বিদেশ যাওয়ার জন্য কি কি প্রয়োজন

ভূমিকা

প্রিয় পাঠক আপনি অনেক খোঁজাখুজির পর নিশ্চয়ই বিদেশ যাওয়ার জন্য কি কি প্রয়োজন তা জানার জন্যই আমাদের এই সাইটটিতে এসেছেন।
বিদেশ যাওয়ার জন্য কি কি প্রয়োজন
হ্যাঁ আজকে আমি সঠিকভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য কি কি প্রয়োজন তা নিয়ে আলোচনা করব। এই লেখার মূল বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানতে পুরো আর্টিকেলটি পড়ে ফেলুন।

ভিসা কি

ভিসা হলো একটি অনুমতি যা একজন বিদেশী নাগরিককে অন্য দেশে প্রবেশ করতে এবং একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সেখানে থাকার অনুমতি দেয়। ভিসা বিভিন্ন ধরণের হতে পারে, যার প্রতিটির নিজস্ব উদ্দেশ্য এবং প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

ভিসার ধরণ 

ভিসার কিছু সাধারণ ধরণ হল:
দর্শন ভিসা: 
  • পর্যটন, ব্যবসা, পরিবার বা বন্ধুদের সাথে দেখা করার জন্য ভ্রমণের জন্য।
শিক্ষা ভিসা: 
  • বিদেশে অধ্যয়নের জন্য।
কাজের ভিসা: 
  • বিদেশে কাজ করার জন্য।
অভিবাসী ভিসা: 
  • স্থায়ীভাবে বিদেশে বসবাস করার জন্য।
ভিসার জন্য আবেদন করার প্রক্রিয়া দেশ এবং ভিসার ধরণের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে। সাধারণত, আবেদনকারীদের একটি আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে, প্রয়োজনীয় নথিপত্র জমা দিতে হবে এবং একটি ভিসা ফি প্রদান করতে হবে। কিছু ক্ষেত্রে, আবেদনকারীদের একটি সাক্ষাৎকারের জন্য উপস্থিত হতে হতে পারে।
ভিসা অনুমোদন হওয়ার পরে, ভিসাধারীরা তাদের পাসপোর্টে একটি স্ট্যাম্প বা লেবেল পাবেন। ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ভিসাধারীদের অবশ্যই তাদের গন্তব্য দেশ ত্যাগ করতে হবে।

মালয়েশিয়া ই ভিসা কি

মালয়েশিয়া ই-ভিসা হলো একটি ইলেকট্রনিক ভিসা যা বাংলাদেশি নাগরিকদের মালয়েশিয়া ভ্রমণের জন্য অনুমোদন দেয়। এটি পর্যটন, ব্যবসা, পরিবার বা বন্ধুদের সাথে দেখা করার জন্য ভ্রমণের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।

ওয়ার্ক পারমিট ভিসা কি

ওয়ার্ক পারমিট ভিসা হলো একটি ভিসা যা একজন বিদেশী নাগরিককে অন্য দেশে কাজ করার অনুমতি দেয়। ওয়ার্ক পারমিট ভিসার বিভিন্ন ধরণ রয়েছে, এবং প্রতিটি ধরণের নিজস্ব নিয়ম এবং প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

দুবাই ভিসা কি বন্ধ

না, দুবাই ভিসা বন্ধ নয়।
কিছু ধরণের ভিসা বন্ধ থাকলেও, অন্যান্য ধরণের ভিসা এখনও চালু আছে।
বর্তমানে বন্ধ থাকা ভিসাগুলির মধ্যে রয়েছে:
শ্রমিক ভিসা: 
  • ২০১২ সালের আগস্ট থেকে নতুন শ্রমিক ভিসা ইস্যু করা বন্ধ রয়েছে। তবে, কিছু ক্ষেত্রে, বিশেষ অনুমতির মাধ্যমে শ্রমিক ভিসা পাওয়া সম্ভব।
জিটিভি (গ্রাউন্ড ট্রানজিট ভিসা): 
  • ২০২০ সালের মার্চ থেকে জিটিভি বন্ধ রয়েছে।
তবে, 
  • ট্যুরিস্ট ভিসা
  • ব্যবসায়িক ভিসা
  • ভিজিট ভিসা
  • নারী গৃহকর্মী ভিসা
  • আরটিএ (রোড অ্যান্ড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি) ভিসা
গভর্নমেন্ট অফ দুবাই, গভর্নমেন্ট অফ রাস আল খাইমা, এবং গভর্নমেন্ট অফ ফুজাইরাহ-এর ভিসা
এখনও চালু আছে।

স্পাউস ভিসা কি

স্পাউস ভিসা হলো একটি ভিসা যা একজন বিদেশী নাগরিককে তার স্বামী/স্ত্রীর সাথে পুনরায় মিলিত হতে এবং তারা যে দেশে বসবাস করে সেখানে বসবাস করার অনুমতি দেয়।

বিদেশ যাওয়ার জন্য কি কি প্রয়োজন

বিদেশে যাওয়ার পূর্বে কি কি প্রয়োজন হয় তা আলোচনা পূর্বেই আমরা আলোচনা করতে চাচ্ছি যে আপনি কেন বিদেশে যাবেন। প্রথমেই আপনার বিদেশে যাওয়ার কারণটি সঠিক কিনা তা যাচাই করুন। আপনার বিদেশে যাওয়ার কারণটি যাচাইয়ের পর আপনার প্রয়োজন হবে বিদেশে যাওয়ার জন্য কি কি প্রয়োজন। চলুন বিদেশে যাওয়ার জন্য আমাদের কি কি প্রয়োজন জেনে নেই। ভিসা পাসপোর্ট এর পাশাপাশি মেডিকেল টেস্ট ছাড়পত্র সহ বিভিন্ন ধরনের কাগজপত্রের প্রয়োজন হয়।

ছাড়পত্র সংগ্রহ করবেন কিভাবে

আপনারা সকলে জানেন যে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি জেলায় কর্মসংস্থান অফিস রয়েছে এই অফিস থেকে আপনাকে বাহিরের কোন রাষ্ট্রে যাওয়ার জন্য ছাড়পত্র নিতে হবে। আপনার জেলার কর্মসংস্থান অফিস থেকে কার্ড পাওয়ার জন্য আপনাকে কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের দরকার হবে। এই কাগজপত্রগুলো সঠিকভাবে নিয়ে আপনাকে আবেদন করতে হবে। এগুলোসহ অফিসে যেতে হবে আবেদন করতে হবে এবং সেখানে আপনাকে ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিতে হবে।

ছাড়পত্রের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজ লাগবে

ছাড়পত্রে আপনার কি কি প্রয়োজন হবে চলুন জেনে নিন। মহিলাদের জন্য একজনার ভিসার জন্য আইনানুগ অভিভাবক থেকে ১৫০/০০ টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পের আপত্তি পত্র দিতে হবে।

আপনার যে ভিসা আছে সে ভিসা ফটোকপি করতে হবে। ভিসার পৃষ্ঠাসহ পাসপোর্ট এর প্রথম ছয় পৃষ্ঠার ফটোকপি জমা দিতে হবে। ভিসা সংশ্লিষ্ট সকল বিষয় পূরণের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করবেন।

মূল ভিসা অ্যাডভাইস এন ও সি ও ফটোকপি দিতে হবে। প্রতিটি কাগজপত্রের মূল কপির পাশাপাশি এক বা একাধিক ফটোকপি সঙ্গে রাখবেন।

ব্যক্তিগত অঙ্গীকারনামা ১৫০/০০ টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে দিতে হবে। টেম্প কেনার পূর্বেই অবশ্যই স্ট্যাম্পের তারিখ এবং ভেন্ডার এর নাম দেখে নিবেন।

এবং চাকরিজীবীদের জন্য আলাদা নিয়ম এবং আলাদা সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যারা চাকরি করেন সরকারি অথবা রাষ্ট্রের কোন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছেন তাদেরকে বিদেশ যাওয়ার জন্য নিয়োগ কর্তা থেকে রিলিজ অর্ডার পত্র জমা দিতে হবে। সেই ক্ষেত্রে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার স্বাক্ষর সহ অফিস প্রত্যয়ন সকল কিছুই আপডেট করে নেবেন।

বিদেশ যাওয়ার আগে যেসব বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া উচিত

এখন আসুন আলোচনা করি বিদেশ যাওয়ার আগে যে বিষয়গুলো আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে। অবশ্য প্রতিটি কাজের ক্ষেত্রেই একটি পূর্ব প্রস্তুতির প্রয়োজন হয়। মানসিকভাবে এবং শারীরিকভাবে নিজেকে তৈরি করে ফেলুন।

এখন আমি আপনাদেরকে বলবো বিদেশ যাওয়ার পূবেই যেসকল বিষয়গুলি আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে  এবং বিস্তারিত জেনে নিতে হবে সেগুলো  হলঃ
  • আপনি যখন টাকার লেনদেন করবেন তার টাকা প্রদানের রশিদ ও চুক্তি পত্র পরীক্ষা করে নিতে হবে।
  • টিকিট দেখতে হবে।
  • মেডিকেল রিপোর্ট করাতে হবে।
  • আপনার পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে হবে।
  • চাকরির চুক্তিপত্র দেখতে হবে।
  • আপনার নামে ব্যাংক একাউন্ট খুলতে হবে।
আপনি যে দেশে যাবেন বাংলাদেশের সে দেশের দূতাবাসে আপনার মোবাইল নাম্বার এবং ঠিকানা জমা দিতে হবে। সকল কাগজপত্র হাতে পাওয়ার পর নিজে অথবা একজন দক্ষ লোকের মাধ্যমে পরীক্ষা-নিরীক্ষরে নিবেন।
  • ভিসা দেখে নিতে হবে
  • জনশক্তি বা কর্মসংস্থান ব্যুরোর ছাড়পত্র নিতে হবে
  • চুক্তিপত্রের বিষয়গুলো পরীক্ষা করে দেখবেন কিভাবে
এখন আমি আপনাদেরকে  যে সকল বিষয় নিয়ে আমি বিস্তারিত জেনে যাবেন। নিম্নে সে সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করছি। 
  • মানুষ তোর গ্যারান্টি নেই। সুতরাং বিদেশে আপনার মৃত্যু হলে লাশ পাঠানোর ব্যবস্থা আছে কিনা নিশ্চিত হবেন।
  • বসবাসের জন্য বাসস্থানের ভাতা দিতে হবে।
  • আপনি যে খাবার খাবেন সে খাবারের খাবারের টাকা দিতে হবে।
  • অনেক সময় এবং থাকার জায়গা মাঝামাঝিতে যানবাহন ব্যবহার করতে হয় । সে ক্ষেত্রেযাতায়াতের ভাড়া দিতে হবে।
যেখানে আপনি কাজ করবেন সেখানে যদি অসুস্থতা হয়ে যান অথবা মৃত্যু হয় তাহলে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা থাকতে হবে। আপনি যদি কোন কারনে দুর্ঘটনার স্বীকার হন উক্ত কারনে এই বিষয়টি নিশ্চিত হতে হবে।
  • কোন কারনে আপনার জন্য স্বাস্থ্য সেবার সুবিধা থাকতে হবে।
  • অসুস্থ হলে ছুটির ব্যবস্থা থাকতে হবে। অসুস্থকালীন বেতনের ব্যবস্থা থাকতে হবে।
  • চাকরির নাম জানতে হবে। কি সংশ্লিষ্ট কোন বিষয়ে কাজ করতে হবে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে হবে।
  • আপনি যেখানে কাজ করবেন কোম্পানির নাম জানতে হবে এবং ঠিকানা জানতে হবে।
  • কোন কোম্পানির সাথে চুক্তি হলে চাকরির মেয়াদ জানতে হবে।
  • আপনার কাজের জন্যমাসে কত টাকা দিবে সেটা অবশ্যই জানতে হবে।
  • ছুটি থাকতে হবে এবং সামাজিক নিরাপত্তা থাকতে হবে। আপনার পারিপার্শ্বিক অবস্থার সাথে মৌলিক অধিকারের সবকিছু আছে কিনা জানতে হবে।
  • নিয়মিত কাজের ব্যবস্থা এবং সাপ্তাহিক ছুটির ব্যবস্থা থাকতে হবে। কোন কাজ শেষ হয়ে গেলে কি করবেন সে বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে।

বিদেশ যাবেন কিভাবে

অনেক সময় জীবনের কথা চিন্তা না করে অনেক ঝুঁকি নিয়েই বিদেশে পাড়ি জমাত চেষ্টা করি। অনেক সময় বিপদে পড়ে অনেকে মৃত্যুবরণ করে থাকে। তাই বিদেশে যাওয়ার পূর্বেই অবশ্যই লিগাল ওয়েতে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। কোনভাবেই অবৈধ উপায়ে বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা করবেন না।
এখন আমরা আলোচনা করি বিদেশে যাত্রা শুরু কিভাবে করবেন তো চলুন জানা যাক। আপনি যদি কোন কারিগরি পেশায় বিদেশে যেতে চান তাহলে সেই পেশা সংশ্লিষ্ট সকল কাগজপত্র আপডেট করে নেবেন। আপনার সকল কাগজপত্রের ফটোকপির পাশাপাশি একটি অনলাইন কপি রাখার চেষ্টা করবেন।
আপনি বিদেশে যাওয়ার আগে আপনাকে জানতে হবে যে দেশে আপনি যাচ্ছেন সে দেশে কোন আপনার পরিচিত প্রবাসী রয়েছে কিনা তাহলে তার কাছ থেকে আপনি সবকিছু বুঝে নেবেন কি কি দরকার হয়। কি কি নিয়ে যেতে হয় তার কথা অনুযায়ী আপনাকে সেটা নিয়ে যেতে হবে এবং আপনাকেবিদেশে যাওয়ার জন্য সর্বপ্রথম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে যেতে হবে এবং তার কাছ থেকে জেনে নিবেন। 
বিমানে ওঠার জন্য কি কি আদব কায়দার প্রয়োজন হয় এবং বিমানে কিভাবে যাতায়াত করতে হয় তাহলে আপনার জন্য সুবিধা হবে । প্রয়োজনে আপনার কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করে একটি ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করে নেবেন। বা যারা দক্ষ আছেন বা পূর্বে এরকম কাজ করেছেন তাদের সাথে আলোচনা করে নেবেন।

উপসংহার

প্রিয় পাঠক আজ বিদেশ যাওয়ার জন্য কি কি প্রয়োজন তা নিয়ে আলোচনা করলাম। আগামীতে অন্য কোন টপিক নিয়ে হাজির হবো। উপরের আলোচনা যদি আপনার কাজে লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানান আর আপনার ফ্রেন্ড সার্কেলে এই কনটেন্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

জমজম আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url