লজ্জাবতী গাছের শিকড়ের উপকারিতা

ভূমিকা

প্রিয় পাঠক জমজম আইটির পক্ষ থেকে আপনাকে স্বাগতম। আপনি অনেক খোঁজাখুজির পর নিশ্চয়ই লজ্জাবতী গাছের শিকড়ের উপকারিতা বা সাদা ও লাল লজ্জাবতী গাছের শিকড়ের উপকারিতা বা লজ্জাবতী গাছ বাড়িতে থাকলে কি হয় তা জানার জন্যই আমাদের এই সাইটটিতে এসেছেন।

লজ্জাবতী গাছের শিকড়ের উপকারিতা

হ্যাঁ আজকে আমি সঠিকভাবে লজ্জাবতী গাছের শিকড়ের উপকারিতা বা সাদা ও লাল লজ্জাবতী গাছের শিকড়ের উপকারিতা বা লজ্জাবতী গাছ বাড়িতে থাকলে কি হয় তা নিয়ে আলোচনা করব। এই লেখার মূল বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানতে পুরো আর্টিকেলটি পড়ে ফেলুন।
                        

লজ্জাবতী গাছের শিকড়ের উপকারিতা

লজ্জাবতী গাছের শিকড়ের উপকারিতা: আসুন আজ আমরা লজ্জাবতী গাছের শিকড়ের উপকারিতা বা সাদা ও লাল লজ্জাবতী গাছের শিকড়ের উপকারিতা বা লজ্জাবতী গাছ বাড়িতে থাকলে কি হয় তা জানার পাশাপাশি লজ্জাবতী গাছের শিকড়ের উপকারিতা জানি।
লজ্জাবতী (Mimosa pudica) শুধু তার স্পর্শ-সংবেদনশীল পাতার জন্যই পরিচিত নয়, এর শিকড়ও বিভিন্ন ঔষধি গুণে সমৃদ্ধ।
লজ্জাবতী গাছের শিকড়ের কিছু উল্লেখযোগ্য উপকারিতা:
১) প্রদাহ কমাতে:
লজ্জাবতী গাছের শিকড়ের নির্যাস প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
এটি গেঁটেবাত, বাত, এবং আর্থ্রাইটিসের ব্যথা কমাতে ব্যবহার করা হয়।
২) ডায়রিয়া ও আমাশয়:
লজ্জাবতী গাছের শিকড়ের নির্যাস ডায়রিয়া ও আমাশয়ের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।
এটি মলত্যাগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং পেটের ব্যথা কমায়।
৩) রক্তপাত:
লজ্জাবতী গাছের শিকড় রক্তপাত বন্ধ করতে সাহায্য করে।
এটি নাক দিয়ে রক্ত ​​পড়া, অতিরিক্ত মাসিক রক্তস্রাব, এবং পাইলসের রক্তপাতের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।
৪) ক্ষত নিরাময়:
লজ্জাবতী গাছের শিকড়ের নির্যাস ক্ষত নিরাময়ে সাহায্য করে।
এটি ব্যথা কমায় এবং ক্ষত দ্রুত শুকাতে সাহায্য করে।
৫) মূত্রাশয়ের সমস্যা:
লজ্জাবতী গাছের শিকড়ের নির্যাস মূত্রাশয়ের সমস্যায় ব্যবহার করা হয়।
এটি মূত্রাশয়ের সংক্রমণ, প্রস্রাবে জ্বালা, এবং বারবার প্রস্রাবের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।
৬) যৌন সমস্যা:
লজ্জাবতী গাছের শিকড়ের নির্যাস পুরুষদের যৌন সমস্যায় ব্যবহার করা হয়।
এটি শুক্রাণুর সংখ্যা বৃদ্ধি করে এবং শিথিলতা দূর করতে সাহায্য করে।
৭) অন্যান্য উপকারিতা:
লজ্জাবতী গাছের শিকড়ের নির্যাস জ্বর, কাশি, এবং মাথাব্যথার চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।
এটি ত্বকের সমস্যা, যেমন - একজিমা, সোরিয়াসিস, এবং চুলকানির চিকিৎসায়ও ব্যবহার করা হয়।
সতর্কতা:
  • গর্ভবতী এবং স্তন্যদানকারী মহিলাদের লজ্জাবতী গাছের শিকড়ের নির্যাস ব্যবহার করা উচিত নয়।
  • ডায়াবেটিস রোগীদেরও এই নির্যাস ব্যবহারের পূর্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ব্যবহারের পদ্ধতি:
  • লজ্জাবতী গাছের শিকড় শুকিয়ে গুঁড়ো করে নেওয়া হয়।
  • এই গুঁড়ো পানি অথবা দুধের সাথে মিশিয়ে খাওয়া হয়।
  • নির্যাস তৈরি করেও ব্যবহার করা।
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, বাড়িতে কিছু গাছ লাগালে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আসে। এই গাছগুলিকে "ভাগ্যবান গাছ" বলা হয়। এই গাছগুলির মধ্যে রয়েছে:

এই গাছ বাড়িতে থাকলে কখনও টাকার অভাব হবে  না 

মানি প্ল্যান্ট: মানি প্ল্যান্ট বাড়িতে ধন-সম্পদ আকর্ষণ করার জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় ভাগ্যবান গাছ। এই গাছটিকে বাড়ির উত্তর-পূর্ব দিকে রাখলে ভালো ফল পাওয়া যায়।

ডালিম গাছ: ডালিম গাছকে সুখ, সমৃদ্ধি এবং উর্বরতার প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই গাছটি বাড়ির প্রধান দরজার ডান দিকে রাখলে ভালো ফল পাওয়া যায়।

বেল গাছ: বেল গাছকে ভাগ্য এবং সমৃদ্ধির প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই গাছটি বাড়ির উত্তর-পূর্ব দিকে রাখলে ভালো ফল পাওয়া যায়। সুতরাং এই গাছ বাড়িতে থাকলে কখনও টাকার অভাব হবে  না।

কলা গাছ: কলা গাছকে সম্পদ এবং উর্বরতার প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই গাছটি বাড়ির উত্তর-পূর্ব দিকে রাখলে ভালো ফল পাওয়া যায়।

স্নেক প্ল্যান্ট: স্নেক প্ল্যান্টকে ধন-সম্পদ এবং সুরক্ষার প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই গাছটি বাড়ির উত্তর-পূর্ব দিকে রাখলে ভালো ফল পাওয়া যায়।

অবশ্যই, এই গাছগুলি বাড়িতে রাখলেই টাকার অভাব হবে না। এর পাশাপাশি, ব্যক্তির পরিশ্রম, সততা এবং সৎ উপায়ে অর্থ উপার্জনের ইচ্ছা থাকাও জরুরি।

এছাড়াও, বাড়িতে কিছু গাছ লাগানো উচিত যা বাতাসকে পরিশুদ্ধ করে এবং পরিবেশকে সুন্দর করে। এই গাছগুলির মধ্যে রয়েছে:

আর্কিডে: আর্কিডে একটি সুন্দর ফুলের গাছ যা বাতাসকে পরিশুদ্ধ করে।

বনসাই: বনসাই একটি ছোট গাছ যা বাড়ির অভ্যন্তরে রাখার জন্য উপযুক্ত। এটি বাতাসকে পরিশুদ্ধ করে এবং পরিবেশকে সুন্দর করে।

স্পাইডার প্ল্যান্ট: স্পাইডার প্ল্যান্ট একটি ঘরের গাছ যা বাতাস থেকে বিষাক্ত পদার্থ শোষণ করে।

ডায়াসম্পাসিয়া: ডায়াসম্পাসিয়া একটি ঘরের গাছ যা বাতাস থেকে কার্বন মনোক্সাইড শোষণ করে।

পাইন গাছ: পাইন গাছ একটি বাগানের গাছ যা বাতাস থেকে ধুলাবালি শোষণ করে।

এই গাছগুলি বাড়িতে রাখলে পরিবেশ ভালো থাকবে এবং পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।

সাদা লজ্জাবতী গাছের শিকড়ের উপকারিতা

সাদা লজ্জাবতী গাছের শিকড়ের উপকারিতা: আসুন আজ আমরা লজ্জাবতী গাছের শিকড়ের উপকারিতা বা সাদা ও লাল লজ্জাবতী গাছের শিকড়ের উপকারিতা বা লজ্জাবতী গাছ বাড়িতে থাকলে কি হয় তা জানার পাশাপাশি লজ্জাবতী গাছের শিকড়ের উপকারিতা জানি।
সাদা লজ্জাবতী (Mimosa pudica) লজ্জাবতী পরিবারের একটি ভেষজ গাছ। শুধু পাতা নয়, এর শিকড়ও বিভিন্ন ঔষধি গুণে ভরপুর।
সাদা লজ্জাবতী গাছের শিকড়ের কিছু উল্লেখযোগ্য উপকারিতা:
১) প্রদাহ কমাতে:
  • সাদা লজ্জাবতী গাছের শিকড়ের নির্যাস প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
  • এটি গেঁটেবাত, বাত, এবং আর্থ্রাইটিসের ব্যথা কমাতে ব্যবহার করা হয়।
২) ডায়রিয়া ও আমাশয়:
  • সাদা লজ্জাবতী গাছের শিকড়ের নির্যাস ডায়রিয়া ও আমাশয়ের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।
  • এটি মলত্যাগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং পেটের ব্যথা কমায়।
৩) রক্তপাত:
  • সাদা লজ্জাবতী গাছের শিকড় রক্তপাত বন্ধ করতে সাহায্য করে।
  • এটি নাক দিয়ে রক্ত ​​পড়া, অতিরিক্ত মাসিক রক্তস্রাব, এবং পাইলসের রক্তপাতের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।
৪) ক্ষত নিরাময়:
  • সাদা লজ্জাবতী গাছের শিকড়ের নির্যাস ক্ষত নিরাময়ে সাহায্য করে।
  • এটি ব্যথা কমায় এবং ক্ষত দ্রুত শুকাতে সাহায্য করে।
৫) মূত্রাশয়ের সমস্যা:
  • সাদা লজ্জাবতী গাছের শিকড়ের নির্যাস মূত্রাশয়ের সমস্যায় ব্যবহার করা হয়।
  • এটি মূত্রাশয়ের সংক্রমণ, প্রস্রাবে জ্বালা, এবং বারবার প্রস্রাবের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।
৬) যৌন সমস্যা:
  • সাদা লজ্জাবতী গাছের শিকড়ের নির্যাস পুরুষদের যৌন সমস্যায় ব্যবহার করা হয়।
  • এটি শুক্রাণুর সংখ্যা বৃদ্ধি করে এবং শিথিলতা দূর করতে সাহায্য করে।
৭) অন্যান্য উপকারিতা:
  • সাদা লজ্জাবতী গাছের শিকড়ের নির্যাস জ্বর, কাশি, এবং মাথাব্যথার চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।
  • এটি ত্বকের সমস্যা, যেমন - একজিমা, সোরিয়াসিস, এবং চুলকানির চিকিৎসায়ও ব্যবহার করা হয়।
সতর্কতা:
  • গর্ভবতী এবং স্তন্যদানকারী মহিলাদের সাদা লজ্জাবতী গাছের শিকড়ের নির্যাস ব্যবহার করা উচিত নয়।
  • ডায়াবেটিস রোগীদেরও এই নির্যাস ব্যবহারের পূর্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ব্যবহারের পদ্ধতি:
  • সাদা লজ্জাবতী গাছের শিকড় শুকিয়ে গুঁড়ো করে নেওয়া হয়।
  • এই গুঁড়ো পানি অথবা দুধের সাথে মিশিয়ে খাওয়া হয়।
  • নির্যাস তৈরি করেও ব্যবহার করা।

ছাদকৃষি শুরুর আগে জানতে হবে ১০ টি বিষয়

ছাদকৃষি একটি জনপ্রিয় ধারণা হয়ে উঠছে কারণ এটি একটি শহরে বসবাসকারী লোকেদের তাদের নিজের খাবার উৎপাদনের সুযোগ দেয়। তবে, ছাদকৃষি শুরু করার আগে কিছু বিষয় জানা গুরুত্বপূর্ণ।

ছাদকৃষি শুরুর আগে জানা দরকার এমন ১০টি বিষয় হল:

আপনার ছাদ ছাদকৃষি জন্য উপযুক্ত কিনা তা পরীক্ষা করুন। আপনার ছাদের নকশা, ভিত্তি এবং আকার ছাদকৃষি জন্য উপযুক্ত কিনা তা নিশ্চিত করতে একটি প্রকৌশলীর সাথে পরামর্শ করুন।

আপনার ছাদে যথেষ্ট সূর্যালোক পায় কিনা তা পরীক্ষা করুন। বেশিরভাগ উদ্ভিদ বৃদ্ধি এবং ফলন পেতে কমপক্ষে ৬ ঘন্টা সূর্যালোক প্রয়োজন।

আপনার ছাদে যথেষ্ট জল ধরে রাখতে পারে কিনা তা পরীক্ষা করুন। ছাদকৃষি প্রচুর পরিমাণে জল প্রয়োজন, তাই নিশ্চিত করুন যে আপনার ছাদ অতিরিক্ত জল ধরে রাখতে পারে।

আপনার ছাদে যথেষ্ট বাতাস চলাচল করতে পারে কিনা তা পরীক্ষা করুন। ভালো বাতাস চলাচল রোগ এবং কীটপতঙ্গের সংক্রমণ রোধ করতে সাহায্য করে।

আপনার ছাদে কোন ধরণের উদ্ভিদ জন্মাতে চান তা সিদ্ধান্ত নিন। কিছু উদ্ভিদ ছাদকৃষি জন্য আরও উপযুক্ত।

ছাদকৃষি জন্য সঠিক সরঞ্জাম এবং উপকরণ সংগ্রহ করুন। আপনার ছাদে একটি জল সরবরাহ ব্যবস্থা, একটি নিষ্কাশন ব্যবস্থা এবং উদ্ভিদগুলিকে সমর্থন করার জন্য একটি কাঠামো প্রয়োজন হবে।

ছাদকৃষি জন্য সঠিক মাটি ব্যবহার করুন। ছাদকৃষি মাটি হালকা এবং ভালভাবে নিষ্কাশিত হওয়া উচিত।


ছাদকৃষি জন্য সঠিক সার ব্যবহার করুন। উদ্ভিদের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করার জন্য সার প্রয়োজন।

ছাদকৃষি জন্য সঠিক জল সেচের পদ্ধতি ব্যবহার করুন। ছাদকৃষি উদ্ভিদের জন্য প্রয়োজনীয় পরিমাণে জল সরবরাহ করা গুরুত্বপূর্ণ।

ছাদকৃষি উদ্ভিদের যত্ন নেওয়ার জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরি করুন। ছাদকৃষি উদ্ভিদের জন্য প্রয়োজনীয় পরিচর্যা প্রদান করা গুরুত্বপূর্ণ।

ছাদকৃষি একটি চ্যালেঞ্জিং কিন্তু ফলপ্রসূ অভিজ্ঞতা হতে পারে। এই টিপসগুলি অনুসরণ করে, আপনি একটি স্বাস্থ্যকর এবং ফলপ্রসূ ছাদবাগান তৈরি করতে পারেন।

ছাদকৃষি শুরু করার জন্য কিছু অতিরিক্ত টিপস:

ছোট শুরু করুন। আপনি যদি নতুন হন তবে একটি ছোট ছাদবাগান দিয়ে শুরু করুন। এটি আপনাকে আপনার ছাদ এবং আপনার চাহিদাগুলির জন্য কী কাজ করে তা শিখতে সাহায্য করবে।

স্থানীয় উদ্ভিদ নির্বাচন করুন। আপনার এলাকার জন্য উপযুক্ত উদ্ভিদ নির্বাচন করুন। এটি আপনার সাফল্যের সম্ভাবনা বাড়াবে।

ছাদবাগানে জৈব পদ্ধতি ব্যবহার করুন। ছাদবাগানে জৈব পদ্ধতি ব্যবহার করা একটি ভালো ধারণা। এটি আপনার ছাদকে রক্ষা করতে এবং পরিবেশের জন্য ভালো।

ছাদবাগানে আপনার প্রতিবেশীদের সাথে সহযোগিতা করুন। আপনি যদি আপনার প্রতিবেশীদের সাথে আপনার ছাদবাগানে সহযোগিতা করেন তবে আপনি একে অপরের কাছ থেকে শিখতে এবং সমর্থন পেতে পারেন।

ছাদকৃষি একটি দুর্দান্ত উপায় আপনার নিজের খাবার উৎপাদন করতে, আপনার পরিবেশের জন্য কিছু করতে এবং আপনার শহরের জীবনকে আরও সুন্দর করতে।

লজ্জাবতী গাছ বাড়িতে থাকলে কি হয়

এই গাছ বাড়িতে থাকলে কখনও টাকার অভাব হবে না। বাস্তুমতে, বাড়িতে লজ্জাবতী গাছ লাগালে অনেক শুভ ফল হয়। এর মধ্যে রয়েছে:

শনিদেবের আশীর্বাদ পাওয়া যায়। লজ্জাবতী গাছ শনিদেবের প্রিয় গাছ। তাই এই গাছ বাড়িতে লাগালে শনিদেব সন্তুষ্ট হন এবং পরিবারে সুখ-সমৃদ্ধি বজায় রাখেন।

বাস্তুদোষ দূর হয়। লজ্জাবতী গাছ বাড়ির নেতিবাচক শক্তি দূর করে। তাই বাড়িতে বাস্তুদোষ থাকলে লজ্জাবতী গাছ লাগালে সেই দোষ দূর হয়।

লজ্জাবতী গাছ বাড়িতে সুখ-শান্তি বজায় রাখে। লজ্জাবতী গাছ বাড়ির পরিবেশকে শান্ত ও প্রশান্ত করে। তাই এই গাছ বাড়িতে থাকলে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ভালোবাসা ও সম্প্রীতি বৃদ্ধি পায়।

লজ্জাবতী গাছ বাড়িতে আর্থিক সমৃদ্ধি আনতে সাহায্য করে। লজ্জাবতী গাছ সব সম্পদকে আকর্ষণ করে বলে মনে করা হয়। তাই এই গাছ বাড়িতে লাগালে পরিবারে অর্থনৈতিক উন্নতি হয়।

 আসুন আজ এই গাছ বাড়িতে থাকলে কখনও টাকার অভাব হবে  না বা লজ্জাবতী গাছ বাড়িতে থাকলে কি হয় তা চেনে নিই। লজ্জাবতী গাছ বাড়িতে লাগানোর সময় কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। যেমন, গাছটি উত্তর-পূর্ব দিকে লাগানো উচিত। গাছটিকে সঠিকভাবে যত্ন নিতে হবে। গাছের চারপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।

লজ্জাবতী গাছ একটি ঔষধি গাছও বটে। এই গাছের পাতা ও ফুল বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। তাই বাড়িতে লজ্জাবতী গাছ লাগানো শুধুমাত্র শুভ ফলই দেয় না, ঔষধি গুণও রয়েছে।

বেদানা গাছ বাড়িতে থাকলে কি হয়

বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, বেদানা গাছ বাড়িতে থাকলে অনেক উপকার হয়। এই গাছটিকে শুভ ও সমৃদ্ধির প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বেদানা গাছ বাড়িতে থাকলে যেসব উপকার হয় সেগুলো হল:

আর্থিক উন্নতি: বেদানা গাছকে অর্থের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বাড়িতে বেদানা গাছ থাকলে আর্থিক উন্নতি ঘটে বলে বিশ্বাস করা হয়।

সম্পদ বৃদ্ধি: বেদানা গাছের পাতা, ফুল ও ফলের রঙ উজ্জ্বল ও আকর্ষণীয়। এই গাছটি বাড়িতে থাকলে সম্পদের বৃদ্ধি ঘটে বলে বিশ্বাস করা হয়।

সৌভাগ্য বৃদ্ধি: বেদানা গাছকে সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বাড়িতে বেদানা গাছ থাকলে সৌভাগ্য বৃদ্ধি ঘটে বলে বিশ্বাস করা হয়।

ঋণ থেকে মুক্তি: বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, বাড়ির সামনে একটি বেদানা গাছ লাগালে ঋণ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

পরিবারের সুখ-সমৃদ্ধি: বেদানা গাছকে পরিবারের সুখ-সমৃদ্ধির প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বাড়িতে বেদানা গাছ থাকলে পরিবারের সুখ-সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায় বলে বিশ্বাস করা হয়।

বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, বেদানা গাছ বাড়ির দক্ষিণ-পূর্ব কোণে লাগালে সবচেয়ে ভালো। এছাড়াও, বাড়ির সামনে বা বাগানে বেদানা গাছ লাগানো যেতে পারে।

তবে মনে রাখতে হবে, বেদানা গাছ একটি বড় গাছ। তাই বাড়ির জন্য উপযুক্ত জায়গায় বেদানা গাছ লাগানো উচিত।

গাছে জৈব সার দেওয়ার নিয়ম

গাছে জৈব সার দেওয়ার নিয়ম হল:

গাছের প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী সার নির্বাচন করুন। বিভিন্ন ধরনের গাছের বিভিন্ন ধরনের পুষ্টির প্রয়োজন হয়। তাই গাছের প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী সার নির্বাচন করা জরুরি।

সার প্রয়োগের সময় গাছের পাতায় সার না লাগিয়ে মাটিতে লাগান। সার গাছের পাতায় লাগলে গাছের ক্ষতি হতে পারে।

সার প্রয়োগের আগে মাটি ভালোভাবে ঝুরঝুরে করে নিন। এতে সার মাটিতে ভালোভাবে মিশে যাবে এবং গাছ সহজেই সার থেকে পুষ্টি গ্রহণ করতে পারবে।

সার প্রয়োগের পর মাটি ভালোভাবে চাপা দিয়ে দিন। এতে সার মাটিতে ভালোভাবে মিশে যাবে এবং গাছের মূলের কাছে পৌঁছাতে সুবিধা হবে।

সার প্রয়োগের পর গাছের গোড়ায় হালকা জল সেচ দিন। এতে সার মাটিতে ভালোভাবে মিশে যাবে এবং গাছ সহজেই সার থেকে পুষ্টি গ্রহণ করতে পারবে।

গাছে জৈব সার প্রয়োগের কিছু নির্দিষ্ট সময় আছে। সাধারণত, বসন্ত এবং শরৎকালে গাছে জৈব সার প্রয়োগ করা হয়। এছাড়াও, গাছে ফুল ফোটার আগে এবং ফল ধরার আগে জৈব সার প্রয়োগ করা ভালো।
 AirTM থেকে প্রতিদিন ৫-১০ ডলার আয় করতে নিচের ভিডিওটি দেখে আসতে পারেনঃ

গাছে জৈব সার প্রয়োগের কিছু উপকারিতা হল:
  • গাছের বৃদ্ধি ও উৎপাদন বৃদ্ধি পায়।
  • গাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
  • গাছের মাটি উর্বর হয়।
  • পরিবেশ দূষণ কম হয়।
গাছে জৈব সার প্রয়োগের কিছু সাধারণ নিয়ম হল:

গাছের বয়স অনুযায়ী সার প্রয়োগ করুন। ছোট গাছে কম সার এবং বড় গাছে বেশি সার প্রয়োগ করুন।

গাছের প্রয়োজনীয়তার উপর ভিত্তি করে সার প্রয়োগ করুন। কিছু গাছের বেশি নাইট্রোজেন প্রয়োজন হয়, আবার কিছু গাছের বেশি ফসফরাস প্রয়োজন হয়।

সার প্রয়োগের সময় গাছের গোড়া থেকে ১ ফুট দূরে সার প্রয়োগ করুন। সার প্রয়োগের পর গাছের গোড়ায় হালকা সেচ দিন।

গাছে জৈব সার প্রয়োগের কিছু সাধারণ সার হল: এই গাছ বাড়িতে থাকলে কখনও টাকার অভাব হবে  না

কম্পোস্ট: কম্পোস্ট হল সবচেয়ে সাধারণ জৈব সার। এটি গাছের জন্য প্রয়োজনীয় সকল পুষ্টি সরবরাহ করে।

গোবর সার: গোবর সার হল একটি ভালো জৈব সার। এটি গাছের জন্য নাইট্রোজেন, ফসফরাস এবং পটাশিয়াম সরবরাহ করে।

ছাই: ছাই হল একটি ভালো জৈব সার। এটি গাছের জন্য ফসফরাস এবং পটাশিয়াম সরবরাহ করে।

মাছ-হাড়ের সার: মাছ-হাড়ের সার হল একটি ভালো জৈব সার। এটি গাছের জন্য নাইট্রোজেন, ফসফরাস এবং পটাশিয়াম সরবরাহ করে।

জৈব তরল সার: জৈব তরল সার হল একটি ভালো জৈব সার। এটি গাছের জন্য দ্রুত পুষ্টি সরবরাহ করে।

গাছের প্রয়োজনীয়তার উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ধরনের জৈব সার ব্যবহার করা যেতে পারে।

লাল লজ্জাবতী গাছের শিকড়ের উপকারিতা

লাল লজ্জাবতী গাছের শিকড়ের উপকারিতা: আসুন আজ আমরা লজ্জাবতী গাছের শিকড়ের উপকারিতা বা সাদা ও লাল লজ্জাবতী গাছের শিকড়ের উপকারিতা বা লজ্জাবতী গাছ বাড়িতে থাকলে কি হয় তা জানার পাশাপাশি লজ্জাবতী গাছের শিকড়ের উপকারিতা জানি।
লাল লজ্জাবতী (Mimosa pudica var. hispida) সাধারণ লজ্জাবতী গাছের একটি রকম।
লাল লজ্জাবতী গাছের শিকড়ের কিছু সম্ভাব্য উপকারিতা:
১) প্রদাহ কমাতে:
লাল লজ্জাবতী গাছের শিকড়ের নির্যাস প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে।
এটি গেঁটেবাত, বাত, এবং আর্থ্রাইটিসের ব্যথা কমাতে ব্যবহার করা যেতে পারে।
২) ডায়রিয়া ও আমাশয়:
লাল লজ্জাবতী গাছের শিকড়ের নির্যাস ডায়রিয়া ও আমাশয়ের চিকিৎসায় ব্যবহার করা যেতে পারে।
এটি মলত্যাগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে এবং পেটের ব্যথা কমাতে পারে।
৩) রক্তপাত:
লাল লজ্জাবতী গাছের শিকড় রক্তপাত বন্ধ করতে সাহায্য করতে পারে।
এটি নাক দিয়ে রক্ত ​​পড়া, অতিরিক্ত মাসিক রক্তস্রাব, এবং পাইলসের রক্তপাতের চিকিৎসায় ব্যবহার করা যেতে পারে।
৪) ক্ষত নিরাময়:
লাল লজ্জাবতী গাছের শিকড়ের নির্যাস ক্ষত নিরাময়ে সাহায্য করতে পারে।
এটি ব্যথা কমাতে পারে এবং ক্ষত দ্রুত শুকাতে সাহায্য করতে পারে।
৫) মূত্রাশয়ের সমস্যা:
লাল লজ্জাবতী গাছের শিকড়ের নির্যাস মূত্রাশয়ের সমস্যায় ব্যবহার করা যেতে পারে।
এটি মূত্রাশয়ের সংক্রমণ, প্রস্রাবে জ্বালা, এবং বারবার প্রস্রাবের চিকিৎসায় ব্যবহার করা যেতে পারে।
৬) যৌন সমস্যা:
লাল লজ্জাবতী গাছের শিকড়ের নির্যাস পুরুষদের যৌন সমস্যায় ব্যবহার করা যেতে পারে।
এটি শুক্রাণুর সংখ্যা বৃদ্ধি করতে পারে এবং শিথিলতা দূর করতে সাহায্য করতে পারে।
৭) অন্যান্য উপকারিতা:
লাল লজ্জাবতী গাছের শিকড়ের নির্যাস জ্বর, কাশি, এবং মাথাব্যথার চিকিৎসায় ব্যবহার করা যেতে পারে।
এটি ত্বকের সমস্যা, যেমন - একজিমা, সোরিয়াসিস, এবং চুলকানির চিকিৎসায়ও ব্যবহার করা যেতে পারে।
সতর্কতা:
  • গর্ভবতী এবং স্তন্যদানকারী মহিলাদের লাল লজ্জাবতী গাছের শিকড়ের নির্যাস ব্যবহার করা উচিত নয়।
  • ডায়াবেটিস রোগীদেরও এই নির্যাস ব্যবহারের পূর্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ব্যবহারের পদ্ধতি:
  • লাল লজ্জাবতী গাছের শিকড় শুকিয়ে গুঁড়ো করে নেওয়া হয়।
  • এই গুঁড়ো পানি অথবা দুধের সাথে মিশিয়ে খাওয়া হয়।
  • নির্যাস তৈরি করেও ব্যবহার করা।
আজ আমরা লজ্জাবতী গাছের শিকড়ের উপকারিতা বা সাদা ও লাল লজ্জাবতী গাছের শিকড়ের উপকারিতা বা লজ্জাবতী গাছ বাড়িতে থাকলে কি হয় তা জানার পাশাপাশি লজ্জাবতী গাছের শিকড়ের উপকারিতা জানলাম।

উপসংহার

প্রিয় পাঠক একটি বিষয় সবসময় মনে রাখবেন, কোন বিষয়ে লোভ করবেন না এবং দক্ষ না হয়ে কোন কাজ করতে যাবেন না। একটি বিষয় বলে রাখি, একটি শিশু যখন ভুমিষ্ট হয় তখন সে দক্ষ হয়ে জন্মগ্রহণ করে না, বরং জন্মের পর সে ধীরে ধীরে বিভিন্ন কাজে দক্ষ হয়ে বেড়ে ওঠে। 

আজ আমরা এই গাছ বাড়িতে থাকলে কখনও টাকার অভাব হবে  না বা লজ্জাবতী গাছ বাড়িতে থাকলে কি হয় তা নিয়ে আলোজনা করেছি। সুতরাং আপনি ও কাজ শিখতে থাকুন এবং কাজ করতে থাকুন তাহলে একদিন দক্ষ হয়ে উঠবেন। সুতরাং হতাশ না হয়ে কাজ করতে থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

জমজম আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url