মাছি তাড়ানোর উপায় কি কি বিস্তারিত জেনে নিন
ভূমিকা
সুপ্রিয় পাঠক আজকাল অনেকেই অনলাইনে মাছি তাড়ানোর উপায় কি কি বিস্তারিত জেনে নিন নিয়ে জানতে চান। আপনিও হয়তো অনেক খোঁজাখুঁজির পর নিশ্চয়ই মাছি তাড়ানোর উপায় কি কি বিস্তারিত জেনে নিন কি তা জানার জন্যই আমাদের এই সাইটটিতে এসেছেন।
হ্যাঁ আজকে আমি সঠিকভাবে মাছি তাড়ানোর উপায় কি কি বিস্তারিত জেনে নিন তা নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করব। চলুন এই লেখার মূল বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানতে নিচের লেখাটি পড়ে ফেলি।
মাছি তাড়ানোর উপায় কি
মাছি তাড়ানোর অনেক উপায় আছে, যার মধ্যে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতিও রয়েছে। নিচে কিছু কার্যকর উপায় আলোচনা করা হলো:
পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা:
- খাবার ভালোভাবে ঢেকে রাখুন: খাবার খোলা রাখলে মাছি আকৃষ্ট হয়। তাই খাবার সবসময় ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখুন।
- বাসস্থান পরিষ্কার রাখুন: নিয়মিত ঘর ঝাড়ু দিন এবং মুছুন। বিশেষ করে রান্নাঘর এবং খাবার ঘর পরিষ্কার রাখা জরুরি।
- আবর্জনা দ্রুত সরান: ময়লার পাত্র ঢাকনাযুক্ত করুন এবং প্রতিদিন আবর্জনা ফেলুন।
- পাকা ফল সরিয়ে ফেলুন: পাকা ফল বা সবজি ফেলে না রেখে দ্রুত খেয়ে ফেলুন বা সরিয়ে ফেলুন, কারণ এর গন্ধ মাছিকে আকৃষ্ট করে।
- থালা বাসন ধুয়ে ফেলুন: ব্যবহৃত থালা বাসন ফেলে না রেখে দ্রুত ধুয়ে ফেলুন।
প্রাকৃতিক উপায়:
নুন জল:
- স্প্রে বোতলে জল ভরে তাতে দুই টেবিল চামচ নুন মিশিয়ে নিন। ঘরে যেখানে মাছি বেশি থাকে সেখানে স্প্রে করুন। মেঝে মোছার সময়ও এই জল ব্যবহার করতে পারেন।
কর্পূর:
- কর্পূরের গুঁড়ো জলের সাথে মিশিয়ে স্প্রে করতে পারেন অথবা কর্পূরের ট্যাবলেট জ্বালিয়ে ধোঁয়া দিন। কর্পূরের গন্ধ মাছি তাড়াতে সাহায্য করে।
তুলসী পাতা:
- তুলসী পাতার পেস্ট তৈরি করে জলের সাথে মিশিয়ে স্প্রে করতে পারেন।
দারুচিনি:
- দারুচিনি গুঁড়ো করে যেখানে মাছি বেশি সেখানে ছড়িয়ে দিন। এর গন্ধ মাছি সহ্য করতে পারে না।
লবঙ্গ:
- লেবুর মধ্যে লবঙ্গ গেঁথে ঘরের বিভিন্ন স্থানে রেখে দিন। লবঙ্গের গন্ধ মাছি তাড়াতে সহায়ক।
ভিনেগার:
- একটি পাত্রে আপেল সিডার ভিনেগার নিয়ে কয়েক ফোঁটা ইউক্যালিপটাস তেল মিশিয়ে ঘরের কোণে রেখে দিন।
সাবান জল:
- একটি অগভীর পাত্রে সামান্য জল ও কয়েক ফোঁটা ডিশ ওয়াশিং লিকুইড মিশিয়ে রাখুন। মাছির আকৃষ্ট হয়ে বসলে ডুবে যাবে।
পুদিনা পাতা:
- রান্নাঘরের আশেপাশে পুদিনা গাছ লাগালে বা পুদিনা পাতার তেল স্প্রে করলে মাছি দূরে থাকে।
তেজপাতা:
- তেজপাতা গুঁড়ো করে রান্নাঘরের আশেপাশে ছড়িয়ে দিলে মাছি কমে যায়।
ফাঁদ তৈরি:
আপেল সিডার ভিনেগার ফাঁদ:
- একটি গ্লাসে সামান্য আপেল সিডার ভিনেগার নিন এবং তার মুখে সেলোফেন পেপার দিয়ে মুড়ে দিন। সেলোফেনের উপর ছোট ছোট ছিদ্র করুন। মাছি ভিনেগারের গন্ধে আকৃষ্ট হয়ে ভেতরে ঢুকবে কিন্তু বের হতে পারবে না।
কাগজের চোঙা ফাঁদ:
- লম্বা পাত্রে মিষ্টি জল বা ভিনেগার নিন। কাগজের চোঙা তৈরি করে পাত্রের মুখে এমনভাবে রাখুন যাতে চোঙার সরু মুখ জলের দিকে থাকে। মাছি ভেতরে ঢুকলে আর বের হতে পারবে না।
অন্যান্য উপায়:
- জানালায় নেট লাগানো: দরজা ও জানালার ফাঁক বন্ধ করুন অথবা নেট লাগান যাতে মাছি ঘরে ঢুকতে না পারে।
- ধোঁয়া: সন্ধ্যায় ধুনো জ্বালালে বা কয়েল ব্যবহার করলে মাছি তাড়ানো যায়।
- উপরে দেওয়া পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করে আপনি সহজেই আপনার ঘর থেকে মাছি তাড়াতে পারেন। প্রয়োজনে একাধিক পদ্ধতি একসাথে ব্যবহার করতে পারেন।
ঘর থেকে মাছি তাড়ানোর উপায়
আসুন এখন আর দেরি না করে আমরা ঘর থেকে মাছি তাড়ানোর উপায় বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি। জমজম আইটির ঘর থেকে মাছি তাড়ানোর উপায় নিয়ে বিস্তারিত জানার জন্য নিচের লেখা গুলো পুরোপুরি পড়ে নিন। আপনার জন্য আরো অতিরিক্ত বোনাস হিসেবে ঘর থেকে মাছি তাড়ানোর উপায় নিয়ে আলোচনা এখানে চাপ দিয়ে বিস্তারিত জেনে নিন।
রান্নাঘর থেকে মাছি তাড়ানোর জন্য বিশেষ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি, কারণ রান্নাঘরে খাবারের উচ্ছিষ্ট এবং আর্দ্রতা বেশি থাকার কারণে মাছি আকৃষ্ট হয়। নিচে কিছু কার্যকর উপায় আলোচনা করা হলো:
পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা:
অবিলম্বে খাবারের উচ্ছিষ্ট পরিষ্কার করুন:
- রান্না করার সময় বা খাওয়ার পরে খাবারের ছোট ছোট টুকরা বা উচ্ছিষ্ট দ্রুত পরিষ্কার করুন।
থালা বাসন ধুয়ে ফেলুন:
- ব্যবহৃত থালা বাসন ফেলে না রেখে দ্রুত ধুয়ে ফেলুন, বিশেষ করে মিষ্টি বা আঠালো খাবার লেগে থাকলে।
সিঙ্ক পরিষ্কার রাখুন:
- সিঙ্কের ড্রেন নিয়মিত পরিষ্কার করুন, কারণ এখানে খাবারের কণা জমে মাছি বংশবৃদ্ধি করতে পারে। গরম জল ও ডিটারজেন্ট ব্যবহার করে পরিষ্কার করুন।
আবর্জনা দ্রুত সরান:
- রান্নাঘরের ময়লার পাত্র ঢাকনাযুক্ত করুন এবং প্রতিদিন অথবা অন্তত একদিন অন্তর আবর্জনা ফেলুন।
কাউন্টারটপ এবং মেঝে পরিষ্কার রাখুন:
- রান্নাঘরের কাউন্টারটপ এবং মেঝে নিয়মিত জীবাণুনাশক দিয়ে মুছুন।
পাকা ফল বা সবজি ঢেকে রাখুন:
- পাকা ফল বা সবজি খোলা অবস্থায় রাখলে মাছি আকৃষ্ট হতে পারে, তাই এগুলো ঢেকে রাখুন অথবা ফ্রিজে সংরক্ষণ করুন।
প্রাকৃতিক উপায়:
নুন জল স্প্রে: স্প্রে বোতলে জল ভরে তাতে দুই টেবিল চামচ নুন মিশিয়ে রান্নাঘরের আশেপাশে স্প্রে করুন।
কর্পূর:
- রান্নাঘরের এক কোণে কর্পূরের ট্যাবলেট জ্বালিয়ে রাখুন (সাবধানে)। কর্পূরের গন্ধ মাছি তাড়াতে সাহায্য করে।
লবঙ্গ ও লেবু:
- একটি লেবুকে দুই টুকরো করে কেটে তার মধ্যে কয়েকটা লবঙ্গ গেঁথে রান্নাঘরের বিভিন্ন স্থানে রেখে দিন।
ভিনেগার ফাঁদ:
- একটি ছোট পাত্রে আপেল সিডার ভিনেগার নিন এবং কয়েক ফোঁটা ডিশ ওয়াশিং লিকুইড মেশান। মিষ্টি গন্ধে মাছি আকৃষ্ট হবে এবং লিকুইডের কারণে ডুবে যাবে।
কাগজের চোঙা ফাঁদ:
- একটি লম্বা পাত্রে মিষ্টি জল বা ভিনেগার নিন। কাগজের চোঙা তৈরি করে পাত্রের মুখে এমনভাবে রাখুন যাতে চোঙার সরু মুখ জলের দিকে থাকে। মাছি ভেতরে ঢুকলে আর বের হতে পারবে না।
তুলসী পাতা বা পুদিনা পাতা:
- রান্নাঘরের আশেপাশে তুলসী বা পুদিনা গাছ লাগান অথবা এই পাতার তেল স্প্রে করুন। এদের গন্ধ মাছি তাড়াতে সাহায্য করে।
অন্যান্য উপায়:
জানালায় নেট লাগানো: রান্নাঘরের জানালায় মশারির নেট লাগান যাতে মাছি প্রবেশ করতে না পারে।
ফ্যান চালু রাখা: রান্না করার সময় বা খাবার খাওয়ার সময় ফ্যান চালু রাখলে মাছির উপদ্রব কম হতে পারে।
ফ্লাই পেপার বা আঠালো ফাঁদ: রান্নাঘরের নির্দিষ্ট কিছু স্থানে ফ্লাই পেপার বা আঠালো ফাঁদ লাগিয়ে রাখতে পারেন।
অতিরিক্ত টিপস:
- মাছির উৎস খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন এবং তা নির্মূল করুন। অনেক সময় পচা ফল, সবজি বা অন্য কোনো আবর্জনা থেকে মাছির উপদ্রব শুরু হয়।
- যদি মাছির উপদ্রব খুব বেশি হয়, তবে পেশাদার পেস্ট কন্ট্রোল সার্ভিসের সাহায্য নিতে পারেন।
- উপরের পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করে আপনি সহজেই আপনার রান্নাঘর থেকে মাছি তাড়াতে পারেন। নিয়মিত পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা মাছি প্রতিরোধের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপায়।
রান্নাঘর থেকে মাছি তাড়ানোর উপায়
আসুন এখন আর দেরি না করে আমরা রান্নাঘর থেকে মাছি তাড়ানোর উপায় বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি। জমজম আইটির রান্নাঘর থেকে মাছি তাড়ানোর উপায় নিয়ে বিস্তারিত জানার জন্য নিচের লেখা গুলো পুরোপুরি পড়ে নিন। আপনার জন্য আরো অতিরিক্ত বোনাস হিসেবে রান্নাঘর থেকে মাছি তাড়ানোর উপায় নিয়ে আলোচনা এখানে চাপ দিয়ে বিস্তারিত জেনে নিন। ঘর থেকে মাছি তাড়ানোর কিছু কার্যকর উপায় নিচে দেওয়া হলো:
১. প্রাকৃতিক/ঘরোয়া উপায়:
- সাদা ভিনেগার ও ডিশ সোপ: একটি বাটিতে সাদা ভিনেগার ও ডিশ সোপ মিশিয়ে রাখুন। মাছি এই গন্ধে আকৃষ্ট হয়ে তরলে পড়ে মারা যাবে।
- লেবু ও লবঙ্গ: লেবু কেটে তাতে লবঙ্গ গেঁথে রাখুন। এটির গন্ধ মাছি দূর করতে সাহায্য করে।
- গাঁদা ফুল বা তুলসী পাতা: গাঁদা ফুল বা তুলসী গাছ ঘরে রাখলে মাছি কম আসে।
- ইউক্যালিপটাস বা পেপারমিন্ট তেল: কটন বলে কয়েক ফোঁটা তেল দিয়ে ঘরে রাখলে মাছি পালায়।
২. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা:
- খাবার ঢেকে রাখুন: মাছি খাবারের গন্ধে আকৃষ্ট হয়, তাই খাবার সবসময় ঢেকে রাখুন।
- ময়লা-আবর্জনা দ্রুত ফেলুন: বিনে জমে থাকা খাবারের টুকরো বা পচনশীল বর্জ্য মাছিকে আকর্ষণ করে।
- রান্নাঘর ও ডাইনিং এলাকা পরিষ্কার রাখুন: খাবারের crumbs বা লিকুইড স্পিল দ্রুত মুছে ফেলুন।
৩. মেকানিক্যাল ট্র্যাপ:
- মাছি ফাঁদ: প্লাস্টিকের বোতল কেটে ভিনেগার ও চিনির মিশ্রণ ঢেলে ফানেল দিয়ে ঢাকুন। মাছি ভিতরে ঢুকতে পারবে কিন্তু বের হতে পারবে না।
- ফ্লাই সুইটার বা ইলেকট্রিক ফ্লাই কিলার: ব্যবহার করে মাছি মারতে পারেন।
৪. রাসায়নিক সমাধান (প্রয়োজনে):
- মাছি মারার স্প্রে: বাজারে বিভিন্ন মাছিনাশক স্প্রে পাওয়া যায়, তবে এটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে, তাই সতর্কভাবে ব্যবহার করুন।
- মাছি আটকানোর স্টিকার বা কয়েল: জানালা বা দরজার কাছে লাগালে মাছি আসবে না।
৫. দরজা-জানালা সুরক্ষা:
- মশারি বা নেট লাগান: দরজা-জানালায় মাছি আটকানোর নেট ব্যবহার করুন যাতে তারা ঘরে প্রবেশ না করতে পারে।
- এসব পদ্ধতি প্রয়োগ করে আপনি ঘর থেকে মাছি দূর করতে পারবেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা!
অতিরিক্ত মাছি তাড়ানোর উপায়
যদি ঘরে অতিরিক্ত মাছি দেখা দেয়, তাহলে সাধারণ পদ্ধতির পাশাপাশি কিছু শক্তিশালী ও দ্রুত সমাধান প্রয়োজন। এখানে কিছু কার্যকরী উপায় দেওয়া হলো:
১. শক্তিশালী প্রাকৃতিক ফাঁদ
- আপেল সাইডার ভিনেগার + প্লাস্টিক র্যাপ:
- একটি জারে আপেল সাইডার ভিনেগার (বা সাদা ভিনেগার) নিন, কিছু ডিশ সোপ মিশিয়ে দিন।
- মুখে প্লাস্টিক র্যাপ (বা ক্লিং ফিল্ম) দিয়ে রাবার ব্যান্ড দিয়ে আটকান এবং ছোট ছিদ্র করুন।
- মাছি গন্ধে আকৃষ্ট হয়ে জারে ঢুকবে কিন্তু বের হতে পারবে না।
চিনি + মধু ফাঁদ:
- গরম পানিতে চিনি ও মধু মিশিয়ে একটি পাত্রে রাখুন। মাছি মিষ্টি গন্ধে আকৃষ্ট হয়ে ডুবে মারা যাবে।
২. এসেনশিয়াল অয়েল স্প্রে
পিপারমিন্ট, ইউক্যালিপটাস বা ল্যাভেন্ডার তেল:
- ১ কাপ পানিতে ১০-১৫ ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে স্প্রে বোতলে ভরে ঘরের কোণায় স্প্রে করুন।
- এই গন্ধ মাছি তাড়ায় এবং ঘরও সুগন্ধি হয়।
৩. ব্লিচ বা হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড ব্যবহার
- ড্রেন, ডাস্টবিন বা মাছির আড্ডায় ব্লিচ পানি (১:১ অনুপাতে) বা হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড স্প্রে করুন। এটি ডিম ও লার্ভা ধ্বংস করবে।
৪. ফ্যান বা এয়ার কার্নেল ব্যবহার
- মাছি দুর্বল উড়তে পারে, তাই সিলিং ফ্যান বা পোর্টেবল ফ্যান চালু রাখলে তারা উড়ে যেতে পারবে না।
- এয়ার কার্নেল (Air Curtain) দরজায় লাগালে মাছি ঘরে ঢুকতে পারবে না।
৫. আল্ট্রাভায়োলেট ফ্লাই ট্র্যাপ
- ইলেকট্রনিক UV ফ্লাই কিলার ব্যবহার করতে পারেন, যা অতিরিক্ত মাছি দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করে।
৬. পেশাদার কীটনাশক (যদি খুব বেশি হয়)
- বাজারে পাওয়া মাছিনাশক স্প্রে (যেমন: Baygon, Hit) ব্যবহার করুন, তবে শিশু ও পোষা প্রাণী থেকে দূরে রাখুন।
- বোরিক অ্যাসিড পাউডার: ডাস্টবিন বা মাছির চলাচলের জায়গায় ছিটিয়ে দিন, এটি মাছি মারতে সাহায্য করে।
৭. দীর্ঘমেয়াদি সমাধান:
✔ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা: রোজ ডাস্টবিন পরিষ্কার করুন, পচা খাবার/ফল ফেলে দিন।
✔ জাল বা স্ক্রিন ডোর: দরজা-জানালায় মশারি বা নেট লাগান।
✔ প্রাকৃতিক প্রতিরোধক: তুলসী, নিম বা গাঁদা গাছ রাখুন।
এই পদ্ধতিগুলো মেনে চললে ৯০% পর্যন্ত মাছি কমে যাবে। যদি সমস্যা খুব বেশি হয়, তবে পেস্ট কন্ট্রোল সার্ভিস ডাকুন।
মশা ও মাছি তাড়ানোর উপায়
মশা ও মাছি উভয়ই বিরক্তিকর এবং রোগবাহী হতে পারে। এদের থেকে মুক্তি পেতে প্রাকৃতিক, রাসায়নিক ও যান্ত্রিক পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে। নিচে কার্যকরী সমাধান দেওয়া হলো:
🦟 মশা তাড়ানোর উপায়
১. প্রাকৃতিক/ঘরোয়া পদ্ধতি:
গাছ ব্যবহার:
- তুলসী, নিম, গাঁদা, সিট্রোনেলা, লেমনগ্রাস ইত্যাদি গাছ বারান্দা বা জানালায় রাখুন (মশা এদের গন্ধ পছন্দ করে না)।
- পুদিনা পাতা থেঁতো করে স্প্রে বোতলে পানির সাথে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
এসেনশিয়াল অয়েল:
নিম তেল, ইউক্যালিপটাস তেল, ল্যাভেন্ডার বা পিপারমিন্ট অয়েল শরীরে বা বাতাসে স্প্রে করুন।
কেরোসিন + নিম তেল মিশিয়ে কোণায় রাখলে মশা আসবে না।
ধূপ বা অগরবাতি:
নিমের ধূপ, কপূর বা লেমনগ্রাস কয়েল জ্বালান।
২. ফিজিক্যাল বাধা:
- মশারি ব্যবহার: রাতে ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে নিন।
- জানালায় নেট/স্ক্রিন: মশা যাতে ঢুকতে না পারে সেজন্য ফাইবার নেট লাগান।
৩. ট্র্যাপ ও ইলেকট্রনিক সমাধান:
- মশা মারার র্যাকেট বা UV লাইট ট্র্যাপ ব্যবহার করুন।
- ইলেকট্রনিক মশা নিধন যন্ত্র (Electric Mosquito Killer) ব্যবহার করতে পারেন।
মাছি তাড়ানোর উপায়
১. প্রাকৃতিক/ঘরোয়া পদ্ধতি:
ভিনেগার ট্র্যাপ:
- একটি বাটিতে সাদা ভিনেগার/আপেল সাইডার ভিনেগার + ডিশ সোপ মিশিয়ে রাখুন, মাছি আকৃষ্ট হয়ে ডুবে মারা যাবে।
- লবঙ্গ + লেবু: কাটা লেবুতে লবঙ্গ গেঁথে রান্নাঘরে রাখুন।
- এসেনশিয়াল অয়েল: ইউক্যালিপটাস, পিপারমিন্ট বা ল্যাভেন্ডার তেল স্প্রে করুন।
২. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা:
- খাবার ঢেকে রাখুন এবং ডাস্টবিন নিয়মিত ফেলুন।
- ফল-সবজি পচতে না দেওয়া (বিশেষ করে পেঁয়াজ, আম, কলা)।
৩. মেকানিক্যাল/কেমিক্যাল সমাধান:
- ফ্লাই সুইটার বা ইলেকট্রিক ফ্লাই কিলার ব্যবহার করুন।
- বোরিক অ্যাসিড পাউডার ডাস্টবিনের চারপাশে ছিটিয়ে দিন।
🛑 মশা ও মাছি উভয়ের জন্য কমন সমাধান:
- ফ্যান চালু রাখুন: মশা ও মাছি দুর্বল উড়তে পারে, তাই ফ্যান চালু রাখলে তারা কাছে আসতে পারবে না।
- ব্লিচ বা নিমের পানি স্প্রে: ড্রেন, ডাস্টবিন বা কোণায় স্প্রে করুন।
- পেশাদার কীটনাশক স্প্রে (Baygon, Hit) প্রয়োগ করুন (শিশু ও পোষা প্রাণী থেকে দূরে)।
✅ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা:
- জমা পানি পরিষ্কার করুন (মশার লার্ভা জন্মায়)।
- জানালা-দরজায় নেট/স্ক্রিন লাগান।
- নিয়মিত বাড়ি পরিষ্কার রাখুন (বিশেষ করে রান্নাঘর ও ডাস্টবিন)।
- এই পদ্ধতিগুলো মেনে চললে মশা ও মাছি মুক্ত থাকবে আপনার ঘর!
মাছি মারার ঔষধের নাম কি
মাছি মারার জন্য বাজারে বিভিন্ন ধরনের ঔষধ বা কীটনাশক পাওয়া যায়। তবে, এই ধরনের ঔষধ ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা এবং প্যাকেজের নির্দেশাবলী ভালোভাবে পড়ে নেওয়া জরুরি। নিচে কিছু পরিচিত ধরণের মাছির ঔষধের নাম এবং ব্যবহারের ধরণ উল্লেখ করা হলো:
স্প্রে (Spray):
পাইরিথ্রয়েড (Pyrethroid) ভিত্তিক স্প্রে:
- বাজারে বহুল প্রচলিত এবং কার্যকর স্প্রেগুলির মধ্যে এটি অন্যতম। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নামে এটি পাওয়া যায়। এটি মাছির স্নায়ুতন্ত্রের উপর কাজ করে দ্রুত মেরে ফেলে।
অর্গানোফসফেট (Organophosphate) ভিত্তিক স্প্রে:
- এটিও খুব শক্তিশালী কীটনাশক তবে এর ব্যবহার তুলনামূলকভাবে কম, কারণ এটি স্তন্যপায়ী প্রাণীদের জন্যও কিছুটা বিষাক্ত হতে পারে।
বিভিন্ন ঘরোয়া স্প্রে-ও বাজারে উপলব্ধ, যেগুলি প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি এবং তুলনামূলকভাবে কম ক্ষতিকর বলে দাবি করা হয়।
দানাদার ঔষধ (Granular Bait):
- কিছু দানাদার ঔষধ রয়েছে যা মাছির আকৃষ্টকারী উপাদান মিশ্রিত থাকে। মাছি এটি খেলে মারা যায়। সাধারণত বাড়ির বাইরে বা নির্দিষ্ট স্থানে ব্যবহারের জন্য এটি উপযুক্ত।
- আঠালো ফাঁদ (Glue Traps/Fly Paper):
- এগুলি কাগজের বা বোর্ডের উপর আঠালো পদার্থ লাগানো থাকে। মাছি এসে বসলে আটকে যায় এবং মারা যায়। এটি ঔষধ না হলেও মাছি মারার একটি কার্যকর পদ্ধতি। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের আঠালো ফিতা এবং বোর্ড বাজারে পাওয়া যায়।
বৈদ্যুতিক ফাঁদ (Electric Fly Swatter/Zapper):
- এগুলি ব্যাটারি চালিত এবং একটি তারের জালযুক্ত র্যাকেট এর মতো। মাছির সংস্পর্শে এলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায়।
তরল ঔষধ (Liquid Concentrate):
কিছু তরল কীটনাশক কনসেন্ট্রেট আকারে পাওয়া যায়, যা জলের সাথে মিশিয়ে স্প্রে করতে হয়। এগুলি সাধারণত বড় এলাকা বা বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত।
কিছু পরিচিত ব্র্যান্ড (ব্র্যান্ডের নাম অঞ্চলভেদে ভিন্ন হতে পারে):
- Hit Fly & Mosquito Killer Spray
- Mortein Flying Insect Killer
- Baygon Multi Insect Killer
- Lal Hit
- Good Knight Fly Killer
গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতা:
কীটনাশক ব্যবহারের আগে প্যাকেজের নির্দেশাবলী মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং অনুসরণ করুন।
- শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।
- খাবার ও পানীয়ের উৎস থেকে দূরে ব্যবহার করুন।
- স্প্রে করার সময় নিজের সুরক্ষা (যেমন মাস্ক, গ্লাভস) নিশ্চিত করুন।
- বন্ধ ঘরে দীর্ঘক্ষণ স্প্রে করা উচিত না। স্প্রে করার পর ঘর ভালোভাবে বাতাস চলাচল করতে দিন।
- প্রয়োজনে পেশাদার পেস্ট কন্ট্রোল সার্ভিসের সাহায্য নিন।
দোকানে গিয়ে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী এবং সেখানকার উপলব্ধতা অনুযায়ী মাছির ঔষধের নাম জানতে পারবেন। তবে ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করুন।
গায়ে মাছি না আসার উপায়
গায়ে মাছি আসা একটি বিরক্তিকর সমস্যা। কিছু সহজ পদক্ষেপের মাধ্যমে আপনি এটি কমাতে বা প্রতিরোধ করতে পারেন:
ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা:
- নিয়মিত স্নান: প্রতিদিন স্নান করলে শরীর পরিষ্কার থাকে এবং ঘামের গন্ধ দূর হয়, যা মাছিকে আকর্ষণ করে।
- ঘামাচি পাউডার ব্যবহার: গরমকালে ঘাম বেশি হলে ঘামাচি পাউডার ব্যবহার করুন। এটি ত্বক শুষ্ক রাখতে সাহায্য করে এবং মাছির আকর্ষণ কমায়।
- পরিষ্কার পোশাক পরিধান: প্রতিদিন পরিষ্কার পোশাক পরুন। ঘামে ভেজা বা নোংরা পোশাকে মাছি বেশি আকৃষ্ট হয়।
পোশাকের ধরণ:
- হালকা রঙের পোশাক: গাঢ় রঙের পোশাকের তুলনায় হালকা রঙের পোশাকে মাছি কম বসে।
- ঢিলেঢালা পোশাক: আঁটসাঁট পোশাকের তুলনায় ঢিলেঢালা পোশাকে বাতাস চলাচল বেশি হয় এবং ঘাম কম হয়, ফলে মাছি কম আকৃষ্ট হয়।
- ফুলহাতা পোশাক: বাইরে বের হলে ফুলহাতা পোশাক পরলে মাছির সংস্পর্শ এড়ানো যায়।
প্রাকৃতিক প্রতিরোধক ব্যবহার:
- প্রাকৃতিক তেল: ল্যাভেন্ডার, ইউক্যালিপটাস, পুদিনা বা সিট্রোনেলা তেলের মতো কিছু প্রাকৃতিক তেলের গন্ধ মাছি পছন্দ করে না। এই তেল কয়েক ফোঁটা আপনার পোশাকে বা ত্বকে লাগাতে পারেন (সরাসরি ত্বকে লাগানোর আগে অল্প পরিমাণে পরীক্ষা করে নিন)।
- তুলসী পাতা: তুলসী পাতার গন্ধ মাছি তাড়াতে সাহায্য করে। ত্বকের উপর সামান্য তুলসী পাতার রস লাগাতে পারেন।
পরিবেশগত সতর্কতা:
- আশেপাশের পরিচ্ছন্নতা: আপনার আশেপাশে আবর্জনা বা পচা খাবার জমতে দেবেন না। এগুলি মাছিকে আকৃষ্ট করে এবং আপনার গায়েও বসতে পারে।
- খাবার ঢেকে রাখুন: বাইরে খাবার সময় খাবার ভালোভাবে ঢেকে রাখুন যাতে মাছি বসতে না পারে।
- গন্ধযুক্ত জিনিস এড়িয়ে চলুন: তীব্র গন্ধযুক্ত লোশন বা পারফিউম ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন, কারণ কিছু গন্ধ মাছিকে আকৃষ্ট করতে পারে।
অন্যান্য উপায়:
- হাত নাড়ানো: যখন মাছি আপনার আশেপাশে ঘুরঘুর করে তখন হাত নেড়ে তাদের তাড়ানোর চেষ্টা করুন।
- ফ্যান ব্যবহার: ফ্যানের বাতাস মাছির উড়তে অসুবিধা সৃষ্টি করে, তাই ফ্যানের নিচে থাকলে মাছি কম বিরক্ত করবে।
এই পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করে আপনি আপনার গায়ে মাছি আসা অনেকাংশে কমাতে পারবেন। নিয়মিত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা এবং পরিবেশের যত্ন নেওয়া এক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
মাছি থেকে বাঁচার উপায় কী
মাছি থেকে বাঁচতে আপনি বেশ কিছু পদক্ষেপ নিতে পারেন। এগুলোকে মূলত দুটি ভাগে ভাগ করা যায়: প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা এবং তাড়ানোর ব্যবস্থা।
প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা (মাছি আসা কমানো):
পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা:
- খাবার ভালোভাবে ঢেকে রাখুন: রান্না করা খাবার বা ফলমূল খোলা অবস্থায় রাখবেন না।
- বাসস্থান পরিষ্কার রাখুন: নিয়মিত ঘর ঝাড়ু দিন ও মুছুন। রান্নাঘর ও খাবার ঘর বিশেষভাবে পরিষ্কার রাখুন।
- আবর্জনা দ্রুত সরান: ময়লার পাত্র ঢাকনাযুক্ত করুন এবং প্রতিদিন আবর্জনা ফেলুন।
- পাকা ফল সরিয়ে ফেলুন: পাকা ফল বা সবজি ফেলে না রেখে দ্রুত খেয়ে ফেলুন বা সরিয়ে ফেলুন।
- থালা বাসন ধুয়ে ফেলুন: ব্যবহৃত থালা বাসন ফেলে না রেখে দ্রুত ধুয়ে ফেলুন।
- জানালায় নেট লাগানো: দরজা ও জানালার ফাঁক বন্ধ করুন অথবা নেট লাগান যাতে মাছি ঘরে ঢুকতে না পারে।
- আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ: রান্নাঘর ও বাথরুমের অতিরিক্ত আর্দ্রতা কমানোর ব্যবস্থা করুন, কারণ স্যাঁতসেঁতে জায়গায় মাছি বংশবৃদ্ধি করতে পারে।
পানির উৎস বন্ধ করুন: কোথাও জল জমে থাকলে তা পরিষ্কার করুন, যেমন - ফুলের টবে বা অন্য কোনো পাত্রে।
তাড়ানোর ব্যবস্থা (এসে যাওয়া মাছি তাড়ানো):
প্রাকৃতিক উপায়:
নুন জল স্প্রে: জলে নুন মিশিয়ে স্প্রে করলে মাছি তাড়ানো যায়।
কর্পূর: কর্পূরের ধোঁয়া মাছি তাড়াতে সাহায্য করে।
লবঙ্গ ও লেবু: লেবুর মধ্যে লবঙ্গ গেঁথে রাখলে মাছি কমে যায়।
ভিনেগার ফাঁদ: পাত্রে আপেল সিডার ভিনেগার ও কয়েক ফোঁটা ডিশ ওয়াশিং লিকুইড মিশিয়ে রাখলে মাছি আকৃষ্ট হয়ে পড়ে মারা যায়।
তেজপাতা: তেজপাতা পোড়ালে বা গুঁড়ো করে রাখলে মাছি দূরে থাকে।
পুদিনা বা তুলসী: এই গাছ লাগালে বা পাতার গন্ধ পেলে মাছি কম আসে।
ফাঁদ ব্যবহার:
আঠালো ফাঁদ (Fly Paper): বাজারে কিনতে পাওয়া যায়, যেখানে মাছি বসলে আটকে যায়।
আলোর ফাঁদ (Electric Fly Zapper): আলোর আকর্ষণে এসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মাছি মারা যায়।
স্প্রে ব্যবহার:
বাজারে বিভিন্ন ধরনের মাছি তাড়ানোর স্প্রে পাওয়া যায়। ব্যবহারের আগে প্যাকেজের নির্দেশাবলী ভালোভাবে পড়ে নিন।
ফ্যান চালু রাখা: ফ্যানের বাতাস মাছির উড়তে অসুবিধা সৃষ্টি করে, তাই ফ্যান চালালে মাছি কম বিরক্ত করবে।
এই উপায়গুলো অবলম্বন করে আপনি আপনার জীবন থেকে মাছির উপদ্রব কমাতে বা সম্পূর্ণরূপে দূর করতে পারবেন। পরিস্থিতি অনুযায়ী আপনি এক বা একাধিক পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন।
মাছি মারার স্প্রে নাম কি
মাছি মারার জন্য বাজারে বিভিন্ন ধরণের স্প্রে পাওয়া যায়। কিছু পরিচিত স্প্রে-এর নাম নিচে দেওয়া হলো:
কালো হিট (Kala HIT): এটি মশা এবং মাছি উভয়কেই মারতে কার্যকর। বিভিন্ন সাইজে এবং লেবুর সুগন্ধ সহ পাওয়া যায়।
এসিআই এরোসল ইনসেক্ট স্প্রে (ACI Aerosol Insect Spray): এটিও একটি জনপ্রিয় কীটনাশক স্প্রে যা মশা-মাছি সহ বিভিন্ন পোকামাকড় দমনে ব্যবহৃত হয়।
বায়োনিল ওয়েল স্প্রে (Bionil Oil Spray): এটি মশা-মাছি নিধনের জন্য কার্যকর এবং এটি খামারে গবাদি পশুর রোগ থেকে সুরক্ষার জন্যও ব্যবহৃত হয়।
তাসলা ১০ ডব্লিউপি (Tasla 10 WP): এটি স্পর্শক ও পাকস্থলী ক্রিয়াসম্পন্ন পাইরিথ্রয়েড জাতীয় কীটনাশক, যা মশা, মাছি, তেলাপোকা, ছারপোকা, পিঁপড়া ইত্যাদি দমনে কার্যকর।
এছাড়া, কিছু প্রাকৃতিক উপাদান দিয়েও মাছি তাড়ানো যায়, যেমন:
- পুদিনা বা তুলসীর স্প্রে: পুদিনা এবং তুলসীর স্প্রে মাছি তাড়াতে সাহায্য করে।
- লবঙ্গ ও লেবুর মিশ্রণ: লেবু কেটে তাতে লবঙ্গ গেঁথে ঘরের কোণায় রাখলে মাছি দূরে থাকে।
- রসুন স্প্রে: রসুনের স্প্রেও মাছি তাড়াতে কার্যকর।
আপনার পছন্দ ও প্রয়োজন হতে পারে এমন আরো পোস্টের তালিকা
- কলা খাওয়ার উপকারিতা -গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা
- আলু বোখারার উপকারিতা ও অপকারিতা
- অতিরিক্ত চুল পড়ার কারণ ও প্রতিকার
- ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর ১০ লক্ষণ
- ডাবের পানির উপকারিতা ও অপকারিতা কি কি জানুন
- দাঁত সাদা করার উপায় - দাঁত সাদা করার টুথপেস্ট কি কি জানুন
- পানির উপকারিতা ও অপকারিতা কি কি জেনে নিন
- আগুনে পুড়ে ফোসকা পড়লে করণীয়
- শিশুর নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
- ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা
- নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
- ব্রেস্ট টিউমার চেনার উপায়
- চর্মরোগ থেকে মুক্তির উপায় - চর্ম রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা
উপসংহার
আজ মাছি তাড়ানোর উপায় কি কি বিস্তারিত জেনে নিন নিয়ে আলোচনা করলাম। আগামীতে ভালো কোনো বিষয় নিয়ে হাজির হবো। আশা করছি উপরের মাছি তাড়ানোর উপায় কি কি বিস্তারিত জেনে নিন বিষয়ে আলোচনা আপনার ভালো লেগেছে। যদি এ বিষয়ে কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানান । আমাদের ফলো করে সাথেই থাকুন।
জমজম আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url