গ্রীন ভ্যালী পার্ক, নাটোর - লালপুর গ্রীনভ্যালী পার্ক বিস্তারিত জেনে নিন
ভূমিকা
সুপ্রিয় পাঠক আজকাল অনেকেই অনলাইনে গ্রীন ভ্যালী পার্ক, নাটোর - লালপুর গ্রীনভ্যালী পার্ক নিয়ে জানতে চান। আপনিও হয়তো অনেক খোঁজাখুঁজির পর নিশ্চয়ই গ্রীন ভ্যালী পার্ক, নাটোর - লালপুর গ্রীনভ্যালী পার্ক কি তা জানার জন্যই আমাদের এই সাইটটিতে এসেছেন।
হ্যাঁ আজকে আমি সঠিকভাবে গ্রীন ভ্যালী পার্ক, নাটোর - লালপুর গ্রীনভ্যালী পার্ক তা নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করব। চলুন এই লেখার মূল বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানতে নিচের লেখা গুলো পুরোপুরি পড়ে নিন।
গ্রীন ভ্যালী পার্ক, নাটোর বিস্তারিত জেনে নিন
গ্রীন ভ্যালী পার্ক নাটোর জেলার একটি জনপ্রিয় বিনোদনকেন্দ্র, যা পরিবার ও বন্ধুদের জন্য চমৎকার ভ্রমণস্থান হিসেবে পরিচিত। প্রাকৃতিক সবুজ পরিবেশ, লেক, ফুলের বাগান, নান্দনিক ভাস্কর্য ও শিশুদের খেলাধুলার ব্যবস্থা পার্কটির আকর্ষণ বাড়িয়েছে। এখানে দর্শনার্থীরা নৌকা ভ্রমণ, পিকনিক ও ফটোসেশনের সুযোগ পান। শহরের ব্যস্ততা থেকে মুক্ত হয়ে কিছু সময় শান্তিপূর্ণ পরিবেশে কাটানোর জন্য এটি উপযুক্ত স্থান। বিশেষ করে ছুটির দিনে অসংখ্য মানুষ এখানে আসে বিনোদনের খোঁজে। নাটোরে ঘুরতে গেলে গ্রীন ভ্যালী পার্ক ভ্রমণ একটি আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতা হয়ে থাকে।
নাটোর লালপুর পার্ক বিস্তারিত জেনে নিন
নাটোরের লালপুর পার্ক একটি জনপ্রিয় বিনোদন ও দর্শনীয় স্থান, যা স্থানীয় ও বাইরের দর্শনার্থীদের কাছে সমানভাবে আকর্ষণীয়। সবুজে ঘেরা এই পার্কটি পরিবার ও বন্ধুদের নিয়ে বিশ্রাম, পিকনিক ও অবসর কাটানোর জন্য আদর্শ স্থান। পার্কে রয়েছে সুন্দর ফুলের বাগান, শিশুদের খেলাধুলার স্থান, বসার বেঞ্চ, দোলনা ও মনোরম লেক। সন্ধ্যায় আলোয় ঝলমলে পরিবেশ পার্কটিকে আরও মনোমুগ্ধকর করে তোলে। ছুটির দিন ও উৎসবের সময় এখানে ভিড় জমে প্রচুর মানুষের। লালপুর পার্ক নাটোরের অন্যতম সুন্দর ভ্রমণ স্থান হিসেবে পর্যটকদের মনে জায়গা করে নিয়েছে।
নটোর লালপুর পার্ক সম্ভবত গ্রীন ভ্যালি পার্ক। এটি লালপুর উপজেলাতে অবস্থিত। পার্কটি প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকে। Google Maps এ এই পার্কের রেটিং ৪.২।
গ্রীন ভ্যালী পার্ক কিভাবে যাবেন বিস্তারিত জেনে নিন
গ্রীন ভ্যালী পার্ক নাটোর শহরের অদূরে অবস্থিত, যা সহজেই যেকোনো স্থান থেকে যাওয়া যায়। নাটোর শহর থেকে রিকশা, অটোরিকশা বা স্থানীয় বাসে স্বল্প ভাড়ায় পার্কে পৌঁছানো সম্ভব। রাজশাহী, বগুড়া বা ঢাকার দিক থেকে আসলে নাটোর শহরে নামতে হবে, সেখান থেকে স্থানীয় পরিবহনে ১৫–২০ মিনিটের পথ। নিজস্ব গাড়িতে যেতে চাইলে নাটোর-বনপাড়া মহাসড়ক ধরে পার্কের সাইনবোর্ড অনুসরণ করলেই সহজে গন্তব্যে পৌঁছানো যায়। পথে সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য ভ্রমণকে আরও উপভোগ্য করে তোলে। এটি পরিবারসহ স্বল্প দূরত্বে একদিনের ভ্রমণের জন্য আদর্শ স্থান।
নাটোরে দেখার মত কি কি আছে বিস্তারিত জেনে নিন
নাটোর একটি ঐতিহ্যবাহী জেলা, যেখানে ইতিহাস, সংস্কৃতি ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের চমৎকার মিশেল দেখা যায়। নাটোর রাজবাড়ি এই জেলার সবচেয়ে বিখ্যাত দর্শনীয় স্থান, যা প্রাচীন স্থাপত্যশৈলীর এক অনন্য নিদর্শন। শংকর গোবিন্দ চৌধুরী স্টেডিয়াম, কাদিরাবাদ ক্যান্টনমেন্ট এলাকা এবং রাণীনগর দিঘি পর্যটকদের আকর্ষণ করে। এছাড়া উত্তরা গণভবন, যা এক সময় নাটোর রাজাদের প্রাসাদ ছিল, এখন রাষ্ট্রপতির সরকারি বাসভবন হিসেবে ব্যবহৃত হয়। প্রকৃতি প্রেমীদের জন্য গ্রীন ভ্যালী পার্ক, লালপুর পার্ক ও বনপাড়া রিসোর্ট জনপ্রিয় ভ্রমণস্থান। বড়াইগ্রামের হালসা বিল ও গুরুদাসপুরের চলন বিলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মনকে মোহিত করে। ধর্মীয় স্থান হিসেবে হালসা কালী মন্দির ও গুরুদাসপুরের বিভিন্ন মসজিদও দর্শনীয়। সব মিলিয়ে নাটোর ভ্রমণ ইতিহাস, ঐতিহ্য ও প্রকৃতির সৌন্দর্য একসাথে উপভোগের সুযোগ করে দেয়।
নাটোর জেলায় কিছু দর্শনীয় স্থান নিচে দেওয়া হল:
- নাটোর রাজবাড়ী: এটি নাটোরের একটি ঐতিহাসিক স্থান। এটি সোমবার থেকে শনিবার সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকে এবং রবিবারও একই সময়ে খোলা থাকে। আরও তথ্যের জন্য এই ওয়েবসাইটে যান:
- গ্রীন ভ্যালি পার্ক: এটি লালপুর উপজেলায় অবস্থিত একটি পার্ক। এটি প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকে।
- বিলসা ভিউ পয়েন্ট: এই স্থানটি ২৪ ঘন্টাই খোলা থাকে।
- বঙ্গজল রাজবাড়ী মোড়: এটি সোমবার থেকে শনিবার সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকে, তবে শুক্রবার বন্ধ থাকে।
আপনি যদি অন্য কিছু জানতে চান, তাহলে জিজ্ঞাসা করতে পারেন।
নাটোরের বিখ্যাত জিনিস কি বিস্তারিত জেনে নিন
নাটোর জেলা কয়েকটি কারণে বিখ্যাত:
কাঁচাগোল্লা: নাটোরের সবচেয়ে বিখ্যাত জিনিস হলো এর ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি কাঁচাগোল্লা। এর স্বাদ এবং তৈরির প্রক্রিয়া এটিকে সারাদেশে আলাদা পরিচিতি এনে দিয়েছে।
- রাণী ভবানী: নাটোরের ইতিহাস অর্ধ বঙ্গেশ্বরী মহারাণী ভবানী-র সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তিনি একজন জনহিতৈষী শাসক ছিলেন এবং তার স্মৃতি আজও অম্লান।
- বনলতা সেন: যদিও বনলতা সেন কবি জীবনানন্দ দাশের কল্পনার সৃষ্টি, তবে এই কবিতা এবং তার সাথে নাটোরের নাম জড়িয়ে আছে।
- নাটোর রাজবাড়ী: এটি নাটোরের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক স্থান এবং পর্যটকদের জন্য একটি দর্শনীয় স্থান।
- উত্তরা গণভবন (দিঘাপতিয়া রাজবাড়ী): এটি একসময় দিঘাপতিয়া রাজাদের বাসস্থান ছিল এবং বর্তমানে এটি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গীয় বাসভবন। এটিও একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র।
চলনবিল ও হালতি বিল: নাটোর জেলায় বাংলাদেশের বৃহত্তম বিলগুলোর মধ্যে অন্যতম চলনবিল এবং হালতি বিল অবস্থিত, যা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য পরিচিত।
নাটোর জেলায় কয়টি গ্রাম আছে বিস্তারিত জেনে নিন
নাটোর জেলা রাজশাহী বিভাগের অন্তর্গত একটি ঐতিহ্যবাহী জেলা, যেখানে মোট ৭টি উপজেলা, ৫২টি ইউনিয়ন ও প্রায় ১,৫০০টিরও বেশি গ্রাম রয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় অসংখ্য গ্রাম বিস্তৃত, যার অধিকাংশই কৃষিনির্ভর। নাটোর সদর, লালপুর, গুরুদাসপুর, সিংড়া, বাগাতিপাড়া, বড়াইগ্রাম ও নলডাঙ্গা উপজেলায় এসব গ্রামের অবস্থান। নাটোরের গ্রামগুলোতে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সবুজ ফসলের ক্ষেত, পুকুর ও বিলের মনোরম দৃশ্য দেখা যায়। এখানকার গ্রামের মানুষ শান্তিপ্রিয় ও পরিশ্রমী। কৃষি, দুধ উৎপাদন ও মিষ্টি তৈরিতে নাটোরের গ্রামগুলো সারা দেশে পরিচিত। এসব গ্রাম নাটোরের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের মূল ভিত্তি।
নাটোর জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি বিস্তারিত জেনে নিন
নাটোর জেলার কিছু বিখ্যাত ব্যক্তি হলেন:
রাণী ভবানী (১৭১৫-১৮০২): নাটোরের জনহিতৈষী ও প্রভাবশালী জমিদার। তিনি অর্ধ বঙ্গেশ্বরী নামে পরিচিত।
মহারাজা জগদিন্দ্রনাথ রায় বাহাদুর (১৮৬৮-১৯২৫): নাটোরের একজন বিখ্যাত মহারাজা এবং বাংলার ক্রিকেটের একজন পৃষ্ঠপোষক।
স্যার যদুনাথ সরকার (১৮৭০-১৯৫৮): একজন বিখ্যাত ইতিহাসবিদ এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য। ভারতবর্ষের ইতিহাস রচনায় বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির পথিকৃৎ।
মাদার বখশ (১৯০৭-১৯৬৭): একজন রাজনীতিবিদ এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্নদ্রষ্টা ও প্রতিষ্ঠাতা।
আশরাফ আলী খান চৌধুরী: বাঙালি আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ।
- তাইজুল ইসলাম: একজন বাংলাদেশী ক্রিকেটার।
- জুনাইদ আহমেদ পলক: বাংলাদেশের একজন রাজনীতিবিদ ও সংসদ সদস্য।
- ফরিদা পারভীন: একজন বিখ্যাত লালনশিল্পী ও লোকসংগীত শিল্পী।
- শংকর গোবিন্দ চৌধুরী: একজন রাজনীতিবিদ।
- এম. এম. রহমতুল্লাহ: একজন আমলা ও রাজনীতিবিদ।
- হানিফউদ্দিন মিয়া: বাংলাদেশের প্রথম কম্পিউটার প্রোগ্রামার এবং পরমাণুবিদ।
- শরৎ কুমার রায় (১৮৭৬-১৯৪৬): বাংলাদেশের প্রথম জাদুঘর বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা।
- এয়ার ভাইস মার্শাল খাদেমুল বাশার, বীর উত্তম: একজন মুক্তিযোদ্ধা।
- জাকির তালুকদার: বাংলা একাডেমী পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক ও ঔপন্যাসিক।
- আবু হেনা রনি: একজন স্ট্যান্ড আপ কমেডিয়ান, অভিনেতা, উপস্থাপক ও মডেল।
এছাড়াও আরও অনেক গুণী ব্যক্তি রয়েছেন যারা নাটোর জেলার গৌরব বৃদ্ধি করেছেন।
নাটোর জেলার পাশ্ববর্তী জেলার দর্শনীয় স্থান বিস্তারিত জেনে নিন
নাটোর জেলার পাশ্ববর্তী জেলাগুলো হলো রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ ও বগুড়া। এসব জেলার বেশ কিছু দর্শনীয় স্থান ভ্রমণপ্রেমীদের আকৃষ্ট করে। নিচে সংক্ষেপে উল্লেখ করা হলো —
- রাজশাহী: পদ্মা নদীর তীরের বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর, পুঠিয়া রাজবাড়ি, দিঘাপতিয়া রাজবাড়ি ও শাহ মখদুম মাজার।
রাজশাহী জেলার পদ্মা নদীর তীরে অবস্থিত বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন ও ঐতিহাসিক জাদুঘর। এটি ১৯১০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এখানে প্রাচীন পাল, সেন ও মুসলিম যুগের অসংখ্য নিদর্শন সংরক্ষিত আছে। রাজশাহীর পুঠিয়া রাজবাড়ি স্থাপত্যের এক অনন্য নিদর্শন, যা মনোমুগ্ধকর মন্দির, দিঘি ও ঐতিহাসিক প্রাসাদের জন্য বিখ্যাত। নাটোরের দিঘাপতিয়া রাজবাড়ি, যা বর্তমানে উত্তরা গণভবন নামে পরিচিত, রাজা দয়ানন্দের আমলে নির্মিত হয় এবং এটি রাজশাহী অঞ্চলের অন্যতম দৃষ্টিনন্দন প্রাসাদ। রাজশাহী শহরের আরেক বিখ্যাত ধর্মীয় স্থান হলো শাহ মখদুম মাজার, যা পদ্মা নদীর তীরে অবস্থিত। ইসলামের প্রাথমিক প্রচারক শাহ মখদুম রূপোশ (রহ.)-এর স্মৃতিবিজড়িত এ মাজারে প্রতিদিন শত শত ভক্ত ও দর্শনার্থী আসেন। এই চারটি স্থাপনা রাজশাহী অঞ্চলের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ধর্মীয় ঐতিহ্যের জীবন্ত প্রতিচ্ছবি বহন করে।
- পাবনা: ঐতিহাসিক ইশ্বরদীর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ, রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্র, হেমায়েতপুরের লালন শাহ আশ্রম ও চাটমোহর শাহী মসজিদ।
ঐতিহাসিক ইশ্বরদীর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রেলসেতু, যা ১৯১৫ সালে পদ্মা নদীর ওপর নির্মিত হয়। এটি লোহা ও ইস্পাত দিয়ে তৈরি এবং দীর্ঘদিন ধরে উত্তর ও দক্ষিণবাংলার রেল যোগাযোগের প্রধান সেতু হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ইশ্বরদী উপজেলার আরেক গর্ব হলো রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, যা দেশের প্রথম পারমাণবিক প্রকল্প হিসেবে বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে নতুন যুগের সূচনা করেছে। পাবনা জেলার হেমায়েতপুরে অবস্থিত লালন শাহ আশ্রম প্রখ্যাত সাধক ফকির লালন শাহের স্মৃতিবিজড়িত স্থান, যেখানে প্রতি বছর তাঁর অনুসারীরা লালন ফকিরের দার্শনিক গান ও ভাবধারা উদযাপন করেন। অন্যদিকে, চাটমোহর শাহী মসজিদ মোগল আমলের একটি দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্য, যা সূক্ষ্ম কারুকাজ ও ঐতিহাসিক সৌন্দর্যে ভরপুর। এই চারটি স্থানই পাবনা জেলার ঐতিহ্য, ধর্মীয় সংস্কৃতি ও আধুনিক উন্নয়নের প্রতীক হিসেবে সুপরিচিত।
- নওগাঁ: পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার (বিশ্ব ঐতিহ্য), কুসুম্বা মসজিদ ও পত্নীতলা রাজবাড়ি।
পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার, যা সোমপুর মহাবিহার নামেও পরিচিত, নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলায় অবস্থিত এবং এটি ইউনেসকো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান। অষ্টম শতকে পাল রাজবংশের ধর্মপাল এই মহাবিহার নির্মাণ করেন। এখানে প্রাচীন স্থাপত্য, ইটের তৈরি বুদ্ধমূর্তি ও প্রত্ননিদর্শন এখনো ইতিহাসপ্রেমীদের মুগ্ধ করে। এটি দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহত্তম বৌদ্ধ শিক্ষাকেন্দ্র ছিল। নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলায় অবস্থিত কুসুম্বা মসজিদ মোগল-পূর্ব স্থাপত্যের অনন্য উদাহরণ। ১৫৫৮ সালে নির্মিত এই পাথরের মসজিদটি “কালো পাথরের মসজিদ” নামে পরিচিত এবং এর সূক্ষ্ম অলংকরণ অত্যন্ত সুন্দর। অপরদিকে, পত্নীতলা রাজবাড়ি স্থানীয় রাজাদের প্রাচীন ঐতিহ্য বহন করে, যা নওগাঁ জেলার ইতিহাসে রাজকীয় স্থাপত্যের নিদর্শন হিসেবে পরিচিত। এই তিনটি স্থাপনা একত্রে নওগাঁ জেলার গৌরবময় ইতিহাস, ধর্মীয় বৈচিত্র্য ও শিল্প ঐতিহ্যের প্রতীক।
- সিরাজগঞ্জ: যমুনা সেতু, এনায়েতপুর মাজার ও রেশম শিল্প এলাকা।
সিরাজগঞ্জ জেলার যমুনা সেতু বাংলাদেশের সবচেয়ে দীর্ঘ সেতু এবং দেশের গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগমূলক স্থাপনা। এটি পদ্মা নদী ও যমুনা নদীর সংযোগ স্থাপন করে দেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক যোগাযোগকে সুসংহত করেছে। সেতুর সৌন্দর্য ও নকশা পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয়। জেলার আরেকটি ধর্মীয় স্থান হলো এনায়েতপুর মাজার, যা ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় গুরুত্বের জন্য পরিচিত। এখানে প্রতিদিন শত শত ভক্ত আসেন প্রার্থনা ও আশীর্বাদ নেওয়ার জন্য। সিরাজগঞ্জ জেলার রেশম শিল্প এলাকা দেশের সুপরিচিত হস্তশিল্প কেন্দ্রগুলোর মধ্যে একটি। এখানে কাঁচা সিল্ক থেকে তৈরি করা চাদর, শাড়ি, জামা এবং অন্যান্য বস্ত্রশিল্প তৈরি ও বিপণন করা হয়। স্থানীয় কারিগররা প্রাচীন কৌশল এবং আধুনিক ডিজাইন মেলিয়ে রেশমের শীর্ষ মান নিশ্চিত করেন। এই তিনটি স্থানই সিরাজগঞ্জ জেলার ইতিহাস, অর্থনীতি ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
- বগুড়া: মহাস্থানগড়, ভাসু বিহার ও গোকুল মেধ।
এসব স্থান ইতিহাস, সংস্কৃতি ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সমৃদ্ধ, যা নাটোরের কাছ থেকে সহজেই ভ্রমণ করা যায়।
নাটোরের বিখ্যাত জিনিস নিয়ে ৫০ প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন: নাটোর কোন বিভাগের অন্তর্ভুক্ত?
উত্তর: রাজশাহী বিভাগে।
প্রশ্ন: নাটোরের বিখ্যাত রাজবাড়ির নাম কী?
উত্তর: নাটোর রাজবাড়ি বা উত্তরা গণভবন।
প্রশ্ন: নাটোরের সবচেয়ে বিখ্যাত মিষ্টি কোনটি?
উত্তর: কাচাগোল্লা।
প্রশ্ন: নাটোর কাচাগোল্লা কেন বিখ্যাত?
উত্তর: এর দুধের স্বাদ, নরম গঠন ও বিশুদ্ধতার জন্য।
প্রশ্ন: কাচাগোল্লার উৎপত্তি কোথায়?
উত্তর: নাটোর শহরে।
প্রশ্ন: নাটোরে কতটি উপজেলা আছে?
উত্তর: ৭টি উপজেলা।
প্রশ্ন: উত্তরা গণভবন কোথায় অবস্থিত?
উত্তর: নাটোর শহরের উত্তর পাশে।
প্রশ্ন: উত্তরা গণভবন কার বাসভবন?
উত্তর: বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির।
প্রশ্ন: নাটোরের বিখ্যাত নদীর নাম কী?
উত্তর: নারদ নদী।
প্রশ্ন: নাটোরের ঐতিহ্যবাহী খাবার কী?
উত্তর: কাচাগোল্লা ও দুধভাত।
প্রশ্ন: নাটোরের বিখ্যাত পার্ক কোনটি?
উত্তর: গ্রীন ভ্যালী পার্ক।
প্রশ্ন: লালপুর পার্ক কোথায় অবস্থিত?
উত্তর: নাটোরের লালপুর উপজেলায়।
প্রশ্ন: নাটোরের সবচেয়ে বড় বিল কোনটি?
উত্তর: চলন বিল।
প্রশ্ন: চলন বিল কোন উপজেলার মধ্যে পড়েছে?
উত্তর: গুরুদাসপুর, সিংড়া ও রায়গঞ্জ অঞ্চলে।
প্রশ্ন: নাটোরের প্রধান কৃষি পণ্য কী?
উত্তর: ধান ও আখ।
প্রশ্ন: নাটোরের বিখ্যাত শিল্প কোনটি?
উত্তর: চিনিকল শিল্প।
প্রশ্ন: নাটোরের বিখ্যাত চিনিকলের নাম কী?
উত্তর: নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলস (লালপুর)।
প্রশ্ন: নাটোরের লালপুর কেন পরিচিত?
উত্তর: আখচাষ ও সুগার মিলের জন্য।
প্রশ্ন: নাটোরের সবচেয়ে প্রাচীন মসজিদের নাম কী?
উত্তর: দিঘাপতিয়া শাহী মসজিদ।
প্রশ্ন: নাটোরের উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কোনটি?
উত্তর: নাটোর সরকারি কলেজ।
প্রশ্ন: নাটোরের বিখ্যাত মহিলা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কোনটি?
উত্তর: বেগম রোকেয়া কলেজ।
প্রশ্ন: নাটোর জেলার কোড কত?
উত্তর: ৬৪।
প্রশ্ন: নাটোরে কোন উৎসব বেশি জনপ্রিয়?
উত্তর: পহেলা বৈশাখ ও দুর্গাপূজা।
প্রশ্ন: নাটোরে কোন ঐতিহাসিক যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল?
উত্তর: নাটোর বিদ্রোহ (১৮৫৭)।
প্রশ্ন: নাটোরের বিখ্যাত দিঘির নাম কী?
উত্তর: রাণীনগর দিঘি।
প্রশ্ন: নাটোরের প্রধান ফল কী?
উত্তর: আম ও কলা।
প্রশ্ন: নাটোরে কোন উপজেলায় কাদিরাবাদ ক্যান্টনমেন্ট অবস্থিত?
উত্তর: লালপুর উপজেলায়।
প্রশ্ন: নাটোরের বিখ্যাত হাট কোনটি?
উত্তর: বনপাড়া হাট।
প্রশ্ন: নাটোরের সবচেয়ে পুরনো মন্দির কোনটি?
উত্তর: হালসা কালী মন্দির।
প্রশ্ন: নাটোরের শংকর গোবিন্দ চৌধুরী স্টেডিয়াম কোথায়?
উত্তর: নাটোর শহরে।
প্রশ্ন: নাটোরের বিখ্যাত পুকুর কোনটি?
উত্তর: রাজবাড়ি পুকুর।
প্রশ্ন: নাটোর জেলার ডাকনাম কী?
উত্তর: “মিষ্টির জেলা”।
প্রশ্ন: নাটোরের প্রতিষ্ঠার সাল কত?
উত্তর: ১৮২৯ খ্রিস্টাব্দ।
প্রশ্ন: নাটোরের বিখ্যাত সাংবাদিক কে ছিলেন?
উত্তর: আব্দুল কুদ্দুস মাখন।
প্রশ্ন: নাটোরে কোন ধরণের ব্যবসা বেশি হয়?
উত্তর: কৃষিভিত্তিক ব্যবসা।
প্রশ্ন: নাটোরে কোন রিসোর্ট জনপ্রিয়?
উত্তর: বনপাড়া রিসোর্ট।
প্রশ্ন: নাটোরের বিখ্যাত নাট্য সংগঠন কোনটি?
উত্তর: নাটোর নাট্য পরিষদ।
প্রশ্ন: নাটোরে কোন পেশা সবচেয়ে বেশি মানুষ করে?
উত্তর: কৃষিকাজ।
প্রশ্ন: নাটোরে সবচেয়ে বড় উপজেলা কোনটি?
উত্তর: লালপুর।
প্রশ্ন: নাটোরের বিখ্যাত ঐতিহাসিক ব্যক্তি কে?
উত্তর: রাণী ভুবনমোহিনী।
প্রশ্ন: নাটোরের রাজবাড়ি কারা নির্মাণ করেন?
উত্তর: রাজা রামজীবন।
প্রশ্ন: নাটোরে কোন উৎসব সবচেয়ে জমজমাট হয়?
উত্তর: দুর্গাপূজা।
প্রশ্ন: নাটোরে কোন নদী সবচেয়ে পরিচিত?
উত্তর: নারদ নদী।
প্রশ্ন: নাটোরের ঐতিহ্যবাহী পোশাক কী?
উত্তর: হাতের তাঁতে বোনা শাড়ি।
প্রশ্ন: নাটোরের কোন উপজেলা নদীবেষ্টিত?
উত্তর: লালপুর।
প্রশ্ন: নাটোরের বিখ্যাত দানবীর কে ছিলেন?
উত্তর: রাজা রামজীবন।
প্রশ্ন: নাটোরের বিখ্যাত বাজার কোনটি?
উত্তর: নাটোর বড় বাজার।
প্রশ্ন: নাটোরে পর্যটকদের জন্য কোন স্থান জনপ্রিয়?
উত্তর: গ্রীন ভ্যালী পার্ক ও উত্তরা গণভবন।
প্রশ্ন: নাটোরে কোন বিল পাখির আবাসস্থল হিসেবে পরিচিত?
উত্তর: চলন বিল।
প্রশ্ন: নাটোরের বিশেষ উপহার হিসেবে কী নেওয়া যায়?
উত্তর: কাচাগোল্লা।
উপসংহার
আজ আমরা গ্রীন ভ্যালী পার্ক, নাটোর - লালপুর গ্রীনভ্যালী পার্ক বিস্তারিত নিয়ে আলোচনা করলাম। আগামীতে ভালো কোনো টপিক নিয়ে হাজির হবো। আশা করছি উপরের গ্রীন ভ্যালী পার্ক, নাটোর - লালপুর গ্রীনভ্যালী পার্ক বিস্তারিত বিষয়ে আলোচনা আপনার ভালো লেগেছে। যদি এ বিষয়ে কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্টে জানান । আমাদের ফলো করে সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।


জমজম আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url