সচিবালয় কর্মচারীদের পদনাম পরিবর্তনে ৯ যৌক্তিকতা তুলে ধরল সরকার একটু দেখে নিন
ভূমিকা
সুপ্রিয় পাঠক আজকাল অনেকেই অনলাইনে জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী ১৫% বিশেষ সুবিধা প্রাপ্তিতে ১০ম-২০তম গ্রেডে কার কত টাকা বাড়ছে নিয়ে জানতে চান। আপনিও হয়তো অনেক খোঁজাখুঁজির পর নিশ্চয়ই জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী ১৫% বিশেষ সুবিধা প্রাপ্তিতে ১০ম -২০তম গ্রেডে কার কত টাকা বাড়ছে কি তা জানার জন্যই আমাদের এই সাইটটিতে এসেছেন।
হ্যাঁ আজকে আমি সঠিকভাবে জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী ১৫% বিশেষ সুবিধা প্রাপ্তিতে ১০ম-২০তম গ্রেডে কার কত টাকা বাড়ছে তা নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করব। চলুন এই লেখার মূল বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানতে নিচের লেখা গুলো পুরোপুরি পড়ে নিন।
সচিবালয় কর্মচারীদের পদনাম পরিবর্তনে ৯ যৌক্তিকতা তুলে ধরল সরকার
বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মচারীদের (ক্যাডার বহির্ভূত গেজেটেড কর্মকর্তা এবং নন-গেজেটেড কর্মচারী) পদনাম পরিবর্তনের যৌক্তিকতা তুলে ধরে ৯টি বিষয় আলোকপাত করেছে সরকার।এ বিষয়ে রোববার (১০ আগস্ট) সকালে একটি আন্ত:মন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (বিধি) শামীম সোহেলের সভাপতিত্বে সভাটি বেলা ১১টায় শুরু হয়। এতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, অর্থ বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগ এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সচিবালয় (ক্যাডার বহির্ভূত গেজেটেড কর্মকর্তা এবং নন-গেজেটেড কর্মচারী) নিয়োগ বিধিমালার তফশিলভুক্ত পদধরীদের বর্তমান পদবীর বিপরীতে দায়িত্ব, সুবিধাদি/বেতন গ্রেড, কর্মপরিধি ও পদমর্যাদা অপরিবর্তিত রেখে বাস্তবতার নিরিখে পদনাম পরিবর্তনের যৌক্তিকতা তুলে ধরা হলো-
১) বাংলাদেশ সচিবালয়ের সঙ্গে মাঠ প্রশাসনের ভিন্নতা রয়েছে বিধায় মাঠ প্রশাসনের চেয়ে ভিন্নতর স্বতন্ত্র পদনাম অর্থাৎ বাংলাদেশ সচিবালয়ের সাংগঠনিক কাঠামোর সঙ্গে সংগতি পদনাম নির্ধারণ করা জরুরি।
২) নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ কেন্দ্রীয় ব্যাংক হিসেবে ‘বাংলাদেশ বাংকে’ কর্মরতদের পদনাম অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যাংকে কর্মরতদের পদনামের ভিন্নতা রয়েছে। এছাড়া নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ হিসেবে সুপ্রীম কোর্টে কর্মরতদের পদনাম অন্যান্য নিম্ন আদালতে কর্মরতদের পদনামের ভিন্নতা রয়েছে। অনুরূপভাবে সচিবালয়ের পদনাম মাঠ প্রশাসনের চেয়ে ভিন্নতা থাকা প্রয়োজন।
৩) সহকারী সচিবের ফিডার পদ হচ্ছে প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তা। এ দুটি পদের বেতন গ্রেড-১০ ও মর্যাদা অভিন্ন বিধায় বাস্তবতার আলোকে দু’টি পদকে একীভূতকরণ সময়ের দাবি।
৪) সচিবালয়ের প্রতিটি শাখাতে কর্মরত সাঁট-মুদ্রাক্ষরিক, কম্পিউটার অপারেটর, অফিস সহকারী ও ডাটা এন্ট্রি অপারেটর পদগুলো ভিন্ন ভিন্ন পদনাম ও বেতন গ্রেড ভিন্ন হলেও পদগুলোর দায়িত্ব ও কর্মপরিধি একই এবং তৃতীয় শ্রেণীর পর্যায়ভুক্ত অর্থাৎ ১১-১৬ গ্রেডের। এ পদগুলো প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তার ফিডার পদ। তাই এ পদগুলোকে এক ও অভিন্ন পদবিতে পরিবর্তন করা জরুরি।
৫) এছাড়া মাঠ প্রশাসনে বিশেষ করে বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণীর পর্যায়ভুক্ত ১৩-১৬ গ্রেডের কর্মচারীদের পদনাম পরিবর্তন করে একটি মানসম্মত (স্ট্যান্ডার্ড) নামকরণ করেছে।
৬) এক নিয়োগবিধিতে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে অন্য নিয়োগবিধির আওতায় পদোন্নতির কোনো সুযোগ নেই। তবে সচিবালয় নিয়োগ বিধিমালা, ২০১৪-এর তফশিলের ৪ ও ৫ ক্রমিকে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে যে, The Computer Personnel (Government Organizations) Recruitment Rules, 2019 অনুযায়ী কম্পিউটার অপারেটর ও ডাটা এন্ট্রি অপারেটর প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তার ফিডার পদ। অর্থাৎ শুধু সচিবালয়ে কর্মরত কম্পিউটার অপারেটর ও ডাটা এন্ট্রি অপারেটর পদ দু’টি সচিবালয় নিয়োগ বিধিমালা, ২০১৪-এর তফশিলভুক্ত পদবি হিসেবে গণ্য হবে।
৭) সচিবালয় নিয়োগ বিধিমালা, ২০১৪-এর তফশিলভুক্ত ১১-১৬ গ্রেডের পদগুলো ভিন্ন হওয়ায় পদোন্নতির ক্ষেত্রে সম্মিলিত জ্যেষ্ঠতা তালিকার ওপর অহেতুক বিভিন্ন মামলা-মোকদ্দমার উদ্ভব হয়। কর্মচারীদের মাঝে আন্ত:কলহ ও দুরত্ব বাড়তে থাকে বিধায় এক ও অভিন্ন পদবিতে নামকরণ জরুরি।
৮) সরকারি চাকরিতে পূর্বে প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দ্বারা নিয়োগপ্রাপ্ত এমনকি উচ্চতর বেতন গ্রেড হওয়া সত্ত্বেও সম্মিলিত জ্যেষ্ঠতা তালিকা প্রণয়নের ফলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে সিনিয়ররা জুনিয়র দ্বারা অতিক্রান্ত হয়ে সার্ভিসে ক্ষতিগ্রস্ত হন। পদোন্নতির ক্ষেত্রে জটিলতা তৈরি হয়। অহেতুক বিভিন্ন মামলা-মোকদ্দমার উদ্ভব হয়; বিধায় এক ও অভিন্ন পদবী নির্ধারণ করা জরুরি।
৯) বাস্তবতার আলোকে কাজের পরিধি ও প্রকৃতি বিবেচনায় এক ও অভিন্ন uniformity বজায় রাখতে এবং পদোন্নতি প্রাপ্তির ক্ষেত্রে একটি ভারসাম্যতা বজায় রাখতে পদনাম পরিবর্তন অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায়, বেতন গ্রেড অপরিবর্তিত রেখে পদনাম পরিবর্তন করা হলে এতে সরকারের অতিরিক্ত কোনো অর্থের সংস্থান প্রয়োজন পড়বে না।
এছাড়াও সভায় কমিটির সদস্যদের কাছে আন্ত:মন্ত্রণালয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করা হয়। (সংগৃহিত)
সরকারি কর্মচারীদের ৫% হারে বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি ১ জুলাই
আসুন এখন আর দেরি না করে আমরা সরকারি কর্মচারীদের ৫% হারে বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি ১ জুলাই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি। জমজম আইটির সরকারি কর্মচারীদের ৫% হারে বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি ১ জুলাই নিয়ে বিস্তারিত জানার জন্য নিচের লেখা গুলো পুরোপুরি পড়ে নিন। আপনার জন্য আরো অতিরিক্ত বোনাস হিসেবে সরকারি কর্মচারীদের ৫% হারে বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি ১ জুলাই নিয়ে আলোচনা এখানে চাপ দিয়ে বিস্তারিত জেনে নিন।
সরকারি কর্মচারীদের ৫% হারে বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি ১ জুলাই হয়ে থাকে-এটি চলতি বছরও সচল থাকবে-েএকই সাথে ১৫% বিশেষ সুবিধা যোগ হবে-যদিও বিশেষ সুবিধায় কর্মচারীগন খুব একটা সুযোগ সুবিধা ভোগ করবে না-১ জুলাই মোট বেতন বৃদ্ধি ২০২৫
জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী ১৫% বিশেষ সুবিধা প্রাপ্তিতে ১০ম -২০তম গ্রেডে কার কত টাকা বাড়ছে একটু দেখে নিন।
১০ম গ্রেড ⇨ ১৪০০ টাকা
১১তম গ্রেড ⇨ ৮০০ টাকা
১২তম গ্রেড ⇨ ৬৯৫ টাকা
১৩তম গ্রেড ⇨ ৬৫০ টাকা
১৪তম গ্রেড ⇨ ৫৩০ টাকা
১৫তম গ্রেড ⇨ ৪৫৫ টাকা
১৬তম গ্রেড ⇨ ৩৯৫ টাকা
১৭তম গ্রেড ⇨৩৫০ টাকা
১৮তম গ্রেড ⇨ ৩২০ টাকা
১৯তম গ্রেড ⇨ ২৭৫ টাকা
২০ তম গ্রেড ⇨ ২৩৭ টাকা
২০ গ্রেডে নতুন চাকরি পাওয়াদের কত বাড়বে
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১ম গ্রেড আগে পেত ৭৮০০০×৫%= ৩৯০০/- বাড়বে। এখন পাবে ৭৮০০০×১০%= ৭৮০০/- টাকা। ২০তম গ্রেড আগে পেত ৮২৫০×৫%= ৪১২ (সর্বনিম্ব ১০০০)। এখন পাবে ৮২৫০×১৫%=১২৩৭.৫০ টাকা। ফলাফল কি হলো? ১ম গ্রেড বাড়বে ৩৯০০ টাকা এবং ২০তম গ্রেড বাড়বে ২৩৭ টাকা। যা কোন ভাবেই মানা যায় না কারণ নিম্ন গ্রেডের সাথে বেতন বৃদ্ধির রেশিও ১৬:১ অর্থাৎ বেতন স্কেলে ১০:১ ছিল সেটিকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে বর্তমান সরকার। ইতোপূর্বে কোন সরকার ই এতো নিম্নমানের সুবিধা ঘোষণা করেনি এবং কর্মচারীদের ঠকায় নি। বিশেষ সুবিধা সরকারি চাকুরিজীবী দের জন্য বিশেষভাবে উচ্চগ্রেডের জন্য এসেছে ১ম গ্রেড আগে পেত ৭৮০০০×৫%= ৩৯০০ এবং এখন পাবে ৭৮০০০×১০%= ৭৮০০ পাবে। নিম্নগ্রেডের কর্মচারীদের জন্য অভিশাপ হিসেবে আর্বিভূত হয়েছে যা ২০তম গ্রেড আগে পেত এবং ৮২৫০×৫%= ৪১২ (১০০০) সর্বনিম্ব এখন পাবে ৮২৫০×১৫%=১২৩৭.৫০ টাকা। ১ম গ্রেড বাড়বে ৩৯০০ টাকা অন্যদিকে ২০তম গ্রেড বাড়বে ২৩৭.৫ টাকা। এভাবেই ঘোষণাটি শেষ করা হয়েছে।
জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী প্রাপ্য মূল বেতন বিবরণী
আসুন এখন আর দেরি না করে আমরা জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী প্রাপ্য মূল বেতন বিবরণী বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি। জমজম আইটির জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী প্রাপ্য মূল বেতন বিবরণী নিয়ে বিস্তারিত জানার জন্য নিচের লেখা গুলো পুরোপুরি পড়ে নিন। আপনার জন্য আরো অতিরিক্ত বোনাস হিসেবে জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী প্রাপ্য মূল বেতন বিবরণী নিয়ে আলোচনা এখানে চাপ দিয়ে বিস্তারিত জেনে নিন।
জাতীয় বেতন স্কেল ২০০৯ গেজেট pdf download
জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী বাড়ি ভাড়া
জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ এর সংশোধনী
জাতীয় বেতন স্কেল ১৯৯৭ গেজেট
অর্থ মন্ত্রণালয় জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫
৮ম গ্রেডের বেসিক বেতন কত
আসুন এখন আর দেরি না করে আমরা ৮ম গ্রেডের বেসিক বেতন কত বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি। জমজম আইটির ৮ম গ্রেডের বেসিক বেতন কত নিয়ে বিস্তারিত জানার জন্য নিচের লেখা গুলো পুরোপুরি পড়ে নিন। আপনার জন্য আরো অতিরিক্ত বোনাস হিসেবে ৮ম গ্রেডের বেসিক বেতন কত নিয়ে আলোচনা এখানে চাপ দিয়ে বিস্তারিত জেনে নিন।
৮ম গ্রেড (Grade 8) সরকারি কর্মচারীদের বেসিক মাসিক বেতন শুরু হয় প্রায় ২৩,০০০ টাকা। উদাহরণস্বরূপ, প্রোথম আলো ইংরেজি অনাসারে ৮ম গ্রেডের সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য নতুন জাতীয় পে-স্কেলে বেসিক বেতন নির্ধারিত হয়েছে ২৩,০০০ টাকা
বাংলাদেশে ১৩তম গ্রেডের বেতন স্কেল কত
আসুন এখন আর দেরি না করে আমরা বাংলাদেশে ১৩তম গ্রেডের বেতন স্কেল কত বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি। জমজম আইটির বাংলাদেশে ১৩তম গ্রেডের বেতন স্কেল কত নিয়ে বিস্তারিত জানার জন্য নিচের লেখা গুলো পুরোপুরি পড়ে নিন। আপনার জন্য আরো অতিরিক্ত বোনাস হিসেবে বাংলাদেশে ১৩তম গ্রেডের বেতন স্কেল কত নিয়ে আলোচনা এখানে চাপ দিয়ে বিস্তারিত জেনে নিন।
১৩তম গ্রেডে সরকারি কর্মচারীদের মূল (বেসিক) বেতন স্কেল হচ্ছে:
১১,০০০ – ২৬,৫৯০ টাকা পর্যন্ত
🧮 বেতন স্কেলের ধাপসমূহ (Fixation Points)
স্কেল অনুযায়ী বেতন সাধারণত বছরে একবার ক্রমে বৃদ্ধি পায়। Beton Update অনুসারে বর্তমান ফিক্সড বেতন ধাপগুলো:
১১,০০০ → ১১,৫৫০ → ১২,১৩০ → ১২,৭৪০ → ১৩,৩৮০ → ১৪,০৫০ → ১৪,৭৬০ → ১৫,৫০০ → ১৬,২৮০ → ১৭,১০০ → ১৭,৯৬০ → ১৮,৮৬০ → ১৯,৮১০ → ২০,৮১০ → ২১,৮৬০ → ২২,৯৬০ → ২৪,১১₀ → ২৫,৩২০ → ২৬,৫৯০
কোন গ্রেডে কোন শ্রেণী রয়েছে
বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে গ্রেড (Grade) এবং ক্লাস বা শ্রেণী (Class) উভয় ব্যবস্থাই প্রচলিত আছে। তবে ২০১৫ সালের জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী গ্রেডভিত্তিক কাঠামো চালু হয়, যা ধীরে ধীরে "ক্লাস" পদ্ধতির জায়গা নেয়। তবুও এখনো অনেক ক্ষেত্রে "১ম শ্রেণি", "২য় শ্রেণি", ইত্যাদি শব্দগুলো ব্যবহৃত হয়।
নিচে গ্রেড ও শ্রেণির একটি সম্পর্ক চিত্র দেওয়া হলো: আসুন এখন আর দেরি না করে আমরা কোন গ্রেডে কোন শ্রেণী রয়েছে বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি। জমজম আইটির কোন গ্রেডে কোন শ্রেণী রয়েছে নিয়ে বিস্তারিত জানার জন্য নিচের লেখা গুলো পুরোপুরি পড়ে নিন। আপনার জন্য আরো অতিরিক্ত বোনাস হিসেবে কোন গ্রেডে কোন শ্রেণী রয়েছে নিয়ে আলোচনা এখানে চাপ দিয়ে বিস্তারিত জেনে নিন।
গ্রেড অনুযায়ী শ্রেণী বিভাজন
গ্রেড (Grade) শ্রেণি (Class) উদাহরণ (পদবী)
১ম – ৯ম গ্রেড প্রথম শ্রেণি (Class I) বিসিএস ক্যাডার, সিনিয়র অফিসার, ডাক্তার
১০ম – ১১তম গ্রেড দ্বিতীয় শ্রেণি (Class II) সহকারী শিক্ষক, এক্সিকিউটিভ অফিসার
১২তম – ১৬তম গ্রেড তৃতীয় শ্রেণি (Class III) জুনিয়র ক্লার্ক, হিসাব সহকারী ইত্যাদি
১৭তম – ২০তম গ্রেড চতুর্থ শ্রেণি (Class IV) অফিস সহায়ক, নিরাপত্তা প্রহরী ইত্যাদি
বিস্তারিত বিশ্লেষণ:
🥇 প্রথম শ্রেণি (1st Class)
গ্রেড: ১ম থেকে ৯ম
যোগ্যতা: অধিকাংশ ক্ষেত্রে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি ও বিসিএস/প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা
পদবী: প্রশাসনিক ক্যাডার, বিসিএস স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পুলিশ, ইঞ্জিনিয়ার, প্রফেসর ইত্যাদি।
🥈 দ্বিতীয় শ্রেণি (2nd Class)
গ্রেড: ১০ম ও ১১তম
যোগ্যতা: স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি
পদবী: সহকারী শিক্ষক, সাব-রেজিস্টার, এক্সিকিউটিভ অফিসার (ইউনিয়ন/পৌরসভা)
🥉 তৃতীয় শ্রেণি (3rd Class)
গ্রেড: ১২ থেকে ১৬
যোগ্যতা: এসএসসি / এইচএসসি / ডিপ্লোমা
পদবী: অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর, হিসাব সহকারী, ক্লার্ক
🧹 চতুর্থ শ্রেণি (4th Class)
গ্রেড: ১৭ থেকে ২০
যোগ্যতা: সাধারণত অষ্টম শ্রেণি বা এসএসসি পাস
পদবী: অফিস সহায়ক (পিয়ন), দারোয়ান, ঝাড়ুদার, মালি ইত্যাদি
শ্রেণিভিত্তিক নিয়োগ আগে প্রচলিত ছিল, এখন গ্রেড অনুযায়ী নিয়োগ ও বেতন কাঠামো কার্যকর।
PSC/বিভিন্ন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি-তে এখনো "১ম শ্রেণির গেজেটেড", "২য় শ্রেণির কর্মকর্তা" ইত্যাদি বলা হয়।
১ম শ্রেণির গেজেটেড অফিসার মানেই সাধারণত ৯ম গ্রেডের ভিতরে থাকতে হবে।
৯ম গ্রেডের মোট বেতন কত
নবম (৯ম) গ্রেডের মূল ও মোট বেতন কাঠামো নিচে সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো:
🧾 মূল (Basic) বেতন
শুরুতে: 22,000 টাকা
বার্ষিক ইনক্রিমেন্টের মাধ্যমে বৃদ্ধি পেয়ে সর্বোচ্চ: 53,060 টাকা
মোট বেতন (ভাতা সহ)
মোট বেতন প্রায়: 37,700 টাকা
কেটে নেওয়া ছাড়ানোর পর হাতে প্রায়: 33,000 টাকা
ভাতাসমূহের উদাহরণ (9ম গ্রেড):
বাসা ভাড়া ভাতা (৬০%): ~13,200 টাকা
চিকিৎসা ভাতা: 1,500 টাকা
টিফিন: 300 টাকা
যাতায়াত: 700 টাকা
শিক্ষা ভাতা (দুই সন্তানের জন্য): 1,000 টাকা→ মোট ভাতা: ~১৫,৭০০ টাকা
মূল বেতন + ভাতা = ৩৭,৭০০ টাকা, কাটছাঁট পর প্রায় ৩৩,০০০ টাকা হাতে।
📈 ইনক্রিমেন্ট ধাপসমূহ
বছরে একবার মুখ্য বেতন ৫% হারে বৃদ্ধি পায়, যা প্রারম্ভিক ২২,০০০ → ২৩,১০০ → ২৪,২৬০ করে প্রগতিশীলভাবে ৫৩,০৬০ টাকায় পৌঁছে
বিষয় পরিমাণ
মূল বেতন ২২,০০০ – ৫৩,০৬০ টাকা
মোট বেতন (ভাতাসহ) আনুমানিক ৩৭,৭০০ টাকা
হাতে প্রাপ্ত প্রায় প্রায় ৩৩,০০০ টাকা
ভাতাগুলো বাসাবাড়ি, চিকিৎসা, যাতায়াত, টিফিন, শিক্ষা
বাংলাদেশে ১৩তম গ্রেডের বেতন স্কেল কত
আসুন এখন আর দেরি না করে আমরা বাংলাদেশে ১৩তম গ্রেডের বেতন স্কেল কত বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি। জমজম আইটির বাংলাদেশে ১৩তম গ্রেডের বেতন স্কেল কত নিয়ে বিস্তারিত জানার জন্য নিচের লেখা গুলো পুরোপুরি পড়ে নিন। আপনার জন্য আরো অতিরিক্ত বোনাস হিসেবে বাংলাদেশে ১৩তম গ্রেডের বেতন স্কেল কত নিয়ে আলোচনা এখানে চাপ দিয়ে বিস্তারিত জেনে নিন।
১৩তম গ্রেডের সরকারি কর্মচারীদের মূল (basic) মাসিক বেতন শুরু হয় ১১,০০০ টাকা থেকে এবং সর্বোচ্চ পৌঁছায় ২৬,৫৯০ টাকা পর্যন্ত
Fixation ধাপসমূহ (ধাপভিত্তিক বেতন বৃদ্ধি)
১৩তম গ্রেডে মোট ১৯টি ধাপ রয়েছে, প্রতি ধাপে ধাপে বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি পেয়ে ধীরে ধীরে সর্বোচ্চ স্কেলে উন্নীত হয়:
11 000 → 11 550 → 12 130 → 12 740 → 13 380 → 14 050 → 14 760 → 15 500 → 16 280 →
17 100 → 17 960 → 18 860 → 19 810 → 20 810 → 21 860 → 22 960 → 24 110 → 25 320 → 26 590
গ্রেড: ১৩
মূল বেতন স্কেল: ১১,০০০–২৬,৫৯০ টাকা
Fixation ধাপ: মোট ১৯টি ধাপ
বার্ষিক বৃদ্ধি হার: প্রতি বছর মূল বেতনের নির্দিষ্ট পরিমাণ বেড়ে পরবর্তী ধাপে চলে যায়
ভাতা ও মোট আয়
এছাড়াও, ভাড়া ভাতা, চিকিৎসা ভাতা, টিফিন ভাতা ইত্যাদি যোগ করলে মোট আয় সাধারণভাবে ২০–২২ হাজার টাকার কাছাকাছি হতে পারে—অবশ্য ভাতার হার ও চাকরির ধরন (উপজেলা/জেলা/ঢাকা) অনুসারে তা ওঠানামা করে
১৩তম গ্রেডে:
মূল বেতন: ১১,০০০ টাকা থেকে শুরু হয়ে ধাপে ধাপে বার্ষিক বৃদ্ধি পেয়ে সর্বোচ্চ ২৬,৫৯০ টাকা-তে যায়।
Fixation ধাপ: ১৯টি ধাপে স্থির।
মোট আয় (ভাতা সহ): সাধারণত ২০–২২ হাজার টাকা এর কাছাকাছি।
16 তম গ্রেডের পেনশন কত
আসুন এখন আর দেরি না করে আমরা 16 তম গ্রেডের পেনশন কত বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি। জমজম আইটির 16 তম গ্রেডের পেনশন কত নিয়ে বিস্তারিত জানার জন্য নিচের লেখা গুলো পুরোপুরি পড়ে নিন। আপনার জন্য আরো অতিরিক্ত বোনাস হিসেবে 16 তম গ্রেডের পেনশন কত নিয়ে আলোচনা এখানে চাপ দিয়ে বিস্তারিত জেনে নিন।
১৬তম গ্রেডে পেনশন নির্ভর করে চাকুরীর সময়কাল, শেষ বেতন এবং সরকারি নীতি অনুসারে।
🧾 উদাহরণস্বরূপ হিসেব
একজন ১৬তম গ্রেডের সরকারি কর্মচারী যদি প্রায় ২৭ বছর চাকরি করেন, তাহলে একটি ফেসবুক গ্রুপে তারা পেনশন হিসেবে উল্লেখ করেছেন:
মাসিক পেনশন: প্রায় ৳১১,৬২০
গ্ৰাচ্যুইটি (lump sum): প্রায় ৳৩ লাখ
এবং জিপিএফ জমা ফেরতও পাওয়া যায়
📊 পেনশন গণনার মূল সূত্র
সরকারি চাকুরীর পেনশনের হার নির্ধারিত:
সাধারণভাবে পেনশনযোগ্য সময় বাড়ার সঙ্গে নির্দিষ্ট শতাংশে বৃদ্ধি পায়।
১ম গ্রেড থেকে ১৬তম গ্রেড পর্যন্ত সময়ের উপর ভিত্তি করে ২০% থেকে ৯০% পর্যন্ত নির্ধারণের সুপারিশ রয়েছে ।
বিষয় উদাহরণ/বিবরণ
শেষ বেতন ১৬গ্রেডে সর্বোচ্চ মূল বেতন ~ ৳২২,৪৯০
চাকুরীকাল উদাহরণে ≈২৭ বছর
মাসিক পেনশন ≈ ৳১১,৬২০
গ্রাচ্যুইটি (lump sum) ≈ ৳৩ লাখ
(GPF) চাকরীর সময়কাল অনুযায়ী ফেরত যোগ হয়
১৬তম গ্রেডের একজন কর্মচারী দীর্ঘকাল চাকরি শেষে প্রায় ১৫‑১৮ হাজার টাকা মাসিক পেনশন পান।
গ্রাচ্যুইটি এককালীন ≈ ৩ লাখ টাকা এবং জিপিএফ জমা ফেরত পাওয়া যায়।
বাস্তব পরিমাণ নির্ভর করবে শেষ বেতন, সেবাকাল ও গ্রেডের উপর।
সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারীদের নতুন বেতনকাঠামো নির্ধারণে পে কমিশন গঠন
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নতুন বেতনকাঠামো নির্ধারণের জন্য পে কমিশন গঠন করা হয়েছে। এ কমিশনের প্রধান করা হয়েছে সাবেক অর্থসচিব ও পল্লী কর্ম–সহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খানকে। এই কমিশনকে ছয় মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
- চলতি ২০২৫ সালের ২৪ জুলাই মাসের বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এই কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এ তথ্য জানিয়েছে।
- বর্তমানে ২০১৫ সালের পে স্কেল অনুসারে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বেতন–ভাতা পান। বর্তমানে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন প্রায় ১৫ লাখ।
দুই বছরের বেশি সময় ধরে দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজমান। এতে মানুষের প্রকৃত আয় কমে যাচ্ছে। এমন প্রেক্ষাপটে নতুন বেতনকাঠামো নির্ধারণে নতুন পে কমিশন গঠন করা হলো।
আপনার পছন্দ হতে পারে এমন আরো পোস্টের তালিকা প্রশ্ন উত্তরসহ বিস্তারিত জেনে নিন
- অফিস সহায়ক এর কাজ কি
- বাংলাদেশিরা ভিসা ছাড়া কয়টি দেশে যেতে পারে
- পুরাতন দলিল বের করুন খুব সহজে নিজের মোবাইল দিয়ে
- অনলাইনে নামজারি করতে কি কি লাগে
- শ্রান্তি বিনোদন ছুটির আবেদন ফরম pdf
- নামজারি খতিয়ান চেক করার নিয়ম
- কম্পিউটার কে কবে আবিষ্কার করেন
- কম্পিউটার mcq প্রশ্ন ও উত্তর
- কম্পিউটার ধীরগতির সমস্যার সমাধান - কম্পিউটারের সমস্যা ও সমাধান
- admission result national university - admission result
- কৃষি ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার রচনা - কৃষি ক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার
- ত্রিভুজ কাকে বলে কত প্রকার ও কী কী
গড় বেতনে অর্জিত ছুটির হিসাব করার উপায় ?
অবকাশ বিভাগের ছুটির নিয়ম কী? অবকাশ বিভাগের ছুটি গড় বেতনে না অর্ধগড় বেতনে অর্জন করবে?
অবকাশ বিভাগের ছুটির নিয়ম কী? অবকাশ বিভাগের ছুটি গড় বেতনে না অর্ধগড় বেতনে অর্জন করবে?
EL এবং CL ছুটি কী?
আউটসোর্সিং কর্মীদের ছুটির কি কোন নীতিমালা আছে?
গার্মেন্টস-এর চাকরি হতে অব্যাহতি দিলে কি ছুটি কাটানোর নিয়ম আছে?
নৈমিত্তিক ছুটি (C L) ভোগ করার জন্য কী প্রক্রিয়া অনুসরণ করবেন?
এক সঙ্গে কতদিন সর্বোচ্চ নৈমিত্তিক ছুটি নেওয়া যায়
উপসংহার
আজ জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী ১৫% বিশেষ সুবিধা প্রাপ্তিতে ১০ম -২০তম গ্রেডে কার কত টাকা বাড়ছে নিয়ে আলোচনা করলাম। আগামীতে ভালো কোনো বিষয় নিয়ে হাজির হবো। আশা করছি উপরের জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী ১৫% বিশেষ সুবিধা প্রাপ্তিতে ১০ম -২০তম গ্রেডে কার কত টাকা বাড়ছে বিষয়ে আলোচনা আপনার ভালো লেগেছে। যদি এ বিষয়ে কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানান । আমাদের ফলো করে সাথেই থাকুন।
জমজম আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url