ডিসি অফিসে সার্টিফিকেট সহকারী কাজ কি জেনে নিন

ভূমিকা

• বিভিন্ন নথি বা ফাইল সঠিকভাবে সর্টিং করে তাকে র্যাকে সুসজ্জিত করে রাখা। পুরাতন বা জীর্ণ ফাইল কভার পরিবর্তন করে নতুন ফাইল কভার লাগানো এবং ফাইলের উপর কম্পিউটারে কম্পোজ করে নথির বিষয়, নথি নম্বর, পূর্ববর্তী নথির সূত্র, নথি বন্ধের তারিখ ইত্যাদি প্রয়োজনীয় বিষয় লিপিবদ্ধ করা।

• বিভিন্ন ফাইল বাঁধাই করার ব্যবস্থা করা।

• কম্পিউটার কম্পোজে বাংলা ও ইংরেজিতে দ্রুত টাইপ করার দক্ষতা থাকা এবং ওয়ার্ড প্রসেসিং, স্প্রেডশিট, প্রেজেন্টেশন এবং বেসিক কম্পিউটার ট্রাবলশুটিং-এ দক্ষতা থাকা। বিল তৈরি করা এবং অন্যান্য কম্পিউটার সংক্রান্ত কাজ করা।

• যাতায়াতের গাড়ি ভাড়ার নোট করা, গাড়ি ভাড়া সংগ্রহ করে চালান তৈরি করে হিসাব শাখায় পাঠানো।

• বিভিন্ন ধরনের চিঠি তৈরি করা এবং সেগুলো বিতরণ করা।

• জেনারেল সার্টিফিকেট অফিসারের কোর্ট পরিদর্শনে সহায়তা করা।

• প্রয়োজন অনুসারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশিত অন্যান্য দাপ্তরিক কাজ সম্পাদন করা।

• নথিপত্র ব্যবস্থাপনা: মামলার সকল নথি, কাগজপত্র, দলিলপত্র ইত্যাদি সংগ্রহ, সংরক্ষণ এবং সুবিন্যস্ত করে রাখা। বিচারকার্য চলাকালীন বিচারকের প্রয়োজন অনুসারে দ্রুত নথি সরবরাহ করা।
• আদালতের কার্যক্রম পরিচালনায় সহায়তা: বিচারক এজলাসে বসার আগে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত রাখা, বিচার চলাকালীন কার্যবিবরণী লিপিবদ্ধ করা, রায় বা আদেশ লেখার সময় বিচারককে সহযোগিতা করা।
• কোর্ট পিটিশনের কাজ: বিভিন্ন আবেদন, দরখাস্ত (যেমন: জামিন আবেদন, ওকালতনামা) গ্রহণ করা এবং সেগুলোর প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করা।
• আদেশ ও রায় বাস্তবায়নে সহায়তা: বিচারকের আদেশ বা রায়ের কপি প্রস্তুত করা এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা।
• মামলার তালিকা প্রস্তুত: প্রতিদিনের শুনানির জন্য মামলার তালিকা (কজ লিস্ট) তৈরি করা এবং তা নোটিশ বোর্ডে টাঙিয়ে দেওয়া।
• সাক্ষী ও জবানবন্দি সম্পর্কিত কাজ: সাক্ষীদের উপস্থিতি নিশ্চিতকরণে সহায়তা করা, তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করতে সহায়তা করা।
• আর্থিক লেনদেন সম্পর্কিত কাজ: আদালতের ফি, জরিমানা ইত্যাদি সংক্রান্ত আর্থিক লেনদেনের হিসাব রাখা এবং জমা দিতে সহায়তা করা। (তবে, ইদানীং ঘুষ ও অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এই বিষয়ে কঠোর নীতি গ্রহণ করা হয়েছে এবং অনেক ক্ষেত্রে আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে বেঞ্চ সহকারীদের ক্ষমতা সীমিত করা হচ্ছে)।

• বিচারক বা ঊর্ধ্বতন আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী যেকোনো দাপ্তরিক কাজ সম্পাদন করা।

• আধুনিক বিচার ব্যবস্থায় কম্পিউটার এবং অন্যান্য প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে। তাই বেঞ্চ সহকারীদের কম্পিউটার টাইপিং, ডাটা এন্ট্রি এবং অন্যান্য কম্পিউটার সংক্রান্ত কাজ করার দক্ষতা থাকা জরুরি।

• বিভিন্ন ধরনের সার্টিফিকেট মামলার (যেমন: ভূমি উন্নয়ন কর বকেয়া, সরকারি পাওনা আদায় ইত্যাদি) নথি প্রস্তুত, সংরক্ষণ এবং উপস্থাপন করা। এই নথিগুলোতে জমির মালিকানা, বকেয়া টাকার পরিমাণ, নোটিশ জারি, শুনানি ইত্যাদি বিস্তারিত তথ্য থাকে।

• ভূমি সংক্রান্ত সার্টিফিকেট মামলার বিচারিক কার্যক্রমে বিচারকের (সাধারণত সহকারী কমিশনার-ভূমি বা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) সহকারী হিসেবে কাজ করা। বিচারকের নির্দেশ অনুযায়ী নথি উপস্থাপন করা, মামলার অগ্রগতি লিপিবদ্ধ করা এবং আদেশ বা রায় তৈরিতে সহায়তা করা।

• সার্টিফিকেট মামলার সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন বিল তৈরি করা, যেমন - নোটিশ জারি ফি, যাতায়াত ভাতা, এবং অন্যান্য আদায়যোগ্য পাওনা। এসব বিলের সঠিক হিসাব রাখা এবং সরকারি কোষাগারে জমা নিশ্চিত করা।

• সার্টিফিকেট মামলার নোটিশ প্রস্তুত করা এবং যথাযথভাবে সংশ্লিষ্ট পক্ষদের কাছে জারি করার ব্যবস্থা করা।

• সার্টিফিকেট মামলার রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে ভূমি রেকর্ড ও খতিয়ান হালনাগাদ করার কাজে সহায়তা করা।

• সার্টিফিকেট মামলার মাধ্যমে আদায়কৃত অর্থ সংগ্রহ এবং তা সরকারি খাতে জমা দেওয়ার প্রক্রিয়ায় সহায়তা করা।

• সার্টিফিকেট মামলার অগ্রগতি, আদায়কৃত অর্থের পরিমাণ এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট তথ্য নিয়ে নিয়মিত প্রতিবেদন তৈরি করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো।

• ভূমি অফিসের অনেক কাজ এখন ডিজিটালাইজড হচ্ছে। তাই সার্টিফিকেট পেশকারকে কম্পিউটার কম্পোজ, ডাটা এন্ট্রি এবং সংশ্লিষ্ট সফটওয়্যারের ব্যবহার জানতে হয়।

• প্রয়োজন অনুসারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশিত অন্যান্য দাপ্তরিক কাজ সম্পাদন করা, যা ভূমি রাজস্ব প্রশাসন এবং সার্টিফিকেট সংক্রান্ত কার্যক্রমের সাথে সম্পর্কিত।

• জমি ক্রয়, উত্তরাধিকার, দান, বা অন্য কোনো উপায়ে মালিকানা পরিবর্তন হলে নতুন মালিকের নামে রেকর্ড হালনাগাদ করার জন্য যে আবেদন আসে (নামজারি বা মিউটেশন), সেগুলো গ্রহণ করা। আবেদনপত্রের সঙ্গে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র (যেমন - দলিল, খতিয়ান, ওয়ারিশ সনদ, ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের দাখিলা ইত্যাদি) সঠিকভাবে সংযুক্ত আছে কিনা তা প্রাথমিক যাচাই করা।

• মিউটেশন কেস ফাইল প্রস্তুত করা, নথিপত্র সঠিকভাবে সাজিয়ে রাখা, এবং কেস নম্বরের ভিত্তিতে সংরক্ষণ করা।

• বর্তমানে ই-মিউটেশন বা অনলাইন নামজারি প্রক্রিয়া চালু রয়েছে। মিউটেশন কাম সার্টিফিকেট সহকারীর দায়িত্ব হতে পারে অনলাইনে আবেদনপত্র পূরণ, প্রয়োজনীয় দলিলপত্র স্ক্যান করে আপলোড, এবং অনলাইন সিস্টেমের মাধ্যমে কেসের অগ্রগতি অনুসরণ করা।

• তহসিলদার বা কানুনগোর তদন্ত প্রক্রিয়ায় সহায়তা করা, প্রয়োজনীয় রেকর্ড সরবরাহ করা।

• সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্তৃক পরিচালিত নামজারির শুনানিতে উপস্থিত পক্ষদের তথ্য ও নথি উপস্থাপনে সহায়তা করা।

• নামজারি মঞ্জুর হওয়ার পর নতুন খতিয়ান (Record of Right) প্রস্তুত করা এবং আবেদনকারীকে ডিসিআর (Duplicate Carbon Receipt) ফি পরিশোধের পর সরবরাহ করা। খতিয়ানে জমির মালিকের নাম, মৌজা, দাগ নম্বর, পরিমাণ, হিস্যা, এবং ভূমি উন্নয়ন করের পরিমাণ লিপিবদ্ধ থাকে।

• নামজারি সম্পন্ন হওয়ার পর ভূমি রেকর্ড ও রেজিস্টারে প্রয়োজনীয় তথ্য হালনাগাদ করা।

• ভূমি উন্নয়ন কর বা সরকারি অন্য কোনো পাওনা বকেয়া থাকলে তার আদায়ের জন্য যে সার্টিফিকেট মামলা দায়ের করা হয়, সেই সংক্রান্ত নথি প্রস্তুত, সংরক্ষণ এবং উপস্থাপন করা।

• সার্টিফিকেট মামলার নোটিশ প্রস্তুত করা এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষদের কাছে জারি করার ব্যবস্থা করা।

• আদায়কৃত ভূমি উন্নয়ন কর বা অন্যান্য সরকারি পাওনা বাবদ প্রাপ্ত অর্থের হিসাব রাখা, চালান তৈরি করে সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করা।

• সার্টিফিকেট মামলার শুনানিতে পেশকার বা বিচারকের (সাধারণত সহকারী কমিশনার-ভূমি) নির্দেশ অনুযায়ী নথি উপস্থাপন করা, মামলার অগ্রগতি লিপিবদ্ধ করা এবং আদেশ বা রায় তৈরিতে সহায়তা করা।

• সার্টিফিকেট মামলার অগ্রগতি ও আদায়কৃত অর্থের বিষয়ে নিয়মিত প্রতিবেদন তৈরি করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো।

• বাংলা ও ইংরেজিতে দ্রুত টাইপিং, ওয়ার্ড প্রসেসিং, স্প্রেডশিট (যেমন এক্সেল) এবং অন্যান্য কম্পিউটার প্রোগ্রামে দক্ষতা থাকা। যেহেতু ভূমি অফিসের অনেক কাজ এখন ডিজিটাল পদ্ধতিতে সম্পন্ন হয়, তাই কম্পিউটার জ্ঞান অপরিহার্য।

• অফিসের সকল নথি ও ফাইল সঠিকভাবে সর্টিং করে তাকে র্যাকে সুসজ্জিত করে রাখা। পুরাতন বা জীর্ণ ফাইল কভার পরিবর্তন করে নতুন ফাইল কভার লাগানো।

সার্টিফিকেট পেশকার কি

সার্টিফিকেট পেশকার পরীক্ষার প্রশ্ন