখার মূল বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানতে নিচের লেখা গুলো পুরোপুরি পড়ে নিন।
কান পাকা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা
কান পাকা (Chronic Suppurative Otitis Media - CSOM) একটি গুরুতর সমস্যা, যা মধ্যকর্ণের দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহের কারণে হয়ে থাকে। এর প্রধান লক্ষণ হলো কান দিয়ে পুঁজ বা তরল বের হওয়া, কানে ব্যথা, কম শোনা, কানে শোঁ শোঁ শব্দ হওয়া এবং অনেক সময় মাথা ঘোরানো।
কান পাকার সমস্যায় ঘরোয়া প্রতিকার সাময়িক আরাম দিতে পারে, তবে এটি কোনো স্থায়ী সমাধান নয়। যেহেতু এটি একটি সংক্রমণজনিত রোগ এবং কানের পর্দার ক্ষতির কারণ হতে পারে, তাই অবশ্যই একজন নাক, কান, গলা বিশেষজ্ঞের (ENT specialist) পরামর্শ নেওয়া উচিত। ভুল চিকিৎসায় বা অবহেলা করলে শ্রবণশক্তি হারানোর মতো গুরুতর সমস্যা হতে পারে।
তবে, কিছু ঘরোয়া উপায় আছে যা ব্যথা কমানো বা সাময়িক আরামের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে:
১. গরম সেঁক:
- একটি পরিষ্কার কাপড়ে গরম জল ভিজিয়ে ভালো করে নিংড়ে নিন।
- যে কানে ব্যথা, তার উপর ভেজা কাপড়টি ২ মিনিট ধরে রাখুন।
- এরপর মাথা অন্যদিকে কাত করে কান থেকে পুঁজ বের হতে দিন। এটি ব্যথা কমাতে ও জমে থাকা পুঁজ বের হতে সাহায্য করে।
২. অলিভ অয়েল বা রসুনের তেল:
- অলিভ অয়েল: ৩-৪ ফোঁটা হালকা গরম অলিভ অয়েল কানে ঢালতে পারেন। অথবা অলিভ অয়েলে কটন বাড ভিজিয়ে কানের ফুটোয় চেপে রাখতে পারেন।
- রসুনের তেল: অল্প অলিভ অয়েলে এক কোয়া রসুন থেঁতো করে গরম করুন। তেল গরম হলে ছেঁকে নিয়ে ঠাণ্ডা করে সংক্রমিত কানে ২-৩ ফোঁটা দিন। রসুন অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণসম্পন্ন, যা ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
৩. নিম পাতার রস:
- কয়েকটি পরিষ্কার নিম পাতা থেঁতো করে রস বের করে নিন।
- ২-৩ ফোঁটা রস সরাসরি কানে দিন। যে কানে দেবেন, সেই দিকে কিছুক্ষণ শুয়ে থাকুন। নিম পাতার অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ থাকতে পারে।
৪. তুলসীর রস:
- তুলসী পাতা পিষে রস বের করে নিন।
- কানে ব্যথার সমস্যায় তুলসীর রস ব্যবহার করলে আরাম পাওয়া যেতে পারে।
৫. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা:
- কান সবসময় পরিষ্কার ও শুকনো রাখুন।
- কানে যেন জল না ঢোকে, সেদিকে খেয়াল রাখুন। গোসলের সময় বা সাঁতার কাটার সময় কানে তুলো বা ইয়ার প্লাগ ব্যবহার করুন।
গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতা:
কানে কিছু ঢোকানো থেকে বিরত থাকুন:
- কান পরিষ্কার করার জন্য কটন বাড বা অন্য কোনো ধারালো জিনিস কানের ভেতরে ঢোকাবেন না, কারণ এটি কানের পর্দাকে আরও ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
ডাক্তারের পরামর্শ:
- যদি কানে পুঁজ বের হওয়া, তীব্র ব্যথা, জ্বর, কানে কম শোনা বা ভারসাম্যহীনতা দেখা যায়, তাহলে দেরি না করে অবিলম্বে একজন নাক, কান, গলা বিশেষজ্ঞের সাথে যোগাযোগ করুন। অনেক সময় অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ বা ওষুধ এবং কিছু ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হতে পারে।
কান পাকা রোগের ক্ষেত্রে ঘরোয়া চিকিৎসা কেবল সাময়িক উপশম দিতে পারে, রোগের মূল কারণ দূর করতে পারে না। তাই, সঠিক নির্ণয় ও চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ অপরিহার্য।
কান পাকা রোগের ঔষধের নাম
কান পাকা (Chronic Suppurative Otitis Media - CSOM) একটি গুরুতর কানের সংক্রমণ, যার জন্য সঠিক চিকিৎসা অপরিহার্য। ঘরোয়া পদ্ধতি সাময়িক আরাম দিলেও এটি রোগের মূল কারণ দূর করে না। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো একজন নাক, কান, গলা (ENT) বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া। চিকিৎসক রোগের ধরন ও তীব্রতা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ঔষধ এবং চিকিৎসা পদ্ধতি নির্ধারণ করবেন।
সাধারণত কান পাকা রোগের চিকিৎসায় নিম্নলিখিত ধরনের ঔষধ ব্যবহার করা হয়:
১. অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ (Topical Antibiotic Ear Drops):
- কানে সংক্রমণের চিকিৎসায় সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় অ্যান্টিবায়োটিক ইয়ার ড্রপ। এগুলো সরাসরি কানে প্রয়োগ করা হয়, যা সংক্রমণের স্থানে ঔষধের উচ্চ ঘনত্ব পৌঁছে দেয়।
সাধারণত ব্যবহৃত কিছু অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপের নাম:
Ciprofloxacin (সিপ্রোফ্লক্সাসিন):
- এটি অত্যন্ত কার্যকর একটি অ্যান্টিবায়োটিক যা ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণের বিরুদ্ধে কাজ করে। বাংলাদেশে এটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
Ofloxacin (অফ্লক্সাসিন):
- এটিও একটি ফ্লুরোকুইনোলোন গ্রুপের অ্যান্টিবায়োটিক যা সিপ্রোফ্লক্সাসিনের মতোই কাজ করে।
Gentamicin (জেনটামাইসিন):
- কিছু ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়, তবে এর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতে পারে। Neomycin + Polymyxin B + Hydrocortisone (নিওমাইসিন + পলিমাইক্সিন বি + হাইড্রোকর্টিসোন): এটি একটি কম্বিনেশন ড্রপ যেখানে অ্যান্টিবায়োটিকের সাথে স্টেরয়েডও থাকে, যা প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
২. মুখে খাওয়ার অ্যান্টিবায়োটিক (Oral Antibiotics):
- যদি সংক্রমণ তীব্র হয়, মধ্যকর্ণের গভীরে ছড়িয়ে পড়ে বা কান দিয়ে প্রচুর পরিমাণে পুঁজ বের হয়, তখন চিকিৎসক মুখে খাওয়ার অ্যান্টিবায়োটিক দিতে পারেন। এটি শরীরের ভেতরে থেকে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করে।
সাধারণত ব্যবহৃত কিছু অ্যান্টিবায়োটিকের নাম:
- Amoxicillin-Clavulanic Acid (অ্যামোক্সিসিলিন-ক্ল্যাভুল্যানিক অ্যাসিড)
- Cefixime (সেফিক্সিম)
- Azithromycin (এজিথ্রোমাইসিন)
- Ciprofloxacin (সিপ্রোফ্লক্সাসিন)
৩. নাকের ড্রপ (Nasal Drops):
অনেক সময় কান পাকার কারণ হতে পারে নাক বা গলার সংক্রমণ (যেমন সর্দি, সাইনাসাইটিস)। ইউস্টেশিয়ান টিউব (যা কান, নাক ও গলাকে সংযুক্ত করে) বন্ধ হয়ে গেলে কানে চাপ বেড়ে সংক্রমণ হতে পারে। এক্ষেত্রে নাকের ড্রপ ব্যবহার করা হয় যা ইউস্টেশিয়ান টিউবের কার্যকারিতা উন্নত করে।
সাধারণত ব্যবহৃত কিছু নাকের ড্রপের নাম:
- Saline Nasal Drops (স্যালাইন ন্যাজাল ড্রপ): নাক পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
- Decongestant Nasal Drops (ডিকনজেস্ট্যান্ট ন্যাজাল ড্রপ): নাকের ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে, যেমন - Xylometazoline (জাইলোমেটাজোলিন)।
৪. অ্যান্টিহিস্টামিন (Antihistamines):
- অ্যালার্জির কারণে বা সর্দি-কাশির কারণে কানের সমস্যা হলে অ্যান্টিহিস্টামিন ব্যবহার করা যেতে পারে।
৫. ব্যথানাশক (Painkillers/Analgesics):
- কানের ব্যথা কমানোর জন্য প্যারাসিটামল (Paracetamol) বা আইবুপ্রোফেন (Ibuprofen) এর মতো ঔষধ দেওয়া হতে পারে।
৬. কানের মোম নরম করার ঔষধ (Ear Wax Softeners):
- যদি কানের মধ্যে মোম জমে গিয়ে সমস্যা সৃষ্টি করে, তবে Docusate Sodium (ডকুসেট সোডিয়াম) বা Sodium Bicarbonate (সোডিয়াম বাইকার্বনেট) এর মতো ড্রপ ব্যবহার করা হয় মোম নরম করে বের করার জন্য।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:
- কখনোই নিজে নিজে ঔষধ ব্যবহার করবেন না। কান পাকার সঠিক কারণ নির্ণয় এবং উপযুক্ত চিকিৎসার জন্য অবশ্যই একজন নাক, কান, গলা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
- ভুল ঔষধ বা ডোজ ব্যবহারে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে এবং রোগের জটিলতা বাড়তে পারে।
- অনেক ক্ষেত্রে, ঔষধের মাধ্যমে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না হলে বা কানের পর্দায় বড় ছিদ্র থাকলে অস্ত্রোপচারের (যেমন Tympanoplasty) প্রয়োজন হতে পারে।
- চিকিৎসক আপনার কানের অবস্থা পরীক্ষা করে, প্রয়োজনে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা (যেমন কানের পুঁজের কালচার ও সেনসিটিভিটি টেস্ট) করার পর সবচেয়ে কার্যকর ঔষধ নির্ধারণ করবেন।
কান পাকা রোগের এন্টিবায়োটিক
কান পাকা রোগের চিকিৎসায় অ্যান্টিবায়োটিক একটি অপরিহার্য অংশ। তবে, কোন অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হবে তা নির্ভর করে সংক্রমণের তীব্রতা, ব্যাকটেরিয়ার ধরন এবং কানের পর্দার অবস্থার উপর। নিজ থেকে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা উচিত নয়। অবশ্যই একজন নাক, কান, গলা (ENT) বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে সঠিক অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করতে হবে। আসুন এখন আর দেরি না করে আমরা কান পাকা রোগের এন্টিবায়োটিক বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি। জমজম আইটির কান পাকা রোগের এন্টিবায়োটিক নিয়ে বিস্তারিত জানার জন্য নিচের লেখা গুলো পুরোপুরি পড়ে নিন। আপনার জন্য আরো অতিরিক্ত বোনাস হিসেবে কান পাকা রোগের এন্টিবায়োটিক নিয়ে আলোচনা এখানে চাপ দিয়ে বিস্তারিত জেনে নিন।
কান পাকা রোগে সাধারণত যে ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়, সেগুলোর বিস্তারিত নিচে দেওয়া হলো:
১. টপিক্যাল অ্যান্টিবায়োটিক ইয়ার ড্রপ (Topical Antibiotic Ear Drops):
এগুলো সরাসরি কানে প্রয়োগ করা হয় এবং সংক্রমণের স্থানে ঔষধের উচ্চ ঘনত্ব পৌঁছে দেয়। কানের পর্দা ফেটে গেলে সাধারণত এই ড্রপগুলো বেশি কার্যকর হয়।
ফ্লুরোকুইনোলোনস (Fluoroquinolones):
Ciprofloxacin (সিপ্রোফ্লক্সাসিন):
- এটি কান পাকার জন্য বহুল ব্যবহৃত এবং কার্যকর একটি অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ। এটি Pseudomonas aeruginosa-এর মতো ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধেও কার্যকর, যা কান পাকা রোগের একটি সাধারণ কারণ।
Ofloxacin (অফ্লক্সাসিন):
- সিপ্রোফ্লক্সাসিনের মতোই এটিও ফ্লুরোকুইনোলোন গ্রুপের একটি অ্যান্টিবায়োটিক যা ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণে ব্যবহৃত হয়।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: অ্যামাইনোগ্লাইকোসাইড (যেমন জেন্টামাইসিন, নিওমাইসিন) ভিত্তিক ইয়ার ড্রপগুলো কানের পর্দার ছিদ্রের ক্ষেত্রে খুব সতর্কতার সাথে ব্যবহার করা উচিত, কারণ কিছু ক্ষেত্রে এগুলো কানের জন্য ক্ষতিকর (ototoxic) হতে পারে। ফ্লুরোকুইনোলোনস সাধারণত এক্ষেত্রে বেশি নিরাপদ বলে বিবেচিত হয়।
কম্বিনেশন ড্রপস (Combination Drops):
- অনেক সময় অ্যান্টিবায়োটিকের সাথে স্টেরয়েড (যেমন হাইড্রোকর্টিসোন বা ডেক্সামেথাসন) মিশিয়ে ড্রপ ব্যবহার করা হয়। স্টেরয়েড কানের প্রদাহ এবং ফোলা কমাতে সাহায্য করে। উদাহরণস্বরূপ, Ciprofloxacin + Dexamethasone এর কম্বিনেশন ড্রপ ব্যবহার করা যেতে পারে।
২. মুখে খাওয়ার অ্যান্টিবায়োটিক (Oral Antibiotics):
- যদি সংক্রমণ গুরুতর হয়, শুধুমাত্র টপিক্যাল ড্রপে কাজ না হয়, অথবা সংক্রমণ মধ্যকর্ণের বাইরেও ছড়িয়ে পড়ে, তখন চিকিৎসক মুখে খাওয়ার অ্যান্টিবায়োটিক দিতে পারেন।
সাধারণত ব্যবহৃত কিছু অ্যান্টিবায়োটিকের নাম:
Amoxicillin-Clavulanic Acid (অ্যামোক্সিসিলিন-ক্ল্যাভুল্যানিক অ্যাসিড):
- এটি একটি বিস্তৃত-স্পেকট্রাম অ্যান্টিবায়োটিক যা অনেক ধরনের ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কাজ করে।
Cefixime (সেফিক্সিম):
- এটি একটি থার্ড জেনারেশন সেফালোস্পোরিন অ্যান্টিবায়োটিক।
Azithromycin (এজিথ্রোমাইসিন):
- ম্যাক্রোলাইড গ্রুপের এই অ্যান্টিবায়োটিক কিছু বিশেষ ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণে ব্যবহৃত হয়।
Ciprofloxacin (সিপ্রোফ্লক্সাসিন): গুরুতর ক্ষেত্রে মুখে খাওয়ার সিপ্রোফ্লক্সাসিনও দেওয়া হতে পারে।
অ্যান্টিবায়োটিক নির্বাচনের আগে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচ্য বিষয়:
ব্যাকটেরিয়া কালচার ও সেনসিটিভিটি টেস্ট:
- অনেক সময় কান থেকে যে পুঁজ বের হয়, সেটির কালচার ও সেনসিটিভিটি টেস্ট করা হয়। এতে কোন ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ ঘটিয়েছে এবং কোন অ্যান্টিবায়োটিক সেই ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি কার্যকর, তা জানা যায়। এর ভিত্তিতে চিকিৎসক নির্দিষ্ট অ্যান্টিবায়োটিক নির্বাচন করেন।
কানের পর্দার অবস্থা:
- কানের পর্দা ফেটেছে কিনা, তা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিছু অ্যান্টিবায়োটিক (যেমন অ্যামাইনোগ্লাইকোসাইডস) কানের পর্দা ফেটে গেলে ক্ষতির কারণ হতে পারে।
রোগীর বয়স ও অন্যান্য শারীরিক অবস্থা: রোগীর বয়স, অন্য কোন রোগ আছে কিনা, অথবা অন্য কোন ঔষধ খাচ্ছেন কিনা - এসব বিবেচনা করেও অ্যান্টিবায়োটিক নির্বাচন করা হয়।
সতর্কতা:
- অ্যান্টিবায়োটিক কোর্স সম্পূর্ণ করা অত্যন্ত জরুরি, এমনকি যদি কানের অবস্থা ভালো মনে হয় তবুও। কোর্স অসম্পূর্ণ রাখলে সংক্রমণ আবার ফিরে আসতে পারে এবং অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হতে পারে।
- অ্যান্টিবায়োটিকের কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতে পারে (যেমন বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া, অ্যালার্জি)। কোনো অস্বাভাবিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন।
- পুনরায় বলছি, কান পাকার মতো জটিল রোগের ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
কান থেকে পানি পড়ার ঘরোয়া চিকিৎসা
কান থেকে পানি পড়া একটি সাধারণ সমস্যা হলেও, এর পেছনের কারণ ভিন্ন হতে পারে। অনেক সময় এটি কোনো গুরুতর রোগের লক্ষণও হতে পারে, যেমন কান পাকা (Chronic Suppurative Otitis Media - CSOM), যা কানের পর্দার ছিদ্র এবং দীর্ঘস্থায়ী সংক্রমণের কারণে ঘটে। তাই, কান থেকে পানি পড়া শুরু হলে দ্রুত একজন নাক, কান, গলা (ENT) বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
তবে, কিছু ক্ষেত্রে সাময়িক আরাম বা প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে, বিশেষ করে যদি পানি পড়ার সাথে গুরুতর ব্যথা, জ্বর বা কম শোনার মতো লক্ষণ না থাকে।
গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতা:
- এই ঘরোয়া পদ্ধতিগুলো কেবলমাত্র সাময়িক উপশমের জন্য, স্থায়ী সমাধানের জন্য নয়।
- যদি পানি পড়া বন্ধ না হয়, ব্যথা বাড়ে, জ্বর আসে, কানে কম শোনেন, বা মাথা ঘোরানোর মতো সমস্যা হয়, তাহলে দেরি না করে অবিলম্বে ডাক্তারের কাছে যান।
- কানের ভেতরে কোনো কিছু ঢোকাবেন না, যেমন কটন বাড বা অন্য কোনো ধারালো জিনিস, কারণ এটি কানের পর্দাকে আরও ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে বা সংক্রমণকে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।
- যদি কানের পর্দা ফেটে থাকে, তবে কানে কোনো তরল (এমনকি জলও) ঢোকানো উচিত নয়, কারণ এটি সংক্রমণ আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।
কান থেকে পানি পড়ার কিছু ঘরোয়া চিকিৎসা (সাময়িক উপশমের জন্য):
১. কান শুকনো ও পরিষ্কার রাখা:
- সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ: কান সব সময় শুকনো রাখতে হবে। কান ভেজা থাকলে ব্যাকটেরিয়ার জন্মানোর সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
- গোসলের সময় বা সাঁতার কাটার সময় কানে তুলো অথবা ইয়ার প্লাগ ব্যবহার করুন যাতে জল প্রবেশ করতে না পারে। * কান থেকে পানি পড়লে একটি নরম, পরিষ্কার কাপড় বা টিস্যু দিয়ে আলতো করে বাইরের দিক থেকে মুছে ফেলুন। কানের গভীরে মোছা থেকে বিরত থাকুন।
- হেয়ার ড্রায়ারের ঠান্ডা সেটিংস ব্যবহার করে কান শুকিয়ে নিতে পারেন, তবে দূরত্ব বজায় রাখুন এবং সরাসরি কানের খুব কাছে আনবেন না।
২. গরম সেঁক:
- একটি পরিষ্কার কাপড় গরম জলে ভিজিয়ে ভালো করে নিংড়ে নিন।
- ব্যথা বা অস্বস্তি থাকলে সেই কানে ভেজা কাপড়টি ২-৩ মিনিট ধরে রাখুন। এটি রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে এবং সামান্য ব্যথা উপশমে সাহায্য করতে পারে।
- এরপর মাথা কাত করে কান থেকে পানি বের হতে দিন।
৩. অলিভ অয়েল বা রসুনের তেল (সতর্কতার সাথে):
- যদি কানের পর্দা ফেটে না থাকে এবং চিকিৎসক অনুমতি দেন তবেই ব্যবহার করুন। কানের পর্দা ফেটে থাকলে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা যাবে না।
- অলিভ অয়েল: ৩-৪ ফোঁটা হালকা গরম (কিন্তু উষ্ণ নয়) অলিভ অয়েল কানে দিতে পারেন। এটি কানের ভেতরকার শুষ্কতা বা চুলকানি কমাতে পারে।
- রসুনের তেল: অল্প অলিভ অয়েলে এক কোয়া রসুন থেঁতো করে গরম করুন। তেল ঠাণ্ডা করে ছেঁকে নিন। এটিতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ থাকতে পারে।
- তবে, এটি ব্যবহার করার আগে অবশ্যই নিশ্চিত হয়ে নিন যে কানের পর্দা ঠিক আছে।
৪. নিম পাতার রস (সতর্কতার সাথে):
- কয়েকটি পরিষ্কার নিম পাতা থেঁতো করে রস বের করে নিন।
- ২-৩ ফোঁটা রস কানে দিতে পারেন। নিম পাতার অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণাগুণ থাকতে পারে। তবে, এটিও ব্যবহারের আগে কানের পর্দার অবস্থা নিশ্চিত করা জরুরি।
৫. আদা:
- আদার অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণ রয়েছে। এক টুকরো আদা থেঁতো করে তার রস বের করে নিন এবং সামান্য অলিভ অয়েলের সাথে মিশিয়ে হালকা গরম করে কানের চারপাশে লাগান (কানের ভেতরে নয়)। এটি প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে।
৬. যথাযথ বিশ্রাম:
- পর্যাপ্ত বিশ্রাম শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে, যা যেকোনো সংক্রমণ মোকাবিলায় সহায়ক।
৭. প্রচুর পানি পান করা:
- শরীরের হাইড্রেশন বজায় রাখা সার্বিক স্বাস্থ্যের জন্য ভালো এবং শরীরকে দ্রুত সুস্থ হতে সাহায্য করে।
কখন ডাক্তারের কাছে যাবেন
আসুন এখন আর দেরি না করে আমরা কখন ডাক্তারের কাছে যাবেন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি। জমজম আইটির কখন ডাক্তারের কাছে যাবেন নিয়ে বিস্তারিত জানার জন্য নিচের লেখা গুলো পুরোপুরি পড়ে নিন। আপনার জন্য আরো অতিরিক্ত বোনাস হিসেবে কখন ডাক্তারের কাছে যাবেন নিয়ে আলোচনা এখানে চাপ দিয়ে বিস্তারিত জেনে নিন।
- কান থেকে ঘন পুঁজ বা রক্ত পড়লে।
- তীব্র কানের ব্যথা হলে।
- জ্বর বা মাথা ঘোরানো থাকলে।
- শ্রবণশক্তি কমে গেলে।
- কান থেকে পানি পড়া বন্ধ না হলে বা বারবার ফিরে এলে।
- শিশুদের ক্ষেত্রে কান থেকে পানি পড়লে দ্রুত ডাক্তারের কাছে নেওয়া উচিত।
মনে রাখবেন, কান একটি সংবেদনশীল অঙ্গ। যেকোনো কানের সমস্যার জন্য আত্ম-চিকিৎসা না করে পেশাদার চিকিৎসা পরামর্শ গ্রহণ করা সবচেয়ে নিরাপদ এবং কার্যকর উপায়। কান থেকে পানি পড়া একটি সাধারণ সমস্যা হলেও এর কারণ ভিন্ন হতে পারে। এটি সাধারণ পানি ঢোকা থেকে শুরু করে কানের ভেতরে গুরুতর সংক্রমণ (যেমন কান পাকা রোগ বা ওটাইটিস মিডিয়া) পর্যন্ত হতে পারে। কান থেকে পানি পড়ার প্রধান কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে কানের সংক্রমণ, কানের পর্দায় ছিদ্র, বা কানে আঘাত।
যদি কেবল গোসল বা সাঁতার কাটার সময় কানে পানি ঢুকে থাকে এবং পরে তা নিজে থেকেই বের না হয়, তাহলে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি চেষ্টা করা যেতে পারে। তবে, যদি পানি পড়ার সাথে ব্যথা, পুঁজ, দুর্গন্ধ, জ্বর, কানে কম শোনা বা মাথা ঘোরানোর মতো উপসর্গ থাকে, তাহলে অবশ্যই একজন নাক, কান, গলা (ENT) বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ এটি কানের গুরুতর সমস্যার লক্ষণ হতে পারে, যার জন্য সঠিক চিকিৎসা প্রয়োজন।
এখানে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি দেওয়া হলো যা সাধারণ পানি বের করতে সাহায্য করতে পারে বা সাময়িক আরাম দিতে পারে:
১. মাধ্যাকর্ষণ ব্যবহার:
- মাথা কাত করা: যে কানে পানি ঢুকেছে, সেদিকে মাথা কাত করে রাখুন। কানটিকে নিচের দিকে রেখে কিছুক্ষণ ঝাঁকাতে পারেন বা লাফাতে পারেন। মাধ্যাকর্ষণের কারণে পানি বের হয়ে আসতে পারে।
- শুয়ে পড়া: যে কানে পানি, সেই দিকে কান করে কিছুক্ষণ শুয়ে থাকুন। একটি নরম কাপড় বা টিস্যু কানের নিচে রাখুন যাতে পানি শোষণ করতে পারে।
২. উষ্ণ সেঁক (শুধুমাত্র সাধারণ পানি ঢোকার ক্ষেত্রে, সংক্রমণ থাকলে নয়):
- একটি পরিষ্কার কাপড়ে গরম জল ভিজিয়ে ভালো করে নিংড়ে নিন (যেন ফোঁটা ফোঁটা না পড়ে)।
- এই উষ্ণ কাপড়টি কানের উপর ২-৩ মিনিট ধরে রাখুন। উষ্ণতা কানের ইউস্টেশিয়ান টিউবকে (যা কান, নাক ও গলাকে সংযুক্ত করে) খুলতে সাহায্য করতে পারে, যার ফলে পানি বের হয়ে আসতে পারে।
৩. ড্রায়ার ব্যবহার (কম তাপমাত্রায়):
- একটি হেয়ার ড্রায়ারকে সবচেয়ে কম তাপমাত্রায় এবং সর্বনিম্ন গতিতে সেট করুন।
- কান থেকে প্রায় এক ফুট দূরে রেখে কানে হালকা বাতাস দিন। বাতাস পানি শুকিয়ে ফেলতে সাহায্য করবে। খেয়াল রাখবেন যেন কান গরম না হয়ে যায়।
৪. ইয়ানিং বা চুইংগাম চিবানো:
- হাই তোলা (Yawning) বা চুইংগাম চিবানোর মাধ্যমে মুখের এবং কানের পেশীগুলোর নড়াচড়া হয়। এটি ইউস্টেশিয়ান টিউব খুলতে সাহায্য করতে পারে, যার ফলে কানে আটকে থাকা পানি বা বাতাস সরে যেতে পারে।
৫. ভলসালভা কৌশল (Valsalva Maneuver):
- একটি গভীর শ্বাস নিন।
- নাক বন্ধ করে মুখ বন্ধ রাখুন।
- এরপর আলতো করে শ্বাস ছাড়ার চেষ্টা করুন, যেন বাতাস আপনার কান দিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করছে। এতে কানের ভেতরে চাপ তৈরি হবে, যা আটকে থাকা পানিকে বের করে দিতে সাহায্য করতে পারে। তবে, খুব বেশি চাপ দেবেন না, কারণ এতে কানের পর্দায় ক্ষতি হতে পারে।
৬. অ্যালকোহল ও ভিনেগার মিশ্রণ (বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ছাড়া ব্যবহার করবেন না):
- কিছু ক্ষেত্রে, সমপরিমাণ রাবিং অ্যালকোহল এবং সাদা ভিনেগারের মিশ্রণ কানের পানি শুকাতে ব্যবহার করা হয়। অ্যালকোহল পানি শুকাতে সাহায্য করে এবং ভিনেগার কানের পিএইচ (pH) ভারসাম্য বজায় রেখে ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে বাধা দেয়।
- গুরুত্বপূর্ণ: এই পদ্ধতিটি কানের পর্দা অক্ষত থাকলে তবেই ব্যবহার করা যাবে। যদি কানের পর্দা ফেটে থাকে বা কানের ভেতরে কোনো সংক্রমণ থাকে, তাহলে এটি কানের ক্ষতি করতে পারে। তাই এটি ব্যবহারের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
৭. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও প্রতিরোধ:
- কান সবসময় শুকনো ও পরিষ্কার রাখুন।
- গোসলের সময় বা সাঁতার কাটার সময় কানে তুলো বা ইয়ার প্লাগ ব্যবহার করুন যাতে পানি না ঢোকে।
- কটন বাড বা অন্য কোনো ধারালো জিনিস কানের ভেতরে ঢোকাবেন না, কারণ এটি কানের পর্দাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে বা ময়লা ভেতরে ঠেলে দিতে পারে।
কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন? যদি কান থেকে পানি পড়ার সাথে নিম্নলিখিত কোনো উপসর্গ থাকে, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত:
- কানের ব্যথা বা চুলকানি
- দুর্গন্ধযুক্ত বা পুঁজ মিশ্রিত পানি
- কানে কম শোনা
- জ্বর
- মাথা ঘোরা বা ভারসাম্যহীনতা
- কানের ভিতরে লালভাব বা ফোলা
মনে রাখবেন, ঘরোয়া প্রতিকার কেবল সাময়িক বা হালকা সমস্যার জন্য প্রযোজ্য। গুরুতর বা দীর্ঘস্থায়ী সমস্যার জন্য পেশাদার চিকিৎসা জরুরি।
বাচ্চাদের কান পাকা রোগের ঔষধের নাম
বাচ্চাদের কান পাকা (Chronic Suppurative Otitis Media - CSOM) একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা, যা শিশুদের মধ্যে বেশ প্রচলিত। এর প্রধান কারণ হলো মধ্যকর্ণের দীর্ঘস্থায়ী সংক্রমণ। প্রাপ্তবয়স্কদের মতো শিশুদের ক্ষেত্রেও চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ঔষধ ব্যবহার করা উচিত নয়। কারণ ভুল ঔষধ বা ভুল মাত্রায় ঔষধ দিলে শিশুর কানের স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে, এমনকি শ্রবণশক্তিও হারাতে পারে।
শিশুদের কান পাকা রোগের চিকিৎসায় সাধারণত নিম্নলিখিত ধরনের ঔষধ ব্যবহার করা হয়:
১. অ্যান্টিবায়োটিক ইয়ার ড্রপ (Antibiotic Ear Drops):
- এগুলো সরাসরি শিশুর কানে দেওয়া হয়, যা সংক্রমণের স্থানে অ্যান্টিবায়োটিকের উচ্চ ঘনত্ব পৌঁছে দেয়। শিশুদের ক্ষেত্রে নিরাপদ এবং কার্যকর কিছু অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ হলো:
Ciprofloxacin (সিপ্রোফ্লক্সাসিন):
- এটি ফ্লুরোকুইনোলোন গ্রুপের একটি কার্যকর অ্যান্টিবায়োটিক, যা শিশুদের ক্ষেত্রে কান পাকা রোগে বহুল ব্যবহৃত হয়। এটি ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে বেশ শক্তিশালী।
Ofloxacin (অফ্লক্সাসিন):
- এটিও ফ্লুরোকুইনোলোন গ্রুপের অ্যান্টিবায়োটিক এবং সিপ্রোফ্লক্সাসিনের মতোই কাজ করে।
কম্বিনেশন ড্রপ (Combination Drops):
- কিছু ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিকের সাথে স্টেরয়েড (যেমন Dexamethasone বা Hydrocortisone) মিশিয়ে ড্রপ দেওয়া হয়। স্টেরয়েড কানের প্রদাহ এবং ফোলা কমাতে সাহায্য করে। যেমন: Ciprofloxacin + Dexamethasone এর কম্বিনেশন ড্রপ।
গুরুত্বপূর্ণ:
কিছু অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ (যেমন Gentamicin বা Neomycin) যা অ্যামাইনোগ্লাইকোসাইড গ্রুপের, কানের পর্দা ফেটে থাকলে বা ছিদ্র থাকলে শিশুদের ক্ষেত্রে সতর্কতার সাথে ব্যবহার করা হয়, কারণ এগুলো কিছু ক্ষেত্রে কানের জন্য ক্ষতিকর (ototoxic) হতে পারে। সাধারণত ফ্লুরোকুইনোলোনস এক্ষেত্রে বেশি নিরাপদ বলে বিবেচিত হয়।
২. মুখে খাওয়ার অ্যান্টিবায়োটিক (Oral Antibiotics):
- যদি কানের সংক্রমণ গুরুতর হয়, শুধুমাত্র ড্রপে কাজ না হয়, অথবা সংক্রমণ মধ্যকর্ণের বাইরেও ছড়িয়ে পড়ে, তখন চিকিৎসক মুখে খাওয়ার অ্যান্টিবায়োটিক দিতে পারেন। শিশুদের জন্য উপযোগী কিছু অ্যান্টিবায়োটিক হলো:
Amoxicillin-Clavulanic Acid (অ্যামোক্সিসিলিন-ক্ল্যাভুল্যানিক অ্যাসিড):
- এটি একটি বিস্তৃত-স্পেকট্রাম অ্যান্টিবায়োটিক যা শিশুদের কানের সংক্রমণের জন্য বহুল ব্যবহৃত।
Cefixime (সেফিক্সিম):
- এটি একটি থার্ড জেনারেশন সেফালোস্পোরিন অ্যান্টিবায়োটিক এবং শিশুদের জন্য প্রায়শই ব্যবহৃত হয়।
Azithromycin (এজিথ্রোমাইসিন):
- বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে এই অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়।
Ciprofloxacin (সিপ্রোফ্লক্সাসিন):
- গুরুতর ক্ষেত্রে বা নির্দিষ্ট ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে মুখে খাওয়ার সিপ্রোফ্লক্সাসিনও দেওয়া হতে পারে, তবে শিশুদের জন্য এর ব্যবহার সতর্কতার সাথে বিবেচনা করা হয়।
৩. নাসাল ড্রপ (Nasal Drops):
- যদি নাক বা গলার সংক্রমণের কারণে (যেমন সর্দি, এডেনয়েড বৃদ্ধি) ইউস্টেশিয়ান টিউব বন্ধ হয়ে কানের সমস্যা হয়, তাহলে চিকিৎসক নাকের ড্রপ দিতে পারেন।
Saline Nasal Drops (স্যালাইন ন্যাজাল ড্রপ):
- নাক পরিষ্কার রাখতে এবং শ্লেষ্মা পাতলা করতে সাহায্য করে।
Decongestant Nasal Drops (ডিকনজেস্ট্যান্ট ন্যাজাল ড্রপ):
- যেমন Xylometazoline (জাইলোমেটাজোলিন), নাকের ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে, যা পরোক্ষভাবে কানের চাপ কমাতে সহায়ক। তবে, শিশুদের ক্ষেত্রে ডিকনজেস্ট্যান্ট ড্রপের ব্যবহার বয়স এবং মাত্রার উপর নির্ভর করে।
৪. ব্যথানাশক ঔষধ (Painkillers/Analgesics):
- কানের ব্যথা কমানোর জন্য চিকিৎসক প্যারাসিটামল (Paracetamol) বা আইবুপ্রোফেন (Ibuprofen) এর মতো ঔষধ দিতে পারেন, যা শিশুর বয়স ও ওজন অনুযায়ী মাত্রা নির্ধারণ করা হবে।
গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ:
চিকিৎসকের পরামর্শ অত্যাবশ্যক: শিশুদের কান পাকার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো একজন নাক, কান, গলা (ENT) বিশেষজ্ঞের কাছে যাওয়া। তিনি শিশুর কানের অবস্থা পরীক্ষা করবেন এবং প্রয়োজনে কানের পুঁজের কালচার ও সেনসিটিভিটি টেস্ট করে সঠিক অ্যান্টিবায়োটিক ও চিকিৎসার পরিকল্পনা দেবেন।
সঠিক ডোজ ও সময়কাল:
- চিকিৎসক যে ডোজ এবং যতদিনের জন্য ঔষধ দিয়েছেন, ঠিক ততটুকু ব্যবহার করতে হবে। কোর্স সম্পূর্ণ না করলে সংক্রমণ আবার ফিরে আসতে পারে এবং ব্যাকটেরিয়া অ্যান্টিবায়োটিকের প্রতি প্রতিরোধী হয়ে উঠতে পারে।
কানের যত্ন:
- শিশুকে শুয়ে খাওয়ানো থেকে বিরত থাকুন, কারণ এতে কানের দিকে খাবার প্রবেশ করতে পারে। কান সবসময় পরিষ্কার ও শুকনো রাখুন এবং গোসলের সময় বা সাঁতার কাটার সময় কানে তুলা বা ইয়ার প্লাগ ব্যবহার করুন।
নিজস্ব চিকিৎসা পরিহার:
- শিশুদের কানের মতো সংবেদনশীল অংশে নিজে নিজে কোনো ঔষধ বা ঘরোয়া পদ্ধতি প্রয়োগ করা থেকে বিরত থাকুন। এতে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।
মনে রাখবেন, শিশুর কানের সুস্থতা তার শ্রবণশক্তি এবং সামগ্রিক বিকাশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই কান পাকা রোগের কোনো লক্ষণ দেখা দিলে দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
কান দিয়ে পানি পড়লে কি করতে হবে
কান দিয়ে পানি পড়া একটি সাধারণ সমস্যা হলেও এর কারণ ভিন্ন হতে পারে এবং এর জন্য কী করতে হবে তা নির্ভর করে পানি পড়ার ধরন ও সাথে থাকা অন্য লক্ষণগুলোর ওপর। এটি সাধারণ পানি ঢোকা থেকে শুরু করে কানের ভেতরের গুরুতর সংক্রমণ (যেমন কান পাকা রোগ বা ওটাইটিস মিডিয়া) পর্যন্ত হতে পারে। আসুন এখন আর দেরি না করে আমরা কান দিয়ে পানি পড়লে কি করতে হবে নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি। জমজম আইটির কান দিয়ে পানি পড়লে কি করতে হবে? নিয়ে বিস্তারিত জানার জন্য নিচের লেখা গুলো পুরোপুরি পড়ে নিন। আপনার জন্য আরো অতিরিক্ত বোনাস হিসেবে কান দিয়ে পানি পড়লে কি করতে হবে নিয়ে আলোচনা এখানে চাপ দিয়ে বিস্তারিত জেনে নিন।
করণীয় সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে, প্রথমে বুঝতে হবে পানি পড়ার ধরন ও এর সাথে অন্য কোনো লক্ষণ আছে কিনা:
১. যদি শুধু পরিষ্কার পানি পড়ে এবং কোনো ব্যথা, দুর্গন্ধ, বা কম শোনার সমস্যা না থাকে (যেমন গোসল বা সাঁতার কাটার পর):
- এক্ষেত্রে সম্ভবত কানে বাইরে থেকে পানি ঢুকেছে। এই পানি বের করার জন্য কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি চেষ্টা করা যেতে পারে:
মাথা কাত করা:
- যে কানে পানি ঢুকেছে, সেদিকে মাথা কাত করে রাখুন। কানটিকে নিচের দিকে রেখে কিছুক্ষণ ঝাঁকাতে পারেন বা আলতো করে লাফাতে পারেন। মাধ্যাকর্ষণের কারণে পানি বের হয়ে আসতে পারে।
শুয়ে পড়া:
- যে কানে পানি, সেই দিকে কান করে কিছুক্ষণ শুয়ে থাকুন। একটি নরম কাপড় বা টিস্যু কানের নিচে রাখুন যাতে পানি শোষণ করতে পারে।
হালকা উষ্ণ সেঁক:
- একটি পরিষ্কার কাপড়ে গরম জল ভিজিয়ে ভালো করে নিংড়ে নিন (যেন ফোঁটা ফোঁটা না পড়ে)। এই উষ্ণ কাপড়টি কানের উপর ২-৩ মিনিট ধরে রাখুন। উষ্ণতা কানের ইউস্টেশিয়ান টিউবকে (যা কান, নাক ও গলাকে সংযুক্ত করে) খুলতে সাহায্য করতে পারে, যার ফলে পানি বের হয়ে আসতে পারে।
হেয়ার ড্রায়ার (কম তাপমাত্রায়):
- একটি হেয়ার ড্রায়ারকে সবচেয়ে কম তাপমাত্রায় এবং সর্বনিম্ন গতিতে সেট করুন। কান থেকে প্রায় এক ফুট দূরে রেখে কানে হালকা বাতাস দিন। বাতাস পানি শুকিয়ে ফেলতে সাহায্য করবে। খেয়াল রাখবেন যেন কান গরম না হয়ে যায়।
ইয়ানিং বা চুইংগাম চিবানো:
- হাই তোলা বা চুইংগাম চিবানোর মাধ্যমে মুখের এবং কানের পেশীগুলোর নড়াচড়া হয়। এটি ইউস্টেশিয়ান টিউব খুলতে সাহায্য করতে পারে, যার ফলে কানে আটকে থাকা পানি বা বাতাস সরে যেতে পারে।
ভলসালভা কৌশল (Valsalva Maneuver):
- একটি গভীর শ্বাস নিন। নাক বন্ধ করে মুখ বন্ধ রাখুন। এরপর আলতো করে শ্বাস ছাড়ার চেষ্টা করুন, যেন বাতাস আপনার কান দিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করছে। এতে কানের ভেতরে চাপ তৈরি হবে, যা আটকে থাকা পানিকে বের করে দিতে সাহায্য করতে পারে। তবে, খুব বেশি চাপ দেবেন না, কারণ এতে কানের পর্দায় ক্ষতি হতে পারে।
২. যদি পানি পড়ার সাথে অন্য গুরুতর লক্ষণ থাকে (যেমন পুঁজ, দুর্গন্ধ, ব্যথা, জ্বর, কানে কম শোনা, মাথা ঘোরানো, বা কানে শোঁ শোঁ শব্দ): এই লক্ষণগুলো কানের সংক্রমণের ইঙ্গিত দেয়, যা গুরুতর হতে পারে। এক্ষেত্রে অবিলম্বে একজন নাক, কান, গলা (ENT) বিশেষজ্ঞের কাছে যেতে হবে। এই পরিস্থিতিতে নিজে নিজে কিছু করা উচিত নয়, কারণ ভুল চিকিৎসা কানের স্থায়ী ক্ষতি করতে পারে।
বিশেষজ্ঞের কাছে কখন যাবেন?
- যদি কান থেকে সাদাটে, হলদেটে, সবুজাভ বা রক্ত মিশ্রিত পুঁজ পড়ে।
- যদি কানের ভেতরে বা বাইরে ব্যথা হয়।
- যদি কানে চুলকানি বা অস্বস্তি হয়।
- যদি দুর্গন্ধযুক্ত তরল নির্গত হয়।
- যদি কানে কম শোনা যায় বা শোঁ শোঁ শব্দ হয়।
- যদি জ্বর থাকে।
- যদি মাথা ঘোরানো বা ভারসাম্যহীনতা হয়।
- যদি কানের আশেপাশে ফোলা বা লালভাব দেখা যায়।
- যদি ঘরোয়া পদ্ধতি চেষ্টা করার পরেও ২-৩ দিনের মধ্যে অবস্থার উন্নতি না হয়।
গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতা:
কানে কিছু ঢোকানো থেকে বিরত থাকুন: কটন বাড, কানের কাঠি বা অন্য কোনো ধারালো জিনিস কানের ভেতরে ঢোকাবেন না। এটি কানের পর্দাকে আরও ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে বা সংক্রমণকে আরও গভীরে ঠেলে দিতে পারে।
- বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ছাড়া কোনো ড্রপ বা ঔষধ ব্যবহার করবেন না: কানের সমস্যার জন্য উপযুক্ত ঔষধ একজন চিকিৎসকই দিতে পারেন। নিজে নিজে অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ বা অন্য কোনো ঔষধ ব্যবহার করলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
- কান পরিষ্কার ও শুকনো রাখুন: কান সবসময় পরিষ্কার ও শুকনো রাখার চেষ্টা করুন। গোসলের সময় বা সাঁতার কাটার সময় কানে তুলো বা ইয়ার প্লাগ ব্যবহার করুন যাতে পানি না ঢোকে।
সংক্ষেপে, কান থেকে পরিষ্কার পানি পড়লে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি চেষ্টা করতে পারেন। কিন্তু যদি পানি পড়ার সাথে অন্য কোনো অস্বাভাবিক লক্ষণ দেখা যায়, তাহলে দেরি না করে একজন নাক, কান, গলা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া অপরিহার্য।
কানে রসুন তেল দিলে কি হয়
কানে রসুনের তেল ব্যবহার করা একটি ঐতিহ্যবাহী ঘরোয়া প্রতিকার, যা প্রধানত কানের ব্যথা কমানো এবং কিছু ক্ষেত্রে সংক্রমণের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। রসুনে প্রাকৃতিক অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিভাইরাল এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। আসুন এখন আর দেরি না করে আমরা কানে রসুন তেল দিলে কি হয় বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি। জমজম আইটির কানে রসুন তেল দিলে কি হয় নিয়ে বিস্তারিত জানার জন্য নিচের লেখা গুলো পুরোপুরি পড়ে নিন। আপনার জন্য আরো অতিরিক্ত বোনাস হিসেবে কানে রসুন তেল দিলে কি হয় নিয়ে আলোচনা এখানে চাপ দিয়ে বিস্তারিত জেনে নিন।
কানে রসুনের তেল দিলে কী হতে পারে:
সম্ভাব্য উপকারিতা:
- ব্যথা উপশম: রসুনের অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণাবলী কানের ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে, বিশেষ করে যদি ব্যথা প্রদাহের কারণে হয়।
- সংক্রমণ প্রতিরোধ: রসুনের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিভাইরাল বৈশিষ্ট্যগুলি কানের হালকা সংক্রমণ প্রতিরোধে বা বিদ্যমান সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়ক হতে পারে। এটি বিশেষত ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণের ক্ষেত্রে কিছু কাজ করতে পারে।
- রসুনের তেল তৈরির সাধারণ পদ্ধতি: সাধারণত, অল্প অলিভ অয়েল বা তিলের তেলে এক কোয়া রসুন থেঁতো করে হালকা গরম করে নেওয়া হয়। তেল গরম হলে ছেঁকে নিয়ে ঠাণ্ডা করে কানে ২-৩ ফোঁটা দেওয়া হয়।
তবে, কানে রসুনের তেল ব্যবহারের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঝুঁকি ও সীমাবদ্ধতা আছে:
ঝুঁকি ও সতর্কতা:
- সংক্রমণ আরও বেড়ে যাওয়া: যদি কানের পর্দায় ছিদ্র থাকে বা কান থেকে পুঁজ পড়ে (কান পাকা রোগ), তাহলে কানে তেল ব্যবহার করলে সংক্রমণ আরও ভেতরে ছড়িয়ে যেতে পারে এবং পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। এই অবস্থায় রসুনের তেল ব্যবহার করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
- কানের ক্ষতি: গরম তেল সরাসরি কানে দিলে কানের সংবেদনশীল টিস্যু পুড়ে যেতে পারে, যা ব্যথা, ফোলা এবং স্থায়ী ক্ষতির কারণ হতে পারে। এমনকি খুব বেশি গরম না হলেও, কানের পর্দার ক্ষতির ঝুঁকি থাকে।
- অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া: কিছু মানুষের রসুনের প্রতি অ্যালার্জি থাকতে পারে। কানে রসুনের তেল ব্যবহারের ফলে চুলকানি, জ্বালা, লালচে ভাব বা ফোলা দেখা দিতে পারে।
- কার্যকারিতার অভাব: রসুনের তেল একটি ঘরোয়া প্রতিকার এবং এর কার্যকারিতা বৈজ্ঞানিকভাবে পুরোপুরি প্রমাণিত নয়। এটি কানের গুরুতর সংক্রমণের জন্য পর্যাপ্ত চিকিৎসা নয় এবং পেশাদার চিকিৎসার বিকল্প হতে পারে না।
- কর্ণমূলে আটকে যাওয়া: তেল কানের ভেতরে গিয়ে জমে যেতে পারে এবং শ্রবণশক্তি সাময়িকভাবে হ্রাস করতে পারে, বা পরবর্তীতে তা অপসারণের জন্য চিকিৎসকের প্রয়োজন হতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ:
- চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ব্যবহার নয়: কানের যেকোনো সমস্যা, বিশেষ করে যদি ব্যথা, পুঁজ, দুর্গন্ধ বা কম শোনার মতো লক্ষণ থাকে, তাহলে দ্রুত একজন নাক, কান, গলা (ENT) বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। চিকিৎসক আপনার কানের অবস্থা পরীক্ষা করে সঠিক রোগ নির্ণয় করবেন এবং প্রয়োজনীয় ঔষধ বা চিকিৎসা পদ্ধতি দেবেন।
- বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে সতর্কতা: শিশুদের কান সংবেদনশীল হয়। তাদের কানে কোনো কিছু দেওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
- কানের পর্দা অক্ষত না থাকলে ব্যবহার করবেন না: যদি আপনার সন্দেহ হয় যে কানের পর্দায় ছিদ্র থাকতে পারে (যেমন কানে আঘাত লাগলে, কান থেকে পুঁজ পড়লে), তাহলে কোনো ধরনের তেল বা ড্রপ কানে ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
সংক্ষেপে, কানের ব্যথার জন্য রসুনের তেল একটি ঘরোয়া টোটকা হিসেবে পরিচিত, কিন্তু এর ব্যবহার অত্যন্ত সতর্কতার সাথে করা উচিত এবং এটি কানের যেকোনো গুরুতর সমস্যার জন্য পেশাদার চিকিৎসার বিকল্প হতে পারে না। যদি কানের সমস্যা গুরুতর হয় বা দীর্ঘস্থায়ী হয়, তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
কান পাকা রোগের ঔষধের নাম কি
কান পাকা রোগ (Chronic Suppurative Otitis Media - CSOM) একটি দীর্ঘস্থায়ী কানের সংক্রমণ, যার জন্য সঠিক এবং সময়মতো চিকিৎসা প্রয়োজন। এই রোগের চিকিৎসার জন্য নির্দিষ্ট কিছু ঔষধ ব্যবহার করা হয়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া নিজে নিজে ঔষধ ব্যবহার করা উচিত নয়। কারণ, কানের পর্দার অবস্থা, সংক্রমণের তীব্রতা এবং কোন ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ ঘটিয়েছে তার উপর ভিত্তি করে সঠিক ঔষধ নির্বাচন করা হয়।
কান পাকা রোগের চিকিৎসায় সাধারণত নিম্নলিখিত ঔষধগুলো ব্যবহার করা হয়:
১. টপিক্যাল অ্যান্টিবায়োটিক ইয়ার ড্রপ (Topical Antibiotic Ear Drops): এগুলো সরাসরি কানে প্রয়োগ করা হয় এবং সংক্রমণের স্থানে ঔষধের উচ্চ ঘনত্ব পৌঁছে দেয়। কানের পর্দা ফেটে গেলে সাধারণত এই ড্রপগুলো বেশি কার্যকর হয়।
ফ্লুরোকুইনোলোনস (Fluoroquinolones):
- এই গ্রুপের অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপগুলো কান পাকা রোগের চিকিৎসায় বহুল ব্যবহৃত এবং অত্যন্ত কার্যকর।
Ciprofloxacin (সিপ্রোফ্লক্সাসিন):
- এটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত অ্যান্টিবায়োটিক ইয়ার ড্রপগুলোর মধ্যে একটি। এটি Pseudomonas aeruginosa-এর মতো ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে খুবই কার্যকর, যা কান পাকা রোগের একটি সাধারণ কারণ।
Ofloxacin (অফ্লক্সাসিন):
- এটিও ফ্লুরোকুইনোলোন গ্রুপের একটি অ্যান্টিবায়োটিক যা ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণে ব্যবহৃত হয়।
কম্বিনেশন ড্রপস (Combination Drops):
- অনেক সময় অ্যান্টিবায়োটিকের সাথে স্টেরয়েড (যেমন হাইড্রোকর্টিসোন বা ডেক্সামেথাসন) মিশিয়ে ড্রপ ব্যবহার করা হয়। স্টেরয়েড কানের প্রদাহ এবং ফোলা কমাতে সাহায্য করে। উদাহরণস্বরূপ, Ciprofloxacin + Dexamethasone এর কম্বিনেশন ড্রপ।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: অ্যামাইনোগ্লাইকোসাইড (যেমন জেন্টামাইসিন, নিওমাইসিন) ভিত্তিক ইয়ার ড্রপগুলো কানের পর্দার ছিদ্রের ক্ষেত্রে খুব সতর্কতার সাথে ব্যবহার করা উচিত, কারণ কিছু ক্ষেত্রে এগুলো কানের জন্য ক্ষতিকর (ototoxic) হতে পারে এবং স্থায়ী শ্রবণশক্তি হ্রাসের কারণ হতে পারে। ফ্লুরোকুইনোলোনস সাধারণত এক্ষেত্রে বেশি নিরাপদ বলে বিবেচিত হয়।
২. মুখে খাওয়ার অ্যান্টিবায়োটিক (Oral Antibiotics):
- যদি কানের সংক্রমণ তীব্র হয়, শুধুমাত্র টপিক্যাল ড্রপে কাজ না হয়, সংক্রমণ মধ্যকর্ণের গভীরে ছড়িয়ে পড়ে বা শরীরের অন্যান্য অংশে প্রভাব ফেলে, তখন চিকিৎসক মুখে খাওয়ার অ্যান্টিবায়োটিক দিতে পারেন।
সাধারণত ব্যবহৃত কিছু অ্যান্টিবায়োটিকের নাম:
- Amoxicillin-Clavulanic Acid (অ্যামোক্সিসিলিন-ক্ল্যাভুল্যানিক অ্যাসিড): এটি একটি বিস্তৃত-স্পেকট্রাম অ্যান্টিবায়োটিক যা অনেক ধরনের ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কাজ করে।
- Cefixime (সেফিক্সিম): এটি একটি থার্ড জেনারেশন সেফালোস্পোরিন অ্যান্টিবায়োটিক।
- Azithromycin (এজিথ্রোমাইসিন): ম্যাক্রোলাইড গ্রুপের এই অ্যান্টিবায়োটিক কিছু বিশেষ ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণে ব্যবহৃত হয়।
- Ciprofloxacin (সিপ্রোফ্লক্সাসিন): গুরুতর ক্ষেত্রে মুখে খাওয়ার সিপ্রোফ্লক্সাসিনও দেওয়া হতে পারে।
৩. নাসাল ড্রপ (Nasal Drops):
- যদি নাক বা গলার সংক্রমণের (যেমন সর্দি, সাইনাসাইটিস, এডেনয়েড বৃদ্ধি) কারণে ইউস্টেশিয়ান টিউব বন্ধ হয়ে কানের সমস্যা হয়, তাহলে চিকিৎসক নাকের ড্রপ দিতে পারেন। এগুলো ইউস্টেশিয়ান টিউবের কার্যকারিতা উন্নত করে এবং কানের চাপ কমাতে সাহায্য করে।
- Saline Nasal Drops (স্যালাইন ন্যাজাল ড্রপ): নাক পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
- Decongestant Nasal Drops (ডিকনজেস্ট্যান্ট ন্যাজাল ড্রপ): যেমন Xylometazoline (জাইলোমেটাজোলিন), নাকের ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে।
৪. ব্যথানাশক ঔষধ (Painkillers/Analgesics):
- কানের ব্যথা কমানোর জন্য প্যারাসিটামল (Paracetamol) বা আইবুপ্রোফেন (Ibuprofen) এর মতো ঔষধ দেওয়া যেতে পারে।
অ্যান্টিবায়োটিক নির্বাচনের আগে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:
- ব্যাকটেরিয়া কালচার ও সেনসিটিভিটি টেস্ট: অনেক সময় কান থেকে যে পুঁজ বের হয়, সেটির কালচার ও সেনসিটিভিটি টেস্ট করা হয়।
- এতে কোন ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ ঘটিয়েছে এবং কোন অ্যান্টিবায়োটিক সেই ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি কার্যকর, তা জানা যায়। এর ভিত্তিতে চিকিৎসক নির্দিষ্ট অ্যান্টিবায়োটিক নির্বাচন করেন।
- কানের পর্দার অবস্থা: কানের পর্দা ফেটেছে কিনা, তা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
- রোগীর বয়স ও অন্যান্য শারীরিক অবস্থা: রোগীর বয়স, অন্য কোনো রোগ আছে কিনা, অথবা অন্য কোনো ঔষধ খাচ্ছেন কিনা - এসব বিবেচনা করেও অ্যান্টিবায়োটিক নির্বাচন করা হয়।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ হলো, কান পাকা রোগের কোনো লক্ষণ দেখা দিলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একজন নাক, কান, গলা (ENT) বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। তিনি কানের অবস্থা নির্ণয় করে সঠিক চিকিৎসা পদ্ধতি ও ঔষধ নির্ধারণ করবেন। নিজে নিজে ঔষধ ব্যবহার করলে ভুল চিকিৎসার কারণে কানের স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে।
কানের পর্দা ছিদ্র হলে কী করণীয়
কানের পর্দা ছিদ্র হওয়া (Perforated Eardrum বা Tympanic Membrane Perforation) একটি গুরুতর সমস্যা, যা শ্রবণশক্তির উপর প্রভাব ফেলতে পারে এবং কানের সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। এর কারণ হতে পারে কানের সংক্রমণ (যেমন কান পাকা রোগ), কানে আঘাত (যেমন জোরে থাপ্পড়, কানের ভেতরে কিছু ঢোকানো), কানের ভেতরে অতিরিক্ত চাপ (যেমন বিমান ভ্রমণ বা ডাইভিং), বা বিকট শব্দ।
কানের পর্দা ছিদ্র হলে আপনার প্রধান এবং প্রথম করণীয় হলো দ্রুত একজন নাক, কান, গলা (ENT) বিশেষজ্ঞের (নাক, কান, গলা বিশেষজ্ঞ) পরামর্শ নেওয়া। বাংলাদেশে রাজশাহীতেও অনেক ভালো ইএনটি বিশেষজ্ঞ আছেন। তারা আপনার কানের অবস্থা পরীক্ষা করে সঠিক পরামর্শ এবং চিকিৎসা দেবেন।
চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার আগ পর্যন্ত বা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী যা যা করতে পারেন: আসুন এখন আর দেরি না করে আমরা কানের পর্দা ছিদ্র হলে কী করণীয় বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি। জমজম আইটির কানের পর্দা ছিদ্র হলে কী করণীয় নিয়ে বিস্তারিত জানার জন্য নিচের লেখা গুলো পুরোপুরি পড়ে নিন। আপনার জন্য আরো অতিরিক্ত বোনাস হিসেবে কানের পর্দা ছিদ্র হলে কী করণীয় নিয়ে আলোচনা এখানে চাপ দিয়ে বিস্তারিত জেনে নিন।
১. কান শুকনো রাখুন:
- কানে পানি ঢোকা থেকে বিরত থাকুন: এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। গোসল করার সময়, চুল ধোয়ার সময় বা সাঁতার কাটার সময় কানে যেন পানি না ঢোকে।
- কানে সুরক্ষা দিন: গোসলের সময় বা চুল ধোয়ার সময় কানে তুলা ভিজেলিন (Vaseline) দিয়ে সিক্ত করে বা ওয়াটারপ্রুফ ইয়ার প্লাগ ব্যবহার করুন।
- বৃষ্টি বা আর্দ্র আবহাওয়া: বৃষ্টিতে ছাতা ব্যবহার করুন এবং কানকে সরাসরি জলের সংস্পর্শ থেকে রক্ষা করুন।
২. কানে কিছু ঢোকানো থেকে বিরত থাকুন:
- কটন বাড বা অন্য কোনো বস্তু ব্যবহার করবেন না: কানের ভেতরে কটন বাড, কানের কাঠি, চুলের কাঁটা বা অন্য কোনো ধারালো জিনিস ঢোকাবেন না, কারণ এতে পর্দার ছিদ্র আরও বড় হতে পারে বা সংক্রমণ বাড়তে পারে।
৩. নাক পরিষ্কার রাখুন এবং অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করা থেকে বিরত থাকুন:
- নাক জোরে ঝাড়বেন না: যদি আপনার সর্দি থাকে, তাহলে নাক জোরে ঝাড়বেন না। এতে কানের ওপর চাপ পড়তে পারে এবং পর্দার ছিদ্রের ক্ষতি হতে পারে।
- আলতোভাবে নাক ঝাড়ুন অথবা ড্রেন হতে দিন। হাঁচি দেওয়ার সময় মুখ খোলা রাখুন: হাঁচি দেওয়ার সময় মুখ কিছুটা খোলা রাখলে কানের ওপর চাপ কম পড়ে।
৪. ব্যথা ব্যবস্থাপনার জন্য:
- যদি ব্যথা থাকে, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্যারাসিটামল (Paracetamol) বা আইবুপ্রোফেন (Ibuprofen) এর মতো ব্যথানাশক ঔষধ গ্রহণ করতে পারেন। তবে, এই ঔষধগুলো কেবল ব্যথা কমায়, কানের পর্দার ছিদ্র ঠিক করে না।
৫. যেকোনো সংক্রমণ প্রতিরোধ করুন:
- যদি কানের পর্দা ছিদ্র হয়, তাহলে সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। তাই, কোনো অস্বাভাবিক লক্ষণ (যেমন পুঁজ পড়া, দুর্গন্ধ, জ্বর) দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন।
- চিকিৎসক প্রয়োজন অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ বা মুখে খাওয়ার অ্যান্টিবায়োটিক দিতে পারেন। তবে, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ড্রপ ব্যবহার করবেন না, বিশেষ করে যদি কানের পর্দা ছিদ্র থাকে।
চিকিৎসকের পরামর্শের পর যা হতে পারে:
পর্যবেক্ষণ: ছোট ছিদ্রগুলি সাধারণত কয়েক সপ্তাহ বা মাসের মধ্যে নিজে থেকেই সেরে যায়। চিকিৎসক সাধারণত কিছুদিন পর্যবেক্ষণে রাখার পরামর্শ দেন।
অ্যান্টিবায়োটিক:
- যদি সংক্রমণ থাকে বা সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে, তাহলে চিকিৎসক অ্যান্টিবায়োটিক ইয়ার ড্রপ বা মুখে খাওয়ার অ্যান্টিবায়োটিক দিতে পারেন।
সার্জারি (টিমপ্যানোপ্লাস্টি - Tympanoplasty):
- যদি ছিদ্রটি নিজে নিজে না সারে বা বড় হয়, তাহলে কানের পর্দা মেরামতের জন্য অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হতে পারে। এই অস্ত্রোপচারকে টিমপ্যানোপ্লাস্টি বলা হয়।
- এটি একটি সফল প্রক্রিয়া যা শ্রবণশক্তি পুনরুদ্ধার করতে এবং ভবিষ্যতে সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
মনে রাখবেন, কানের পর্দা ছিদ্র হলে এটিকে ছোট সমস্যা মনে করে অবহেলা করবেন না। দ্রুত একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া আপনার কানের সুস্থতার জন্য অত্যন্ত জরুরি।
আপনার পছন্দ ও প্রয়োজন হতে পারে এমন আরো পোস্টের তালিকা
- কলা খাওয়ার উপকারিতা -গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা
- আলু বোখারার উপকারিতা ও অপকারিতা
- অতিরিক্ত চুল পড়ার কারণ ও প্রতিকার
- ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর ১০ লক্ষণ
- আলমারি থেকে তেলাপোকা দূর করার উপায়
- নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
- চুলের যত্ন ঘরোয়া উপায়সহ বিস্তারিত জানুন
- আগুনে পুড়ে ফোসকা পড়লে করণীয়
- শিশুর নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ ও প্রতিকারG 7 ভুক্ত দেশ মনে রাখার কৌশল
- বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন - বাংলাদেশের প্রথম
- ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা
- নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
- ব্রেস্ট টিউমার চেনার উপায়
- চর্মরোগ থেকে মুক্তির উপায় - চর্ম রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা
উপসংহার
আজ কান পাকা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা জেনে নিন নিয়ে আলোচনা করলাম। আগামীতে ভালো কোনো বিষয় নিয়ে হাজির হবো। আশা করছি উপরের কান পাকা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা জেনে নিন বিষয়ে আলোচনা আপনার ভালো লেগেছে। যদি এ বিষয়ে কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানান । আমাদের ফলো করে সাথেই থাকুন।
জমজম আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url